আবদুল্লাহ আল মারুফ
গতকাল সোমবার দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। সব দোকানে চলছে সেলাই মেশিন। অনেক দোকানি বাড়িয়েছেন কারিগর। তাই গত বছররের লোকসান গোছানোর চিন্তায় এবার বাড়তি কাজ নিচ্ছেন অনেকে।
তাদের একজন হাজী প্লাজা লাগোয়া হোসনেয়ারা ম্যানশনের দ্বিতীয় তলার নিউ হালিমা লেডিস টেইলার্সের মালিক খোরশেদ আলম। গত বছর এই সময় তার দোকানে ভিড় ছিল না। ১০ রমজান পর্যন্ত নিয়েছিলেন মাত্র ১৫০ পিস কাজ। আর এই বছর ১০ রমজান পর্যন্ত হাজারখানেক কাজ পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন খোরশেদ আলম।
তিনি বলেন, ৫ থেকে ৭ বছর আগে কাজ ছিল। এরপর কয়েক বছর মন্দা গেছে। গত বছর তেমন কাজ ছিল না। প্রথম দিকে ৭ জন লোক ছিল। এরপর কাজ না থাকায় ৫ জন দিয়ে সিজন পার করি। আর এখনই ৭ জন কাজ করছে। আরও নতুন লোক লাগবে। এবছর কাজ ভালো।
যে কারণে কাজ বেড়েছে
কুমিল্লা নগরের বিভিন্ন দর্জি দোকান ঘুরে দোকানি, মাস্টার, কারিগর ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পূর্বে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়তি থাকায় বাজারে ছিল অস্থিরতা। তাই মানুষ জামা কাপড় কেনা বা সেলাই করাকে বিলাসিতা মনে করতো। যে কারণে সেলাই কাজও কম ছিল। কিন্তু এবছর সব কিছুর দাম কিছুটা কম হওয়ায় সেলাই কাজ বেড়েছে।
কুমিল্লা হাজী প্লাজার দ্বিতীয় তলায় ঘুরে কথা হয় শানজিদা টেইলার্সের মালিক কামাল হোসেনের সঙ্গে। তিনি জানান, আমাদের নিয়মিত ক্রেতা আছেন। গত বছরও তারা ২ থেকে ৩টা জামাকাপড় বানিয়েছে। এবার তারাই ১০ থেকে ১৫টা বানাচ্ছে। নতুন কাস্টমার বেড়েছে। অনেকে কম বানাচ্ছে কিন্তু তারা নতুন কাস্টামার।
এ সময় তিনি বলেন, দামের দিক থেকেও ক্রেতারা সুবিধাজনক স্থানে আছেন। যেমন আগে যা ছিল, এখন তা-ই আছে। কিন্তু আমাদের সব খরচই বেড়েছে। আমরা সাধারণ থ্রি পিস সেলাই ৩৫০ টাকায়। তবে ডিজাইন ভেদে সেটা হাজারের বেশিও হতে পারে। এছাড়া ব্লাউজ ও বোরখা সেলাই ৫০০ টাকা। তবে ডিজাইনের পার্থক্যে দামও বেশি হয়।
এদিকে পুরুষদের জামাকাপড় সেলাই করা নিউ মার্কেট এলাকার মো. ইউনুস বলেন, নারীদের তুলনায় পুরুষ জামা কাপড় কম সেলাই করে। আর দামও তেমন তা। হাজার দেড় হাজার টাকার মাঝেই পুরুষদের জামাকাপড় সেলাই হয়ে যায়। আমরা শুধুই পুরুষদের কাজ করি। তাই আমাদের তেমন চাপ নেই।
৫ বছরের তুলনায় এবার কাজ বেড়েছে
