গ্রামে বিদ্যুৎহীনতা, নগরে জলাবদ্ধতা
নিজস্ব প্রতিবেদক
মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা থেকে গতকাল শুক্রবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত কুমিল্লায় ১৯০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। অতিভারী বৃষ্টির সঙ্গে প্রচণ্ড বাতাসের কারণে খুঁটি ও গাছ উপড়ে কুমিল্লা শহর ও শহরতলী ছাড়াও জেলার অধিকাংশ এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এতে জনজীবনে নেমে এসেছে ভোগান্তি। গৃহবন্দী হয়ে পড়েছেন অসংখ্য মানুষ।
গতকাল শুক্রবার কুমিল্লা নগর ও শহরতলীর বেশ কিছু এলাকা সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, কুমিল্লা নগরভবনসহ কান্দিরপাড়, পুলিশ লাইন, রেসকোর্স, ঝাউতলা, ডাক্তারপাড়া, টমছমব্রিজ, চর্থা, ধর্মপুর, দৌলতপুর, ধনপুর, স্টেডিয়াম সড়ক পানিতে টইটম্বুর। বৃষ্টিপাতের কারণে ডুবে যাওয়া সড়কে মাছ ধরায় ব্যস্ত সময় পার করছেন শিশু-কিশোরেরা। সড়কে পরিবহনের সংখ্যা নগণ্য। ছুটির দিনে জমজমাট বাজারের বিপরীতে নীরবতা কাজ করছে। এ ছাড়া বাজারে দোকানপাটের সংখ্যাও ছিল হাতেগোনা। অতি জরুরি কাজ ছাড়া মানুষকে বের হতে দেখা যায়নি।
নিজাম উদ্দিন নামে নগরের ঠাকুরপাড়ার এক বাসিন্দা জানান, ডাক্তার দেখানোর জন্য বের হইছি। নইলে এ অবস্থায় কেউ বের হয় না।
শহরতলীর বলরামপুর এলাকার জাহানারা বেগম নামে এক বাসিন্দা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় বিদ্যুৎ চলে যায়। শুক্রবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত সামান্য সময়ের জন্য বিদ্যুৎ আসে। সবমিলিয়ে আধাঘন্টাও বিদ্যুৎ ছিল না।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশেনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু সায়েম ভূঁইয়া বলেন, এই জলাবদ্ধতার মূল কারণ সিটি করপোরেশনের বাইরের খালগুলো। কারণ, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ভেতরে যে খাল, ৩০ ফুট প্রশস্ত সেটি করপোরেশেনের বাইরে দুই থেকে আড়াই ফুট। এ কারণে শহরের অতিরিক্ত পানির চাপ ওইসকল খাল নিতে পারে না। আমরা নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে ৯ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছি। এর টেন্ডার প্রক্রিয়াও শেষ। দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শুরু হবে।
জেলার নাঙ্গলকোটের কাশিপুরের বাসিন্দা আবদুল ওহাব জানান, গতকাল বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ ছিল না।
পিডিবি কুমিল্লার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) শেখ ফিরোজ কবির বলেন, চাহিদা অনুসারে বিদ্যুতের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। কিছু জায়গায় গাছ উপড়ে পড়েছে। কোথাও বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে গেছে। বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আমাদের লোকজন কাজ করছে।
এদিকে আজ শনিবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এদিন ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের উচ্চমাধ্যমিক ও ডিগ্রি শাখায় ছয় হাজার ৩০০ শিক্ষার্থী পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। গত ২৪ ঘণ্টার বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে গেছে ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ডিগ্রি শাখা। প্রায় সকল ভবনে নিচতলা প্লাবিত হয়ে গেছে। উচ্চমাধ্যমিকে প্রবেশের অনেক সড়ক প্লাবিত হয়েছে। এই প্রতিবেদনটি লেখা পর্যন্ত কুমিল্লায় বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক জি এম জি সোহরাব হাসান জানান, কলেজের ভবনগুলোর নিচতলা প্লাবিত হয়েছে। পর্যাপ্ত কক্ষ না থাকায় নিচতলার আসন সরিয়ে অন্যতলায় নেওয়ার সুযোগ নেই। এ মহূর্তে বৃষ্টিপাতও অব্যাহত আছে। আমরা পানি সেচ দেওয়ার চেষ্টা করছি। পরীক্ষার্থীদের পর্যাপ্ত সময় নিয়ে বের হওয়ার অনুরোধ করছি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী খান মো. ওয়ালিউজ্জামান বলেন, এ বছর বন্যার শঙ্কা নেই। তারপরও আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। যে সকল স্থানে ঝুঁকির খবর পাচ্ছি, ওইসকল স্থানে সাথে সাথে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।
মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা থেকে গতকাল শুক্রবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত কুমিল্লায় ১৯০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। অতিভারী বৃষ্টির সঙ্গে প্রচণ্ড বাতাসের কারণে খুঁটি ও গাছ উপড়ে কুমিল্লা শহর ও শহরতলী ছাড়াও জেলার অধিকাংশ এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এতে জনজীবনে নেমে এসেছে ভোগান্তি। গৃহবন্দী হয়ে পড়েছেন অসংখ্য মানুষ।
গতকাল শুক্রবার কুমিল্লা নগর ও শহরতলীর বেশ কিছু এলাকা সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, কুমিল্লা নগরভবনসহ কান্দিরপাড়, পুলিশ লাইন, রেসকোর্স, ঝাউতলা, ডাক্তারপাড়া, টমছমব্রিজ, চর্থা, ধর্মপুর, দৌলতপুর, ধনপুর, স্টেডিয়াম সড়ক পানিতে টইটম্বুর। বৃষ্টিপাতের কারণে ডুবে যাওয়া সড়কে মাছ ধরায় ব্যস্ত সময় পার করছেন শিশু-কিশোরেরা। সড়কে পরিবহনের সংখ্যা নগণ্য। ছুটির দিনে জমজমাট বাজারের বিপরীতে নীরবতা কাজ করছে। এ ছাড়া বাজারে দোকানপাটের সংখ্যাও ছিল হাতেগোনা। অতি জরুরি কাজ ছাড়া মানুষকে বের হতে দেখা যায়নি।
নিজাম উদ্দিন নামে নগরের ঠাকুরপাড়ার এক বাসিন্দা জানান, ডাক্তার দেখানোর জন্য বের হইছি। নইলে এ অবস্থায় কেউ বের হয় না।
শহরতলীর বলরামপুর এলাকার জাহানারা বেগম নামে এক বাসিন্দা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় বিদ্যুৎ চলে যায়। শুক্রবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত সামান্য সময়ের জন্য বিদ্যুৎ আসে। সবমিলিয়ে আধাঘন্টাও বিদ্যুৎ ছিল না।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশেনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু সায়েম ভূঁইয়া বলেন, এই জলাবদ্ধতার মূল কারণ সিটি করপোরেশনের বাইরের খালগুলো। কারণ, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ভেতরে যে খাল, ৩০ ফুট প্রশস্ত সেটি করপোরেশেনের বাইরে দুই থেকে আড়াই ফুট। এ কারণে শহরের অতিরিক্ত পানির চাপ ওইসকল খাল নিতে পারে না। আমরা নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে ৯ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছি। এর টেন্ডার প্রক্রিয়াও শেষ। দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শুরু হবে।
জেলার নাঙ্গলকোটের কাশিপুরের বাসিন্দা আবদুল ওহাব জানান, গতকাল বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ ছিল না।
পিডিবি কুমিল্লার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) শেখ ফিরোজ কবির বলেন, চাহিদা অনুসারে বিদ্যুতের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। কিছু জায়গায় গাছ উপড়ে পড়েছে। কোথাও বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে গেছে। বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আমাদের লোকজন কাজ করছে।
এদিকে আজ শনিবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এদিন ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের উচ্চমাধ্যমিক ও ডিগ্রি শাখায় ছয় হাজার ৩০০ শিক্ষার্থী পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। গত ২৪ ঘণ্টার বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে গেছে ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ডিগ্রি শাখা। প্রায় সকল ভবনে নিচতলা প্লাবিত হয়ে গেছে। উচ্চমাধ্যমিকে প্রবেশের অনেক সড়ক প্লাবিত হয়েছে। এই প্রতিবেদনটি লেখা পর্যন্ত কুমিল্লায় বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক জি এম জি সোহরাব হাসান জানান, কলেজের ভবনগুলোর নিচতলা প্লাবিত হয়েছে। পর্যাপ্ত কক্ষ না থাকায় নিচতলার আসন সরিয়ে অন্যতলায় নেওয়ার সুযোগ নেই। এ মহূর্তে বৃষ্টিপাতও অব্যাহত আছে। আমরা পানি সেচ দেওয়ার চেষ্টা করছি। পরীক্ষার্থীদের পর্যাপ্ত সময় নিয়ে বের হওয়ার অনুরোধ করছি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী খান মো. ওয়ালিউজ্জামান বলেন, এ বছর বন্যার শঙ্কা নেই। তারপরও আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। যে সকল স্থানে ঝুঁকির খবর পাচ্ছি, ওইসকল স্থানে সাথে সাথে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।