নিজস্ব প্রতিবেদক
এক একর ৭১ শতক পুকুর। শতবর্ষী এই পুকুর ভরাট হচ্ছিল। দিনে প্রশাসনের অভিযান। রাতে আবার ভরাট শুরু হয়। এভাবে চোর পুলিশের খেলায় অর্ধেকের বেশি অংশ ভরাট করে একটি চক্র। খবর পেয়ে তৎপর হন জেলা প্রশাসক। ফোন দিয়ে জানান সরাসরি পরিবেশ উপদেষ্টাকে। এক ফোনেই বন্ধ হয়ে যায় পুকুর ভরাটের কাজ। পরে প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত হয় পুলিশ ও পরিবেশ অধিদপ্তর। শেষ পর্যন্ত সেই পুকুর পুনরায় খনন করে প্রশাসন। কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের বালুতুপা এলাকায় ওই পুকুরের অবস্থান। সম্প্রতি পুকুরটির খনন কাজ শেষ হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের মার্চ থেকে একটি চক্র কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের বালুতুপা পুকুর (স্থানীয় নাম কারকুইন্না পুকুর) ভরাট শুরু করে । সরকারি কোন অনুমোদন কিংবা নিয়ম না মেনেই তা করছিল চক্রটি। পরে স্থানীয়রা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে অভিযোগ করেন। এ ঘটনার পর যৌথবাহিনীর সদস্য, আদর্শ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ,উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি ঘটনাস্থলে গিয়ে পুকুর ভরাট বন্ধ করে ও তাদের নির্দেশনা দেয় যেন তা আর ভরাট না করা হয়। এভাবে একই মাসে একাধিকবার প্রশাসন অভিযান করে। পরে চক্রটি প্রতি রাতে পুকুর ভরাট করা শুরু করে। মাত্র কয়েক সপ্তাহের মাঝে একাধিকবার প্রশাসনের অভিযান হলেও দিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে কিছুই পাওয়া যায়না। পরদিন সকালে সেখানে গিয়ে পুকুরের অনেকাংশ ভরাট পাওয়া যায়। এভাবে চোর পুলিশ খেলায় পুকুরের এক একর ৭১ শতাংশের অর্ধেকের বেশি ভরাট করে ফেলা হয়। পরে বিষয়টি জেলা প্রশাসনে উত্থাপন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমাতুজ জোহরা ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানজিনা জাহান । ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার। কিন্তু কোন সুরাহা হয়নি। প্রভাবশালী চক্রটি ভরাট অব্যাহত রাখে।
একটি সূত্র বলছে, স্থানীয় প্রশাসনের প্রচেষ্টার পর বিষয়টি পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানকে ফোন দিয়ে জানান জেলা প্রশাসক। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে পুলিশ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ঊর্ধবতন কর্মকর্তাদের সমন্বয় করার নির্দেশ দেয়া হয়। এরপরই পুলিশ অভিযান করে আর পরিবেশ অধিদপ্তর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পওে তিন দপ্তরের কর্মকর্তারা একত্রে উপস্থিত হয় পুকুর পাড়ে। বন্ধ হয় পুকুর ভরাট।
জানা গেছে, ২৫ মার্চ র্সবশেষ উপজেলা প্রশাসন সেই পুকুরটি পুনরুদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করে। ২৬ মার্চ আবার পুকুর ভরাটের চেষ্টা করে ওই চক্র। পরিবেশ অধিদপ্তর ২৭ মার্চ বাদী হয়ে ইয়াছিন মজুমদার গংদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করে। পরে পুকুর ভরাটের উত্তোলিত বালু বিক্রি করা হয় প্রকাশ্যে নিলামে। স্থানীয় মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে নিলামে তোলা হয় জব্দ করা উত্তোলিত বালু।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এরই ধারাবাহিকতায় অবৈধভাবে পুকুর ভরাটের উত্তোলিত আনুমানিক এক লাখ ২০ হাজার ঘনফুট বালু নিলামে বিক্রি করা হয়। যার মূল্য প্রায় পাঁচ লাখ টাকা। যার পুরোটাই চলে যায় সরকারি কোষাগারে। এদিকে পুকুর উদ্ধারের পর তা প্রায় দেড় মাস ধরে পুনরায় খনন করে উপজেলা প্রশাসন। এতে পুকুরের পুরাতন রূপে দেখা যায়।
