খালের বাঁধ উচ্ছেদ করল সিটি করপোরেশন
নিজস্ব প্রতিবেদক
জলাশয় ভরাট করে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের বহুতল ভবন নিমার্ণের কারণে গত ৩০ মে নগর ভবনের সামনের সড়কসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছিল। কারাগার কর্তৃপক্ষ খালে বাঁধ দিয়ে নির্মাণ কাজ করায় নগরবাসীকে ভোগান্তি পোহাতে হয়। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন গতকাল বুধবার বিকেলে ভেকু মেশিন নিয়ে ওই বাঁধ উচ্ছেদ করে। এরপর পানি প্রবাহ স্বাভাবিক হয়।
অভিযান পরিচালনা করেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সচিব ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু সায়েম ভূঁঞা।
জানা গেছে, কুমিল্লা নগরের কালিয়াজুরি মৌজার জলাশয়টি ১১ একর । ২০২১-২০২২ অর্থবছরে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার পুনঃনির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ৬২৪ কোটি ৯৮ লাখ ২০ টাকার কাজ শুরু হয়। তখন জলাশয়ে ১৪ তলার চারটি ভবন নির্মাণ করা হয়। জলাশয় ভরাটের কোন ধরনের অনুমতি না নিয়ে সেখানে ভবন করা হয়। একই সঙ্গে মাটি ফেলে জলাশয় ভরাট করা হয়। কুমিল্লা জেলা প্রশাসন কাজ শুরুর সময় আপত্তি দেয়। একই সঙ্গে ওই জলাশয় জেলা প্রশাসনের দাবি করে। পরবর্তীতেও ফাঁকে ফাঁকে তৎকালীন সরকারের প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধির আশ্রয়ে কাজ চালায় কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ আবাসিক ভবনের জন্য সেফটি ট্যাংকের কাজ শুরু করে। এরপর কুমিল্লা জেলা প্রশাসন ওই কাজ বন্ধ করে দেয়। কারাগার কর্তৃপক্ষ সেফটি ট্যাংকের কাজ করতে গিয়ে জলাশয়ের পাশের খালের পানি প্রবাহ বন্ধ করে দেয়। খালের মধ্যে পাইপ ঢুকিয়ে রাখে। এ অবস্থার মধ্যে গত ৩০ মে কুমিল্লা নগরে ১৯০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। এতে নগর ভবনের সামনের সড়ক, রেসকোর্সসহ বিভিন্ন এলাকায় হাঁটু পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। সিটি করপোরেশন জলাবদ্ধতার কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখে, রেসকোর্স খালে বাঁধ, পানি প্রবাহ বন্ধ। এরপর তারা গতকাল বিকেলে গিয়ে ওই পাইপ ও বাঁধের মাটি অপসারণ করে।
এদিকে কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের দাবি, এই জলাশয়ের ভূমির মালিক জেলা প্রশাসন। কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ অনিয়মের মাধ্যমে জলাশয়ে স্থাপনা নির্মাণ করেছে। জলাশয় ভরাট করছে। তার ওপর কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে করা লেকের কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।
কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার হালিমা খাতুন বলেন, এতো বড় প্রকল্প নেওয়া হয় মাস্টারপ্ল্যান করেই। এখন আমরা সেখানে সেফটি ট্যাংক ও বিদ্যুতের সাবস্টেশনও করতে পারছি না। বাধা পেয়েছি। আমি এখানে যোগদানের আগেই ভবনের কাজ হয়। এখন কাজ বন্ধ আছে। এটা নিয়ে আমি আর কোন কথা বলতে চাই না।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সচিব ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন বলেন, জলাশয়টি ভরাটের কারণে কুমিল্লা নগরের একটি অংশে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। আগে খাল দিয়ে জলাশয়ে পানি গিয়ে জমা হতো। এখন আর সেটি হচ্ছে না। এর মধ্যে খালে বাঁধ দিয়ে নির্মাণ কাজ চালানোর কারণে এক সপ্তাহ আগে নগওে তীব্র জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে বুধবার সেটি উচ্ছেদ করি।
