কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
যুগে যুগে সমাজ বদলেছে, সভ্যতা এগিয়েছে। কিন্তু নারীদের লড়াই কি অদৌ শেষ হয়েছে? ঘর থেকে কর্মস্থল, রাজপথ থেকে শিক্ষাকেন্দ্র প্রতিটি অঙ্গনে নারীরা নিজেদের সক্ষমতার প্রমাণ দিচ্ছেন। অথচ আজও নারীরা বৈষম্যের শিকার; নিরাপত্তাহীনতা তাদের পথচলায় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। সমাজের প্রচলিত মানসিকতার দেয়াল অনেক ক্ষেত্রেই তাদের এগিয়ে যাওয়ার পথের কাঁটা।
৮ মার্চ, আন্তর্জাতিক নারী দিবস, শুধু উদযাপনের নয়, এটি এক উপলক্ষে পিছিয়ে পড়া কণ্ঠগুলোকে সামনে আনার, অসমতার দেয়াল ভাঙার, অধিকার ও মর্যাদার দাবিতে উচ্চকণ্ঠ হওয়ার। সমাজকে এগিয়ে নিতে হলে নারীর হাত শক্তিশালী করতেই হবে। কারণ, যখন একজন নারী এগিয়ে যান, তখন এগিয়ে যায় পুরো মানবসভ্যতা।
বাংলাদেশের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের চাওয়া-পাওয়া, স্বপ্ন-সংগ্রাম আর ভবিষ্যতের প্রত্যাশা কী, কেমন বাংলাদেশ দেখতে চান ইত্যাদি বিষয়গুলোই জানতে চান কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি সাজিদুর রহমান।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী শারমিন জাহান বলেন,"কোন রণে কত খুন দিল নর, লেখা আছে ইতিহাসে
কত নারী দিল সিঁথির সিঁদুর, লেখা নাই তার পাশে।"
তিন বছরের ধর্ষিতা শিশু থেকে শুরু করে ৫৬ বছরের গার্মেন্টস কর্মী নসিমন বিবির পক্ষ থেকে জানাই নারী দিবসের শুভেচ্ছা। সমাজের প্রতিটি স্তরে নারীরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিসরে এখনো তাদের অবস্থান ন্যায্য সম্মান থেকে বঞ্চিত।
রহিমা বানু কেবল কন্যাসন্তানের মা হওয়ার ‘অপরাধে’ স্বামীর নির্যাতনের শিকার হন। প্রীতি, একজন দক্ষ রাজনৈতিক কর্মী হয়েও সিদ্ধান্ত গ্রহণের পরিবর্তে কেবল নেতাদের ফুল দিয়ে বরণ করার কাজেই সীমাবদ্ধ থাকেন। জরিনা, স্বামীর সমান পরিশ্রম করেও তার তুলনায় কম মজুরি পান। এভাবেই নারীদের বৈষম্য ও নির্যাতনের কথা তুলে ধরেন তিনি।
এই বৈষম্য দূর করতে প্রয়োজন আইনি সংস্কার, শিক্ষা ও সচেতনতা বৃদ্ধি, নারীদের রাজনৈতিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা এবং সমাজের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন। নারী দিবস শুধুমাত্র একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়, এটি নারীদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য পরিবর্তনের শপথ নেওয়ার দিন।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ডওয়াংনুং মার্মা বলেন, নারী মানে শুধু সম্পর্কের বন্ধনে সীমাবদ্ধ নয়, নারী শক্তি, ভালোবাসা ও সম্ভাবনার প্রতীক। কিন্তু আজও কি নারীরা নিরাপদ? তাদের অধিকার ও মর্যাদা কি বাস্তবে সুরক্ষিত? এই প্রশ্ন আমার সমাজের কাছে রাষ্ট্রের কাছে। নারীর প্রতি সহিংসতা, শোষণ ও নির্যাতন সমাজের জন্য বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধু নারী দিবস উদযাপন