কুমিল্লা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম
সাক্ষাৎকার
আমার শহর ডেস্ক
কুমিল্লা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে গত বছরের ১২ নভেম্বর যোগদান করেন মো. নজরুল ইসলাম। তিনি বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ২৮তম ব্যাচের কর্মকর্তা। এক সময় তিনি লালমাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ছিলেন। কুমিল্লা জেলা পরিষদে যোগদানের পর তিনি বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার ও বেহাত জায়গা উদ্ধার করেন। জেলা পরিষদকে গতিশীল করার জন্য নানামুখী কাজ করছেন। পরিষদের কাজের পরিধি ও নানা ধরনের বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন আমার শহরের সম্পাদক গাজীউল হক সোহাগ।
আমার শহর: জেলা পরিষদের কাজ কি?
মো. নজরুল ইসলাম: জেলা পরিষদ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধিভুক্ত একটি সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান। এর মাধ্যমে সমাজকল্যাণ, সেবামূলক ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম হয়ে থাকে। মূলত জেলা পরিষদের কাজ হল কল্যাণমূলক উন্নয়ন ও সম্পদের রক্ষণাবেক্ষণ করা। জনকল্যাণে কাজ করা।
আমার শহর: কুমিল্লা জেলা পরিষদ কি জনগণের কল্যাণে প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করছে? মো. নজরুল ইসলাম: কুমিল্লা প্রাচীন জেলা শহর। এ জেলায় ১৭ টি উপজেলা আছে। প্রতিটি উপজেলায় জেলা পরিষদের স্থাপনা, জায়গা ও মার্কেট আছে। এগুলো থেকে প্রচুর পরিমাণে রাজস্ব আসে। রাজস্ব আয় থেকে জনগণের জন্য নানা ধরনের কল্যাণমূলক কাজ করা হয়।
আমার শহর: কুমিল্লা জেলা পরিষদের মার্কেট ব্যবস্থাপনা নিয়ে নানা ধরনের অভিযোগ আছে। আপনাদের কয়টি মার্কেট আছে।
মো. নজরুল ইসলাম: কুমিল্লা জেলা ছোট বড় মিলিয়ে আমাদের ১১ টি মার্কেট আছে। এর মধ্যে লাকসামের মুদাফরগঞ্জে, মুরাদনগরের সদরে, কোম্পানীগঞ্জে, বাঙ্গরা বাজারে, কুমিল্লা নগরের এসএ বারী মার্কেট, ডায়াবেটিক হাসপাতালের পাশের মার্কেট ও রেসকোর্স পদচারী সেতুর লাগোয়া মার্কেট। এগুলোর নির্মাণ কাজ, ঠিকাদারের বিল পাওয়া নিয়ে নানা ধরনের অভিযোগ আছে। আমরা সমস্যা থেকে উত্তরণের চেষ্টা করছি।
আমার শহর: জেলা পরিষদের পশ্চিম বাগিচাগাঁও এলাকার পুকুর ও এর তিনপাড়ের জায়গায় কি করবেন?
মো. নজরুল ইসলাম: সেখানে ২৮১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩১ তলা বিশিষ্ট জেলা পরিষদ বাগিচাগাঁও বহুমুখী টাওয়ার হবে। পুকুরের চারপাড় বাঁধানো হবে। সেখানে কমিউনিটি সেন্টারসহ নানা ধরনের স্থাপনা হবে। যা জনকল্যাণকর। এটি বাস্তবায়িত হলে আধুনিকায়নের সব সুযোগ সুবিধা মিলবে।
আমার শহর: চলতি অর্থবছরে আপনাদের কি ধরনের কাজ চলছে? বাজেট কত?
মো. নজরুল ইসলাম: ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে কুমিল্লা জেলা পরিষদ ৫১ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে। এর মধ্যে ব্যবস্থাপনা বাবদ বাজেট ২০ কোটি ৩০ লাখ টাকা। উন্নয়ন কাজ হচ্ছে ১৭ কোটি টাকার। অবশিষ্ট টাকার প্রকল্প পরে নেওয়া হবে। এই অর্থ বছরে জেলা পরিষদ রাজস্ব খাতে ১৫৫ টি ও এডিপি ( বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি) খাতে ৭১ টি কাজ করছে। আগামী ৩০ জুনের মধ্যে ওই কাজ শেষ হবে।
আমার শহর: আপনি এখানে যোগদানের পর কি কি ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন?
মো. নজরুল ইসলাম: গত দুই মাসে আমি জেলা পরিষদকে অটোমেশন পর্যায়ে নিচ্ছি। ক্যাশলেস ও পেপারলেস ব্যবস্থাপনা করছি। এটা বাস্তবায়িত হলে কুমিল্লা জেলা পরিষদ থেকে জনভোগান্তি দূর হবে। মানুষ হয়রানিমুক্ত হবে। প্রত্যাশিত সেবা পাবে। দ্রুত গতিতে ওই কাজ চলছে। এছাড়া গত দেড় মাস ধরে যাবতীয় টেন্ডার ইজিপিতে হচ্ছে। আগে এখানে পূর্ণাঙ্গভাবে ইজিপি ছিল না। এক সময় এখানে ঠিকাদারদের বিশৃঙ্খলা ও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপে নৈরাজ্য ছিল। টেন্ডারে ছিল নানা ধরনের অনিয়ম।
আমার শহর: কুমিল্লা জেলা পরিষদের বহু জায়গা বেদখল হয়ে গেছে। এগুলো উদ্ধারের কোন পদক্ষেপ নিয়েছেন কি না?
