নিজস্ব প্রতিবেদক
অধ্যাপক মো. শামছুল ইসলাম কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান। গত ২২ জানুয়ারি তিনি এই পদে যোগদান করেন। এর আগে তিনি সিলেট শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান, হবিগঞ্জ বৃন্দাবন সরকারি কলেজ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের গণিত বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধানসহ বিভিন্ন কলেজে ছিলেন। তিনি লাকসামের নওয়াব ফয়জুন্নেছা সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ ছিলেন। ১৯৯৩ সালে তিনি বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে কক্সবাজার সরকারি কলেজে গণিত বিভাগের প্রভাষক পদে যোগদান করেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি উপজেলার হোসেনপুর গ্রামে। আগামীকাল থেকে অনুষ্ঠেয় এসএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি ও সার্বিক বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা হয়। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আমার শহর পত্রিকার সম্পাদক গাজীউল হক সোহাগ
আমার শহর : কাল থেকে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। প্রস্তুতি কেমন?
মো. শামসুল ইসলাম : নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা হবে। পরীক্ষাকেন্দ্রে কোন ধরনের অনিয়ম বরদাশত করা হবে না। প্রশাসনের সর্বাত্নক সহযোগিতায় এই পরীক্ষা হচ্ছে। পরীক্ষা সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য ভিজিলেন্স টিম গঠন করা হয়েছে। পরীক্ষাকেন্দ্রের দায়িত্ব সকল কর্মকর্তাদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সব ধরনের নির্দেশনা কেন্দ্র সচিবদের দেওয়া হয়েছে। ওনাদের সঙ্গে আমরা ইতিমধ্যে মিটিং করেছি। পরীক্ষার প্রশ্নপত্র , উত্তরপত্র, ওএমআর সীট পৌঁছানো হয়েছে। প্রতিদিনের পরীক্ষার উত্তরপত্র বোর্ডে দিনে দিনে পাঠাতে হবে। আশা করি অভিভাবক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও প্রশাসনের সবার সহযোগিতা নিয়ে একটি সুন্দর পরীক্ষা উপহার দিতে পারব।
আমার শহর : এবার কয়টি কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষা হবে?
মো. শামসুল ইসলাম : আপনি জানেন, বৃহত্তর কুমিল্লা ও বৃহত্তর নোয়াখালীর ছয় জেলা নিয়ে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড । এ বছর ২৭৩ টি কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষা হবে। কুমিল্লা জেলায় ১০২ টি কেন্দ্র আছে। পরীক্ষার্থী ৫৮ হাজার ১৮৯ জন। পুরো বোর্ডে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে ১ লাখ ৬৯ হাজার ৬৮০ জন। এর মধ্যে ছাত্রী ৯৯ হাজার ৫৩০ জন ও ছাত্র ৭০ হাজার ১৫০ জন। ছয় জেলার মধ্যে কুমিল্লায় পরীক্ষার্থী বেশি, কেন্দ্রও বেশি।
আমার শহর : ছাত্রীদের সংখ্যা তো বেশি। বিজ্ঞান বিভাগেও সর্বোচ্চ সংখ্যক পরীক্ষার্থী। মেয়েরা কি পড়াশোনায় ভালো করছে?
মো. শামসুল ইসলাম : গত কয়েক বছরের পরিসংখ্যান দেখলে বুঝা যাচ্ছে মেয়েরা পড়াশোনায় এগিয়ে। ফলাফলেও মেয়েরা ভালো করছে। মেয়েরা ছেলেদের তুলনায় নিয়মিত পড়াশোনা করছে। অহেতুক আড্ডা দিয়ে, মোবাইল ফোন ব্যবহার করে সময় নষ্ট করছে না। আগে বিজ্ঞানে পরীক্ষার্থী কম ছিল। এখন আবার বিজ্ঞানে পরীক্ষার্থী বেড়েছে।
আমার শহর : এ বছরও প্রায় ৫০ হাজারের মতো শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে। ঝরে পড়া রোধে আপনারা কোন ধরনের উদ্যোগ নেবেন কিনা?
মো. শামসুল ইসলাম : দেখুন, ২০২৩ সালে নবম শ্রেণিতে নাম নিবন্ধন ( রেজিস্ট্রেশন) করেছে ১ লাখ ৯৩ হাজার ৩১ জন। এর মধ্যে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৪৬৫ জন এবার এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ করেছে। নিয়মিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৪৯ হাজার ৫৬৬ জন পরীক্ষা দিচ্ছে না। অর্থাৎ এক বছরে ওরা নানা কারণে পরীক্ষা দিতে পারছে না। ঝরে পড়া রোধে আমরা পরীক্ষার পরে প্রতিষ্ঠান প্রধান নিয়ে শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করব।
আমার শহর : পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ কোন নির্দেশনা আছে কি?
