নিজস্ব প্রতিবেদক
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষক ও এক কর্মকর্তাকে গত ছয়মাসে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের বসে বসে বেতন ভাতা দেওয়া হচ্ছে। তদন্তে দীর্ঘসূত্রতার কারণে তাঁরা কোন ধরনের পদক্ষেপও নিতে পারছেন না। এর বাইরে এক কর্মকর্তাকে ফৌজদারি মামলার কারণে সাময়িক সাসপেন্ড করা হয়েছে। চলতি বছরের মার্চ মাসেই তিনটি ঘটনা ঘটে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১ অক্টোবর কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ষষ্ঠ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন কে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়। একই সঙ্গে তাঁর ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। তিনিও চান্দিনার ভাড়া বাসায় বসে বেতন ভাতাদি পাচ্ছেন।
আর্থিক ও প্রশাসনিক অনিয়মের অভিযোগে গত ৩ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মজিবুর রহমান মজুমদারকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়। একই সঙ্গে তাঁকে ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। তবে তিনি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশের পর দোষী সাব্যস্ত হলে বেতন ভাতাদি পাবেন না। বর্তমানে ঢাকার সেগুনবাগিচার বাসায় বসে বসে তিনি বেতন ভাতা পাচ্ছেন।
প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে গত ১২ মার্চ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী এম আনিছুল ইসলামকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়। তাঁকেও ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। তাঁর কক্ষও প্রশাসনের পক্ষ থেকে সিলগালা করা হয়। তিনিও ঢাকায় বসে বসে বেতন ভাতা পাচ্ছেন।
২০ মার্চ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ জাকির হোসেনকে চাকরি থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। তবে তিনি বরখাস্তকালীন ভাতা পাচ্ছেন। বর্তমানে তিনি কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন। গত ১৩ জানুয়ারি তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী একদল ছাত্র রেজিস্ট্রার দপ্তরে গিয়ে আটক করে। এরপর প্রশাসনের মাধ্যমে তাঁকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে সদর দক্ষিণ মডেল থানায় ফৌজদারি মামলা ছিল। ওই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। সরকারি চাকরিবিধি মোতাবেক তাঁকে সাময়িক সাসপেন্ড করা হয়।
ভুক্তভোগী শিক্ষক ও কর্মকর্তার দাবি, কোন ধরনের নিয়ম না মেনে তাঁদের বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়। তাঁদের ভাষ্য, অভিযোগ এলে আগে শোকজ করবে। আমরা জবাব দিব। এতে সন্তুষ্ট না হলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু আমাদের বেলায় উল্টো হল। আমরা ক্যাম্পাসের কোন সম্পদ বিনষ্ট করিনি, কাউকে হুমকি দিইনি- তাহলে ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা হবে কেন? এখন আমরা বাসা বাড়িতে বসে বেতন ভাতা পাচ্ছি। আমরা তো কাজ করতে চাই। দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন চাই।
জানতে চাইলে রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন,‘ যাঁদের বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। কর্তৃপক্ষ নিয়ম মেনেই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে কাজ করছে। ডেপুটি রেজিস্ট্রার জাকিরকে ফৌজদারি মামলায় পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। ওই কারণে বিধি মোতাবেক তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষক ও এক কর্মকর্তাকে গত ছয়মাসে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের বসে বসে বেতন ভাতা দেওয়া হচ্ছে। তদন্তে দীর্ঘসূত্রতার কারণে তাঁরা কোন ধরনের পদক্ষেপও নিতে পারছেন না। এর বাইরে এক কর্মকর্তাকে ফৌজদারি মামলার কারণে সাময়িক সাসপেন্ড করা হয়েছে। চলতি বছরের মার্চ মাসেই তিনটি ঘটনা ঘটে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১ অক্টোবর কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ষষ্ঠ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন কে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়। একই সঙ্গে তাঁর ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। তিনিও চান্দিনার ভাড়া বাসায় বসে বেতন ভাতাদি পাচ্ছেন।
আর্থিক ও প্রশাসনিক অনিয়মের অভিযোগে গত ৩ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মজিবুর রহমান মজুমদারকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়। একই সঙ্গে তাঁকে ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। তবে তিনি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশের পর দোষী সাব্যস্ত হলে বেতন ভাতাদি পাবেন না। বর্তমানে ঢাকার সেগুনবাগিচার বাসায় বসে বসে তিনি বেতন ভাতা পাচ্ছেন।
প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে গত ১২ মার্চ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী এম আনিছুল ইসলামকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়। তাঁকেও ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। তাঁর কক্ষও প্রশাসনের পক্ষ থেকে সিলগালা করা হয়। তিনিও ঢাকায় বসে বসে বেতন ভাতা পাচ্ছেন।
২০ মার্চ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ জাকির হোসেনকে চাকরি থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। তবে তিনি বরখাস্তকালীন ভাতা পাচ্ছেন। বর্তমানে তিনি কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন। গত ১৩ জানুয়ারি তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী একদল ছাত্র রেজিস্ট্রার দপ্তরে গিয়ে আটক করে। এরপর প্রশাসনের মাধ্যমে তাঁকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে সদর দক্ষিণ মডেল থানায় ফৌজদারি মামলা ছিল। ওই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। সরকারি চাকরিবিধি মোতাবেক তাঁকে সাময়িক সাসপেন্ড করা হয়।
ভুক্তভোগী শিক্ষক ও কর্মকর্তার দাবি, কোন ধরনের নিয়ম না মেনে তাঁদের বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়। তাঁদের ভাষ্য, অভিযোগ এলে আগে শোকজ করবে। আমরা জবাব দিব। এতে সন্তুষ্ট না হলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু আমাদের বেলায় উল্টো হল। আমরা ক্যাম্পাসের কোন সম্পদ বিনষ্ট করিনি, কাউকে হুমকি দিইনি- তাহলে ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা হবে কেন? এখন আমরা বাসা বাড়িতে বসে বেতন ভাতা পাচ্ছি। আমরা তো কাজ করতে চাই। দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন চাই।
জানতে চাইলে রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন,‘ যাঁদের বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। কর্তৃপক্ষ নিয়ম মেনেই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে কাজ করছে। ডেপুটি রেজিস্ট্রার জাকিরকে ফৌজদারি মামলায় পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। ওই কারণে বিধি মোতাবেক তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’