আবদুল্লাহ আল মারুফ
দেশের ব্যস্ততম মহাসড়ক ঢাকা-চট্টগ্রাম। এই মহাসড়কের ৯৭ কিলোমিটারে সকাল থেকে দুপুর, বিকেল থেকে মধ্যরাত। এক মুহুর্তের জন্যে ফাঁকা থাকে না এই রুট। তাই সামান্য গতিরোধ হলেই আটকে যায় সড়কটি। আর যদি থাকে কুয়াশার চাদর! তখন দুর্ঘটনা অনিভার্য বিষয়। সেটিই ঘটছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার কিছু অংশে। এই দুর্ঘটনা এড়াতে যাত্রী, চালক, মালিক ও হাইওয়ে পুলিশের করণীয় কি তা তুলে ধরেছেন প্রতিবেদক।
জানা গেছে, গত ২৪ জানুয়ারি অতিরিক্ত কুয়াশা দেখা দেয় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ এলাকায়। এসময সড়কে গাড়ি রেখে ঘুমিয়ে গেছেন এক চালক। পেছনের গাড়ির চালকও ভাবেন যানজট। তাই তিনিও গাড়ি থামিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে তিনিও ঘুমিয়ে পড়েন। সেই যানজটে পড়ে ঘুমিয়ে যান পেছনের চালকরাও। ভোর ৩টার দিকে লাগা এই জটলা সকাল পর্যন্ত কুমিল্লার মহাসড়কের কুটুম্বপুর থেকে গোমতা হয়ে ইলিয়টগঞ্জ বাজার পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ বিষয়টি জানতে পেরে সকালে এসে চালকদের জাগাতে শুরু করে। ইলিয়টগঞ্জ থেকে জাগাতে জাগাতে কুটুম্বপুর পর্যন্ত জাগাতে হয়। ওই সময় হাইওয়ে পুলিশের ইলিয়টগঞ্জ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান কৌশিক মোবাইল ফোনে এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
এরপর মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঘন কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে যাত্রীবাহী বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাসসহ ৮ পরিবহন। কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার জিংগলাতলী থেকে আমিরাবাদ স্টেশন পর্যন্ত তিন কিলোমিটারের মধ্যে এক ঘণ্টায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে। ঘন কুয়াশার কারণে একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে ছিটকে পড়ে। আরেকটি যাত্রীবাহী বাস ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে মাইক্রোবাসের সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায়। এছাড়াও নিয়ন্ত্রন হারিয়ে অনেক পরিবহন এসে পড়ে দুর্ঘটনাকবলিত বা দাঁড়িয়ে থাকা আরেকটি পরিবহনের ওপর। এভাবে পরপর দুর্ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তবে কেউ নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল আফসার এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
এছাড়াও গত ১৪ ফেব্রুয়ারি স্বামীসহ কুমিল্লায় শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে আসেন এখন টেলিভিশনের রাজশাহী ব্যুরোর রিপোর্টার মাসুমা ইসলাম। এসময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নুরজাহান হোটেলের উল্টো দিকে বাস থেকে নেমে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ঠিক করার সময় দ্রুতগামী একটি মাইক্রোবাস তাদের ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে অটোরিকশাচালক, মাসুমা আক্তার ও তার স্বামী গুরুতর আহত হন। এঘটনার চারদিন পর মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) চিকিৎসাধীন মাসুমা ইসলামের মৃত্যু হয়েছে। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এখন টিভির কুমিল্লা ব্যুরো প্রধান খালিদ সাইফুল্লাহ।
পুলিশ ও স্থানীয়দের ধারণা অতিরিক্ত কুয়াশার কারণে ও চালকের অসর্তকতায় এই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তবে কেউই বিষয়টি নিশ্চিতভাবে উল্লেখ করেনি। এঘটনায় জড়িত পরিবহনকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি করেছেন মাসুমার সহকর্মী ও পরিবার। পুলিশও বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখছেন বলে জানিয়েছে।