মো. শামসুল ইসলাম : পরীক্ষা শুরুর অন্তত আধাঘন্টা আগে পরীক্ষা কক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে। আগে বহুনির্বাচনী ও পরে তত্ত্বীয় ( সৃজনশীল/রচনামূলক) পরীক্ষা হবে। কোন ধরণের বিরতি ছাড়াই পরীক্ষা হবে। পরীক্ষার্থীদের সতর্কতার সঙ্গে তাদের নিজ নিজ উত্তরপত্রের ওএমআর ফরমে পরীক্ষার রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর ও বিষয় কোড লিখে বৃত্ত ভরাট করতে হবে। ওএমআর কোনভাবেই ভাঁজ ও ঘষামাজা করা যাবে না। পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল, প্রোগ্রামিং ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে না।
আমার শহর : কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় বিপুল সংখ্যক ভেন্যু কেন্দ্র আছে। এতে করে এসএসসি পরীক্ষার সময় কলেজ ও এইচএসসি পরীক্ষার সময় স্কুল বন্ধ থাকে। তখন পাঠদান ব্যাহত হয়। এ নিয়ে আপনার বক্তব্য কি?
মো. শামসুল ইসলাম: দেখুন , আমি এখানে যোগদান করার অনেক আগেই এসএসসি পরীক্ষার বেশির ভাগ প্রস্তুতি নেওয়া হয়ে গেছে। যে কারণে এসএসসির ভেন্যুকেন্দ্র নিয়ে আমি কোন ধরনের উদ্যোগ নিতে পারিনি। তবে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডে কোন ধরনের ভেন্যু কেন্দ্র থাকবে না। সেটা নিয়ে এখনই কাজ করছি। অতীতে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডে নানা কারণে ভেন্যু কেন্দ্র ছিল। এইচএসসিতে ভেন্যু কেন্দ্র থাকছে না।
আমার শহর : পরীক্ষার সময় কি কন্ট্রোল রুম থাকবে?
মো. শামসুল ইসলাম : আগামী ১০ এপ্রিল থেকে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডে এসএসসি পরীক্ষা উপলক্ষে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। পরীক্ষার দিন কন্ট্রোল রুমে সব ধরণের তথ্য আদান প্রদান করা হবে। উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ( মাধ্যমিক) কবির উদ্দিন আহমেদ কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে থাকবেন। কন্টোল রুমের ফোন নম্বর হল ০২৩৩৪৪০৬১৭২, ০১৭৭৭৭৬৭৩৭৯, ০১৭০৮৪৩৪৮৩৫ ও ০১৬৭৫৮৬৫৩৪৩।
আমার শহর: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
মো. শামসুল ইসলাম: আমার শহর পত্রিকার সকল পাঠককেও ধন্যবাদ।
অধ্যাপক মো. শামছুল ইসলাম কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান। গত ২২ জানুয়ারি তিনি এই পদে যোগদান করেন। এর আগে তিনি সিলেট শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান, হবিগঞ্জ বৃন্দাবন সরকারি কলেজ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের গণিত বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধানসহ বিভিন্ন কলেজে ছিলেন। তিনি লাকসামের নওয়াব ফয়জুন্নেছা সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ ছিলেন। ১৯৯৩ সালে তিনি বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে কক্সবাজার সরকারি কলেজে গণিত বিভাগের প্রভাষক পদে যোগদান করেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি উপজেলার হোসেনপুর গ্রামে। আগামীকাল থেকে অনুষ্ঠেয় এসএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি ও সার্বিক বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা হয়। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আমার শহর পত্রিকার সম্পাদক গাজীউল হক সোহাগ
আমার শহর : কাল থেকে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। প্রস্তুতি কেমন?
মো. শামসুল ইসলাম : নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা হবে। পরীক্ষাকেন্দ্রে কোন ধরনের অনিয়ম বরদাশত করা হবে না। প্রশাসনের সর্বাত্নক সহযোগিতায় এই পরীক্ষা হচ্ছে। পরীক্ষা সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য ভিজিলেন্স টিম গঠন করা হয়েছে। পরীক্ষাকেন্দ্রের দায়িত্ব সকল কর্মকর্তাদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সব ধরনের নির্দেশনা কেন্দ্র সচিবদের দেওয়া হয়েছে। ওনাদের সঙ্গে আমরা ইতিমধ্যে মিটিং করেছি। পরীক্ষার প্রশ্নপত্র , উত্তরপত্র, ওএমআর সীট পৌঁছানো হয়েছে। প্রতিদিনের পরীক্ষার উত্তরপত্র বোর্ডে দিনে দিনে পাঠাতে হবে। আশা করি অভিভাবক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও প্রশাসনের সবার সহযোগিতা নিয়ে একটি সুন্দর পরীক্ষা উপহার দিতে পারব।
আমার শহর : এবার কয়টি কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষা হবে?