মো. নজরুল ইসলাম: আমি এখানে যোগদানের পর ১২৭ শতক জায়গা উদ্ধার করেছি। এর মধ্যে পুকুর, মার্কেট ও জমি আছে। বুড়িচং উপজেলা সদরে ৮৭ শতকের একটি পুকুর উদ্ধার করেছি। এটি ১৭ বছর ধরে বেহাত ছিল। আমরা সেখানে প্রতিরক্ষা দেওয়াল, পুকুরের চারপাশে হাঁটার পথ, ফুড কোর্ট করছি। সেখানে জনগণের জন্য বিনোদনের ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া হোমনা পৌরসভা জেলা পরিষদের ২৩ শতক জায়গা দখলে রেখেছিল। সেখান থেকে পৌরসভাকে উচ্ছেদ করা হয়েছে।
আমার শহর: কি পরিমাণ সম্পদ বেদখল ও বেহাত আছে?
মো. নজরুল ইসলাম: আমার জানামতে ৬৫০-৭০০ শতকের মতো জায়গা বেহাত আছে। ময়নামতি রেস্ট হাউজ, শাসনগাছা, দেবীদ্বার, মুরাদনগর ও দাউদকান্দি এলাকায় এই পরিমাণ সম্পত্তি বেহাত আছে। সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ জেলার বিভিন্ন স্থানে জেলা পরিষদ থেকে জায়গা নিয়েছে। কিন্তু জেলা পরিষদ এখনও কর দিচ্ছে। এগুলো উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
আমার শহর: আপনার পরিষদে জনবল সংকট কেমন?
মো. নজরুল ইসলাম: কোন ধরনের লোকবল সংকট নেই। ৩৩ টি পদের মধ্যে একটি পদ শূন্য। ওই পদে লোক নিয়োগের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। এমনিতে মাস্টাররোলে কাজ করছেন ২০ জন। তাঁরা দৈনিক ৫৫০ টাকা করে পাচ্ছেন।
আমার শহর: আপনাকে ধন্যবাদ
মো. নজরুল ইসলাম: আপনাকেও ধন্যবাদ।
কুমিল্লা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে গত বছরের ১২ নভেম্বর যোগদান করেন মো. নজরুল ইসলাম। তিনি বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ২৮তম ব্যাচের কর্মকর্তা। এক সময় তিনি লালমাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ছিলেন। কুমিল্লা জেলা পরিষদে যোগদানের পর তিনি বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার ও বেহাত জায়গা উদ্ধার করেন। জেলা পরিষদকে গতিশীল করার জন্য নানামুখী কাজ করছেন। পরিষদের কাজের পরিধি ও নানা ধরনের বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন আমার শহরের সম্পাদক গাজীউল হক সোহাগ।
আমার শহর: জেলা পরিষদের কাজ কি?
মো. নজরুল ইসলাম: জেলা পরিষদ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধিভুক্ত একটি সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান। এর মাধ্যমে সমাজকল্যাণ, সেবামূলক ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম হয়ে থাকে। মূলত জেলা পরিষদের কাজ হল কল্যাণমূলক উন্নয়ন ও সম্পদের রক্ষণাবেক্ষণ করা। জনকল্যাণে কাজ করা।
আমার শহর: কুমিল্লা জেলা পরিষদ কি জনগণের কল্যাণে প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করছে? মো. নজরুল ইসলাম: কুমিল্লা প্রাচীন জেলা শহর। এ জেলায় ১৭ টি উপজেলা আছে। প্রতিটি উপজেলায় জেলা পরিষদের স্থাপনা, জায়গা ও মার্কেট আছে। এগুলো থেকে প্রচুর পরিমাণে রাজস্ব আসে। রাজস্ব আয় থেকে জনগণের জন্য নানা ধরনের কল্যাণমূলক কাজ করা হয়।
আমার শহর: কুমিল্লা জেলা পরিষদের মার্কেট ব্যবস্থাপনা নিয়ে নানা ধরনের অভিযোগ আছে। আপনাদের কয়টি মার্কেট আছে।
মো. নজরুল ইসলাম: কুমিল্লা জেলা ছোট বড় মিলিয়ে আমাদের ১১ টি মার্কেট আছে। এর মধ্যে লাকসামের মুদাফরগঞ্জে, মুরাদনগরের সদরে, কোম্পানীগঞ্জে, বাঙ্গরা বাজারে, কুমিল্লা নগরের এসএ বারী মার্কেট, ডায়াবেটিক হাসপাতালের পাশের মার্কেট ও রেসকোর্স পদচারী সেতুর লাগোয়া মার্কেট। এগুলোর নির্মাণ কাজ, ঠিকাদারের বিল পাওয়া নিয়ে নানা ধরনের অভিযোগ আছে। আমরা সমস্যা থেকে উত্তরণের চেষ্টা করছি।
আমার শহর: জেলা পরিষদের পশ্চিম বাগিচাগাঁও এলাকার পুকুর ও এর তিনপাড়ের জায়গায় কি করবেন?