যথেষ্ট নয়, বরং প্রয়োজন বাস্তবিক পরিবর্তন, যেখানে প্রতিটি নারী নির্ভয়ে চলতে পারবে, সমান সুযোগ পাবে এবং নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে। আমরা চাই নারী কেবল এক দিনের আলোচনার বিষয় না হয়ে বরং সারাবছরই সম্মান, নিরাপত্তা ও স্বাধীনতার নিশ্চয়তা পাবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরাসি ভাষা ও সংস্কৃতি বিভাগের ছাত্রী ফাতিহা মনছুর মহুয়া বলেন, নারী অধিকার ও অগ্রগতিতে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়েছে, তবে এখনো সামনে দীর্ঘ পথ বাকি। শিক্ষায়, কর্মক্ষেত্রে, রাজনীতিতে নারীরা নিজেদের জায়গা করে নিচ্ছেন, কিন্তু চিত্রের অন্যপাশে রয়ে গেছে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সীমাবদ্ধতা, গৃহিণীদের শ্রমের স্বীকৃতির অভাব এবং নারীর চলাচলে নিরাপত্তাহীনতা।
তিনি বলেন, সম্মান ও মর্যাদা শুধু আইন দিয়ে নিশ্চিত করা যায় না, এটি সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনের বিষয়। নারী দিবসে প্রশংসার বন্যা বয়ে যায়, কিন্তু এরপর? একদিনের শুভেচ্ছা দিয়ে কি এমন হবে, দরকার সারাবছরের সমতা ও নিরাপত্তা।”
নারী অধিকার মানে শুধু চাকরি পাওয়া নয়, বরং নিজের জীবন ও স্বপ্নের ওপর নারীর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকা। সত্যিকারের নারী দিবস তখনই সফল হবে, যখন প্রতিটি দিন হবে নারীর জন্য নিরাপদ, সম্মানের এবং সমান সম্ভাবনার।
শিউলি আক্তার নামে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী জানান, নারী দিবস শুধু উদযাপনের দিন নয়, এটি নারী অধিকার, সমতা ও মর্যাদার প্রতীক। বাংলার ইতিহাসে নারীর অবদান অপরিসীম। বেগম রোকেয়া, কাদম্বিনী গাঙ্গুলী, সরোজিনী নাইডুর মতো সংগ্রামী নারীরা পথ দেখিয়েছেন। তবু আজও নারীদের শিক্ষা, কর্মক্ষেত্র, সামাজিক মর্যাদা ও নিরাপত্তার জন্য লড়াই করতে হয়। আজও কন্যাসন্তানের জন্ম অনেক পরিবারে উদ্বেগের কারণ, নারীরা বৈষম্যের শিকার এবং তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার পথ এখনো পুরোপুরি সুগম হয়নি। তবে আশার আলোও আছে। নারীরা এখন অধিকারের ব্যাপারে সচেতন, প্রতিবাদ করছেন, কুসংস্কার ভাঙছেন।
নারী দিবস কেবল একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং প্রতিদিনের সংগ্রামের প্রতীক। আমাদের অঙ্গীকার হওয়া উচিত প্রতিটি নারী যেন স্বাধীনভাবে বাঁচতে পারে, নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে পারে এবং সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে সমান সুযোগ পায়। সত্যিকারের সমতার পৃথিবী গড়ার পথে এই হোক আমাদের প্রতিশ্রুতি। হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজের ছাত্রী উম্মে স্বর্ণা বলেন, "নারী" শব্দটি ব্যাখ্যার জন্য কোনো বিশেষণই যথেষ্ট নয়। তিনি মা, মেয়ে, বোন। একাই একাধিক ভূমিকার অধিকারী। কিন্তু আজও কি নারীরা তাদের যথাযথ সম্মান ও অধিকার পাচ্ছেন?
