নিজস্ব প্রতিবেদক
বড় ছেলে কে হারিয়েছি বহু বছর আগে। ছোট ছেলে গত হয়েছে পাঁচ বছর আগে। শাহাদাত আলী খান সাবাতই আমার ছোট ছেলে। তথ্য প্রযুক্তিতে ভাল ছিল। পরিবারের সব কাজে আমাকে সহযোগিতা করতো। কি সুন্দর তরতাজা ছেলেটিকে হত্যা করে লাশ গোমতী নদীতে ফেলে দিল দুর্বৃত্তরা। এখন পর্যন্ত আসামি শনাক্ত হয়নি। মামলার অগ্রগতি নেই। বারবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বদল হয় কিন্তু কোন ফল আসে না। এখনও ছেলের জন্য আমি কাঁদি। জানি না, এই কান্না কবে থামবে? পুলিশ চাইলেই আসামি শনাক্ত করে, অভিযোগপত্র দিতে পারে। কুমিল্লা নগরের বিষ্ণুপুর পানির ট্যাংকি এলাকার বাসিন্দা সাবাতের মা কুমিল্লা মহিলা মহাবিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রাফিয়া আক্তার (ডেইজি) এসব কথা বলেন।
২০২০ সালের ১ জানুয়ারি সকালে কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত গোমতী নদীর পালপাড়া সেতু এলাকা থেকে ৩০ বছর বয়সী সাবাতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
মামলার বর্তমান তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) কুমিল্লার পরিদর্শক আবু জাফর আমার শহর পত্রিকাকে বলেন,‘এই মামলার কোন অগ্রগতি নেই। আমি গত মাসে মামলার তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছি। মামলার আগের আয়ুদের সঙ্গে কথা বলেছি। এখন পর্যন্ত মামলার কিনারা করতে পারিনি। আসামি শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
মা রাফিয়া আক্তার বলেন, ২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর রাত ১২ টার পর থেকে শাহাদাত আলী খান সাবাতকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না পরিবারের সদস্যরা। এরপর ওই বছরের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সাবাতের বাবা লিয়াকত আলী খান কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি সকালে কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া গোমতী নদীর পালপাড়া সেতুর নিচ থেকে আমার ছোট ছেলে শাহাদাত আলী খান সাবাতের (৩০) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ২০২০ সালের ২ জানুয়ারি চিকিৎসক লিয়াকত আলী খান এই ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের এক সপ্তাহের মধ্যে ২০২০ সালের ১২ জানুয়ারি তদন্ত পিবিআইকে দেওয়া হয়। পিবিআই ২০২০ সালের ২৬ আগস্ট রাত ১০ টা ৪৫ মিনিটে কুমিল্লা নগরের ফৌজদারি এলাকা থেকে চান্দিনা উপজেলার মহারং এলাকার আবদুস সামাদের ছেলে মো. মাজহারুল ইসলাম লিটন কে গ্রেপ্তার করে। এরপর পুলিশ তাঁকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতের মাধ্যমে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগাওে প্রেরণ করা হয়। এরপর তিন মাস কারাগারে থেকে মাজহারুল জামিনে বের হন। এর বাইরে আমরা মামলার কোন অগ্রগতি দেখছি না। বর্তমানে ওই মামলার তদন্ত চলছে। পিবিআই কুমিল্লার পরিদর্শক মতিউর রহমান এই মামলার তদন্ত করেছিলেন। তিনি বদলি হয়ে গেছেন। পরে মামলা সিআইডিতে যায়। এখন সেখানেই আছে মামলাটি। কিন্তু তদন্তের গতি মন্থর।
এদিকে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে তাঁকে গলাটিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় বলে জানানো হয়। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করলেও এখন পর্যন্ত এ মামলার আসামি শনাক্ত হয়নি। মামলায় এক ব্যক্তি ছাড়া কোন আসামি গ্রেপ্তার হয়নি । মামলার অভিযোগপত্রও দেওয়া হয়নি। মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এরপর সিআইডিতে আছে ।
সাবাতের বাবা চিকিৎসক মো. লিয়াকত আলী খান বলেন, ' এখনো মামলার কোন আসামিকে চিহ্নিত করা হয়নি।
শাহাদাতের একমাত্র বোন ও কুমিল্লার ময়নামতি ময়নামতি মেডিকেল কলেজের ফিজিওলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক চিকিৎসক শারমিন খান বলেন, 'আমার জন্মের আগে পরে দুইটি ভাইয়ের জন্ম। একজনও দুনিয়াতে নেই। এখনও সাবাত কে স্মরণ করি। ঈদে কত আনন্দ করতাম আমরা। সাবাতের বিচারটা পাব না আমরা?'