মো. নজরুল ইসলাম: সেখানে ২৮১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩১ তলা বিশিষ্ট জেলা পরিষদ বাগিচাগাঁও বহুমুখী টাওয়ার হবে। পুকুরের চারপাড় বাঁধানো হবে। সেখানে কমিউনিটি সেন্টারসহ নানা ধরনের স্থাপনা হবে। যা জনকল্যাণকর। এটি বাস্তবায়িত হলে আধুনিকায়নের সব সুযোগ সুবিধা মিলবে।
আমার শহর: চলতি অর্থবছরে আপনাদের কি ধরনের কাজ চলছে? বাজেট কত?
মো. নজরুল ইসলাম: ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে কুমিল্লা জেলা পরিষদ ৫১ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে। এর মধ্যে ব্যবস্থাপনা বাবদ বাজেট ২০ কোটি ৩০ লাখ টাকা। উন্নয়ন কাজ হচ্ছে ১৭ কোটি টাকার। অবশিষ্ট টাকার প্রকল্প পরে নেওয়া হবে। এই অর্থ বছরে জেলা পরিষদ রাজস্ব খাতে ১৫৫ টি ও এডিপি ( বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি) খাতে ৭১ টি কাজ করছে। আগামী ৩০ জুনের মধ্যে ওই কাজ শেষ হবে।
আমার শহর: আপনি এখানে যোগদানের পর কি কি ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন?
মো. নজরুল ইসলাম: গত দুই মাসে আমি জেলা পরিষদকে অটোমেশন পর্যায়ে নিচ্ছি। ক্যাশলেস ও পেপারলেস ব্যবস্থাপনা করছি। এটা বাস্তবায়িত হলে কুমিল্লা জেলা পরিষদ থেকে জনভোগান্তি দূর হবে। মানুষ হয়রানিমুক্ত হবে। প্রত্যাশিত সেবা পাবে। দ্রুত গতিতে ওই কাজ চলছে। এছাড়া গত দেড় মাস ধরে যাবতীয় টেন্ডার ইজিপিতে হচ্ছে। আগে এখানে পূর্ণাঙ্গভাবে ইজিপি ছিল না। এক সময় এখানে ঠিকাদারদের বিশৃঙ্খলা ও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপে নৈরাজ্য ছিল। টেন্ডারে ছিল নানা ধরনের অনিয়ম।
আমার শহর: কুমিল্লা জেলা পরিষদের বহু জায়গা বেদখল হয়ে গেছে। এগুলো উদ্ধারের কোন পদক্ষেপ নিয়েছেন কি না?
মো. নজরুল ইসলাম: আমি এখানে যোগদানের পর ১২৭ শতক জায়গা উদ্ধার করেছি। এর মধ্যে পুকুর, মার্কেট ও জমি আছে। বুড়িচং উপজেলা সদরে ৮৭ শতকের একটি পুকুর উদ্ধার করেছি। এটি ১৭ বছর ধরে বেহাত ছিল। আমরা সেখানে প্রতিরক্ষা দেওয়াল, পুকুরের চারপাশে হাঁটার পথ, ফুড কোর্ট করছি। সেখানে জনগণের জন্য বিনোদনের ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া হোমনা পৌরসভা জেলা পরিষদের ২৩ শতক জায়গা দখলে রেখেছিল। সেখান থেকে পৌরসভাকে উচ্ছেদ করা হয়েছে।
আমার শহর: কি পরিমাণ সম্পদ বেদখল ও বেহাত আছে?
মো. নজরুল ইসলাম: আমার জানামতে ৬৫০-৭০০ শতকের মতো জায়গা বেহাত আছে। ময়নামতি রেস্ট হাউজ, শাসনগাছা, দেবীদ্বার, মুরাদনগর ও দাউদকান্দি এলাকায় এই পরিমাণ সম্পত্তি বেহাত আছে। সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ জেলার বিভিন্ন স্থানে জেলা পরিষদ থেকে জায়গা নিয়েছে। কিন্তু জেলা পরিষদ এখনও কর দিচ্ছে। এগুলো উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
আমার শহর: আপনার পরিষদে জনবল সংকট কেমন?
মো. নজরুল ইসলাম: কোন ধরনের লোকবল সংকট নেই। ৩৩ টি পদের মধ্যে একটি পদ শূন্য। ওই পদে লোক নিয়োগের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। এমনিতে মাস্টাররোলে কাজ করছেন ২০ জন। তাঁরা দৈনিক ৫৫০ টাকা করে পাচ্ছেন।
আমার শহর: আপনাকে ধন্যবাদ
মো. নজরুল ইসলাম: আপনাকেও ধন্যবাদ।