পুকুর পুনরায় খননের কারণে স্থানীয়দের মাঝেও ফিরে এসেছে ্রশান্তি। স্থানীয় জানে আলম নামের এক বাসিন্দা বলেন, এই পুকুরটি আমাদের দাদার ছিল। মাছ চাষের জন্য এটি আমাদের কাছ থেকে কিনে নেওয়া হয়। পরে দেখি প্রতিরাতে এটি বালু দিয়ে ভরাট করে ফেলা হচ্ছে। এখন প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদফতর এটি উদ্ধার করে খনন করে দিয়েছে। আমরা খুবই খুশি।
মফিজুল ইসলাম নামের আরেক বাসিন্দা বলেন, এ পুকুরটি শত বছরের পুরোনো। স্থানীয়রা পানির প্রয়োজনে এটি ব্যবহার করতেন। কারও বাড়িতে আগুন লাগলে এই এলাকার আশপাশে কোনো পুকুর নেই। হঠাৎ দেখি এটি ভরাট হয়ে যায়। এখন প্রশাসন এটি উদ্ধার করছে। আমরা তাদের ধন্যবাদ জানাই।
আদর্শ সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানজিনা জাহান বলেন, আমরা পুকুরটি উদ্ধারে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি এবং আমরা সফল হয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমাতুজ জোহরা বলেন, জেলা প্রশাসক নিজেও পরিদর্শন করেছিলেন। স্থানীয়রাও সহযোগিতা করেছে। এমন নজির খুব কম যে ভরাট হওয়া পুকুর উদ্ধার করে তা পুনরায় আবার খনন করে আগের অবস্থানে নেয়া। স্থানীয়রা বিষয়টি নিয়ে খুবই খুশি।
তিনি বলেন, জেলা প্রশাসক মহোদয় নির্দেশনা দিয়েছেন পুকুরটিকে খনন করে মাছ চাষের উপযোগী যেন করা হয়। এতে স্থানীয়রাও এই পানি ব্যবহার করতে পারবেন।
পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোসাব্বের হোসেন মোহাম্মদ রাজীব বলেন, উপদেষ্টা মহোদয়ের ফোনে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছি। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আদালত মামলা গ্রহণ করে চন্দন বিশ্বাস নামের এক উপপরিদর্শককে দায়িত্ব দিয়েছেন। কোন পুকুর ভরাটের অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার বলেন, ভরাট করা পুকুর আবার খনন করা হয়। যাঁরা পুকুর ভরাট করবেন তাঁদের জন্য আমাদের এই বিষয়টি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
এক একর ৭১ শতক পুকুর। শতবর্ষী এই পুকুর ভরাট হচ্ছিল। দিনে প্রশাসনের অভিযান। রাতে আবার ভরাট শুরু হয়। এভাবে চোর পুলিশের খেলায় অর্ধেকের বেশি অংশ ভরাট করে একটি চক্র। খবর পেয়ে তৎপর হন জেলা প্রশাসক। ফোন দিয়ে জানান সরাসরি পরিবেশ উপদেষ্টাকে। এক ফোনেই বন্ধ হয়ে যায় পুকুর ভরাটের কাজ। পরে প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত হয় পুলিশ ও পরিবেশ অধিদপ্তর। শেষ পর্যন্ত সেই পুকুর পুনরায় খনন করে প্রশাসন। কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের বালুতুপা এলাকায় ওই পুকুরের অবস্থান। সম্প্রতি পুকুরটির খনন কাজ শেষ হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের মার্চ থেকে একটি চক্র কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের বালুতুপা পুকুর (স্থানীয় নাম কারকুইন্না পুকুর) ভরাট শুরু করে । সরকারি কোন অনুমোদন কিংবা নিয়ম না মেনেই তা করছিল চক্রটি। পরে স্থানীয়রা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে অভিযোগ করেন। এ ঘটনার পর যৌথবাহিনীর সদস্য, আদর্শ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ,উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি ঘটনাস্থলে গিয়ে পুকুর ভরাট বন্ধ করে ও তাদের নির্দেশনা দেয় যেন তা আর ভরাট না করা হয়। এভাবে একই মাসে একাধিকবার প্রশাসন অভিযান করে। পরে চক্রটি প্রতি রাতে পুকুর ভরাট করা শুরু করে। মাত্র কয়েক সপ্তাহের মাঝে একাধিকবার প্রশাসনের অভিযান হলেও দিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে কিছুই পাওয়া যায়না। পরদিন সকালে সেখানে গিয়ে পুকুরের অনেকাংশ ভরাট পাওয়া যায়। এভাবে চোর পুলিশ খেলায় পুকুরের এক একর ৭১ শতাংশের অর্ধেকের বেশি ভরাট করে ফেলা হয়। পরে বিষয়টি জেলা প্রশাসনে উত্থাপন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমাতুজ জোহরা ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানজিনা জাহান । ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার। কিন্তু কোন সুরাহা হয়নি। প্রভাবশালী চক্রটি ভরাট অব্যাহত রাখে।
