নিজস্ব প্রতিবেদক
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এমআরআই ও সিটিস্ক্যান মেশিন বিকল হয়ে আছে। এতে করে কুমিল্লা অঞ্চলের বৃহৎ এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে রোগীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। একই সঙ্গে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে বাইরের ব্যক্তি মালিকানাধীন হাসপাতাল থেকে রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষা করতে হচ্ছে।
হাসপাতালের কর্মচারীদের অভিযোগ, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার পর বেশির ভাগ সময় এমআরআই মেশিন বিকল থাকতো। সিটিস্ক্যান মেশিনও নষ্ট হলে দাপ্তরিক চিঠি চালাচালির বিলম্ব ও টাকা অভাবে ঠিক করতে সময়ক্ষেপণ করতে হয়।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট মো. আল মামুন বলেন, গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে এমআরআই মেশিনটি নষ্ট হয়ে যায়। এমআরআই মেশিনটি হাসপাতালের নিচতলায় অবস্থিত। মেশিনের সিলিং নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এটি কার্যকারিতা হারিয়েছে। মেশিনের কপার সিলিং হাইম্যাগনেট। এটি আনতে কয়েকবার চিঠি চালাচালি করা হয়। এটি মেরামত করতে ভারত থেকে লোক আসবে। এমআরআই মেশিনটি চালু থাকলে ধনী গরিব সব ধরনের মানুষ এই হাসপাতালে তিন হাজার টাকায় সেবা পেতো। বাইরের হাসপাতাল থেকে এমআরআই করাতে সর্বনিম্ন ছয় হাজার টাকা দিয়ে পরীক্ষা করতে হয়। এমআরআই মেশিন খুবই স্পর্শকাতর বিষয়। এটি বন্ধ করা যায় না।
হাসপাতালের মূল ভবনের নিচতলায় কথা হয় সদর দক্ষিণ উপজেলার লালবাগ এলাকার বাসিন্দা রেশমা আক্তার বলেন, এক আত্মীয়কে নিয়ে আসছি। এখন দেখি এমআরআই মেশিন নষ্ট। শুনেছি এই মেশিন প্রায়ই নষ্ট থাকবে।
এদিকে গত ২ মার্চ হাসপাতালের একমাত্র সিটিস্ক্যান মেশিন অকেজো হয়ে পড়ে। মেশিনটি চালু থাকলে সরকারি এই হাসপাতাল থেকে মাথার সিটিস্ক্যান ২ হাজার ও পেটের সিটিস্ক্যান ৪ হাজার টাকায় করা যেতো। মেশিন অচল থাকায় বেসরকারি হাসপাতালে মাথার সিটিস্ক্যান করতে ৪ হাজার টাকা ও পেটের সিটিস্ক্যান করতে ১০- ১২ হাজার টাকা লাগে।
বরুড়া উপজেলার পূর্ব নলুয়া গ্রামের আবু তাহের বলেন, সিটিস্ক্যান করাতে এসে শুনি এখানে রোগীর পরীক্ষা হবে না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালের অন্তত পাঁচজন কর্মচারী বলেন, আগে আওয়ামী লীগের পেশাজীবী সংগঠন স্বাচিপের কতিপয় নেতা এই হাসপাতালের বেশিরভাগ যন্ত্রপাতি মেরামতে সহযোগিতা করতেন না। তাঁদের সঙ্গে প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও রোগ নির্ণয় কেন্দ্রের যোগাযোগ ছিল। এখনও একই ধাঁচে চলছে। এই অবস্থা চলতে দেওয়া যায় না।