এমনকি ক্ষেত্রবিশেষে নারীরাই নারীদের শত্রু হয়ে দাঁড়ান, পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি মেনে নেন। আইন থাকলেও বিচারপ্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতা নারী নির্যাতনের সুরাহা করে না। তাই নারীর অধিকার নিশ্চিত করতে চাই সচেতনতা ও পারিবারিক শিক্ষার আমূল পরিবর্তন। সমাজকে দায়িত্ব নিতে হবে, শুধু একদিনের আলোচনায় নয়, বরং প্রতিদিন নারীর প্রতি ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে হবে।
যুগে যুগে সমাজ বদলেছে, সভ্যতা এগিয়েছে। কিন্তু নারীদের লড়াই কি অদৌ শেষ হয়েছে? ঘর থেকে কর্মস্থল, রাজপথ থেকে শিক্ষাকেন্দ্র প্রতিটি অঙ্গনে নারীরা নিজেদের সক্ষমতার প্রমাণ দিচ্ছেন। অথচ আজও নারীরা বৈষম্যের শিকার; নিরাপত্তাহীনতা তাদের পথচলায় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। সমাজের প্রচলিত মানসিকতার দেয়াল অনেক ক্ষেত্রেই তাদের এগিয়ে যাওয়ার পথের কাঁটা।
৮ মার্চ, আন্তর্জাতিক নারী দিবস, শুধু উদযাপনের নয়, এটি এক উপলক্ষে পিছিয়ে পড়া কণ্ঠগুলোকে সামনে আনার, অসমতার দেয়াল ভাঙার, অধিকার ও মর্যাদার দাবিতে উচ্চকণ্ঠ হওয়ার। সমাজকে এগিয়ে নিতে হলে নারীর হাত শক্তিশালী করতেই হবে। কারণ, যখন একজন নারী এগিয়ে যান, তখন এগিয়ে যায় পুরো মানবসভ্যতা।
বাংলাদেশের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের চাওয়া-পাওয়া, স্বপ্ন-সংগ্রাম আর ভবিষ্যতের প্রত্যাশা কী, কেমন বাংলাদেশ দেখতে চান ইত্যাদি বিষয়গুলোই জানতে চান কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি সাজিদুর রহমান।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী শারমিন জাহান বলেন,"কোন রণে কত খুন দিল নর, লেখা আছে ইতিহাসে
কত নারী দিল সিঁথির সিঁদুর, লেখা নাই তার পাশে।"
তিন বছরের ধর্ষিতা শিশু থেকে শুরু করে ৫৬ বছরের গার্মেন্টস কর্মী নসিমন বিবির পক্ষ থেকে জানাই নারী দিবসের শুভেচ্ছা। সমাজের প্রতিটি স্তরে নারীরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিসরে এখনো তাদের অবস্থান ন্যায্য সম্মান থেকে বঞ্চিত।
রহিমা বানু কেবল কন্যাসন্তানের মা হওয়ার ‘অপরাধে’ স্বামীর নির্যাতনের শিকার হন। প্রীতি, একজন দক্ষ রাজনৈতিক কর্মী হয়েও সিদ্ধান্ত গ্রহণের পরিবর্তে কেবল নেতাদের ফুল দিয়ে বরণ করার কাজেই সীমাবদ্ধ থাকেন। জরিনা, স্বামীর সমান পরিশ্রম করেও তার তুলনায় কম মজুরি পান। এভাবেই নারীদের বৈষম্য ও নির্যাতনের কথা তুলে ধরেন তিনি।
এই বৈষম্য দূর করতে প্রয়োজন আইনি সংস্কার, শিক্ষা ও সচেতনতা বৃদ্ধি, নারীদের রাজনৈতিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা এবং সমাজের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন। নারী দিবস শুধুমাত্র একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়, এটি নারীদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য পরিবর্তনের শপথ নেওয়ার দিন।