বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়া
গাজীউল হক সোহাগ
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়া। তাঁর গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার মানিকারচর ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামে। তিনি শিক্ষক নেতা হিসেবে শিক্ষক সমাজের কাছে বেশি পরিচিত। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি কুমিল্লা-২ ( হোমনা ও মেঘনা) আসনে বিএনপি থেকে নির্বাচন করতে চান। কুমিল্লায় বিএনপির তৃণমূলের সাংগঠনিক অবস্থা, ৫ আগস্টের পর শিক্ষকদের জোর করে পদত্যাগে বাধ্য করা, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দুই কেন্দ্রীয় নেতার প্রভাব নিয়ে তাঁর সঙ্গে গতকাল সোমবার বিকেলে কুমিল্লা নগরের জিলা স্কুল সড়কের বধূয়া ফুড ভিলেজে কথা হয়। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আমার শহর সম্পাদক গাজীউল হক সোহাগ
আমার শহর: বিএনপি নেতা হলেও আপনি তো শিক্ষক নেতা হিসেবে বেশি পরিচিত। কোন পরিচয় আপনার কাছে প্রধান?
মো. সেলিম ভূঁইয়া: ১৯৭৮ সাল থেকেই আমি জাগো দলের যুব সংগঠনের মধ্য দিয়ে বিএনপিতে যুক্ত হই। এরপর থেকে বিএনপির সুদিনে দুর্দিনে দলে আছি। আমার ওপর অর্পিত সাংগঠনিক দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছি। রাজনীতির পাশাপাশি শিক্ষকতা পেশা চালিয়ে যাচ্ছি। শিক্ষকদের দাবিদাওয়া নিয়ে সবসময়ই সোচ্চার আছি। শিক্ষক ও কর্মচারীদের উৎসব ভাতা নিয়ে আন্দোলন করছি। শিক্ষক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করা নিয়ে আন্দোলন করছি। আমি শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান। দুইটি পরিচয়ই আমি গুরুত্বের সঙ্গে বহন করছি।
আমার শহর: ৫ আগস্টের পর দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের প্রকাশ্যে হয়রানি করা হয়। ফ্যাসিস্ট অ্যাখ্যা দিয়ে অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের হেনস্তা করা হয়, গায়ে হাত তোলা হয়। অনেক শিক্ষক এখনও প্রতিষ্ঠানে ফিরতে পারেননি। চাকরি হারিয়ে বেকার। একজন শিক্ষক নেতা হিসেবে এটাকে কিভাবে দেখছেন?
মো. সেলিম ভূঁইয়া: শিক্ষকদের হেনস্তা করা কোনভাবেই মানতে পারিনি। আমি এটাকে সমর্থন করি না। যাঁরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বসে রাজনৈতিক কার্যক্রম চালিয়েছেন, তাঁদের প্রতিষ্ঠানে ঢুকতে সমস্যা হচ্ছে। বিনা অপরাধে যাঁদের মব জাস্টিজ করে হটানো হয়, সেটা সমর্থন করি না। আমরা তাঁদের নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফিরিয়ে আনছি। সেটি চলমান আছে। তাঁরা ফিরবেন। একজন শিক্ষককে ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করে চেয়ার থেকে তুলে দেওয়া মহা অন্যায়।
আমার শহর: ভবিষ্যতে বিএনপি ক্ষমতায় এলে তাঁদের কি ফিরিয়ে আনবেন?
মো. সেলিম ভূঁইয়া: যাঁরা দলবাজি করেনি, শিক্ষকতার মতো মহান পেশাকে ধারণ করেছেন, তাঁদের আমরা ফিরিয়ে আনব। সত্যিকারের শিক্ষকেরা ফিরে আসবেন। এখনই অনেকে ফিরেছেন।
আমার শহর: আপনি তো কুমিল্লা জেলার বাসিন্দা। কুমিল্লায় বিএনপির সাংগঠনিক অবস্থা কেমন?
মো. সেলিম ভূঁইয়া: কুমিল্লার বেশিরভাগ উপজেলায় বিএনপির কমিটি আছে। দক্ষিণে সাংগঠনিক সভা ও সম্মেলন চলছে। উত্তরে দেবীদ্বার, মুরাদনগর, তিতাস ও দাউদকান্দিতে সম্মেলন হয়নি। ৩০ জুনের মধ্যে আমরা করে দেব সব উপজেলা কমিটি। বিএনপি এখন আরও শক্তিশালী। সব জায়গায় নেতৃত্বে প্রতিযোগিতা আছে, দ্বন্দ্ব নেই। কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা কমিটি তো ফেব্রুয়ারি থেকে সাংগঠনিক কার্যক্রমে বেশ এগিয়ে। ওয়ার্ড সম্মেলনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা যাচ্ছেন। জেলা নেতারা যাচ্ছেন। এটা দলের জন্য ইতিবাচক। আগেও তো এইভাবে কেউ যেতেন না।
আমার শহর: আপনার মেঘনা উপজেলার খবর কি?
মো. সেলিম ভূঁইয়া: আমার এলাকায় কোন দ্বন্দ্ব নেই।
আমার শহর: মেঘনার বিএনপি নেতা রমিজ উদ্দিন লন্ডনী কি দলে আছেন?
