আবদুল্লাহ আল মারুফ
বিএনপি ও জামায়াত ইসলামীর কর্মসূচিতেএকরকম অচল হয়ে পড়ে কান্দিরপাড়সহ গোটা কুমিল্লা নগর। মঙ্গলবার দুই দলের কর্মসূচিতে মাইকেরতীব্র শব্দ, নেতাকর্মীদের চাপে রাস্তা বন্ধ, সড়ক বন্ধ করে মঞ্চ করা ও ধুলাবালিতে অন্তহীনদুর্ভোগে পড়ে জনসাধারণ ।
সরেজমিনে দেখা যায়, বেলা ১২টা থেকে শুরুহয় বিএনপির সমাবেশের মঞ্চ তৈরি। এসময় বন্ধ করে দেয়া হয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারিকলেজের উচ্চ মাধ্যমিক শাখার সড়ক। এসময় শত শত অটোরিকশা, মিশুক ও প্রাইভেটকারকে দীর্ঘপথঘুরে সালাউদ্দিন মোড় ও রাজগঞ্জ হয়ে ঘুরে যেতে দেখা যায়। এদিকে নগরের বিভিন্ন সড়ক থেকেখণ্ড খণ্ড মিছিল আসতে থাকে দুই দলের। বেলা ২টার দিকে কুমিল্লার টাউনহল মাঠে শুরু হয় জামায়াতেইসলামীর নিবন্ধন পুনর্বহাল ও দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামেরমুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ। এ সময় বিভিন্ন সড়ক থেকে আসা নেতাকর্মীতে ভরে ওঠেকান্দিরপাড়। মাত্র ৩০০ ফুট দূরেই বেলা ৩টার দিকে শুরু হয় বিএনপির দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিরোধ, আইনশৃঙ্খলার উন্নতি ও দ্রুত সময়ের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে জনসভা।
এইসমাবেশ ঘিরে শহরের বাইরের উপজেলাগুলো থেকে আসতে থাকে নেতাকর্মীরা। দুই সমাবেশে যুক্তহয় স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েকগুণ মানুষ। এছাড়া সমাবেশ শুরুর সামান্য আগে নগরীরবিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে নেতাকর্মীদের মিছিল নিয়ে আসতে দেখা যায়। তাদের খণ্ড খণ্ড মিছিলে বন্ধহয়ে যায় কান্দিরপাড়ের সাথে যুক্ত রাজগঞ্জ, চকবাজার, পুলিশলাইন্স, লাকসাম রোড, রানিরবাজার,জেলাস্কুল রোডসহ সব সড়ক।এভাবে নগরীতে রাজনৈতিক দলগুলোর সমাবেশনিয়ে ত্যক্ত-বিরক্ত নগরবাসী। সমাবেশ চলাকালীন কোনো পরিবহন চলছিল না। এতে করেশিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষকে হেঁটে যেতে দেখা যায়।লাকসাম রোডের সালাউদ্দিন রোড এলাকায়যানজটে একটি অ্যাম্বুলেন্স আটকে থাকতে দেখেন আমার শহরের প্রতিনিধি। এসময় স্বজনরা এদিক-ওদিকছোটাছুটি করে অ্যাম্বুলেন্সটি আবার ফিরিয়ে নেন। এসময় সালাউদ্দিন মোড়ে অন্তত ১৫জন পুলিশসদস্যকে শৃঙ্খলার দায়িত্বে দেখা যায়।
নগরের টমছমব্রিজ থেকে জাঙ্গালিয়া পর্যন্তউপজেলা সদর থেকে আসা বিভিন্ন বাস, মাইক্রোবাস, সিএনজি অটোরিকশা, ট্রাক ও বিভিন্ন পরিবহনপার্কিং করা অবস্থায় দেখা যায়। এতে সেই এলাকা পরিবহন চলাচলে থেমে থেমে যানজট দেখাযায়। বাসিন্দাদের হেঁটে গন্তব্যে যেতেও দেখা যায়।বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জামায়াতে ইসলামের ওসাড়ে ৫টায় বিএনপির কর্মসূচি শেষ হলেও কান্দিরপাড়ের অবস্থা স্বাভাবিক হয় রাত ৮টার দিকে।তখনও নেতাকর্মীরা বিভিন্ন এলাকা ছাড়ছিলেন।শিক্ষাবোর্ড মডেল কলেজের সামনে শাকতলাএলাকার বাসিন্দা আজগর আলীর সঙ্গে দেখা হয়। তিনি বলেন, নগরটা এমনিতেই ছোট। তার মাঝেএভাবে দুই দলের কর্মসূচিতে হাজার হাজার অতিরিক্ত মানুষ নগরীতে ঢুকেছে।
