• কুমিল্লা সিটি করপোরেশন
  • কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
  • আদর্শ সদর
  • বরুড়া
  • লাকসাম
  • দাউদকান্দি
  • আরও
    • চৌদ্দগ্রাম
    • সদর দক্ষিণ
    • নাঙ্গলকোট
    • বুড়িচং
    • ব্রাহ্মণপাড়া
    • মনোহরগঞ্জ
    • লালমাই
    • চান্দিনা
    • মুরাদনগর
    • দেবীদ্বার
    • হোমনা
    • মেঘনা
    • তিতাস
  • সর্বশেষ
  • রাজনীতি
  • বাংলাদেশ
  • অপরাধ
  • বিশ্ব
  • বাণিজ্য
  • মতামত
  • খেলা
  • বিনোদন
  • চাকরি
  • জীবনযাপন
  • ইপেপার
  • ইপেপার
facebooktwittertiktokpinterestyoutubelinkedininstagramgoogle
স্বত্ব: ©️ আমার শহর

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. গাজীউল হক ভূঁইয়া ( সোহাগ)।

নাহার প্লাজা, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা-৩৫০০

ই-মেইল: [email protected]

ফোন: 01716197760

> কুমিল্লা জেলা
> সদর দক্ষিণ

শিক্ষার্থী ৫, শিক্ষক ৩

আবদুল্লাহ আল মারুফ
প্রকাশ : ০৮ মে ২০২৫, ১১: ৫৬
আপডেট : ০৮ মে ২০২৫, ১২: ০৫
logo

শিক্ষার্থী ৫, শিক্ষক ৩

আবদুল্লাহ আল মারুফ

প্রকাশ : ০৮ মে ২০২৫, ১১: ৫৬
Photo

কুমিল্লার একটি সরকরি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাত্র পাঁচজন শিক্ষার্থী দিয়ে চলছে। সেখানে আছেন মাত্র তিনজন শিক্ষক। কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার চৌয়ারা ইউনিয়নের যশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চিত্র এটি।

গতকাল বুধবার। বেলা ১২টা ছঁইছুঁই। তপ্ত রোদের মাঝে দুই কক্ষের একটি ভবন। আশপাশে নেই কোনো গাছপালা। কক্ষের ভেতরে তীব্র গরম। কক্ষ দুটিতে আছে ৫টি ইলেকট্রিক পাখা। তবে বন্ধ। বারান্দায় বসে আছে পাঁচ শিশু। তাদের মাঝে একজন বয়স্ক শিক্ষক জাকির হোসেন। শিশুরা কেউ লিখছে, কেউ পড়ছে। সবার কপালে ও শরীরে ঘাম। ভেতরে যেতেই চোখে পড়ে এলোমেলো শিশুদের খেলার সরঞ্জাম। সহকারী শিক্ষক মোসা. মানছুরা আক্তার চৌধুরী। অফিস কক্ষে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। স্কুলের বেহাল দশা আর নিজেরে হতাশার কথা বলতে বলতে কেঁদে ওঠেন এই শিক্ষক। তিনি বলেন, আমি পূর্বে যে স্কুলে ছিলাম তার শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৫০০ জন। হঠাৎ করে ২০২০ সালে এই স্কুলে পোস্টিং দেয়া হয় আমাকে। আমি শক খেয়ে যাই। এসে দেখি স্কুলে শিক্ষার্থী নেই। আসল করোনা। তখন ছিল মাত্র একজন শিক্ষার্থী। এরপর আমরা এলাকা এলাকা ঘুরে ১৭জন শিক্ষার্থী ভর্তি করিয়েছি। কিন্তু কোন শিক্ষার্থী থাকতে চায় না। এর মাঝে উপস্থিত হন সহকারী প্রধান শিক্ষক (প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বপ্রাপ্ত) ফাতেহা বেগম। রোদে হেঁটে এসে তিনি হাত পাখা নিয়ে বসেন। তিনি বলেন, গত দুই বছর এই স্কুলে কোন বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। গত এক মাস আগে পানির মোটরও চুরি হয়ে যায়। টিউবওয়েলগুলোর ভেতরে স্থানীয় কিশোররা আড্ডা দিতে এসে পাথর ঢুকিয়ে দেয়, তাই কোন টিউবয়েলও নেই। পানির ব্যবস্থা না থাকায় অচল স্কুলটির দুটি শৌচাগার। যে কারণে স্থানীয়দের বাড়িতে গিয়ে শৌচকাজ সারতে হয় তিন শিক্ষককে। ঠিক সময়ে শৌচাগারে না যেতে পারায় তিনজন শিক্ষকই শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