জানতে চাইলে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক চিকিৎসক মো. মাসুদ পারভেজ বলেন, ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে এমআরআই মেশিনটি ঠিক করা হচ্ছে। আগামী ১৮ এপ্রিলের মধ্যে মেশিনটি ঠিক হবে। ভারত থেকে লোক এনে এটি ঠিক করা হবে।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এমআরআই ও সিটিস্ক্যান মেশিন বিকল হয়ে আছে। এতে করে কুমিল্লা অঞ্চলের বৃহৎ এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে রোগীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। একই সঙ্গে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে বাইরের ব্যক্তি মালিকানাধীন হাসপাতাল থেকে রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষা করতে হচ্ছে।
হাসপাতালের কর্মচারীদের অভিযোগ, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার পর বেশির ভাগ সময় এমআরআই মেশিন বিকল থাকতো। সিটিস্ক্যান মেশিনও নষ্ট হলে দাপ্তরিক চিঠি চালাচালির বিলম্ব ও টাকা অভাবে ঠিক করতে সময়ক্ষেপণ করতে হয়।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট মো. আল মামুন বলেন, গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে এমআরআই মেশিনটি নষ্ট হয়ে যায়। এমআরআই মেশিনটি হাসপাতালের নিচতলায় অবস্থিত। মেশিনের সিলিং নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এটি কার্যকারিতা হারিয়েছে। মেশিনের কপার সিলিং হাইম্যাগনেট। এটি আনতে কয়েকবার চিঠি চালাচালি করা হয়। এটি মেরামত করতে ভারত থেকে লোক আসবে। এমআরআই মেশিনটি চালু থাকলে ধনী গরিব সব ধরনের মানুষ এই হাসপাতালে তিন হাজার টাকায় সেবা পেতো। বাইরের হাসপাতাল থেকে এমআরআই করাতে সর্বনিম্ন ছয় হাজার টাকা দিয়ে পরীক্ষা করতে হয়। এমআরআই মেশিন খুবই স্পর্শকাতর বিষয়। এটি বন্ধ করা যায় না।
হাসপাতালের মূল ভবনের নিচতলায় কথা হয় সদর দক্ষিণ উপজেলার লালবাগ এলাকার বাসিন্দা রেশমা আক্তার বলেন, এক আত্মীয়কে নিয়ে আসছি। এখন দেখি এমআরআই মেশিন নষ্ট। শুনেছি এই মেশিন প্রায়ই নষ্ট থাকবে।
এদিকে গত ২ মার্চ হাসপাতালের একমাত্র সিটিস্ক্যান মেশিন অকেজো হয়ে পড়ে। মেশিনটি চালু থাকলে সরকারি এই হাসপাতাল থেকে মাথার সিটিস্ক্যান ২ হাজার ও পেটের সিটিস্ক্যান ৪ হাজার টাকায় করা যেতো। মেশিন অচল থাকায় বেসরকারি হাসপাতালে মাথার সিটিস্ক্যান করতে ৪ হাজার টাকা ও পেটের সিটিস্ক্যান করতে ১০- ১২ হাজার টাকা লাগে।
বরুড়া উপজেলার পূর্ব নলুয়া গ্রামের আবু তাহের বলেন, সিটিস্ক্যান করাতে এসে শুনি এখানে রোগীর পরীক্ষা হবে না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালের অন্তত পাঁচজন কর্মচারী বলেন, আগে আওয়ামী লীগের পেশাজীবী সংগঠন স্বাচিপের কতিপয় নেতা এই হাসপাতালের বেশিরভাগ যন্ত্রপাতি মেরামতে সহযোগিতা করতেন না। তাঁদের সঙ্গে প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও রোগ নির্ণয় কেন্দ্রের যোগাযোগ ছিল। এখনও একই ধাঁচে চলছে। এই অবস্থা চলতে দেওয়া যায় না।
জানতে চাইলে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক চিকিৎসক মো. মাসুদ পারভেজ বলেন, ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে এমআরআই মেশিনটি ঠিক করা হচ্ছে। আগামী ১৮ এপ্রিলের মধ্যে মেশিনটি ঠিক হবে। ভারত থেকে লোক এনে এটি ঠিক করা হবে।