নিজস্ব প্রতিবেদক
কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের আড়াইওরা সার্বজনীন কালী বাড়ি ও মহাশ্মশানে বাসন্তী পূজা উপলক্ষে শুক্র ও শনিবার (৪ ও ৫ এপ্রিল) দুই দিনব্যাপী শ্মশান ঘাট সংলগ্ন গোমতী নদীতে অষ্টমী স্নানোৎসব অনুষ্ঠিত হয়। পাপ থেকে মুক্তি ও পুণ্যলাভের আশায় গত শুক্রবার বিকেল হতে জেলার বিভিন্ন উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের ত্রিপুরা থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষ স্নানোৎসবে যোগ দিতে জড়ো হন। স্নানোৎসবে যোগ দেওয়া পুণ্যার্থীদের পদচারণার সাথে ঢাক, ঢোল আর কাঁসার বাড়িতে মুখরিত হয়ে ওঠে আড়াইওরা কালী বাড়ি ও শ্মশান ঘাট।
পাপ থেকে মুক্তি, পুণ্য লাভ ও মঙ্গল প্রার্থনা কামনায় মন্দিরে পূজা-অর্চনা শেষে গোমতী নদীতে স্নান করে ‘হে মহাভাগ ব্রহ্মপুত্র, হে লৌহিত্য, আমার পাপ হরণ করো’- এই মন্ত্র পাঠ করে ফুল, বেলপাতা, ধান-দুর্বা, হরিতকী, আমপাতা, কাঁচা আম, ডাব ও কলা ইত্যাদি পিতৃকুলের উদ্দেশ্য তর্পণ করেন। যেসব ভক্তরা পূর্ণতীর্থভূমি লাঙ্গলবন্দ যেতে পারেননি সেসব ভক্তরা গোমতী নদীতে স্নান করে পাপ মোচনের জন্য সমাগম হয়। ব্যাপক উচ্ছ্বাস প্রত্যক্ষ করা যায় ভক্তদের মধ্যে। কেউ কেউ মন্দির প্রাঙ্গণে মোমবাতি, ধূপ কঠি জ্বালিয়ে ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে মনস্কামনা পূরণ করার জন্য ভগবানের কাছে প্রার্থনা করেন। দূর-দূরান্ত হতে এসেছে বহু সাধু-সন্ন্যাসীরা।
স্নানোৎসবকে ঘিরে মন্দিরের দুপাশে মেলা বসে। মেলায় কারুপণ্য, মৃৎশিল্প ও বাহারি খাবারের দোকানসহ বিভিন্ন জিনিসের পসরা বসে। মেলায় সকল ধর্মের মানুষের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো।
কুমিল্লা আড়াইওরা সার্বজনীন কালী বাড়ি ও মহাশ্মশান ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অসিত কুমার পাল বলেন, গত শুক্রবার বিকেল থেকেই সনাতন ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষ স্নানোৎসবে যোগ দিতে জড়ো হন স্নান ঘাটে। ওই অনুষ্ঠানে প্রায় লক্ষাধিক সনাতন ধর্মাবলম্বী ভক্ত ও সাধু সন্ন্যাসীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে আড়াইওরা কালী বাড়ি ও শ্মশান ঘাট।
চান্দিনা ডুমুরিয়া থেকে আসা প্রদীপ কুমার মজুমদার বলেন, ‘স্নান উৎসবে যোগ দেয়ার ইচ্ছে বহুদিনের। কিন্তু সুযোগ হয়ে ওঠে না। এবার সুযোগ পেলাম, তাই পরিবার-পরিজন নিয়ে স্নান করতে এসেছি। এখানে স্নানের মাধ্যমে আমাদের ধর্মীয় আচার পালন করব। এর মাধ্যমে সৃষ্টিকর্তা আমাদের পাপ মোচন করে দেবেন বলে আমরা আশা করি।’
কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের আড়াইওরা সার্বজনীন কালী বাড়ি ও মহাশ্মশানে বাসন্তী পূজা উপলক্ষে শুক্র ও শনিবার (৪ ও ৫ এপ্রিল) দুই দিনব্যাপী শ্মশান ঘাট সংলগ্ন গোমতী নদীতে অষ্টমী স্নানোৎসব অনুষ্ঠিত হয়। পাপ থেকে মুক্তি ও পুণ্যলাভের আশায় গত শুক্রবার বিকেল হতে জেলার বিভিন্ন উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের ত্রিপুরা থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষ স্নানোৎসবে যোগ দিতে জড়ো হন। স্নানোৎসবে যোগ দেওয়া পুণ্যার্থীদের পদচারণার সাথে ঢাক, ঢোল আর কাঁসার বাড়িতে মুখরিত হয়ে ওঠে আড়াইওরা কালী বাড়ি ও শ্মশান ঘাট।
পাপ থেকে মুক্তি, পুণ্য লাভ ও মঙ্গল প্রার্থনা কামনায় মন্দিরে পূজা-অর্চনা শেষে গোমতী নদীতে স্নান করে ‘হে মহাভাগ ব্রহ্মপুত্র, হে লৌহিত্য, আমার পাপ হরণ করো’- এই মন্ত্র পাঠ করে ফুল, বেলপাতা, ধান-দুর্বা, হরিতকী, আমপাতা, কাঁচা আম, ডাব ও কলা ইত্যাদি পিতৃকুলের উদ্দেশ্য তর্পণ করেন। যেসব ভক্তরা পূর্ণতীর্থভূমি লাঙ্গলবন্দ যেতে পারেননি সেসব ভক্তরা গোমতী নদীতে স্নান করে পাপ মোচনের জন্য সমাগম হয়। ব্যাপক উচ্ছ্বাস প্রত্যক্ষ করা যায় ভক্তদের মধ্যে। কেউ কেউ মন্দির প্রাঙ্গণে মোমবাতি, ধূপ কঠি জ্বালিয়ে ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে মনস্কামনা পূরণ করার জন্য ভগবানের কাছে প্রার্থনা করেন। দূর-দূরান্ত হতে এসেছে বহু সাধু-সন্ন্যাসীরা।
স্নানোৎসবকে ঘিরে মন্দিরের দুপাশে মেলা বসে। মেলায় কারুপণ্য, মৃৎশিল্প ও বাহারি খাবারের দোকানসহ বিভিন্ন জিনিসের পসরা বসে। মেলায় সকল ধর্মের মানুষের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো।
কুমিল্লা আড়াইওরা সার্বজনীন কালী বাড়ি ও মহাশ্মশান ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অসিত কুমার পাল বলেন, গত শুক্রবার বিকেল থেকেই সনাতন ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষ স্নানোৎসবে যোগ দিতে জড়ো হন স্নান ঘাটে। ওই অনুষ্ঠানে প্রায় লক্ষাধিক সনাতন ধর্মাবলম্বী ভক্ত ও সাধু সন্ন্যাসীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে আড়াইওরা কালী বাড়ি ও শ্মশান ঘাট।
চান্দিনা ডুমুরিয়া থেকে আসা প্রদীপ কুমার মজুমদার বলেন, ‘স্নান উৎসবে যোগ দেয়ার ইচ্ছে বহুদিনের। কিন্তু সুযোগ হয়ে ওঠে না। এবার সুযোগ পেলাম, তাই পরিবার-পরিজন নিয়ে স্নান করতে এসেছি। এখানে স্নানের মাধ্যমে আমাদের ধর্মীয় আচার পালন করব। এর মাধ্যমে সৃষ্টিকর্তা আমাদের পাপ মোচন করে দেবেন বলে আমরা আশা করি।’