বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে পহেলা বৈশাখ সকাল আটটায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের উচ্চমাধ্যমিক ( রানীরদিঘিরপাড়) শাখা থেকে বৈশাখী শোভাযাত্রা বের হবে। শোভাযাত্রাটি নগরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গনে গিয়ে শেষ হবে। এরপর শিল্পকলার মঞ্চে নানা ধরনের অনুষ্ঠান হবে। এছাড়া বর্ষবরণ ও বর্ষবিদায় উপলক্ষে কুমিল্লা টাউন হল মাঠে চৈত্রের শেষদিন ও পহেলা বৈশাখ দুই দিনব্যাপী মেলা হবে। উন্মুক্ত অবস্থায় এই মেলা হবে, তবে তা সিসিটিভির আওতায় থাকবে। মেলায় কোন ধরনের উত্ত্যক্ততা বরদাশত করা হবে না। রাজগঞ্জ বাজারে শতবর্ষের ঐতিহ্যবাহী কাতল মাছের মেলাও হবে দুইদিন।

জাতীয়ভাবে চৈত্রসংক্রান্তি ও বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষে গতকাল সোমবার বেলা ১১ টায় কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক প্রস্তুতিসভায় ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার।

সভায় জেলা প্রশাসক বলেন,‘ বিতর্কিত কোন ব্যক্তিকে মেলায় রাখা হবে না। জেলা প্রশাসন কোন বিতর্কিত ব্যক্তিকে পৃষ্ঠপোষকতা করবে না।’

সভায় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পংকজ বড়ুয়া, কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার ( মুরাদনগর সার্কেল) মো. কামরুজ্জামান, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক শান্তিরঞ্জন ভৌমিক, আবুল হাসানাত বাবুল, বদরুল হুদা জেনু, দিলনাশি মোহসেন, বশীর উল আনোয়ার, শহীদুল হক স্বপন, আবুল কাশেম হৃদয়, আবুল কাশেম, জাহাঙ্গীর আলম ইমরুল ও কুমিল্লার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।