দর্জি ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এখন শহরের আনাচে-কানাচে ছাতার মতো গজিয়েছে দর্জি দোকান। নব্বইয়ের দশকে এই শহরের দোকান ছিল হাতেগোনা কয়েকটি। তখন এ কাজ করে পাকা বাড়িও করেছেন অনেকে। সময় ফুরিয়েছে। খোরশেদ আলম, মো. ইউনুস, কামাল হোসেনের মতো অনেকেই ১০ বছর আগেও ভালো ব্যবসা করেছেন। এখন তেমন নেই। তবে গত বছরের তুলনায় এবার কাজ বেড়েছে।
আমি তখন কাজ সবেমাত্র শেখা শুরু করলাম। কাজ শুরুর প্রথম রমজান গিয়েছে ঘুম ছাড়া। সারারাত কাজ করে ফজরের নামাজ পড়ে ঘুমাতাম। সকাল ৯টা বাজে আবার মালিক উঠিয়ে দিতেন। এভাবে প্রতিদিন যেত। এরপর কারিগর হলাম। তখনও সব ঠিকঠাক। ২০০৯ সালের দিকে দোকান নিলাম। এরমধ্যে মাস্টারি শুরু করলাম। কাজ কেটে কুল পেতাম না। পাঁচ রমজানের পর আমাদের দোকানে কাজ নেওয়া বন্ধ। কেউ বেশি টাকা দিলেও কাজ নেওয়ার সুযোগ ছিল না।
কুমিল্লা নগরীর ছোটরা এলাকার বাসিন্দা কাজী রেহানা আক্তার বলেন, আমরা সারাবছর সেলাই জামা পরি। পরিবারের সবাই সেলাই করা জামা কাপড় পরেন। এবার রমজানের শুরুতে অর্ডার করেছি। আজ অর্ডারের জামা দেবার কথা। কিন্তু দেয়নি। ভিড় থাকায় কাল আসতে বলেছে।
কুমিল্লা লেডিস টেইলার্স মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ফয়েজ বলেন, এ বছর নতুন কাস্টমার বেশি। আবার অনেক পুরাতন কাস্টমার নেই। আপনি নিজেই ৩০ মিনিট এখানে আছেন। কতজন কাস্টমার দেখেছেন? পূর্বে এমন ছিল না। তাই বলব, আমরা ভালো আছি।
গতকাল সোমবার দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। সব দোকানে চলছে সেলাই মেশিন। অনেক দোকানি বাড়িয়েছেন কারিগর। তাই গত বছররের লোকসান গোছানোর চিন্তায় এবার বাড়তি কাজ নিচ্ছেন অনেকে।
তাদের একজন হাজী প্লাজা লাগোয়া হোসনেয়ারা ম্যানশনের দ্বিতীয় তলার নিউ হালিমা লেডিস টেইলার্সের মালিক খোরশেদ আলম। গত বছর এই সময় তার দোকানে ভিড় ছিল না। ১০ রমজান পর্যন্ত নিয়েছিলেন মাত্র ১৫০ পিস কাজ। আর এই বছর ১০ রমজান পর্যন্ত হাজারখানেক কাজ পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন খোরশেদ আলম।
তিনি বলেন, ৫ থেকে ৭ বছর আগে কাজ ছিল। এরপর কয়েক বছর মন্দা গেছে। গত বছর তেমন কাজ ছিল না। প্রথম দিকে ৭ জন লোক ছিল। এরপর কাজ না থাকায় ৫ জন দিয়ে সিজন পার করি। আর এখনই ৭ জন কাজ করছে। আরও নতুন লোক লাগবে। এবছর কাজ ভালো।
যে কারণে কাজ বেড়েছে
কুমিল্লা নগরের বিভিন্ন দর্জি দোকান ঘুরে দোকানি, মাস্টার, কারিগর ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পূর্বে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়তি থাকায় বাজারে ছিল অস্থিরতা। তাই মানুষ জামা কাপড় কেনা বা সেলাই করাকে বিলাসিতা মনে করতো। যে কারণে সেলাই কাজও কম ছিল। কিন্তু এবছর সব কিছুর দাম কিছুটা কম হওয়ায় সেলাই কাজ বেড়েছে।