মো. সেলিম ভুঁইয়া: রমিজ এ পর্যন্ত চারবার দল থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন। সর্বশেষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচন করায় তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। বহিষ্কৃত নেতা তো দল করতে পারেন না।
আমার শহর: হোমনা উপজেলা বিএনপির কমিটি কি আছে?
মো. সেলিম ভূঁইয়া: হোমনায় যাঁরা দীর্ঘসময় দায়িত্বে ছিলেন তাঁরা সংগঠনকে স্থবির রেখেছিলেন। তাঁরা কমিটি করতে পারেনি। এখন প্রাণ ফিরে পেয়েছে।
আমার শহর: সম্প্রতি কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ও মহানগর বিএনপি কার্যালয়ে ছাত্রদলের পদবঞ্চিতরা আগুন দিয়েছে, ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। বিএনপি কি ব্যবস্থা নিয়েছে?
মো. সেলিম ভূঁইয়া: এটা স্থানীয় বিএনপি নেতারা দেখছেন।
আমার শহর: এনসিপির দুই নেতা মুরাদনগরে আসিফ ও দেবীদ্বার থেকে হাসনাত নির্বাচন করতে চান। কুমিল্লায় এনসিপির কার্যক্রম নিয়ে আপনার মন্তব্য কি?
মো. সেলিম ভূঁইয়া: প্রথমত এনসিপি কোনো রাজনৈতিক দল না। এটা রাজার পার্টি। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় এনসিপি হয়েছে। মুরাদনগরে কায়কোবাদের সঙ্গে আসিফ কিভাবে রাজনৈতিকভাবে টিকবে? দেবীদ্বারে মঞ্জুরুল আহসান মুন্সীর সঙ্গে হাসনাত টক্কর দেবে? অভিজ্ঞ নেতাদের সঙ্গে শিশুরা কুলিয়ে উঠতে পারবে না।
আমার শহর: আপনার কি মনে হয় আগামী জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে?
মো. সেলিম ভূঁইয়া: আমি মনে করি, সরকার ডিসেম্বরেই নির্বাচন দিতে বাধ্য থাকবে। নির্বাচনের কোন বিকল্প নেই। সরকারকে নির্বাচন দিতে হবে, তা না হলে দেশ ক্রাইসিসে পড়বে।
আমার শহর: আপনাকে ধন্যবাদ
মো. সেলিম ভূঁইয়া: আমার শহরের লেখক, সাংবাদিক ও পাঠকদেরও ধন্যবাদ।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়া। তাঁর গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার মানিকারচর ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামে। তিনি শিক্ষক নেতা হিসেবে শিক্ষক সমাজের কাছে বেশি পরিচিত। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি কুমিল্লা-২ ( হোমনা ও মেঘনা) আসনে বিএনপি থেকে নির্বাচন করতে চান। কুমিল্লায় বিএনপির তৃণমূলের সাংগঠনিক অবস্থা, ৫ আগস্টের পর শিক্ষকদের জোর করে পদত্যাগে বাধ্য করা, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দুই কেন্দ্রীয় নেতার প্রভাব নিয়ে তাঁর সঙ্গে গতকাল সোমবার বিকেলে কুমিল্লা নগরের জিলা স্কুল সড়কের বধূয়া ফুড ভিলেজে কথা হয়। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আমার শহর সম্পাদক গাজীউল হক সোহাগ
আমার শহর: বিএনপি নেতা হলেও আপনি তো শিক্ষক নেতা হিসেবে বেশি পরিচিত। কোন পরিচয় আপনার কাছে প্রধান?
মো. সেলিম ভূঁইয়া: ১৯৭৮ সাল থেকেই আমি জাগো দলের যুব সংগঠনের মধ্য দিয়ে বিএনপিতে যুক্ত হই। এরপর থেকে বিএনপির সুদিনে দুর্দিনে দলে আছি। আমার ওপর অর্পিত সাংগঠনিক দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছি। রাজনীতির পাশাপাশি শিক্ষকতা পেশা চালিয়ে যাচ্ছি। শিক্ষকদের দাবিদাওয়া নিয়ে সবসময়ই সোচ্চার আছি। শিক্ষক ও কর্মচারীদের উৎসব ভাতা নিয়ে আন্দোলন করছি। শিক্ষক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করা নিয়ে আন্দোলন করছি। আমি শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান। দুইটি পরিচয়ই আমি গুরুত্বের সঙ্গে বহন করছি।
আমার শহর: ৫ আগস্টের পর দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের প্রকাশ্যে হয়রানি করা হয়। ফ্যাসিস্ট অ্যাখ্যা দিয়ে অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের হেনস্তা করা হয়, গায়ে হাত তোলা হয়। অনেক শিক্ষক এখনও প্রতিষ্ঠানে ফিরতে পারেননি। চাকরি হারিয়ে বেকার। একজন শিক্ষক নেতা হিসেবে এটাকে কিভাবে দেখছেন?