ফাতেহা বেগম বলেন, এই স্কুলের কোন নিরাপত্তা নেই। স্কুলের ফটকের কলাপসিবল গেটের একটি অংশ চুরি হয়। পরে আমরা আরেকটি অংশ সংরক্ষণ করি। আমাদের স্কুলের ভেতরের জিনিসপত্রও কদিন পর পর চোর নিয়ে যায়। তালার ভেতর শলা ও ময়লা ঢুকিয়ে নষ্ট করে রেখে যায়। গ্রিল কেটে নিয়ে যায়। পতাকার স্ট্যান্ডের দড়ি পর্যন্ত নিয়ে গেছে অনেকবার। আমি আসার পর দুবার জিডি করেছি। পুলিশ এসে দেখে যায়। কিছুই উন্নতি হয় না। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুই বছর আগের কথা। কদিন পর পর চোর এসে বৈদ্যুতিক ক্যাবলগুলো নিয়ে যেত। আমরা বিদ্যুৎ অফিসে জানালে তারা ঠিক করে দিয়ে যেত। একটা সময় বিরক্ত হয়ে বিদ্যুৎ বিভাগ সংযোগ আর দেয়নি। তবে আমরা আবার আবেদন করেছি। তারা বলেছে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। স্কুলের বিষয়ে কথা হয় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শামীম ইকবালের সঙ্গে। তিনি বলেন, তিনি নতুন এসেছেন। আমি জেনেছি। পরে স্কুলটি ভিজিট করেছি। আমরা স্থানীয়দের সাথে বিষয়টি নিয়ে বসব এবং কীভাবে এই স্কুলটি উঠানো যায় চেষ্টা করব। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবাইয়া খানম বলেন, স্কুলটির বেহালদশার কথা আমি জানি। স্কুলের শিক্ষকরা কি পরিমাণ পরিশ্রম করে তা আমি জানি। কারণ, আমি নিজে একাধিকবার গিয়েছি। সেখানে স্থানীয়দের সাথে উঠান বৈঠক করেছি। কিন্তু এরপরেও একজন অভিভাবকও কোন রেসপন্স করেনি। স্কুলটির প্রতি আমার আলাদা নজর আছে। দেখি কি করা যায়।

Thumbnail image

কুমিল্লার একটি সরকরি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাত্র পাঁচজন শিক্ষার্থী দিয়ে চলছে। সেখানে আছেন মাত্র তিনজন শিক্ষক। কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার চৌয়ারা ইউনিয়নের যশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চিত্র এটি।

গতকাল বুধবার। বেলা ১২টা ছঁইছুঁই। তপ্ত রোদের মাঝে দুই কক্ষের একটি ভবন। আশপাশে নেই কোনো গাছপালা। কক্ষের ভেতরে তীব্র গরম। কক্ষ দুটিতে আছে ৫টি ইলেকট্রিক পাখা। তবে বন্ধ। বারান্দায় বসে আছে পাঁচ শিশু। তাদের মাঝে একজন বয়স্ক শিক্ষক জাকির হোসেন। শিশুরা কেউ লিখছে, কেউ পড়ছে। সবার কপালে ও শরীরে ঘাম। ভেতরে যেতেই চোখে পড়ে এলোমেলো শিশুদের খেলার সরঞ্জাম। সহকারী শিক্ষক মোসা. মানছুরা আক্তার চৌধুরী। অফিস কক্ষে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। স্কুলের বেহাল দশা আর নিজেরে হতাশার কথা বলতে বলতে কেঁদে ওঠেন এই শিক্ষক। তিনি বলেন, আমি পূর্বে যে স্কুলে ছিলাম তার শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৫০০ জন। হঠাৎ করে ২০২০ সালে এই স্কুলে পোস্টিং দেয়া হয় আমাকে। আমি শক খেয়ে যাই। এসে দেখি স্কুলে শিক্ষার্থী নেই। আসল করোনা। তখন ছিল মাত্র একজন শিক্ষার্থী। এরপর আমরা এলাকা এলাকা ঘুরে ১৭জন শিক্ষার্থী ভর্তি করিয়েছি। কিন্তু কোন শিক্ষার্থী থাকতে চায় না। এর মাঝে উপস্থিত হন সহকারী প্রধান শিক্ষক (প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বপ্রাপ্ত) ফাতেহা বেগম। রোদে হেঁটে এসে তিনি হাত পাখা নিয়ে বসেন। তিনি বলেন, গত দুই বছর এই স্কুলে কোন বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। গত এক মাস আগে পানির মোটরও চুরি হয়ে যায়। টিউবওয়েলগুলোর ভেতরে স্থানীয় কিশোররা আড্ডা দিতে এসে পাথর ঢুকিয়ে দেয়, তাই কোন টিউবয়েলও নেই। পানির ব্যবস্থা না থাকায় অচল স্কুলটির দুটি শৌচাগার। যে কারণে স্থানীয়দের বাড়িতে গিয়ে শৌচকাজ সারতে হয় তিন শিক্ষককে। ঠিক সময়ে শৌচাগারে না যেতে পারায় তিনজন শিক্ষকই শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

