কুমিল্লার বুড়িচংয়ে গোমতীর চরের অবৈধ মাটিবাহী ড্রাম ট্রাকের চাপায় মেহেদী হাসান শাওন (৩০) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। অপরদিকে কামারখাড়া গোমতীর চরে ট্রাক উল্টে আলাউদ্দিন (৩১) নামে চালক নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক ও কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত ১১টার সময় মেহেদী হাসান শাওন ক্যান্টনমেন্ট এলাকা থেকে বুড়িচং নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে মোটরসাইকেলে ফেরার পথে কুমিল্লা- বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া সড়কে পালপাড়া চৌরাস্তা মোড়ে এসে মোটরসাইকেল থামিয়ে তেল কেনার সময় পেছন থেকে একটি বেপোরোয়া ড্রাম টাকা চাপা দিয়ে চালক পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে আহত মেহেদী হাসান শাওনকে উদ্ধার করে নাইটগার্ড মাসুদ ও স্থানীয়রা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত শাওনের নানা মমিনুল ইসলাম জানান, আড়াইওড়া গ্রামের মোসলেম মিয়ার ছেলে আমজাদ প্রকাশ আনজুর অবৈধ মাটিবাহী ড্রাম ট্রাক দিয়ে শাওনের মোটরসাইকেলে চাপা দিয়ে মেরে ফেলে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, মেহেদী হাসান শাওন বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের ইছাপুরা আখন্দ বাড়ির ফজলু মিয়ার ছেলে। সে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের অনার্সের শিক্ষার্থী ও কাতার প্রবাস ফেরত ছিলেন।

অপরদিকে শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে একই উপজেলার কামারখাড়া গোমতীর চরে বেপোরোয়া গতি মাটিবাহী ট্রাক্টর উল্টে চাপাপড়ে চালক আলাউদ্দিন (৩১) নামের এক চালক ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছেন। নিহত চালক ষোলনল গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। স্থানীয় একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান ,নিহত ব্যক্তিদের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানায়, মাটি বহনকারী অনুমোদনহীন ট্রাক্টর এবং লাইসেন্সবিহীন ড্রাইভারদের বেপরোয়া গতিতে চালানো গাড়িতে প্রায় প্রতিদিনই দুর্ঘটনা ঘটছে। প্রতিটি গ্রামে এ সকল গাড়ি দিনরাত দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। অভিযোগ আছে, এ সকল গাড়িগুলো প্রভাবশালী ও প্রশাসনকে ম্যানেজ করে চলাচল করে। মাঝে মধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান পরিচালনা করলেও আবার অদৃশ্য কারণে সড়কে চলাচল করছে। যার ফলে এদেরকে কেউ কিছু বলতে সাহস পান না।

এ বিষয়ে বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক জানান, মৃত্যুর খবর শুনেছি। দুর্ঘটনার স্থানটি বুড়িচং থানার অধীনে না। ঘটনার তদন্ত করবে কুমিল্লা কোতায়ালি মডেল থানা পুলিশ।

কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহিনুল ইসলাম বলেন,খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। পরিবারের অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।