নিজস্ব প্রতিবেদক
কুমিল্লার কোটবাড়িতে অবস্থিত বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড) ক্যাম্পাসে ২০২৩ সালে একটি রুটিফল গাছে ফল ধরেছিল। বার্ডের মহাপরিচালকের দপ্তরের উত্তর পাশের একটি গাছে ওই রুটিফল ধরে। এ ফল দেখতে অনেকটা কাঁঠালের মতো। স্বাদ মিষ্টি আলু ও কলার মতো ক্ষেত্রবিশেষে। সবুজ ঘন পাতার কারণে এ গাছ দেখতেও বেশ চমৎকার। পাতার অগ্রভাগে শোভা পাচ্ছে ফল। কিন্তু এবার কোন ফল ধরেনি। ওই এলাকায় বর্তমানে পাশাপাশি দুটি গাছ রয়েছে।
বার্ড সূত্র জানায়, ১৯৮৪ সালে বার্ড ক্যাম্পাসের ডাকঘর এলাকায় প্রথম রুটিফলগাছ লাগানো হয়। এরপর ৩৩ বছর ধরে গাছটি সেখানে ছিল। প্রতিবছর আগস্ট-সেপ্টেম্বরে সেখান থেকে রুটিফল সংগ্রহ করা হতো। ২০১৭ সালে হঠাৎ ঝড়ে গাছটি উপড়ে যায়। এরপর ওই এলাকায় দুটি গাছ জন্মায়। কিন্তু তাতে ফল ধরেনি। ওই বছরই বার্ড কর্তৃপক্ষ বার্ডের মহাপরিচালকের দপ্তরের পাশে আরও তিনটি গাছ লাগায়। এর মধ্যে একটি গাছে ২০২৩ সালে ৪০টির মতো ফল ধরেছিল।
বার্ডের কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. জাকির হোসেন বলেন, রুটিফল গাছটি দুর্লভ। ২০১৭ সালে বড় গাছটি মারা যাওয়ার পর তাঁদের মন খারাপ হয়। ওই বছরই পাঁচটি গাছ লাগানো হয়। এ গাছের ফলে কোনো বিচি নেই। চারা হয় মূল বা শিকড় থেকে।
বৃক্ষপ্রেমিক মোজাম্মেল খান বলেন, ‘এটি খুব সেনসিটিভ গাছ। শিকড় থেকে গাছ জন্মায়। গাছ টেকানো কঠিন। এটি সবজি হিসেবে খাওয়া হয়। দেখতে কাঁঠালের মতো। তবে আকারে ছোট। বার্ড থেকে প্রতিবছর রুটিফল আনতাম। সাত বছর আগে গাছটি পড়ে যাওয়ায় আর যাইনি। শুনেছি, এবার নতুন গাছে ফল ধরেনি।’
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শামসিল আরেফিন ভূঁইয়া বলেন, রুটিফল দেখতে কাঁঠালের মতো। ইংরেজিতে একে ‘ব্রেডফ্রুট’ বলে। বাংলায় ‘রুটিফল’। বৈজ্ঞানিক নাম `Artocarpus communis` এটি Moraceae পরিবারের সদস্য। স্বাদ মিষ্টি আলুর মতো। পাউরুটির মতো স্লাইস করে কেটে খাওয়া হয়। বাংলাদেশের আবহাওয়া রুটিফল চাষের জন্য উপযোগী। ফল ধরে শাখার অগ্রভাগে। একেকটি গাছ ৫০ থেকে ৭০ ফুট লম্বা হয়।
কুমিল্লার জনস্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, রুটিফলের অসাধারণ খাদ্যগুণ আছে। সুষম খাদ্যের সব ধরনের উপাদান আছে। গাছের ওষধি গুণাগুণও আছে। উচ্চ রক্তচাপ ও শ্বাসকষ্টের উপশম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। জিহ্বার প্রদাহে পাতা বেঁটে প্রলেপ দেওয়া হয়। এর কষ চর্মরোগ উপশমে বিশেষ উপকারী। বাংলাদেশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল, ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও ফার্মগেটের খামারবাড়িতে এ ফলের গাছ আছে। হাওয়াই, ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ ও তাহিতি অঞ্চলে এ ফল হয়। এ ছাড়া ভারত, মালয়েশিয়া ও শ্রীলঙ্কায়ও রুটিফলের চাষ হয়।