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ডওয়াংনুং মার্মা বলেন, নারী মানে শুধু সম্পর্কের বন্ধনে সীমাবদ্ধ নয়, নারী শক্তি, ভালোবাসা ও সম্ভাবনার প্রতীক। কিন্তু আজও কি নারীরা নিরাপদ? তাদের অধিকার ও মর্যাদা কি বাস্তবে সুরক্ষিত? এই প্রশ্ন আমার সমাজের কাছে রাষ্ট্রের কাছে। নারীর প্রতি সহিংসতা, শোষণ ও নির্যাতন সমাজের জন্য বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধু নারী দিবস উদযাপন যথেষ্ট নয়, বরং প্রয়োজন বাস্তবিক পরিবর্তন, যেখানে প্রতিটি নারী নির্ভয়ে চলতে পারবে, সমান সুযোগ পাবে এবং নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে। আমরা চাই নারী কেবল এক দিনের আলোচনার বিষয় না হয়ে বরং সারাবছরই সম্মান, নিরাপত্তা ও স্বাধীনতার নিশ্চয়তা পাবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরাসি ভাষা ও সংস্কৃতি বিভাগের ছাত্রী ফাতিহা মনছুর মহুয়া বলেন, নারী অধিকার ও অগ্রগতিতে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়েছে, তবে এখনো সামনে দীর্ঘ পথ বাকি। শিক্ষায়, কর্মক্ষেত্রে, রাজনীতিতে নারীরা নিজেদের জায়গা করে নিচ্ছেন, কিন্তু চিত্রের অন্যপাশে রয়ে গেছে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সীমাবদ্ধতা, গৃহিণীদের শ্রমের স্বীকৃতির অভাব এবং নারীর চলাচলে নিরাপত্তাহীনতা।
তিনি বলেন, সম্মান ও মর্যাদা শুধু আইন দিয়ে নিশ্চিত করা যায় না, এটি সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনের বিষয়। নারী দিবসে প্রশংসার বন্যা বয়ে যায়, কিন্তু এরপর? একদিনের শুভেচ্ছা দিয়ে কি এমন হবে, দরকার সারাবছরের সমতা ও নিরাপত্তা।”
নারী অধিকার মানে শুধু চাকরি পাওয়া নয়, বরং নিজের জীবন ও স্বপ্নের ওপর নারীর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকা। সত্যিকারের নারী দিবস তখনই সফল হবে, যখন প্রতিটি দিন হবে নারীর জন্য নিরাপদ, সম্মানের এবং সমান সম্ভাবনার।
শিউলি আক্তার নামে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী জানান, নারী দিবস শুধু উদযাপনের দিন নয়, এটি নারী অধিকার, সমতা ও মর্যাদার প্রতীক। বাংলার ইতিহাসে নারীর অবদান অপরিসীম। বেগম রোকেয়া, কাদম্বিনী গাঙ্গুলী, সরোজিনী নাইডুর মতো সংগ্রামী নারীরা পথ দেখিয়েছেন। তবু আজও নারীদের শিক্ষা, কর্মক্ষেত্র, সামাজিক মর্যাদা ও নিরাপত্তার জন্য লড়াই করতে হয়। আজও কন্যাসন্তানের জন্ম অনেক পরিবারে উদ্বেগের কারণ, নারীরা বৈষম্যের শিকার এবং তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার পথ এখনো পুরোপুরি সুগম হয়নি। তবে আশার আলোও আছে। নারীরা এখন অধিকারের ব্যাপারে সচেতন, প্রতিবাদ করছেন, কুসংস্কার ভাঙছেন।
নারী দিবস কেবল একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং প্রতিদিনের সংগ্রামের প্রতীক। আমাদের অঙ্গীকার হওয়া উচিত প্রতিটি নারী যেন স্বাধীনভাবে বাঁচতে পারে, নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে পারে এবং সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে সমান সুযোগ পায়। সত্যিকারের সমতার পৃথিবী গড়ার পথে এই হোক আমাদের প্রতিশ্রুতি। হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজের ছাত্রী উম্মে স্বর্ণা বলেন, "নারী" শব্দটি ব্যাখ্যার জন্য কোনো বিশেষণই যথেষ্ট নয়। তিনি মা, মেয়ে, বোন। একাই একাধিক ভূমিকার অধিকারী। কিন্তু আজও কি নারীরা তাদের যথাযথ সম্মান ও অধিকার পাচ্ছেন?
এমনকি ক্ষেত্রবিশেষে নারীরাই নারীদের শত্রু হয়ে দাঁড়ান, পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি মেনে নেন। আইন থাকলেও বিচারপ্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতা নারী নির্যাতনের সুরাহা করে না। তাই নারীর অধিকার নিশ্চিত করতে চাই সচেতনতা ও পারিবারিক শিক্ষার আমূল পরিবর্তন। সমাজকে দায়িত্ব নিতে হবে, শুধু একদিনের আলোচনায় নয়, বরং প্রতিদিন নারীর প্রতি ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে হবে।