বিআরটিএ কুমিল্লার মোটরযান পরিদর্শক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, কুয়াশায় নিরাপদে গাড়ি চালানোর জন্য আমাদের অনেক নির্দেশিকা আছে। তারমধ্যে আছে, কুয়াশায় দৃষ্টিসীমার মধ্যে থামানো যায় এমন ধীর গতিতে সর্বদা নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে রাস্তায় গাড়ি চালাতে হবে। পার্কিং লাইট জ্বালিয়ে রাখতে হবে। লেন পরিবর্তন ওভারটেকিং করা যাবে না। কারণ, পেছনের গাড়ি ঘন কুয়াশায় আপনার গাড়িকে নাও দেখতে পারে। হাই-বিম কুয়াশাকে আরও বেশি ঘন করে বিধায় হাই-বিমে গাড়ি চালাবেন না। সর্বদা লো-বিমে গাড়ি চালাতে হবে।
কুয়াশায় দুর্ঘটনা এড়ানোর বিষয়ে হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি খাইরুল আলম বলেন, অতিরিক্ত কুয়াশা আসলে প্রাকৃতিক বিষয়। তবে সবার আগে আমাদের চালক ও যাত্রীদের সচেতনতাকে প্রাধান্য দেব আমি। যথাযথ লেন ও নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখা এবং সড়ক পরিবহন আইন মেনে গাড়ি চালানো, মহাসড়কে নিষিদ্ধ এবং ফিটনেস বিহীন গাড়ি না চালানো, অতিরিক্ত কুয়াশায় গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে অবশ্যই ধৈর্য্য রাখা, সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা এবং অতিরিক্ত গতি পরিহারের বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, এমন আবহাওয়ায় আসলে বিশেষ প্রয়োজন ব্যাতীত হাইওয়েতে মোটরসাইকেল না চালানোর জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করবো। এগুলো মেনে চললে আশাকরি দুর্ঘটনা কিছুটা এড়ানো সম্ভব।
দেশের ব্যস্ততম মহাসড়ক ঢাকা-চট্টগ্রাম। এই মহাসড়কের ৯৭ কিলোমিটারে সকাল থেকে দুপুর, বিকেল থেকে মধ্যরাত। এক মুহুর্তের জন্যে ফাঁকা থাকে না এই রুট। তাই সামান্য গতিরোধ হলেই আটকে যায় সড়কটি। আর যদি থাকে কুয়াশার চাদর! তখন দুর্ঘটনা অনিভার্য বিষয়। সেটিই ঘটছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার কিছু অংশে। এই দুর্ঘটনা এড়াতে যাত্রী, চালক, মালিক ও হাইওয়ে পুলিশের করণীয় কি তা তুলে ধরেছেন প্রতিবেদক।
জানা গেছে, গত ২৪ জানুয়ারি অতিরিক্ত কুয়াশা দেখা দেয় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ এলাকায়। এসময সড়কে গাড়ি রেখে ঘুমিয়ে গেছেন এক চালক। পেছনের গাড়ির চালকও ভাবেন যানজট। তাই তিনিও গাড়ি থামিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে তিনিও ঘুমিয়ে পড়েন। সেই যানজটে পড়ে ঘুমিয়ে যান পেছনের চালকরাও। ভোর ৩টার দিকে লাগা এই জটলা সকাল পর্যন্ত কুমিল্লার মহাসড়কের কুটুম্বপুর থেকে গোমতা হয়ে ইলিয়টগঞ্জ বাজার পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ বিষয়টি জানতে পেরে সকালে এসে চালকদের জাগাতে শুরু করে। ইলিয়টগঞ্জ থেকে জাগাতে জাগাতে কুটুম্বপুর পর্যন্ত জাগাতে হয়। ওই সময় হাইওয়ে পুলিশের ইলিয়টগঞ্জ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান কৌশিক মোবাইল ফোনে এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
