আবদুল্লাহ আল মারুফ
সিঁড়িতে উঠতেই নাকে ভেসে আসছে ভাজা সেমাইয়ের ম-ম গন্ধ। উঠতেই চোখে পড়বে বাঁশের খাড়িতে থরে থরে সাজানো ভাজা মচমচে লাচ্ছা সেমাই। সেমাইয়ের বড় বড় খাড়ির নিচে পড়ছে তেলের উচ্ছিষ্টাংশ। পাশেই সেমাই মেপে মেপে তা বাজারের জন্য প্রস্তুত করছেন মাথায় সার্জিক্যাল ক্যাপ ও মুখে মাস্ক পরা একদল পুরুষ। কুমিল্লা বিসিকের খন্দকার ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সেমাই তৈরির এই দৃশ্য সোমবার দুপুরের। এসব মুখরোচক সেমাইয়ের অধিকাংশ কাল বা পরশুদিন চলে যাবে দেশের সীমানা পেরিয়ে ভারত ও মালয়েশিয়ায়। এছাড়া আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিক্রি হবে দেশের স্থানীয় বাজারগুলোতে।
জানা গেছে, কুমিল্লা নগরের ঠাকুরপাড়া ও অশোকতলা লাগোয়া বিসিক শিল্পনগরীর একটি প্রতিষ্ঠান খন্দকার ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ। সামনের ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে ব্যস্ততা বেড়েছে প্রতিষ্ঠানটিতে। দিন রাত কাজ করছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মচারীরা। অন্যসব কারখানা থেকে এখানকার সেমাইয়ে মালিক ও রপ্তানিকারকদের রয়েছে বাড়তি নজর। এর কারণ এই কারখানা থেকে সেমাই স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি যাচ্ছে দেশের বাইরেও। তৈরি হচ্ছে নতুন বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের খাত। কুমিল্লা বিসিকের এটিই একমাত্র প্রতিষ্ঠান, যারা দেশের বাইরে সেমাই রপ্তানি করে থাকে।
প্রতিষ্ঠানটি ঘুরে দেখা গেছে, নিচ তলায় চলছে বিস্কুট ও চানাচুর তৈরির কাজ। চার তলায় বড় চুল্লিতে ভাজা হয় লাচ্ছা সেমাইয়ের গোল্লা। এরপর তা ভাজা শেষে রাখা তেল ঝরার জন্য। একদিকে তেল ঝরছে অন্যদিকে পানি প্যাকেটিং প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার মো. ফিরোজ খন্দকার বলেন, আমরা ২০২২ সাল থেকে দেশের বাইরে বিস্কুট ও চানাচুরসহ বিভিন্ন প্রোডাক্ট রপ্তানি করছি। ২০২৩ সাল থেকে ভারতে ও পরে মালয়েশিয়ায় সেমাই রপ্তানি করছি। আমরা চট্টগ্রাম বন্দর দিলে মালয়েশিয়া, বিবির বাজার দিয়ে ভারতের ত্রিপুরা ও গোয়াইনঘাট দিয়ে ভারতের আসাম রপ্তানি করছি। এবছর আমরা ভারতে এক লাখ ডলার ও মালেয়শিয়ায় ২০ হাজার ডলার রপ্তানি করছি।
এসময় তিনি বলেন, আমাদের সারা বছর সেমাই উৎপাদন বন্ধ থাকে। শুধু রমজানের আগের ১৫ দিন থেকে মোট ৪৫ দিন পর্যন্ত সেমাই উৎপাদন হয়। এরপর বছরের বাকি সময় বন্ধ থাকে উৎপাদন। এই সময়ে আমাদের ৩০ থেকে ৩২ জন লোক কাজ করে।
বছর ঘুরলেই বাড়বে রপ্তানি
ফিরোজ খন্দকার বলেন, সামনের বছর আমাদের রপ্তানি বাড়বে। কারণ আমরা ইতিমধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব ও দুবাইতে আমরা সামনের বছর রপ্তানির করব। আমাদের সব আলোচনা শেষ। ইউরোপসহ অন্যান্য দেশেও রপ্তানির কথা ভাবছি। কথাও আগাচ্ছি।
এসময় তিনি বলেন, তারা সরকারি সুবিধা চেয়েছিল। ২০১১ সাল থেকে তারা এখানে উৎপাদনে আছে। তাদের সকল মান ও পরিকল্পনা দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাগ্রো প্রসেসে আবেদন করেছিল সহযোগিতার জন্য। আমরা তাদের সহযোগিতা করেছি। বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের পাশে আছে। ঋণ সহযোগিতা থেকে যা যা দরকার তারা করছে। তারা বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের মাধ্যমে জাতীয় রিজার্ভে ভূমিকা রাখছে। তাদের ১০ শতাংশ ভর্তুকিও দিচ্ছে সরকার।
