আবদুল্লাহ আল মারুফ
মিছিলের মতো জনস্রোত। কেউ ঢুকছেন, কেউ বের হচ্ছেন। হাতে সবারই ছোট বড় শপিং ব্যাগ। মার্কেটের সামনে আছে পুলিশ। যেন পা ফেলার জায়গা নেই। গতকাল বুধবার দুপুরে ২টা ১০ মিনিটে কুমিল্লার খন্দকার হক টাওয়ারের ফটকের এমন দৃশ্য। রমজানের ১০ দিন পর থেকেই নিয়মিত এমন দৃশ্য দেখা যায় মার্কেটটিতে।
পা ফেলার জায়গা নেই
কুমিল্লার এই মার্কেটে বেলা ২টা ১০ মিনিট থেকে ৩টা ১০ মিনিট এক ঘণ্টা ঘুরে দেখা গেছে ঈদের আমেজ। মার্কেটের নিচতলায় আছে নারীদের পোশাকের সমারোহ। সেখানে পুরুষদের পোশাক নেই। তাই প্রত্যেক দোকানে ও দোকানের বাইরে নারীদের ভিড় দেখা গেছে। তবে নারীদের সাথে শিশুদের পোশাক কেনার ভিড় চোখে পড়ে।
দোকানিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এবারের ঈদ বাজার অন্যসব বছর থেকে ভিন্ন। এবারের ঈদ বাজারে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে থ্রি-পিস ও লেহেঙ্গা। এরমাঝে পাকিস্তানি, ভারতীয় থ্রি-পিসের চাহিদা সবচেয়ে বেশি।
খন্দকার হক টাওয়ার ঢুকলেই ফটকের ডান পাশে লুবনা ফেব্রিক্স নামের একটি কাপড়ের দোকান। পাঁচজন কর্মচারীর সবাই ব্যস্ত ক্রেতাদের সাথে কথা বলায়। এর বাইরেও দেখা গেছে নারীদের উপচেপড়া ভিড়।
ভিড়ের মাঝে কথা বলতে অসম্মতি জানালেও পরে স্বত্বাধিকারী আলমগীর হোসেন বলেন, এবারের বাজারে নারীদের পোশাকের চাহিদা অন্যবারের তুলনায় বেশি। দামের প্রশ্নে আসলে তিনি জানান, দাম তুলনামূলক কম। কারণ এবার আমাদের পোশাক পর্যাপ্ত পরিমাণ আছে এবং ক্রেতার চাহিদাও আছে।
এক পা, দুপা করে স্রোতের মাঝে হেঁটে গিয়ে লুৎপা ফ্যাশন নামের একটি দোকানে গিয়ে দেখা যায় ভিড়। সেখানকার কর্মচারীরা জানান, সকাল থেকে বিকিকিনি শুরু হয়। দুপুরে ক্রেতার স্রোত সামলাতে হয়। এরপর ইফতারের পর থেকে আবার শুরু হয় বিকিকিনি। তা চলে রাত দুইটা থেকে তিনটা পর্যন্ত।
শাড়ির বাজার মন্দা
সব দিকে ভিড় থাকলেও মন ভালো নেই শাড়ির দোকনদারদের। অনেকে বসে মোবাইলে রিলস দেখছেন। অনেকে অন্য দোকানের কর্মচারীদের সাথে খোশ গল্পে মেতে উঠেছেন। তবে কেউই যে ঈদের আনন্দের ছোঁয়া পাচ্ছেন না।
নিচ তলার স্বর্ণালী আধুনিক বস্ত্র বিতানের মালিক আলী হোসেন মোবাইলে রিল্স দেখছেন। পাশে বসা কর্মচারী সাঈদ আফ্রিদি বাঁধন অন্য দোকানের কর্মচারীদের সাথে খোশ গল্প করছেন। আলী হোসেন বলেন, ২০০৯ সাল থেকে শাড়ি বিক্রি করছি। কিন্তু এত খারাপ অবস্থা হবে তা জানি না। বাংলাদেশি নারীরা এখন শাড়ি পরেন না উল্লেখ করে তিনি বলেন, এত টাকার শাড়ি আমি কি করব? ঈদ সিজন যাচ্ছে। কিন্তু তেমন বেচা বিক্রি নেই। অথচ পাশের সকল থ্রি-পিসের দোকানে ভিড়। এসময় তিনি শাড়ির ব্যবসা ছেড়ে দেয়ার কথাও জানান।