এরপর মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঘন কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে যাত্রীবাহী বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাসসহ ৮ পরিবহন। কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার জিংগলাতলী থেকে আমিরাবাদ স্টেশন পর্যন্ত তিন কিলোমিটারের মধ্যে এক ঘণ্টায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে। ঘন কুয়াশার কারণে একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে ছিটকে পড়ে। আরেকটি যাত্রীবাহী বাস ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে মাইক্রোবাসের সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায়। এছাড়াও নিয়ন্ত্রন হারিয়ে অনেক পরিবহন এসে পড়ে দুর্ঘটনাকবলিত বা দাঁড়িয়ে থাকা আরেকটি পরিবহনের ওপর। এভাবে পরপর দুর্ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তবে কেউ নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল আফসার এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
এছাড়াও গত ১৪ ফেব্রুয়ারি স্বামীসহ কুমিল্লায় শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে আসেন এখন টেলিভিশনের রাজশাহী ব্যুরোর রিপোর্টার মাসুমা ইসলাম। এসময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নুরজাহান হোটেলের উল্টো দিকে বাস থেকে নেমে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ঠিক করার সময় দ্রুতগামী একটি মাইক্রোবাস তাদের ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে অটোরিকশাচালক, মাসুমা আক্তার ও তার স্বামী গুরুতর আহত হন। এঘটনার চারদিন পর মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) চিকিৎসাধীন মাসুমা ইসলামের মৃত্যু হয়েছে। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এখন টিভির কুমিল্লা ব্যুরো প্রধান খালিদ সাইফুল্লাহ।
পুলিশ ও স্থানীয়দের ধারণা অতিরিক্ত কুয়াশার কারণে ও চালকের অসর্তকতায় এই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তবে কেউই বিষয়টি নিশ্চিতভাবে উল্লেখ করেনি। এঘটনায় জড়িত পরিবহনকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি করেছেন মাসুমার সহকর্মী ও পরিবার। পুলিশও বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখছেন বলে জানিয়েছে।
বিআরটিএ কুমিল্লার মোটরযান পরিদর্শক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, কুয়াশায় নিরাপদে গাড়ি চালানোর জন্য আমাদের অনেক নির্দেশিকা আছে। তারমধ্যে আছে, কুয়াশায় দৃষ্টিসীমার মধ্যে থামানো যায় এমন ধীর গতিতে সর্বদা নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে রাস্তায় গাড়ি চালাতে হবে। পার্কিং লাইট জ্বালিয়ে রাখতে হবে। লেন পরিবর্তন ওভারটেকিং করা যাবে না। কারণ, পেছনের গাড়ি ঘন কুয়াশায় আপনার গাড়িকে নাও দেখতে পারে। হাই-বিম কুয়াশাকে আরও বেশি ঘন করে বিধায় হাই-বিমে গাড়ি চালাবেন না। সর্বদা লো-বিমে গাড়ি চালাতে হবে।
কুয়াশায় দুর্ঘটনা এড়ানোর বিষয়ে হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি খাইরুল আলম বলেন, অতিরিক্ত কুয়াশা আসলে প্রাকৃতিক বিষয়। তবে সবার আগে আমাদের চালক ও যাত্রীদের সচেতনতাকে প্রাধান্য দেব আমি। যথাযথ লেন ও নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখা এবং সড়ক পরিবহন আইন মেনে গাড়ি চালানো, মহাসড়কে নিষিদ্ধ এবং ফিটনেস বিহীন গাড়ি না চালানো, অতিরিক্ত কুয়াশায় গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে অবশ্যই ধৈর্য্য রাখা, সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা এবং অতিরিক্ত গতি পরিহারের বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, এমন আবহাওয়ায় আসলে বিশেষ প্রয়োজন ব্যাতীত হাইওয়েতে মোটরসাইকেল না চালানোর জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করবো। এগুলো মেনে চললে আশাকরি দুর্ঘটনা কিছুটা এড়ানো সম্ভব।