কান্দিরপাড় থেকেহেঁটে বের হলাম। হেঁটেই বাসায় ফিরতে হবে মনে হয়।নগনে রাজনৈতিক কর্মসূচি করায় ক্ষোভ প্রকাশকরেছেন বিশিষ্ট নাগরিকরাও। কুমিল্লার ইতিহাসবিদ আহসানুল কবীর বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোজনগণের প্রতিনিধিত্ব করেন। তাই জনদুর্ভোগের বিষয়টি মাথায় রাখা উচিত। কারণ কান্দিরপাড়এমনিতেই একটি সংকীর্ণ জায়গা। সেখানে এত মানুষের জমায়েত দুর্ভোগ বাড়াবেই।প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন,আমাদের প্রশাসনেরও দায়িত্ব আছে। উনারা চাইলে একই সময় দুইটি সমাবেশের অনুমতি নাদিয়ে তা আগে পরে দিতে পারেন। এতে তাঁদেরও কাজ করতে সুবিধা, আর জনগণেরও ভোগান্তিহলো না।তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো চাইলেনগরের পাশের কোনো স্থানেও কর্মসূচি করতে পারেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদসাইফুল মালিক জানান, সড়কে চাপ বেশি ছিল। পুলিশের অতিরিক্ত লোকবলও মাঠে ছিল। তারপরওপরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয়েছে।
বিএনপি ও জামায়াত ইসলামীর কর্মসূচিতেএকরকম অচল হয়ে পড়ে কান্দিরপাড়সহ গোটা কুমিল্লা নগর। মঙ্গলবার দুই দলের কর্মসূচিতে মাইকেরতীব্র শব্দ, নেতাকর্মীদের চাপে রাস্তা বন্ধ, সড়ক বন্ধ করে মঞ্চ করা ও ধুলাবালিতে অন্তহীনদুর্ভোগে পড়ে জনসাধারণ ।
সরেজমিনে দেখা যায়, বেলা ১২টা থেকে শুরুহয় বিএনপির সমাবেশের মঞ্চ তৈরি। এসময় বন্ধ করে দেয়া হয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারিকলেজের উচ্চ মাধ্যমিক শাখার সড়ক। এসময় শত শত অটোরিকশা, মিশুক ও প্রাইভেটকারকে দীর্ঘপথঘুরে সালাউদ্দিন মোড় ও রাজগঞ্জ হয়ে ঘুরে যেতে দেখা যায়। এদিকে নগরের বিভিন্ন সড়ক থেকেখণ্ড খণ্ড মিছিল আসতে থাকে দুই দলের। বেলা ২টার দিকে কুমিল্লার টাউনহল মাঠে শুরু হয় জামায়াতেইসলামীর নিবন্ধন পুনর্বহাল ও দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামেরমুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ। এ সময় বিভিন্ন সড়ক থেকে আসা নেতাকর্মীতে ভরে ওঠেকান্দিরপাড়। মাত্র ৩০০ ফুট দূরেই বেলা ৩টার দিকে শুরু হয় বিএনপির দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিরোধ, আইনশৃঙ্খলার উন্নতি ও দ্রুত সময়ের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে জনসভা।
