নিজস্ব প্রতিবেদক
কুমিল্লার ৩০০ বছরের পুরানো উজিরদিঘি ভরাটের জন্য এবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন মো. মহসিন খানের ছেলে মো. মোহতাসিম আল রাফিদ। এ অবস্থায় প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা শাখার মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান জমির মিউটেশন খতিয়ান ও ছবি পাঠানোর জন্য চিঠি দিয়েছেন। কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার চিঠির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তিন বছর আগেও দিঘি ভরাটের জন্য উদ্যোগ নিয়েছিলেন মো. মহসিন খান। তখন দিঘি ভরাটের বিরুদ্ধে কুমিল্লার তৎকালীন সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য আঞ্জুম সুলতানা সীমা, পরিবেশবাদী সংগঠনের বিরোধিতা, মানববন্ধন ও দিঘি পরিদর্শনের কারণে তখন ভরাট প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়।
মো. মহসিন খান কুমিল্লা নগরের পুরাতন চৌধুরী পাড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি এক সময় কুমিল্লা শহর ছাত্রশিবিরের নেতা ছিলেন। ঢাকার পশ্চিম পান্থপথের গাড়ির ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী তিনি। তখন মো. মহসিন খান দিঘির পানি সেচে ভরাটের উদ্যোগ নেন বলে জানা গেছে। এবার ভরাটের জন্য তাঁর ছেলে আবেদন করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ মার্চ মো. মহসিন খানের ছেলে মো. মোহতাসিম আল রাফিদ দিঘি ভরাটের জন্য আবেদন করেন। এরপর ২৩ মার্চ পরিবেশ অধিদপ্তর কুমিল্লা একটি পরিদর্শনপত্র প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা শাখায় প্রেরণ করে। এরই প্রেক্ষিতে অধিদপ্তর থেকে গত ৭ এপ্রিল কুমিল্লা জেলা প্রশাসককে একটি চিঠি দেওয়া হয়। চিঠিতে বলা হয়, ‘কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার জে এল নং ৯৫, খতিয়ান নং ২২০৪, দাগ নং ১০ এর শ্রেণি দিঘির অন্তর্ভুক্ত ৫ একর ৯৩৭ শতক জমির ওপর অবস্থিত। দিঘিটিতে মাছসহ জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণী দেখা যায়, এর পানি পরিচ্ছন্ন। দিঘিটি শতবর্ষী পুরান। দিঘিটির পূর্ব দক্ষিণ ও পশ্চিম দক্ষিণ কোণে প্রায় দুই শতাংশ জায়গায় সুড়কি ও ডেব্রিস ফেলা হয়েছে। এর আশপাশে কোন ধরণের জলাধার নেই। এর মালিক মো. মোহতাসির আল রাফিদ, পিতা: মো. মহসিন খান, হোল্ডিং নং ১৮/১ বশির উদ্দিন রোড, কলাবাগান, ১৭ নং ওয়ার্ড, ধানমন্ডি ঢাকা।’
বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ ( সংশোধিত ২০১০) এ জলাধারের সংজ্ঞা হল জলাধার অর্থ নদী, খাল, বিল, হাওড় , বাওড়, দিঘি, পুকুর, ঝর্ণা বা জলাশয় হিসেবে সহকারী ভূমি রেকর্ডে চিহ্নিত ভূমি বা সরকার, স্থানীয় সরকার বা সরকারি কোন সংস্থা কর্তৃক সরকারি গেজেটে, প্রজ্ঞাপন দ্বারা ঘোষিত কোন জলাভূমি, বন্যা প্রবাহ এলাকা, সলল পানি ও বৃষ্টির পানি ধারণ করে এমন কোন ভূমি। উক্ত জায়গাটি সরকারি ভূমি রেকর্ডে( মিউটেশন খতিয়ানে) দিঘি হিসেবে চিহ্নিত, সেহেতু এটি একটি জলাধার। বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন,১৯৯৫ ( সংশোধিত ২০১০)এর ৬ ঙ ধারা নিম্নরূপ- আপাতত বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, জলাধার হিসেবে চিহ্নিত জায়গা ভরাট বা অন্য কোনভাবে শ্রেণি পরিবর্তন করা যাইবে না। তবে শর্ত থাকে যে, অপরিহার্য জাতীয় স্বার্থে অধিদপ্তরের ছাড়পত্র গ্রহণক্রমে জলাধার সম্পর্কিত বাধা নিষেধ শিথিল করা যাইতে পারে।