শাড়ির বাজারে মন্দার কথা জানালেন শীতল অভিজাত বস্ত্র বিতানের মালিক ইউনুস পাঠান। তিনি বলেন, আমরা শাড়ির দোকানদার পরিচয় দিতে পারি না। আগে ভালো আয় ছিল, এখন নেই। কারণ, মুসলমান নারীরা শাড়ি কম পরে। এটা ধর্মীয়ভাবে অনেকে পর্দার সাথে সাংঘর্ষিক মনে করে।
এভাবে বাঙালির ঐতিহ্য হারিয়ে যাচ্ছে কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এটা আমাদের ঐতিহ্য। এটা সত্য। কিন্তু কি করার আছে। আসলেই মুসলমানরা নারীরা এখন বেশি সচেতন হয়ে গেছে।
রেডিমেড পোশাকের ভিন্ন ক্রেতা
খন্দকার হক টাওয়ারের ২য় তলায় তৈরি পোশাক বিক্রি হয়। সেখানে আছে নারীদের চেয়ে তুলনামূলক বেশি পুরুষদের পোশাকের দোকান। সেখানকার সকল দোকানেই কমবেশি ক্রেতা আছে। বেশি ভিড় দেখা গেছে মাঝের গলির শেষ মাথায়। সেখানে বিক্রি হচ্ছে শিশু ও পুরুষদের পোশাক।
পোশাক কিনতে আসা ঠাকুরপাড়া এলাকার বাসিন্দা কলেজ শিক্ষক আবদুর রব বলেন, ইফতারের আগে বাসায় ফিরব এই চিন্তা মাথায় নিয়ে পরিবার নিয়ে এসেছি। কিন্তু এখনও কূলকিনারা পাচ্ছি না। স্ত্রী ও বোনদের জন্য কিনেছি। বাচ্চাদের জন্য নিতে ২য তলায় আসলাম। যেই পরিমাণ ভিড় তাতে মনে হচ্ছে না ইফতারের আগে বাসায় যেতে পারব।
জুতার দোকানে দামাদামি বেশি
কুমিল্লার খন্দকার হক টাওয়ারের ঈদ ব্যস্ততা তৃতীয় তলা পর্যন্ত। নিচতলায় নারীদের পোশাক। দ্বিতীয় তলায় আছে তৈরি পোশাক ও তৃতীয় তলায় আছে জুতা ও নারীদের প্রসাধনীর দোকান। ব্যবস্ততার কোন অংশেই কম নেই খন্দকারের তৃতীয় তলায়। এই তলায় আসতেই লিফটে ওঠার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। লম্বা লাইন পেরিয়ে ঢুকতে হবে দোকানগুলোতে। প্রত্যেক দোকানে ভিড় থাকলেও বেশি ভিড় দেখা গেছে লিফটের পাশের মল্লিকা সুজ নামে একটি দোকানে। দোকানের কর্মচারীর সংখ্যা চারজন। মালিক ও সহযোগীসহ আরও আছেন দুজন। সবাইকেই ব্যস্ত অবস্থায় দেখা গেছে। তখন সময় প্রায় তিনটার কাছাকাছি।
দোকানের মালিক রফিকুল ইসলাম বলেন, দোকানে দিনরাত দম ফেলার সময় পাই না। সবাই মিলে কাজ করেও সামলাতে পারি না। এসময় তিনি বলেন, ক্রেতা বেশি হলেও বিক্রি ৬০-৭০ শতাংশ। বেশির ভাগ ক্রেতা জুতা দামাদামি করেন। কারণ বেশির ভাগ ক্রেতাই সব শপিং শেষ করে এসে জুতা কেনেন।
দেবীদ্বারের ইউসুপপুর থেকে আসা সাবেক পুলিশ সদস্য আমির হোসেন বলেন, জুতা না কিনতে পারলে আমরা লোকাল বাজার থেকে নিয়ে নিতে পারব। সেই চিন্তা করে দামাদামি করছি। কিন্তু নাতিনাতনিদের জন্য কিনে নিয়েছি।