একটি সূত্র বলছে, স্থানীয় প্রশাসনের প্রচেষ্টার পর বিষয়টি পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানকে ফোন দিয়ে জানান জেলা প্রশাসক। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে পুলিশ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ঊর্ধবতন কর্মকর্তাদের সমন্বয় করার নির্দেশ দেয়া হয়। এরপরই পুলিশ অভিযান করে আর পরিবেশ অধিদপ্তর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পওে তিন দপ্তরের কর্মকর্তারা একত্রে উপস্থিত হয় পুকুর পাড়ে। বন্ধ হয় পুকুর ভরাট।
জানা গেছে, ২৫ মার্চ র্সবশেষ উপজেলা প্রশাসন সেই পুকুরটি পুনরুদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করে। ২৬ মার্চ আবার পুকুর ভরাটের চেষ্টা করে ওই চক্র। পরিবেশ অধিদপ্তর ২৭ মার্চ বাদী হয়ে ইয়াছিন মজুমদার গংদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করে। পরে পুকুর ভরাটের উত্তোলিত বালু বিক্রি করা হয় প্রকাশ্যে নিলামে। স্থানীয় মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে নিলামে তোলা হয় জব্দ করা উত্তোলিত বালু।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এরই ধারাবাহিকতায় অবৈধভাবে পুকুর ভরাটের উত্তোলিত আনুমানিক এক লাখ ২০ হাজার ঘনফুট বালু নিলামে বিক্রি করা হয়। যার মূল্য প্রায় পাঁচ লাখ টাকা। যার পুরোটাই চলে যায় সরকারি কোষাগারে। এদিকে পুকুর উদ্ধারের পর তা প্রায় দেড় মাস ধরে পুনরায় খনন করে উপজেলা প্রশাসন। এতে পুকুরের পুরাতন রূপে দেখা যায়।
পুকুর পুনরায় খননের কারণে স্থানীয়দের মাঝেও ফিরে এসেছে ্রশান্তি। স্থানীয় জানে আলম নামের এক বাসিন্দা বলেন, এই পুকুরটি আমাদের দাদার ছিল। মাছ চাষের জন্য এটি আমাদের কাছ থেকে কিনে নেওয়া হয়। পরে দেখি প্রতিরাতে এটি বালু দিয়ে ভরাট করে ফেলা হচ্ছে। এখন প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদফতর এটি উদ্ধার করে খনন করে দিয়েছে। আমরা খুবই খুশি।
মফিজুল ইসলাম নামের আরেক বাসিন্দা বলেন, এ পুকুরটি শত বছরের পুরোনো। স্থানীয়রা পানির প্রয়োজনে এটি ব্যবহার করতেন। কারও বাড়িতে আগুন লাগলে এই এলাকার আশপাশে কোনো পুকুর নেই। হঠাৎ দেখি এটি ভরাট হয়ে যায়। এখন প্রশাসন এটি উদ্ধার করছে। আমরা তাদের ধন্যবাদ জানাই।
আদর্শ সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানজিনা জাহান বলেন, আমরা পুকুরটি উদ্ধারে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি এবং আমরা সফল হয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমাতুজ জোহরা বলেন, জেলা প্রশাসক নিজেও পরিদর্শন করেছিলেন। স্থানীয়রাও সহযোগিতা করেছে। এমন নজির খুব কম যে ভরাট হওয়া পুকুর উদ্ধার করে তা পুনরায় আবার খনন করে আগের অবস্থানে নেয়া। স্থানীয়রা বিষয়টি নিয়ে খুবই খুশি।
তিনি বলেন, জেলা প্রশাসক মহোদয় নির্দেশনা দিয়েছেন পুকুরটিকে খনন করে মাছ চাষের উপযোগী যেন করা হয়। এতে স্থানীয়রাও এই পানি ব্যবহার করতে পারবেন।
পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোসাব্বের হোসেন মোহাম্মদ রাজীব বলেন, উপদেষ্টা মহোদয়ের ফোনে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছি। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আদালত মামলা গ্রহণ করে চন্দন বিশ্বাস নামের এক উপপরিদর্শককে দায়িত্ব দিয়েছেন। কোন পুকুর ভরাটের অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার বলেন, ভরাট করা পুকুর আবার খনন করা হয়। যাঁরা পুকুর ভরাট করবেন তাঁদের জন্য আমাদের এই বিষয়টি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।