মো. শামসুল ইসলাম : আপনি জানেন, বৃহত্তর কুমিল্লা ও বৃহত্তর নোয়াখালীর ছয় জেলা নিয়ে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড । এ বছর ২৭৩ টি কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষা হবে। কুমিল্লা জেলায় ১০২ টি কেন্দ্র আছে। পরীক্ষার্থী ৫৮ হাজার ১৮৯ জন। পুরো বোর্ডে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে ১ লাখ ৬৯ হাজার ৬৮০ জন। এর মধ্যে ছাত্রী ৯৯ হাজার ৫৩০ জন ও ছাত্র ৭০ হাজার ১৫০ জন। ছয় জেলার মধ্যে কুমিল্লায় পরীক্ষার্থী বেশি, কেন্দ্রও বেশি।
আমার শহর : ছাত্রীদের সংখ্যা তো বেশি। বিজ্ঞান বিভাগেও সর্বোচ্চ সংখ্যক পরীক্ষার্থী। মেয়েরা কি পড়াশোনায় ভালো করছে?
মো. শামসুল ইসলাম : গত কয়েক বছরের পরিসংখ্যান দেখলে বুঝা যাচ্ছে মেয়েরা পড়াশোনায় এগিয়ে। ফলাফলেও মেয়েরা ভালো করছে। মেয়েরা ছেলেদের তুলনায় নিয়মিত পড়াশোনা করছে। অহেতুক আড্ডা দিয়ে, মোবাইল ফোন ব্যবহার করে সময় নষ্ট করছে না। আগে বিজ্ঞানে পরীক্ষার্থী কম ছিল। এখন আবার বিজ্ঞানে পরীক্ষার্থী বেড়েছে।
আমার শহর : এ বছরও প্রায় ৫০ হাজারের মতো শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে। ঝরে পড়া রোধে আপনারা কোন ধরনের উদ্যোগ নেবেন কিনা?
মো. শামসুল ইসলাম : দেখুন, ২০২৩ সালে নবম শ্রেণিতে নাম নিবন্ধন ( রেজিস্ট্রেশন) করেছে ১ লাখ ৯৩ হাজার ৩১ জন। এর মধ্যে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৪৬৫ জন এবার এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ করেছে। নিয়মিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৪৯ হাজার ৫৬৬ জন পরীক্ষা দিচ্ছে না। অর্থাৎ এক বছরে ওরা নানা কারণে পরীক্ষা দিতে পারছে না। ঝরে পড়া রোধে আমরা পরীক্ষার পরে প্রতিষ্ঠান প্রধান নিয়ে শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করব।
আমার শহর : পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ কোন নির্দেশনা আছে কি?
মো. শামসুল ইসলাম : পরীক্ষা শুরুর অন্তত আধাঘন্টা আগে পরীক্ষা কক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে। আগে বহুনির্বাচনী ও পরে তত্ত্বীয় ( সৃজনশীল/রচনামূলক) পরীক্ষা হবে। কোন ধরণের বিরতি ছাড়াই পরীক্ষা হবে। পরীক্ষার্থীদের সতর্কতার সঙ্গে তাদের নিজ নিজ উত্তরপত্রের ওএমআর ফরমে পরীক্ষার রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর ও বিষয় কোড লিখে বৃত্ত ভরাট করতে হবে। ওএমআর কোনভাবেই ভাঁজ ও ঘষামাজা করা যাবে না। পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল, প্রোগ্রামিং ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে না।
আমার শহর : কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় বিপুল সংখ্যক ভেন্যু কেন্দ্র আছে। এতে করে এসএসসি পরীক্ষার সময় কলেজ ও এইচএসসি পরীক্ষার সময় স্কুল বন্ধ থাকে। তখন পাঠদান ব্যাহত হয়। এ নিয়ে আপনার বক্তব্য কি?
মো. শামসুল ইসলাম: দেখুন , আমি এখানে যোগদান করার অনেক আগেই এসএসসি পরীক্ষার বেশির ভাগ প্রস্তুতি নেওয়া হয়ে গেছে। যে কারণে এসএসসির ভেন্যুকেন্দ্র নিয়ে আমি কোন ধরনের উদ্যোগ নিতে পারিনি। তবে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডে কোন ধরনের ভেন্যু কেন্দ্র থাকবে না। সেটা নিয়ে এখনই কাজ করছি। অতীতে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডে নানা কারণে ভেন্যু কেন্দ্র ছিল। এইচএসসিতে ভেন্যু কেন্দ্র থাকছে না।
আমার শহর : পরীক্ষার সময় কি কন্ট্রোল রুম থাকবে?
মো. শামসুল ইসলাম : আগামী ১০ এপ্রিল থেকে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডে এসএসসি পরীক্ষা উপলক্ষে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। পরীক্ষার দিন কন্ট্রোল রুমে সব ধরণের তথ্য আদান প্রদান করা হবে। উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ( মাধ্যমিক) কবির উদ্দিন আহমেদ কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে থাকবেন। কন্টোল রুমের ফোন নম্বর হল ০২৩৩৪৪০৬১৭২, ০১৭৭৭৭৬৭৩৭৯, ০১৭০৮৪৩৪৮৩৫ ও ০১৬৭৫৮৬৫৩৪৩।
আমার শহর: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
মো. শামসুল ইসলাম: আমার শহর পত্রিকার সকল পাঠককেও ধন্যবাদ।