পাশে থাকা কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার আমড়াতলি এলাকার আলী আকবর বলেন, প্রবাসে ছিলাম। এবার ঈদ করব দেশে। যার যা প্রয়োজন তাই দেবার চেষ্টা করছি। তবে জুতার দোকানে ভিড় একটু বেশি।
প্রসাধনীর দোকানে বেড়েছে ক্রেতা
নারীদের প্রসাধনীর দোকানে বেড়েছে ক্রেতা। কারণ ঈদ যে সামনে। আমরাও সহযোগী বাড়িয়েছি। কোন দোকানে তিনজন কোথাও চারজন। এসব কথা বলছিলেন কুমিল্লার খন্দকার হক টাওয়ারের পঞ্চরেখা প্রসাধনীর মালিক নাফিস রহমান।
তিনি বলেন, এবারের আমাদের কালেকশনে আছে ভারতীয় ও চায়না বিভিন্ন ভালো কালেকশন। বিশেষ করে বাচ্চাদের জন্য আমাদের উন্নতমানের কালেকশন রয়েছে।
খন্দকারে সবসময় ভালো পণ্য বিক্রি হয় উল্লেখ করে এই বিক্রেতা বলেন, আমরা সব সময় ভালো জিনিস বিক্রি করছি। যে কারণে আমাদের এসব জিনিস বিক্রিও ভালো হয়। খারাপ পণ্য বিক্রি করলে বার বার ক্রেতারা আসত না।
কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খাঁন বলেন, আমরা ঈদের মানুষের নির্বিঘ্ন শপিং করার জন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছি। কোন অভিযোগ পেলেই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। পোশাকের পুলিশের পাশাপাশি আমাদের সাদা পোশাকেও গোয়েন্দা নজরদারি আছে।
মিছিলের মতো জনস্রোত। কেউ ঢুকছেন, কেউ বের হচ্ছেন। হাতে সবারই ছোট বড় শপিং ব্যাগ। মার্কেটের সামনে আছে পুলিশ। যেন পা ফেলার জায়গা নেই। গতকাল বুধবার দুপুরে ২টা ১০ মিনিটে কুমিল্লার খন্দকার হক টাওয়ারের ফটকের এমন দৃশ্য। রমজানের ১০ দিন পর থেকেই নিয়মিত এমন দৃশ্য দেখা যায় মার্কেটটিতে।
পা ফেলার জায়গা নেই
কুমিল্লার এই মার্কেটে বেলা ২টা ১০ মিনিট থেকে ৩টা ১০ মিনিট এক ঘণ্টা ঘুরে দেখা গেছে ঈদের আমেজ। মার্কেটের নিচতলায় আছে নারীদের পোশাকের সমারোহ। সেখানে পুরুষদের পোশাক নেই। তাই প্রত্যেক দোকানে ও দোকানের বাইরে নারীদের ভিড় দেখা গেছে। তবে নারীদের সাথে শিশুদের পোশাক কেনার ভিড় চোখে পড়ে।
দোকানিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এবারের ঈদ বাজার অন্যসব বছর থেকে ভিন্ন। এবারের ঈদ বাজারে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে থ্রি-পিস ও লেহেঙ্গা। এরমাঝে পাকিস্তানি, ভারতীয় থ্রি-পিসের চাহিদা সবচেয়ে বেশি।
খন্দকার হক টাওয়ার ঢুকলেই ফটকের ডান পাশে লুবনা ফেব্রিক্স নামের একটি কাপড়ের দোকান। পাঁচজন কর্মচারীর সবাই ব্যস্ত ক্রেতাদের সাথে কথা বলায়। এর বাইরেও দেখা গেছে নারীদের উপচেপড়া ভিড়।