এইসমাবেশ ঘিরে শহরের বাইরের উপজেলাগুলো থেকে আসতে থাকে নেতাকর্মীরা। দুই সমাবেশে যুক্তহয় স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েকগুণ মানুষ। এছাড়া সমাবেশ শুরুর সামান্য আগে নগরীরবিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে নেতাকর্মীদের মিছিল নিয়ে আসতে দেখা যায়। তাদের খণ্ড খণ্ড মিছিলে বন্ধহয়ে যায় কান্দিরপাড়ের সাথে যুক্ত রাজগঞ্জ, চকবাজার, পুলিশলাইন্স, লাকসাম রোড, রানিরবাজার,জেলাস্কুল রোডসহ সব সড়ক।এভাবে নগরীতে রাজনৈতিক দলগুলোর সমাবেশনিয়ে ত্যক্ত-বিরক্ত নগরবাসী। সমাবেশ চলাকালীন কোনো পরিবহন চলছিল না। এতে করেশিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষকে হেঁটে যেতে দেখা যায়।লাকসাম রোডের সালাউদ্দিন রোড এলাকায়যানজটে একটি অ্যাম্বুলেন্স আটকে থাকতে দেখেন আমার শহরের প্রতিনিধি। এসময় স্বজনরা এদিক-ওদিকছোটাছুটি করে অ্যাম্বুলেন্সটি আবার ফিরিয়ে নেন। এসময় সালাউদ্দিন মোড়ে অন্তত ১৫জন পুলিশসদস্যকে শৃঙ্খলার দায়িত্বে দেখা যায়।
নগরের টমছমব্রিজ থেকে জাঙ্গালিয়া পর্যন্তউপজেলা সদর থেকে আসা বিভিন্ন বাস, মাইক্রোবাস, সিএনজি অটোরিকশা, ট্রাক ও বিভিন্ন পরিবহনপার্কিং করা অবস্থায় দেখা যায়। এতে সেই এলাকা পরিবহন চলাচলে থেমে থেমে যানজট দেখাযায়। বাসিন্দাদের হেঁটে গন্তব্যে যেতেও দেখা যায়।বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জামায়াতে ইসলামের ওসাড়ে ৫টায় বিএনপির কর্মসূচি শেষ হলেও কান্দিরপাড়ের অবস্থা স্বাভাবিক হয় রাত ৮টার দিকে।তখনও নেতাকর্মীরা বিভিন্ন এলাকা ছাড়ছিলেন।শিক্ষাবোর্ড মডেল কলেজের সামনে শাকতলাএলাকার বাসিন্দা আজগর আলীর সঙ্গে দেখা হয়। তিনি বলেন, নগরটা এমনিতেই ছোট। তার মাঝেএভাবে দুই দলের কর্মসূচিতে হাজার হাজার অতিরিক্ত মানুষ নগরীতে ঢুকেছে।
কান্দিরপাড় থেকেহেঁটে বের হলাম। হেঁটেই বাসায় ফিরতে হবে মনে হয়।নগনে রাজনৈতিক কর্মসূচি করায় ক্ষোভ প্রকাশকরেছেন বিশিষ্ট নাগরিকরাও। কুমিল্লার ইতিহাসবিদ আহসানুল কবীর বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোজনগণের প্রতিনিধিত্ব করেন। তাই জনদুর্ভোগের বিষয়টি মাথায় রাখা উচিত। কারণ কান্দিরপাড়এমনিতেই একটি সংকীর্ণ জায়গা। সেখানে এত মানুষের জমায়েত দুর্ভোগ বাড়াবেই।প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন,আমাদের প্রশাসনেরও দায়িত্ব আছে। উনারা চাইলে একই সময় দুইটি সমাবেশের অনুমতি নাদিয়ে তা আগে পরে দিতে পারেন। এতে তাঁদেরও কাজ করতে সুবিধা, আর জনগণেরও ভোগান্তিহলো না।তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো চাইলেনগরের পাশের কোনো স্থানেও কর্মসূচি করতে পারেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদসাইফুল মালিক জানান, সড়কে চাপ বেশি ছিল। পুলিশের অতিরিক্ত লোকবলও মাঠে ছিল। তারপরওপরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয়েছে।