আগে মামলাটি তদন্ত করতো পিবিআই কুমিল্লার পরিদর্শক মতিউর রহমান । বর্তমানে তিনি ঢাকায় কর্মরত। মতিউর রহমান বলেন, ‘আমি আসার সময় মামলাটি রেখে আসি। এই মামলার কোন ধরণের ক্লু বের করতে পারিনি। আমাদের উদ্যোগ ছিল। কিন্তু আসামি শনাক্ত করতে পারিনি।
বড় ছেলে কে হারিয়েছি বহু বছর আগে। ছোট ছেলে গত হয়েছে পাঁচ বছর আগে। শাহাদাত আলী খান সাবাতই আমার ছোট ছেলে। তথ্য প্রযুক্তিতে ভাল ছিল। পরিবারের সব কাজে আমাকে সহযোগিতা করতো। কি সুন্দর তরতাজা ছেলেটিকে হত্যা করে লাশ গোমতী নদীতে ফেলে দিল দুর্বৃত্তরা। এখন পর্যন্ত আসামি শনাক্ত হয়নি। মামলার অগ্রগতি নেই। বারবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বদল হয় কিন্তু কোন ফল আসে না। এখনও ছেলের জন্য আমি কাঁদি। জানি না, এই কান্না কবে থামবে? পুলিশ চাইলেই আসামি শনাক্ত করে, অভিযোগপত্র দিতে পারে। কুমিল্লা নগরের বিষ্ণুপুর পানির ট্যাংকি এলাকার বাসিন্দা সাবাতের মা কুমিল্লা মহিলা মহাবিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রাফিয়া আক্তার (ডেইজি) এসব কথা বলেন।
২০২০ সালের ১ জানুয়ারি সকালে কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত গোমতী নদীর পালপাড়া সেতু এলাকা থেকে ৩০ বছর বয়সী সাবাতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
মামলার বর্তমান তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) কুমিল্লার পরিদর্শক আবু জাফর আমার শহর পত্রিকাকে বলেন,‘এই মামলার কোন অগ্রগতি নেই। আমি গত মাসে মামলার তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছি। মামলার আগের আয়ুদের সঙ্গে কথা বলেছি। এখন পর্যন্ত মামলার কিনারা করতে পারিনি। আসামি শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
মা রাফিয়া আক্তার বলেন, ২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর রাত ১২ টার পর থেকে শাহাদাত আলী খান সাবাতকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না পরিবারের সদস্যরা। এরপর ওই বছরের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সাবাতের বাবা লিয়াকত আলী খান কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি সকালে কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া গোমতী নদীর পালপাড়া সেতুর নিচ থেকে আমার ছোট ছেলে শাহাদাত আলী খান সাবাতের (৩০) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ২০২০ সালের ২ জানুয়ারি চিকিৎসক লিয়াকত আলী খান এই ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের এক সপ্তাহের মধ্যে ২০২০ সালের ১২ জানুয়ারি তদন্ত পিবিআইকে দেওয়া হয়। পিবিআই ২০২০ সালের ২৬ আগস্ট রাত ১০ টা ৪৫ মিনিটে কুমিল্লা নগরের ফৌজদারি এলাকা থেকে চান্দিনা উপজেলার মহারং এলাকার আবদুস সামাদের ছেলে মো. মাজহারুল ইসলাম লিটন কে গ্রেপ্তার করে। এরপর পুলিশ তাঁকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতের মাধ্যমে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগাওে প্রেরণ করা হয়। এরপর তিন মাস কারাগারে থেকে মাজহারুল জামিনে বের হন। এর বাইরে আমরা মামলার কোন অগ্রগতি দেখছি না। বর্তমানে ওই মামলার তদন্ত চলছে। পিবিআই কুমিল্লার পরিদর্শক মতিউর রহমান এই মামলার তদন্ত করেছিলেন। তিনি বদলি হয়ে গেছেন। পরে মামলা সিআইডিতে যায়। এখন সেখানেই আছে মামলাটি। কিন্তু তদন্তের গতি মন্থর।
এদিকে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে তাঁকে গলাটিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় বলে জানানো হয়। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করলেও এখন পর্যন্ত এ মামলার আসামি শনাক্ত হয়নি। মামলায় এক ব্যক্তি ছাড়া কোন আসামি গ্রেপ্তার হয়নি । মামলার অভিযোগপত্রও দেওয়া হয়নি। মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এরপর সিআইডিতে আছে ।
সাবাতের বাবা চিকিৎসক মো. লিয়াকত আলী খান বলেন, ' এখনো মামলার কোন আসামিকে চিহ্নিত করা হয়নি।
শাহাদাতের একমাত্র বোন ও কুমিল্লার ময়নামতি ময়নামতি মেডিকেল কলেজের ফিজিওলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক চিকিৎসক শারমিন খান বলেন, 'আমার জন্মের আগে পরে দুইটি ভাইয়ের জন্ম। একজনও দুনিয়াতে নেই। এখনও সাবাত কে স্মরণ করি। ঈদে কত আনন্দ করতাম আমরা। সাবাতের বিচারটা পাব না আমরা?'
আগে মামলাটি তদন্ত করতো পিবিআই কুমিল্লার পরিদর্শক মতিউর রহমান । বর্তমানে তিনি ঢাকায় কর্মরত। মতিউর রহমান বলেন, ‘আমি আসার সময় মামলাটি রেখে আসি। এই মামলার কোন ধরণের ক্লু বের করতে পারিনি। আমাদের উদ্যোগ ছিল। কিন্তু আসামি শনাক্ত করতে পারিনি।