২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে দিঘির পানি মেশিন লাগিয়ে কমানো হয়। তখন এটা নিয়ে পরিবেশবাদীরা আন্দোলন করেন। ২৩ জানুয়ারি দিঘির পাড়ে যান তৎকালীন সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য আঞ্জুম সুলতানা সীমা। এরপর তিনি দিঘি ভরাট বন্ধের আহবান জানান। পরে জেলা প্রশাসক দিঘির পানি সেচের মেশিন জব্দ করে। বর্তমান অন্তর্বতী সরকার ক্ষমতায় আসার পর এখন আবার দিঘি ভরাটের প্রক্রিয়া শুরু হয়।
জানতে চাইলে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার বলেন, কোনভাবেই দিঘি ভরাট করা যাবে না। আমরা নথি পর্যালোচনা করে বিষয়টি দেখছি। অধিদপ্তরের চিঠি পেয়েছি।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কুমিল্লা জেলা শাখার সভাপতি ডা. মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বৃটিশ আমলের দলিলে উল্লেখ আছে, দিঘির পানি সার্কিট হাউজ, পুলিশ সুপার বাঙলো, দিঘিরপাড়ের বাসিন্দারা ব্যবহার করতে পারবেন। কোনভাবেই দিঘির শ্রেণি পরিবর্তন করা যাবে না। তিন বছর আগে আমরা আন্দোলন করেছিলাম।
তিন বছর আগে দিঘির স্বত্বাধিকারী মো. মহসিন খান দাবি করেছিলেন, দিঘির চারপাড়ে মানুষের হাঁটার জন্য ১২ ফুট করে রাস্তা করতে চেয়েছিলেন। দিঘির মাঝখানে ভাসমান রেস্তোরাঁ করতে চেয়েছিলেন। তখন সেটি আর হয়নি।
কুমিল্লার ৩০০ বছরের পুরানো উজিরদিঘি ভরাটের জন্য এবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন মো. মহসিন খানের ছেলে মো. মোহতাসিম আল রাফিদ। এ অবস্থায় প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা শাখার মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান জমির মিউটেশন খতিয়ান ও ছবি পাঠানোর জন্য চিঠি দিয়েছেন। কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার চিঠির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তিন বছর আগেও দিঘি ভরাটের জন্য উদ্যোগ নিয়েছিলেন মো. মহসিন খান। তখন দিঘি ভরাটের বিরুদ্ধে কুমিল্লার তৎকালীন সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য আঞ্জুম সুলতানা সীমা, পরিবেশবাদী সংগঠনের বিরোধিতা, মানববন্ধন ও দিঘি পরিদর্শনের কারণে তখন ভরাট প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়।
মো. মহসিন খান কুমিল্লা নগরের পুরাতন চৌধুরী পাড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি এক সময় কুমিল্লা শহর ছাত্রশিবিরের নেতা ছিলেন। ঢাকার পশ্চিম পান্থপথের গাড়ির ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী তিনি। তখন মো. মহসিন খান দিঘির পানি সেচে ভরাটের উদ্যোগ নেন বলে জানা গেছে। এবার ভরাটের জন্য তাঁর ছেলে আবেদন করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ মার্চ মো. মহসিন খানের ছেলে মো. মোহতাসিম আল রাফিদ দিঘি ভরাটের জন্য আবেদন করেন। এরপর ২৩ মার্চ পরিবেশ অধিদপ্তর কুমিল্লা একটি পরিদর্শনপত্র