সিঁড়িতে উঠতেই নাকে ভেসে আসছে ভাজা সেমাইয়ের ম-ম গন্ধ। উঠতেই চোখে পড়বে বাঁশের খাড়িতে থরে থরে সাজানো ভাজা মচমচে লাচ্ছা সেমাই। সেমাইয়ের বড় বড় খাড়ির নিচে পড়ছে তেলের উচ্ছিষ্টাংশ। পাশেই সেমাই মেপে মেপে তা বাজারের জন্য প্রস্তুত করছেন মাথায় সার্জিক্যাল ক্যাপ ও মুখে মাস্ক পরা একদল পুরুষ। কুমিল্লা বিসিকের খন্দকার ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সেমাই তৈরির এই দৃশ্য সোমবার দুপুরের। এসব মুখরোচক সেমাইয়ের অধিকাংশ কাল বা পরশুদিন চলে যাবে দেশের সীমানা পেরিয়ে ভারত ও মালয়েশিয়ায়। এছাড়া আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিক্রি হবে দেশের স্থানীয় বাজারগুলোতে।
জানা গেছে, কুমিল্লা নগরের ঠাকুরপাড়া ও অশোকতলা লাগোয়া বিসিক শিল্পনগরীর একটি প্রতিষ্ঠান খন্দকার ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ। সামনের ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে ব্যস্ততা বেড়েছে প্রতিষ্ঠানটিতে। দিন রাত কাজ করছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মচারীরা। অন্যসব কারখানা থেকে এখানকার সেমাইয়ে মালিক ও রপ্তানিকারকদের রয়েছে বাড়তি নজর। এর কারণ এই কারখানা থেকে সেমাই স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি যাচ্ছে দেশের বাইরেও। তৈরি হচ্ছে নতুন বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের খাত। কুমিল্লা বিসিকের এটিই একমাত্র প্রতিষ্ঠান, যারা দেশের বাইরে সেমাই রপ্তানি করে থাকে।
প্রতিষ্ঠানটি ঘুরে দেখা গেছে, নিচ তলায় চলছে বিস্কুট ও চানাচুর তৈরির কাজ। চার তলায় বড় চুল্লিতে ভাজা হয় লাচ্ছা সেমাইয়ের গোল্লা। এরপর তা ভাজা শেষে রাখা তেল ঝরার জন্য। একদিকে তেল ঝরছে অন্যদিকে পানি প্যাকেটিং প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার মো. ফিরোজ খন্দকার বলেন, আমরা ২০২২ সাল থেকে দেশের বাইরে বিস্কুট ও চানাচুরসহ বিভিন্ন প্রোডাক্ট রপ্তানি করছি। ২০২৩ সাল থেকে ভারতে ও পরে মালয়েশিয়ায় সেমাই রপ্তানি করছি। আমরা চট্টগ্রাম বন্দর দিলে মালয়েশিয়া, বিবির বাজার দিয়ে ভারতের ত্রিপুরা ও গোয়াইনঘাট দিয়ে ভারতের আসাম রপ্তানি করছি। এবছর আমরা ভারতে এক লাখ ডলার ও মালেয়শিয়ায় ২০ হাজার ডলার রপ্তানি করছি।
এসময় তিনি বলেন, আমাদের সারা বছর সেমাই উৎপাদন বন্ধ থাকে। শুধু রমজানের আগের ১৫ দিন থেকে মোট ৪৫ দিন পর্যন্ত সেমাই উৎপাদন হয়। এরপর বছরের বাকি সময় বন্ধ থাকে উৎপাদন। এই সময়ে আমাদের ৩০ থেকে ৩২ জন লোক কাজ করে।
বছর ঘুরলেই বাড়বে রপ্তানি
ফিরোজ খন্দকার বলেন, সামনের বছর আমাদের রপ্তানি বাড়বে। কারণ আমরা ইতিমধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব ও দুবাইতে আমরা সামনের বছর রপ্তানির করব। আমাদের সব আলোচনা শেষ। ইউরোপসহ অন্যান্য দেশেও রপ্তানির কথা ভাবছি। কথাও আগাচ্ছি।
এসময় তিনি বলেন, তারা সরকারি সুবিধা চেয়েছিল। ২০১১ সাল থেকে তারা এখানে উৎপাদনে আছে। তাদের সকল মান ও পরিকল্পনা দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাগ্রো প্রসেসে আবেদন করেছিল সহযোগিতার জন্য। আমরা তাদের সহযোগিতা করেছি। বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের পাশে আছে। ঋণ সহযোগিতা থেকে যা যা দরকার তারা করছে। তারা বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের মাধ্যমে জাতীয় রিজার্ভে ভূমিকা রাখছে। তাদের ১০ শতাংশ ভর্তুকিও দিচ্ছে সরকার।