দেবীদ্বার প্রতিনিধি
কুমিল্লার দুঃখ খ্যাত গোমতী নদীকে ক্ষত বিক্ষত করে মাটি লুটে নিচ্ছে একদল মাটিখেকু। তাদের বিরুদ্ধে জেলার দেবীদ্বার অংশে মাটি লুট বন্ধে মধ্যেরাতে নেতাকর্মী ও জনতাকে সাথে নিয়ে গোমতীর চরে অভিযান চালায় বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার রিজভীউল আহসান মুন্সী।
তিনি কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুমিল্লা-৪ দেবীদ্বার আসনের ৪ বারের নির্বাচিত সাবেক সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল আহসান মুন্সীর পুত্র।
উপজেলার প্রায় ২০ টি অংশে গোমতী নদীর বাঁধকে ক্ষতিগ্রস্থ করে ডাইবেশনের মাধ্যমে মাটি বহন করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা।
শুক্র এবং শনিবার (০৩-০৪ এপ্রিল) মধ্যরাত থেকে ভোর রাত পর্যন্ত উপজেলার পৌর শিবনগর মাছুয়াবাদ এলাকা থেকে গোমতীর মাটি কেটে নিয়ে যাওয়ার সময় তাঁদের প্রতিরোধ করতে নেতাকর্মী ও জনতাকে সাথে নিয়ে ওই অভিযান পরিচালনা করেন ব্যারিস্টার রিজভীউল হাসান মূন্সী। এসময় মাটি বহনকারী ৩টি ট্রাক্টর ফেলে রেখে চালকরা পালিয়ে গেলেও একজন চালক ও একজন হেলপারসহ একটি ট্রাক্টর আটক করে পুলিশে খবর দেন তিনি। এসময় ঘটনাস্থলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের আটক একজন চালক চালক ও একজন হেলপার জানায়, মোঃ ইউসুফ আলী, অলি মিয়া, আক্কাস আলী, কবির ও জনু মিয়ার নির্দেশেই তারা এ মাটি রাতের অন্ধকারে ইটভাটা সহ বিভিন্ন যায়গায় দিয়ে থাকেন।
ঘটনাস্থলে পুলিশ যেতে বিলম্ব হওয়ায় চালকসহ ১টি গাড়ী থানায় নিয়ে এসে পুলিশে সোপর্দ করেন এবং গাড়ি ফেলে পালিয়ে যাওয়া ৩টি গাড়িরর চাবি পুলিশের নিকট হস্তান্তর করেন ওই বিএনপি নেতা নিজেই।
স্থানীয়রা জানান, গোমতীর মাটিলুটের ফলে স্থানীয়দের মাঝে বন্যা আতঙ্ক দেখা দেয় প্রতিবছর। মাটি বহনকারী ট্রাক্টর চলাচলে রাস্তা দিয়ে হাঁটাচলার কোনো উপায় থাকেনা। প্রতিদিন কয়েকশত ট্রাক্টর থেকে ঝরেপড়া মাটি ও বালি ‘কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের পিচ ঠেকে যায়। ফলে সামান্য বৃষ্টির পানিতে সড়কে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। পিচ্ছিল সড়কে ভারী যানবাহনগুলো পিছলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক থেকে পার্শ্ববর্তী খাদে বা জমিতে পড়ে দূর্ঘটনায় কবলিতই নয়, জান-মালেনও ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়। ধুলো বালির কারণে শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে হয়। কোনো এক অদৃশ্য কারণে এ মাটি কাটা বন্ধ করা যাচ্ছে না তা জানা নেই। এর আগেও গণমানুষের দাবিতে আ’লীগ শাসনামলে সাবেক সংসদ সদস্যরা মুখে গোমতীর মাটি লুট বন্ধ করা হবে বললেও, দলীয় নেতাকর্মীদের জড়িত থাকার কারণে কার্যত তারা কিছুই করতে পারেনি। এখন দেশে পরিবর্তন এসেছে রাজনৈতিক নেতাদের সদিচ্ছা থাকলে অবশ্যই বন্ধ করা সম্ভব।
অভিযানের বিষয়ে কুমিল্লা উঃ জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার রিজভিউল আহসান মুন্সী বলেন, গোমতী রক্ষা দেবীদ্বারের গণমানুষের দাবি। কিছু অসাধু লোকজন গোমতী নদীকে ক্ষত বিক্ষত করে মাটি লুটে নিচ্ছে। প্রশাসনের নজর এড়িয়ে তারা রাতে এসব কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। প্রশাসনকে সহযোগিতায় মাটিখেকুদের প্রতিরোধ করতেই আমাদের অভিযান। তিনি আরো বলেন, গোমতীর বুকে দেবীদ্বারের যে অংশে মাটিখেকুদের আচর পড়বে সেখানেই প্রতিরোধ করা হবে। দেবীদ্বারে দুর্নীতি-চাঁদাবাজি ও গোমতীর মাটিলুট বন্ধে কে কার লোক তা না দেখে, দল মত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
এবিষয়ে দেবীদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুদ্দীন মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান, একটি ট্রাক্টর দেবীদ্বার থানায় আমাদের হেফাজতে রয়েছে। ট্রাক্টরের মালিক পাওয়া যায়নি, মালিক পাওয়া গেলে ইউএনও এর মাধ্যমে মোবাইল কোর্ট করে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। আমাদের নিকট ট্রাক্টরের আরো যে দুটি চাবি দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে আমাদের অফিসারগন ঘটনাস্থলে গিয়ে কোনো ট্রাক্টর পাননি।