প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা শাখায় প্রেরণ করে। এরই প্রেক্ষিতে অধিদপ্তর থেকে গত ৭ এপ্রিল কুমিল্লা জেলা প্রশাসককে একটি চিঠি দেওয়া হয়। চিঠিতে বলা হয়, ‘কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার জে এল নং ৯৫, খতিয়ান নং ২২০৪, দাগ নং ১০ এর শ্রেণি দিঘির অন্তর্ভুক্ত ৫ একর ৯৩৭ শতক জমির ওপর অবস্থিত। দিঘিটিতে মাছসহ জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণী দেখা যায়, এর পানি পরিচ্ছন্ন। দিঘিটি শতবর্ষী পুরান। দিঘিটির পূর্ব দক্ষিণ ও পশ্চিম দক্ষিণ কোণে প্রায় দুই শতাংশ জায়গায় সুড়কি ও ডেব্রিস ফেলা হয়েছে। এর আশপাশে কোন ধরণের জলাধার নেই। এর মালিক মো. মোহতাসির আল রাফিদ, পিতা: মো. মহসিন খান, হোল্ডিং নং ১৮/১ বশির উদ্দিন রোড, কলাবাগান, ১৭ নং ওয়ার্ড, ধানমন্ডি ঢাকা।’
বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ ( সংশোধিত ২০১০) এ জলাধারের সংজ্ঞা হল জলাধার অর্থ নদী, খাল, বিল, হাওড় , বাওড়, দিঘি, পুকুর, ঝর্ণা বা জলাশয় হিসেবে সহকারী ভূমি রেকর্ডে চিহ্নিত ভূমি বা সরকার, স্থানীয় সরকার বা সরকারি কোন সংস্থা কর্তৃক সরকারি গেজেটে, প্রজ্ঞাপন দ্বারা ঘোষিত কোন জলাভূমি, বন্যা প্রবাহ এলাকা, সলল পানি ও বৃষ্টির পানি ধারণ করে এমন কোন ভূমি। উক্ত জায়গাটি সরকারি ভূমি রেকর্ডে( মিউটেশন খতিয়ানে) দিঘি হিসেবে চিহ্নিত, সেহেতু এটি একটি জলাধার। বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন,১৯৯৫ ( সংশোধিত ২০১০)এর ৬ ঙ ধারা নিম্নরূপ- আপাতত বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, জলাধার হিসেবে চিহ্নিত জায়গা ভরাট বা অন্য কোনভাবে শ্রেণি পরিবর্তন করা যাইবে না। তবে শর্ত থাকে যে, অপরিহার্য জাতীয় স্বার্থে অধিদপ্তরের ছাড়পত্র গ্রহণক্রমে জলাধার সম্পর্কিত বাধা নিষেধ শিথিল করা যাইতে পারে।
২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে দিঘির পানি মেশিন লাগিয়ে কমানো হয়। তখন এটা নিয়ে পরিবেশবাদীরা আন্দোলন করেন। ২৩ জানুয়ারি দিঘির পাড়ে যান তৎকালীন সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য আঞ্জুম সুলতানা সীমা। এরপর তিনি দিঘি ভরাট বন্ধের আহবান জানান। পরে জেলা প্রশাসক দিঘির পানি সেচের মেশিন জব্দ করে। বর্তমান অন্তর্বতী সরকার ক্ষমতায় আসার পর এখন আবার দিঘি ভরাটের প্রক্রিয়া শুরু হয়।
জানতে চাইলে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার বলেন, কোনভাবেই দিঘি ভরাট করা যাবে না। আমরা নথি পর্যালোচনা করে বিষয়টি দেখছি। অধিদপ্তরের চিঠি পেয়েছি।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কুমিল্লা জেলা শাখার সভাপতি ডা. মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বৃটিশ আমলের দলিলে উল্লেখ আছে, দিঘির পানি সার্কিট হাউজ, পুলিশ সুপার বাঙলো, দিঘিরপাড়ের বাসিন্দারা ব্যবহার করতে পারবেন। কোনভাবেই দিঘির শ্রেণি পরিবর্তন করা যাবে না। তিন বছর আগে আমরা আন্দোলন করেছিলাম।
তিন বছর আগে দিঘির স্বত্বাধিকারী মো. মহসিন খান দাবি করেছিলেন, দিঘির চারপাড়ে মানুষের হাঁটার জন্য ১২ ফুট করে রাস্তা করতে চেয়েছিলেন। দিঘির মাঝখানে ভাসমান রেস্তোরাঁ করতে চেয়েছিলেন। তখন সেটি আর হয়নি।