কুমিল্লা হাজী প্লাজার দ্বিতীয় তলায় ঘুরে কথা হয় শানজিদা টেইলার্সের মালিক কামাল হোসেনের সঙ্গে। তিনি জানান, আমাদের নিয়মিত ক্রেতা আছেন। গত বছরও তারা ২ থেকে ৩টা জামাকাপড় বানিয়েছে। এবার তারাই ১০ থেকে ১৫টা বানাচ্ছে। নতুন কাস্টমার বেড়েছে। অনেকে কম বানাচ্ছে কিন্তু তারা নতুন কাস্টামার।
এ সময় তিনি বলেন, দামের দিক থেকেও ক্রেতারা সুবিধাজনক স্থানে আছেন। যেমন আগে যা ছিল, এখন তা-ই আছে। কিন্তু আমাদের সব খরচই বেড়েছে। আমরা সাধারণ থ্রি পিস সেলাই ৩৫০ টাকায়। তবে ডিজাইন ভেদে সেটা হাজারের বেশিও হতে পারে। এছাড়া ব্লাউজ ও বোরখা সেলাই ৫০০ টাকা। তবে ডিজাইনের পার্থক্যে দামও বেশি হয়।
এদিকে পুরুষদের জামাকাপড় সেলাই করা নিউ মার্কেট এলাকার মো. ইউনুস বলেন, নারীদের তুলনায় পুরুষ জামা কাপড় কম সেলাই করে। আর দামও তেমন তা। হাজার দেড় হাজার টাকার মাঝেই পুরুষদের জামাকাপড় সেলাই হয়ে যায়। আমরা শুধুই পুরুষদের কাজ করি। তাই আমাদের তেমন চাপ নেই।
৫ বছরের তুলনায় এবার কাজ বেড়েছে
দর্জি ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এখন শহরের আনাচে-কানাচে ছাতার মতো গজিয়েছে দর্জি দোকান। নব্বইয়ের দশকে এই শহরের দোকান ছিল হাতেগোনা কয়েকটি। তখন এ কাজ করে পাকা বাড়িও করেছেন অনেকে। সময় ফুরিয়েছে। খোরশেদ আলম, মো. ইউনুস, কামাল হোসেনের মতো অনেকেই ১০ বছর আগেও ভালো ব্যবসা করেছেন। এখন তেমন নেই। তবে গত বছরের তুলনায় এবার কাজ বেড়েছে।
আমি তখন কাজ সবেমাত্র শেখা শুরু করলাম। কাজ শুরুর প্রথম রমজান গিয়েছে ঘুম ছাড়া। সারারাত কাজ করে ফজরের নামাজ পড়ে ঘুমাতাম। সকাল ৯টা বাজে আবার মালিক উঠিয়ে দিতেন। এভাবে প্রতিদিন যেত। এরপর কারিগর হলাম। তখনও সব ঠিকঠাক। ২০০৯ সালের দিকে দোকান নিলাম। এরমধ্যে মাস্টারি শুরু করলাম। কাজ কেটে কুল পেতাম না। পাঁচ রমজানের পর আমাদের দোকানে কাজ নেওয়া বন্ধ। কেউ বেশি টাকা দিলেও কাজ নেওয়ার সুযোগ ছিল না।
কুমিল্লা নগরীর ছোটরা এলাকার বাসিন্দা কাজী রেহানা আক্তার বলেন, আমরা সারাবছর সেলাই জামা পরি। পরিবারের সবাই সেলাই করা জামা কাপড় পরেন। এবার রমজানের শুরুতে অর্ডার করেছি। আজ অর্ডারের জামা দেবার কথা। কিন্তু দেয়নি। ভিড় থাকায় কাল আসতে বলেছে।
কুমিল্লা লেডিস টেইলার্স মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ফয়েজ বলেন, এ বছর নতুন কাস্টমার বেশি। আবার অনেক পুরাতন কাস্টমার নেই। আপনি নিজেই ৩০ মিনিট এখানে আছেন। কতজন কাস্টমার দেখেছেন? পূর্বে এমন ছিল না। তাই বলব, আমরা ভালো আছি।