ভিড়ের মাঝে কথা বলতে অসম্মতি জানালেও পরে স্বত্বাধিকারী আলমগীর হোসেন বলেন, এবারের বাজারে নারীদের পোশাকের চাহিদা অন্যবারের তুলনায় বেশি। দামের প্রশ্নে আসলে তিনি জানান, দাম তুলনামূলক কম। কারণ এবার আমাদের পোশাক পর্যাপ্ত পরিমাণ আছে এবং ক্রেতার চাহিদাও আছে।
এক পা, দুপা করে স্রোতের মাঝে হেঁটে গিয়ে লুৎপা ফ্যাশন নামের একটি দোকানে গিয়ে দেখা যায় ভিড়। সেখানকার কর্মচারীরা জানান, সকাল থেকে বিকিকিনি শুরু হয়। দুপুরে ক্রেতার স্রোত সামলাতে হয়। এরপর ইফতারের পর থেকে আবার শুরু হয় বিকিকিনি। তা চলে রাত দুইটা থেকে তিনটা পর্যন্ত।
শাড়ির বাজার মন্দা
সব দিকে ভিড় থাকলেও মন ভালো নেই শাড়ির দোকনদারদের। অনেকে বসে মোবাইলে রিলস দেখছেন। অনেকে অন্য দোকানের কর্মচারীদের সাথে খোশ গল্পে মেতে উঠেছেন। তবে কেউই যে ঈদের আনন্দের ছোঁয়া পাচ্ছেন না।
নিচ তলার স্বর্ণালী আধুনিক বস্ত্র বিতানের মালিক আলী হোসেন মোবাইলে রিল্স দেখছেন। পাশে বসা কর্মচারী সাঈদ আফ্রিদি বাঁধন অন্য দোকানের কর্মচারীদের সাথে খোশ গল্প করছেন। আলী হোসেন বলেন, ২০০৯ সাল থেকে শাড়ি বিক্রি করছি। কিন্তু এত খারাপ অবস্থা হবে তা জানি না। বাংলাদেশি নারীরা এখন শাড়ি পরেন না উল্লেখ করে তিনি বলেন, এত টাকার শাড়ি আমি কি করব? ঈদ সিজন যাচ্ছে। কিন্তু তেমন বেচা বিক্রি নেই। অথচ পাশের সকল থ্রি-পিসের দোকানে ভিড়। এসময় তিনি শাড়ির ব্যবসা ছেড়ে দেয়ার কথাও জানান।
শাড়ির বাজারে মন্দার কথা জানালেন শীতল অভিজাত বস্ত্র বিতানের মালিক ইউনুস পাঠান। তিনি বলেন, আমরা শাড়ির দোকানদার পরিচয় দিতে পারি না। আগে ভালো আয় ছিল, এখন নেই। কারণ, মুসলমান নারীরা শাড়ি কম পরে। এটা ধর্মীয়ভাবে অনেকে পর্দার সাথে সাংঘর্ষিক মনে করে।
এভাবে বাঙালির ঐতিহ্য হারিয়ে যাচ্ছে কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এটা আমাদের ঐতিহ্য। এটা সত্য। কিন্তু কি করার আছে। আসলেই মুসলমানরা নারীরা এখন বেশি সচেতন হয়ে গেছে।
রেডিমেড পোশাকের ভিন্ন ক্রেতা
খন্দকার হক টাওয়ারের ২য় তলায় তৈরি পোশাক বিক্রি হয়। সেখানে আছে নারীদের চেয়ে তুলনামূলক বেশি পুরুষদের পোশাকের দোকান। সেখানকার সকল দোকানেই কমবেশি ক্রেতা আছে। বেশি ভিড় দেখা গেছে মাঝের গলির শেষ মাথায়। সেখানে বিক্রি হচ্ছে শিশু ও পুরুষদের পোশাক।
পোশাক কিনতে আসা ঠাকুরপাড়া এলাকার বাসিন্দা কলেজ শিক্ষক আবদুর রব বলেন, ইফতারের আগে বাসায় ফিরব এই চিন্তা মাথায় নিয়ে পরিবার নিয়ে এসেছি। কিন্তু এখনও কূলকিনারা পাচ্ছি না। স্ত্রী ও বোনদের জন্য কিনেছি। বাচ্চাদের জন্য নিতে ২য তলায় আসলাম। যেই পরিমাণ ভিড় তাতে মনে হচ্ছে না ইফতারের আগে বাসায় যেতে পারব।