মো. সেলিম ভূঁইয়া: শিক্ষকদের হেনস্তা করা কোনভাবেই মানতে পারিনি। আমি এটাকে সমর্থন করি না। যাঁরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বসে রাজনৈতিক কার্যক্রম চালিয়েছেন, তাঁদের প্রতিষ্ঠানে ঢুকতে সমস্যা হচ্ছে। বিনা অপরাধে যাঁদের মব জাস্টিজ করে হটানো হয়, সেটা সমর্থন করি না। আমরা তাঁদের নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফিরিয়ে আনছি। সেটি চলমান আছে। তাঁরা ফিরবেন। একজন শিক্ষককে ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করে চেয়ার থেকে তুলে দেওয়া মহা অন্যায়।
আমার শহর: ভবিষ্যতে বিএনপি ক্ষমতায় এলে তাঁদের কি ফিরিয়ে আনবেন?
মো. সেলিম ভূঁইয়া: যাঁরা দলবাজি করেনি, শিক্ষকতার মতো মহান পেশাকে ধারণ করেছেন, তাঁদের আমরা ফিরিয়ে আনব। সত্যিকারের শিক্ষকেরা ফিরে আসবেন। এখনই অনেকে ফিরেছেন।
আমার শহর: আপনি তো কুমিল্লা জেলার বাসিন্দা। কুমিল্লায় বিএনপির সাংগঠনিক অবস্থা কেমন?
মো. সেলিম ভূঁইয়া: কুমিল্লার বেশিরভাগ উপজেলায় বিএনপির কমিটি আছে। দক্ষিণে সাংগঠনিক সভা ও সম্মেলন চলছে। উত্তরে দেবীদ্বার, মুরাদনগর, তিতাস ও দাউদকান্দিতে সম্মেলন হয়নি। ৩০ জুনের মধ্যে আমরা করে দেব সব উপজেলা কমিটি। বিএনপি এখন আরও শক্তিশালী। সব জায়গায় নেতৃত্বে প্রতিযোগিতা আছে, দ্বন্দ্ব নেই। কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা কমিটি তো ফেব্রুয়ারি থেকে সাংগঠনিক কার্যক্রমে বেশ এগিয়ে। ওয়ার্ড সম্মেলনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা যাচ্ছেন। জেলা নেতারা যাচ্ছেন। এটা দলের জন্য ইতিবাচক। আগেও তো এইভাবে কেউ যেতেন না।
আমার শহর: আপনার মেঘনা উপজেলার খবর কি?
মো. সেলিম ভূঁইয়া: আমার এলাকায় কোন দ্বন্দ্ব নেই।
আমার শহর: মেঘনার বিএনপি নেতা রমিজ উদ্দিন লন্ডনী কি দলে আছেন?
মো. সেলিম ভুঁইয়া: রমিজ এ পর্যন্ত চারবার দল থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন। সর্বশেষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচন করায় তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। বহিষ্কৃত নেতা তো দল করতে পারেন না।
আমার শহর: হোমনা উপজেলা বিএনপির কমিটি কি আছে?
মো. সেলিম ভূঁইয়া: হোমনায় যাঁরা দীর্ঘসময় দায়িত্বে ছিলেন তাঁরা সংগঠনকে স্থবির রেখেছিলেন। তাঁরা কমিটি করতে পারেনি। এখন প্রাণ ফিরে পেয়েছে।
আমার শহর: সম্প্রতি কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ও মহানগর বিএনপি কার্যালয়ে ছাত্রদলের পদবঞ্চিতরা আগুন দিয়েছে, ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। বিএনপি কি ব্যবস্থা নিয়েছে?
মো. সেলিম ভূঁইয়া: এটা স্থানীয় বিএনপি নেতারা দেখছেন।
আমার শহর: এনসিপির দুই নেতা মুরাদনগরে আসিফ ও দেবীদ্বার থেকে হাসনাত নির্বাচন করতে চান। কুমিল্লায় এনসিপির কার্যক্রম নিয়ে আপনার মন্তব্য কি?
মো. সেলিম ভূঁইয়া: প্রথমত এনসিপি কোনো রাজনৈতিক দল না। এটা রাজার পার্টি। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় এনসিপি হয়েছে। মুরাদনগরে কায়কোবাদের সঙ্গে আসিফ কিভাবে রাজনৈতিকভাবে টিকবে? দেবীদ্বারে মঞ্জুরুল আহসান মুন্সীর সঙ্গে হাসনাত টক্কর দেবে? অভিজ্ঞ নেতাদের সঙ্গে শিশুরা কুলিয়ে উঠতে পারবে না।
আমার শহর: আপনার কি মনে হয় আগামী জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে?
মো. সেলিম ভূঁইয়া: আমি মনে করি, সরকার ডিসেম্বরেই নির্বাচন দিতে বাধ্য থাকবে। নির্বাচনের কোন বিকল্প নেই। সরকারকে নির্বাচন দিতে হবে, তা না হলে দেশ ক্রাইসিসে পড়বে।
আমার শহর: আপনাকে ধন্যবাদ
মো. সেলিম ভূঁইয়া: আমার শহরের লেখক, সাংবাদিক ও পাঠকদেরও ধন্যবাদ।