ফাতেহা বেগম বলেন, এই স্কুলের কোন নিরাপত্তা নেই। স্কুলের ফটকের কলাপসিবল গেটের একটি অংশ চুরি হয়। পরে আমরা আরেকটি অংশ সংরক্ষণ করি। আমাদের স্কুলের ভেতরের জিনিসপত্রও কদিন পর পর চোর নিয়ে যায়। তালার ভেতর শলা ও ময়লা ঢুকিয়ে নষ্ট করে রেখে যায়। গ্রিল কেটে নিয়ে যায়। পতাকার স্ট্যান্ডের দড়ি পর্যন্ত নিয়ে গেছে অনেকবার। আমি আসার পর দুবার জিডি করেছি। পুলিশ এসে দেখে যায়। কিছুই উন্নতি হয় না। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুই বছর আগের কথা। কদিন পর পর চোর এসে বৈদ্যুতিক ক্যাবলগুলো নিয়ে যেত। আমরা বিদ্যুৎ অফিসে জানালে তারা ঠিক করে দিয়ে যেত। একটা সময় বিরক্ত হয়ে বিদ্যুৎ বিভাগ সংযোগ আর দেয়নি। তবে আমরা আবার আবেদন করেছি। তারা বলেছে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। স্কুলের বিষয়ে কথা হয় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শামীম ইকবালের সঙ্গে। তিনি বলেন, তিনি নতুন এসেছেন। আমি জেনেছি। পরে স্কুলটি ভিজিট করেছি। আমরা স্থানীয়দের সাথে বিষয়টি নিয়ে বসব এবং কীভাবে এই স্কুলটি উঠানো যায় চেষ্টা করব। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবাইয়া খানম বলেন, স্কুলটির বেহালদশার কথা আমি জানি। স্কুলের শিক্ষকরা কি পরিমাণ পরিশ্রম করে তা আমি জানি। কারণ, আমি নিজে একাধিকবার গিয়েছি। সেখানে স্থানীয়দের সাথে উঠান বৈঠক করেছি। কিন্তু এরপরেও একজন অভিভাবকও কোন রেসপন্স করেনি। স্কুলটির প্রতি আমার আলাদা নজর আছে। দেখি কি করা যায়।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১

কোরবানি ঈদেও কুমিল্লায় নির্বাচনী প্রচারণা

২

নিজ এলাকায় শহীদ, আহতদের নিয়ে ঈদ ও কোরবানি করবেন- হাসনাত

৩

পরনের কাপড় ছাড়া কিছুই নাই"- অগ্নিকাণ্ডে সব হারিয়ে নিঃস্ব আনোয়ারা বেগম

৪

শেষ মুহূর্তে চলছে দা, ছুরিতে শান দেওয়া, হোগলা পাতার পাটি, গাছের গুড়ি ও ওড়া কেনা

৫

চৌদ্দগ্রামে গরু বাজারের হাসিলের টাকা ১৯ মসজিদ ও ২ মাদরাসায় বিতরণ

সম্পর্কিত

কোরবানি ঈদেও কুমিল্লায় নির্বাচনী প্রচারণা

কোরবানি ঈদেও কুমিল্লায় নির্বাচনী প্রচারণা

৬ ঘণ্টা আগে
নিজ এলাকায় শহীদ, আহতদের নিয়ে ঈদ ও কোরবানি করবেন- হাসনাত

নিজ এলাকায় শহীদ, আহতদের নিয়ে ঈদ ও কোরবানি করবেন- হাসনাত

৬ ঘণ্টা আগে
পরনের কাপড় ছাড়া কিছুই নাই"- অগ্নিকাণ্ডে সব হারিয়ে নিঃস্ব আনোয়ারা বেগম

পরনের কাপড় ছাড়া কিছুই নাই"- অগ্নিকাণ্ডে সব হারিয়ে নিঃস্ব আনোয়ারা বেগম

৬ ঘণ্টা আগে
শেষ মুহূর্তে চলছে দা, ছুরিতে শান দেওয়া,  হোগলা পাতার পাটি,  গাছের গুড়ি ও ওড়া কেনা

শেষ মুহূর্তে চলছে দা, ছুরিতে শান দেওয়া, হোগলা পাতার পাটি, গাছের গুড়ি ও ওড়া কেনা

৯ ঘণ্টা আগে