কুমিল্লার দুঃখ খ্যাত গোমতী নদীকে ক্ষত বিক্ষত করে মাটি লুটে নিচ্ছে একদল মাটিখেকু। তাদের বিরুদ্ধে জেলার দেবীদ্বার অংশে মাটি লুট বন্ধে মধ্যেরাতে নেতাকর্মী ও জনতাকে সাথে নিয়ে গোমতীর চরে অভিযান চালায় বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার রিজভীউল আহসান মুন্সী।
তিনি কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুমিল্লা-৪ দেবীদ্বার আসনের ৪ বারের নির্বাচিত সাবেক সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল আহসান মুন্সীর পুত্র।
উপজেলার প্রায় ২০ টি অংশে গোমতী নদীর বাঁধকে ক্ষতিগ্রস্থ করে ডাইবেশনের মাধ্যমে মাটি বহন করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা।
শুক্র এবং শনিবার (০৩-০৪ এপ্রিল) মধ্যরাত থেকে ভোর রাত পর্যন্ত উপজেলার পৌর শিবনগর মাছুয়াবাদ এলাকা থেকে গোমতীর মাটি কেটে নিয়ে যাওয়ার সময় তাঁদের প্রতিরোধ করতে নেতাকর্মী ও জনতাকে সাথে নিয়ে ওই অভিযান পরিচালনা করেন ব্যারিস্টার রিজভীউল হাসান মূন্সী। এসময় মাটি বহনকারী ৩টি ট্রাক্টর ফেলে রেখে চালকরা পালিয়ে গেলেও একজন চালক ও একজন হেলপারসহ একটি ট্রাক্টর আটক করে পুলিশে খবর দেন তিনি। এসময় ঘটনাস্থলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের আটক একজন চালক চালক ও একজন হেলপার জানায়, মোঃ ইউসুফ আলী, অলি মিয়া, আক্কাস আলী, কবির ও জনু মিয়ার নির্দেশেই তারা এ মাটি রাতের অন্ধকারে ইটভাটা সহ বিভিন্ন যায়গায় দিয়ে থাকেন।
ঘটনাস্থলে পুলিশ যেতে বিলম্ব হওয়ায় চালকসহ ১টি গাড়ী থানায় নিয়ে এসে পুলিশে সোপর্দ করেন এবং গাড়ি ফেলে পালিয়ে যাওয়া ৩টি গাড়িরর চাবি পুলিশের নিকট হস্তান্তর করেন ওই বিএনপি নেতা নিজেই।
স্থানীয়রা জানান, গোমতীর মাটিলুটের ফলে স্থানীয়দের মাঝে বন্যা আতঙ্ক দেখা দেয় প্রতিবছর। মাটি বহনকারী ট্রাক্টর চলাচলে রাস্তা দিয়ে হাঁটাচলার কোনো উপায় থাকেনা। প্রতিদিন কয়েকশত ট্রাক্টর থেকে ঝরেপড়া মাটি ও বালি ‘কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের পিচ ঠেকে যায়। ফলে সামান্য বৃষ্টির পানিতে সড়কে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। পিচ্ছিল সড়কে ভারী যানবাহনগুলো পিছলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক থেকে পার্শ্ববর্তী খাদে বা জমিতে পড়ে দূর্ঘটনায় কবলিতই নয়, জান-মালেনও ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়। ধুলো বালির কারণে শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে হয়। কোনো এক অদৃশ্য কারণে এ মাটি কাটা বন্ধ করা যাচ্ছে না তা জানা নেই। এর আগেও গণমানুষের দাবিতে আ’লীগ শাসনামলে সাবেক সংসদ সদস্যরা মুখে গোমতীর মাটি লুট বন্ধ করা হবে বললেও, দলীয় নেতাকর্মীদের জড়িত থাকার কারণে কার্যত তারা কিছুই করতে পারেনি। এখন দেশে পরিবর্তন এসেছে রাজনৈতিক নেতাদের সদিচ্ছা থাকলে অবশ্যই বন্ধ করা সম্ভব।
অভিযানের বিষয়ে কুমিল্লা উঃ জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার রিজভিউল আহসান মুন্সী বলেন, গোমতী রক্ষা দেবীদ্বারের গণমানুষের দাবি। কিছু অসাধু লোকজন গোমতী নদীকে ক্ষত বিক্ষত করে মাটি লুটে নিচ্ছে। প্রশাসনের নজর এড়িয়ে তারা রাতে এসব কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। প্রশাসনকে সহযোগিতায় মাটিখেকুদের প্রতিরোধ করতেই আমাদের অভিযান। তিনি আরো বলেন, গোমতীর বুকে দেবীদ্বারের যে অংশে মাটিখেকুদের আচর পড়বে সেখানেই প্রতিরোধ করা হবে। দেবীদ্বারে দুর্নীতি-চাঁদাবাজি ও গোমতীর মাটিলুট বন্ধে কে কার লোক তা না দেখে, দল মত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
এবিষয়ে দেবীদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুদ্দীন মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান, একটি ট্রাক্টর দেবীদ্বার থানায় আমাদের হেফাজতে রয়েছে। ট্রাক্টরের মালিক পাওয়া যায়নি, মালিক পাওয়া গেলে ইউএনও এর মাধ্যমে মোবাইল কোর্ট করে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। আমাদের নিকট ট্রাক্টরের আরো যে দুটি চাবি দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে আমাদের অফিসারগন ঘটনাস্থলে গিয়ে কোনো ট্রাক্টর পাননি।