জুতার দোকানে দামাদামি বেশি
কুমিল্লার খন্দকার হক টাওয়ারের ঈদ ব্যস্ততা তৃতীয় তলা পর্যন্ত। নিচতলায় নারীদের পোশাক। দ্বিতীয় তলায় আছে তৈরি পোশাক ও তৃতীয় তলায় আছে জুতা ও নারীদের প্রসাধনীর দোকান। ব্যবস্ততার কোন অংশেই কম নেই খন্দকারের তৃতীয় তলায়। এই তলায় আসতেই লিফটে ওঠার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। লম্বা লাইন পেরিয়ে ঢুকতে হবে দোকানগুলোতে। প্রত্যেক দোকানে ভিড় থাকলেও বেশি ভিড় দেখা গেছে লিফটের পাশের মল্লিকা সুজ নামে একটি দোকানে। দোকানের কর্মচারীর সংখ্যা চারজন। মালিক ও সহযোগীসহ আরও আছেন দুজন। সবাইকেই ব্যস্ত অবস্থায় দেখা গেছে। তখন সময় প্রায় তিনটার কাছাকাছি।
দোকানের মালিক রফিকুল ইসলাম বলেন, দোকানে দিনরাত দম ফেলার সময় পাই না। সবাই মিলে কাজ করেও সামলাতে পারি না। এসময় তিনি বলেন, ক্রেতা বেশি হলেও বিক্রি ৬০-৭০ শতাংশ। বেশির ভাগ ক্রেতা জুতা দামাদামি করেন। কারণ বেশির ভাগ ক্রেতাই সব শপিং শেষ করে এসে জুতা কেনেন।
দেবীদ্বারের ইউসুপপুর থেকে আসা সাবেক পুলিশ সদস্য আমির হোসেন বলেন, জুতা না কিনতে পারলে আমরা লোকাল বাজার থেকে নিয়ে নিতে পারব। সেই চিন্তা করে দামাদামি করছি। কিন্তু নাতিনাতনিদের জন্য কিনে নিয়েছি।
পাশে থাকা কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার আমড়াতলি এলাকার আলী আকবর বলেন, প্রবাসে ছিলাম। এবার ঈদ করব দেশে। যার যা প্রয়োজন তাই দেবার চেষ্টা করছি। তবে জুতার দোকানে ভিড় একটু বেশি।
প্রসাধনীর দোকানে বেড়েছে ক্রেতা
নারীদের প্রসাধনীর দোকানে বেড়েছে ক্রেতা। কারণ ঈদ যে সামনে। আমরাও সহযোগী বাড়িয়েছি। কোন দোকানে তিনজন কোথাও চারজন। এসব কথা বলছিলেন কুমিল্লার খন্দকার হক টাওয়ারের পঞ্চরেখা প্রসাধনীর মালিক নাফিস রহমান।
তিনি বলেন, এবারের আমাদের কালেকশনে আছে ভারতীয় ও চায়না বিভিন্ন ভালো কালেকশন। বিশেষ করে বাচ্চাদের জন্য আমাদের উন্নতমানের কালেকশন রয়েছে।
খন্দকারে সবসময় ভালো পণ্য বিক্রি হয় উল্লেখ করে এই বিক্রেতা বলেন, আমরা সব সময় ভালো জিনিস বিক্রি করছি। যে কারণে আমাদের এসব জিনিস বিক্রিও ভালো হয়। খারাপ পণ্য বিক্রি করলে বার বার ক্রেতারা আসত না।
কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খাঁন বলেন, আমরা ঈদের মানুষের নির্বিঘ্ন শপিং করার জন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছি। কোন অভিযোগ পেলেই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। পোশাকের পুলিশের পাশাপাশি আমাদের সাদা পোশাকেও গোয়েন্দা নজরদারি আছে।