কুমিল্লার কোটবাড়িতে অবস্থিত বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড) ক্যাম্পাসে ২০২৩ সালে একটি রুটিফল গাছে ফল ধরেছিল। বার্ডের মহাপরিচালকের দপ্তরের উত্তর পাশের একটি গাছে ওই রুটিফল ধরে। এ ফল দেখতে অনেকটা কাঁঠালের মতো। স্বাদ মিষ্টি আলু ও কলার মতো ক্ষেত্রবিশেষে। সবুজ ঘন পাতার কারণে এ গাছ দেখতেও বেশ চমৎকার। পাতার অগ্রভাগে শোভা পাচ্ছে ফল। কিন্তু এবার কোন ফল ধরেনি। ওই এলাকায় বর্তমানে পাশাপাশি দুটি গাছ রয়েছে।
বার্ড সূত্র জানায়, ১৯৮৪ সালে বার্ড ক্যাম্পাসের ডাকঘর এলাকায় প্রথম রুটিফলগাছ লাগানো হয়। এরপর ৩৩ বছর ধরে গাছটি সেখানে ছিল। প্রতিবছর আগস্ট-সেপ্টেম্বরে সেখান থেকে রুটিফল সংগ্রহ করা হতো। ২০১৭ সালে হঠাৎ ঝড়ে গাছটি উপড়ে যায়। এরপর ওই এলাকায় দুটি গাছ জন্মায়। কিন্তু তাতে ফল ধরেনি। ওই বছরই বার্ড কর্তৃপক্ষ বার্ডের মহাপরিচালকের দপ্তরের পাশে আরও তিনটি গাছ লাগায়। এর মধ্যে একটি গাছে ২০২৩ সালে ৪০টির মতো ফল ধরেছিল।
বার্ডের কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. জাকির হোসেন বলেন, রুটিফল গাছটি দুর্লভ। ২০১৭ সালে বড় গাছটি মারা যাওয়ার পর তাঁদের মন খারাপ হয়। ওই বছরই পাঁচটি গাছ লাগানো হয়। এ গাছের ফলে কোনো বিচি নেই। চারা হয় মূল বা শিকড় থেকে।
বৃক্ষপ্রেমিক মোজাম্মেল খান বলেন, ‘এটি খুব সেনসিটিভ গাছ। শিকড় থেকে গাছ জন্মায়। গাছ টেকানো কঠিন। এটি সবজি হিসেবে খাওয়া হয়। দেখতে কাঁঠালের মতো। তবে আকারে ছোট। বার্ড থেকে প্রতিবছর রুটিফল আনতাম। সাত বছর আগে গাছটি পড়ে যাওয়ায় আর যাইনি। শুনেছি, এবার নতুন গাছে ফল ধরেনি।’
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শামসিল আরেফিন ভূঁইয়া বলেন, রুটিফল দেখতে কাঁঠালের মতো। ইংরেজিতে একে ‘ব্রেডফ্রুট’ বলে। বাংলায় ‘রুটিফল’। বৈজ্ঞানিক নাম `Artocarpus communis` এটি Moraceae পরিবারের সদস্য। স্বাদ মিষ্টি আলুর মতো। পাউরুটির মতো স্লাইস করে কেটে খাওয়া হয়। বাংলাদেশের আবহাওয়া রুটিফল চাষের জন্য উপযোগী। ফল ধরে শাখার অগ্রভাগে। একেকটি গাছ ৫০ থেকে ৭০ ফুট লম্বা হয়।
কুমিল্লার জনস্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, রুটিফলের অসাধারণ খাদ্যগুণ আছে। সুষম খাদ্যের সব ধরনের উপাদান আছে। গাছের ওষধি গুণাগুণও আছে। উচ্চ রক্তচাপ ও শ্বাসকষ্টের উপশম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। জিহ্বার প্রদাহে পাতা বেঁটে প্রলেপ দেওয়া হয়। এর কষ চর্মরোগ উপশমে বিশেষ উপকারী। বাংলাদেশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল, ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও ফার্মগেটের খামারবাড়িতে এ ফলের গাছ আছে। হাওয়াই, ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ ও তাহিতি অঞ্চলে এ ফল হয়। এ ছাড়া ভারত, মালয়েশিয়া ও শ্রীলঙ্কায়ও রুটিফলের চাষ হয়।