নিজস্ব প্রতিবেদক
সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বিদায় নিতে হয়েছে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা যুগ্ম সচিব মো. ছামছুল আলমকে । গতকাল সোমবার অপরাহ্নে তিনি রিলিজ নেন। এর মধ্য দিয়ে ছামছুল আলম মুক্ত হল নগর ভবন। গত কয়েকদিন ছামছুল প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পদে থাকার জন্য একজন উপদেষ্টার আত্নীয়কে দিয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিলেন। আওয়ামী লীগের নেতা ও ঠিকাদারেরাও তাঁকে পদে রাখতে সর্বোচ্চ বিনিয়োগ করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তাঁর বিদায়ে নগর ভবনে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
ভবন সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ এপ্রিল কুমিল্লা সিটি কপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ছামছুল আলমকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মিঞা মুহাম্মদ আশরাফ রেজা ফরিদী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই আদেশ দেয়া হয়। বিজ্ঞপ্তিতে এই কর্মকর্তাকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে বদলিপূর্বক পদায়ন করা হয়। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে। তবে আদেশের ২১ দিন পর তিনি রিলিজ নেন।
নগর ভবনের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ২০১১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সচিব পদে যোগ দেন ছামছুল আলম। ২০১৫ সালের ৪ মে পর্যন্ত তিনি ওই পদে ছিলেন। ওই সময়ে তিনি প্রাইমারি হেলথ কেয়ার প্রকল্পের( ইউপিএইচসিপি-২) অতিরিক্ত দায়িত্বে ছিলেন। মেয়াদকালে এক ঠিকাদারের জামানতের ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা তিনি আত্নসাত করেন। তখন তাঁর বিরুদ্ধে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে নেওয়া কর্মীর সংখ্যা বেশি দেখিয়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরেরা তাঁর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন তৎকালীন বিএনপি দলীয় মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কুর কাছে। সাক্কু এ নিয়ে কোন পদক্ষেপ নেননি। পরে কাউন্সিলরেরা দুদকে অভিযোগ করে তাঁকে এখান থেকে সরান। এরপর তিনি বিভিন্ন স্থানে চাকরি করেন। ২০২৩ সালের ১৮ জুন পরিবেশ অধিদপ্তর চট্রগ্রামের পরিচালক মো. ছামছুল আলমকে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পদে পদায়ন করা হয়। এরপর তিনি ২০২৩ সালের ৬ জুলাই কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পদে যোগ দেন। গত ২০ এপ্রিল তাঁকে ওএসডি করা হয়। ওএসডি করা হলেও তিনি দায়িত্ব হস্তান্তর না করে স্বপদে থাকার জন্য সর্বোচ্চ তদবির করেছেন।
ছামছুল আলম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ২২তম ব্যাচের কর্মকর্তা। বর্তমানে তিনি সরকারের যুগ্মসচিব। ২০০৫ সালের ১৬ অক্টোবর ছামছুল আলম কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের দপ্তরে এনডিসি ছিলেন। এরপর প্রায় সাড়ে ১৬ বছর তিনি ঘুরেফিরে কুমিল্লায় ছিলেন। এই সময়ে কুমিল্লা নগরের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। এদের তিনি নানা ধরনের কাজে ব্যবহার করেন। প্রথমে তিনি সাবেক মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কুর অনুগত ছিলেন। পরে তিনি সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দীন ও তাহসীন বাহারের অনুসারি ছিলেন।
রিলিজ প্রসঙ্গে মো. ছামছুল আলম বলেন, আমি আজ (গতকাল সোমবার) বিকেলেই রিলিজ নেব। মন্ত্রণালয় থেকে আমাকে ছাড় দেওয়া হয়েছে।
রাতে নগর ভবনের এক উর্ধতন কর্মকর্তাও ছামছুল আলমের রিলিজ নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বিদায় নিতে হয়েছে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা যুগ্ম সচিব মো. ছামছুল আলমকে । গতকাল সোমবার অপরাহ্নে তিনি রিলিজ নেন। এর মধ্য দিয়ে ছামছুল আলম মুক্ত হল নগর ভবন। গত কয়েকদিন ছামছুল প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পদে থাকার জন্য একজন উপদেষ্টার আত্নীয়কে দিয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিলেন। আওয়ামী লীগের নেতা ও ঠিকাদারেরাও তাঁকে পদে রাখতে সর্বোচ্চ বিনিয়োগ করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তাঁর বিদায়ে নগর ভবনে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
ভবন সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ এপ্রিল কুমিল্লা সিটি কপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ছামছুল আলমকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মিঞা মুহাম্মদ আশরাফ রেজা ফরিদী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই আদেশ দেয়া হয়। বিজ্ঞপ্তিতে এই কর্মকর্তাকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে বদলিপূর্বক পদায়ন করা হয়। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে। তবে আদেশের ২১ দিন পর তিনি রিলিজ নেন।
নগর ভবনের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ২০১১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সচিব পদে যোগ দেন ছামছুল আলম। ২০১৫ সালের ৪ মে পর্যন্ত তিনি ওই পদে ছিলেন। ওই সময়ে তিনি প্রাইমারি হেলথ কেয়ার প্রকল্পের( ইউপিএইচসিপি-২) অতিরিক্ত দায়িত্বে ছিলেন। মেয়াদকালে এক ঠিকাদারের জামানতের ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা তিনি আত্নসাত করেন। তখন তাঁর বিরুদ্ধে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে নেওয়া কর্মীর সংখ্যা বেশি দেখিয়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরেরা তাঁর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন তৎকালীন বিএনপি দলীয় মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কুর কাছে। সাক্কু এ নিয়ে কোন পদক্ষেপ নেননি। পরে কাউন্সিলরেরা দুদকে অভিযোগ করে তাঁকে এখান থেকে সরান। এরপর তিনি বিভিন্ন স্থানে চাকরি করেন। ২০২৩ সালের ১৮ জুন পরিবেশ অধিদপ্তর চট্রগ্রামের পরিচালক মো. ছামছুল আলমকে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পদে পদায়ন করা হয়। এরপর তিনি ২০২৩ সালের ৬ জুলাই কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পদে যোগ দেন। গত ২০ এপ্রিল তাঁকে ওএসডি করা হয়। ওএসডি করা হলেও তিনি দায়িত্ব হস্তান্তর না করে স্বপদে থাকার জন্য সর্বোচ্চ তদবির করেছেন।
ছামছুল আলম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ২২তম ব্যাচের কর্মকর্তা। বর্তমানে তিনি সরকারের যুগ্মসচিব। ২০০৫ সালের ১৬ অক্টোবর ছামছুল আলম কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের দপ্তরে এনডিসি ছিলেন। এরপর প্রায় সাড়ে ১৬ বছর তিনি ঘুরেফিরে কুমিল্লায় ছিলেন। এই সময়ে কুমিল্লা নগরের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। এদের তিনি নানা ধরনের কাজে ব্যবহার করেন। প্রথমে তিনি সাবেক মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কুর অনুগত ছিলেন। পরে তিনি সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দীন ও তাহসীন বাহারের অনুসারি ছিলেন।
রিলিজ প্রসঙ্গে মো. ছামছুল আলম বলেন, আমি আজ (গতকাল সোমবার) বিকেলেই রিলিজ নেব। মন্ত্রণালয় থেকে আমাকে ছাড় দেওয়া হয়েছে।
রাতে নগর ভবনের এক উর্ধতন কর্মকর্তাও ছামছুল আলমের রিলিজ নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।