জলাশয় ভরাট করে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের বহুতল ভবন নিমার্ণের কারণে গত ৩০ মে নগর ভবনের সামনের সড়কসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছিল। কারাগার কর্তৃপক্ষ খালে বাঁধ দিয়ে নির্মাণ কাজ করায় নগরবাসীকে ভোগান্তি পোহাতে হয়। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন গতকাল বুধবার বিকেলে ভেকু মেশিন নিয়ে ওই বাঁধ উচ্ছেদ করে। এরপর পানি প্রবাহ স্বাভাবিক হয়।
অভিযান পরিচালনা করেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সচিব ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু সায়েম ভূঁঞা।
জানা গেছে, কুমিল্লা নগরের কালিয়াজুরি মৌজার জলাশয়টি ১১ একর । ২০২১-২০২২ অর্থবছরে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার পুনঃনির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ৬২৪ কোটি ৯৮ লাখ ২০ টাকার কাজ শুরু হয়। তখন জলাশয়ে ১৪ তলার চারটি ভবন নির্মাণ করা হয়। জলাশয় ভরাটের কোন ধরনের অনুমতি না নিয়ে সেখানে ভবন করা হয়। একই সঙ্গে মাটি ফেলে জলাশয় ভরাট করা হয়। কুমিল্লা জেলা প্রশাসন কাজ শুরুর সময় আপত্তি দেয়। একই সঙ্গে ওই জলাশয় জেলা প্রশাসনের দাবি করে। পরবর্তীতেও ফাঁকে ফাঁকে তৎকালীন সরকারের প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধির আশ্রয়ে কাজ চালায় কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ আবাসিক ভবনের জন্য সেফটি ট্যাংকের কাজ শুরু করে। এরপর কুমিল্লা জেলা প্রশাসন ওই কাজ বন্ধ করে দেয়। কারাগার কর্তৃপক্ষ সেফটি ট্যাংকের কাজ করতে গিয়ে জলাশয়ের পাশের খালের পানি প্রবাহ বন্ধ করে দেয়। খালের মধ্যে পাইপ ঢুকিয়ে রাখে। এ অবস্থার মধ্যে গত ৩০ মে কুমিল্লা নগরে ১৯০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। এতে নগর ভবনের সামনের সড়ক, রেসকোর্সসহ বিভিন্ন এলাকায় হাঁটু পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। সিটি করপোরেশন জলাবদ্ধতার কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখে, রেসকোর্স খালে বাঁধ, পানি প্রবাহ বন্ধ। এরপর তারা গতকাল বিকেলে গিয়ে ওই পাইপ ও বাঁধের মাটি অপসারণ করে।
এদিকে কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের দাবি, এই জলাশয়ের ভূমির মালিক জেলা প্রশাসন। কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ অনিয়মের মাধ্যমে জলাশয়ে স্থাপনা নির্মাণ করেছে। জলাশয় ভরাট করছে। তার ওপর কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে করা লেকের কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।
কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার হালিমা খাতুন বলেন, এতো বড় প্রকল্প নেওয়া হয় মাস্টারপ্ল্যান করেই। এখন আমরা সেখানে সেফটি ট্যাংক ও বিদ্যুতের সাবস্টেশনও করতে পারছি না। বাধা পেয়েছি। আমি এখানে যোগদানের আগেই ভবনের কাজ হয়। এখন কাজ বন্ধ আছে। এটা নিয়ে আমি আর কোন কথা বলতে চাই না।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সচিব ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন বলেন, জলাশয়টি ভরাটের কারণে কুমিল্লা নগরের একটি অংশে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। আগে খাল দিয়ে জলাশয়ে পানি গিয়ে জমা হতো। এখন আর সেটি হচ্ছে না। এর মধ্যে খালে বাঁধ দিয়ে নির্মাণ কাজ চালানোর কারণে এক সপ্তাহ আগে নগওে তীব্র জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে বুধবার সেটি উচ্ছেদ করি।