কুমিল্লার বরুড়া উপজেলা বিএনপির ১৫ টি ওয়ার্ডে একই দিনে দুইটি ধাপে সম্মেলন হয়েছে। এতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন পদে একক প্রার্থী থাকায় কোন ভোটভুটি হয়নি। গত সোমবার অত্যন্ত সুশ্ঙ্খৃলভাবে কেন্দ্রীয় পাঁচ নেতা ও জেলার নেতাদের উপস্থিতিতে ওই সম্মেলন হয়।

ঘটা করে আয়োজিত সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্যা বুলু, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম ভূঁইয়া, কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক জাকারিয়া তাহের সুমন, সহসাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া ও সদস্য সাবেরা আলাউদ্দিন হেনাসহ ১৩৭ জন জেলার নেতা উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয় নেতাকর্মীদের ভাষ্য, বিএনপি প্রতিষ্ঠার পর এতো সুন্দর সম্মেলন তারা আর কখনো দেখেননি। প্রতিটি সম্মেলনে জেলার সব নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সম্মেলনে আড্ডা ইউনিয়নে সভাপতি মো. জাফর উল্লাহ চৌধুরী সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান, আদ্রা ইউনিয়নে সভাপতি ডা. মো. আবুল বাশার সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল আউয়াল পণ্ডিত, আগানগর ইউনিয়নে সভাপতি ইফতেখার আলম ভূঁইয়া শাহীন সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল বাতেন,চিতড্ডা ইউনিয়নে সভাপতি ইউনুছ মিয়া সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজালাল, গালিমপুর ইউনিয়নে সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আ. বারিক সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল হোসেন, ঝলম ইউনিয়নে সভাপতি মো. ইয়াছিন মিয়াজী সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোহাম্মদ, শিলমুড়ী দক্ষিণ ইউনিয়নে সভাপতি মো. শামছুল হক সাধারণ সম্পাদক মো. ইব্রাহীম খলিল, ভাউকসার ইউনিয়নে সভাপতি ছফিউল্লাহ আবু সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাসরুল হক, ভবানীপুর ইউনিয়নে সভাপতি মো. আবুল কাসেম সাধারন সম্পাদক মো. খলিলুর রহমান, শিলমুড়ি উত্তর ইউনিয়নে সভাপতি সৈয়দ রুহুল আমিন সাধারন সম্পাদক গোলাম মাওলা বাদল, খোশবাস দক্ষিণ ইউনিয়নে সভাপতি আবুল হাসেম হাছান সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুর রব খোশবাস উত্তর ইউনিয়নে সভাপতি গোলাম মোস্তফা শিপু সাধারন সম্পাদক কামরুল হাসান টুটুল, লক্ষীপুর ইউনিয়নে সভাপতি মো. নুরুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক মো আলী আকবর, পয়ালগাছা ইউনিয়নে সভাপতি হুমায়ুন কবীর খন্দকার সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল হাই গাজী ও শাকপুর ইউনিয়নে সভাপতি শফিউল্লাহ সাধারন সম্পাদক কেফায়েত উল্লা ।

জানতে চাইলে বরুড়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব সৈয়দ জহিরুল হক বলেন, আমাদের নেতা জাকারিয়া তাহের সুমন দিনরাত পরিশ্রম করে সম্মেলন সার্থক করেছেন। তাঁর নেতৃত্বে আমরা ঐক্যবদ্ধ বিএনপি গঠন করেছি। এতো সুন্দর সম্মেলন গ্রামীণ জনপদে আর কখনও দেখিনি।

তিনি বলেন, পর্যায়ক্রমে সব পদ পূরণ হবে। আমরা ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের দলে স্থান দিয়েছি।