মিতা মিয়াজী, দাউদকান্দি
কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলায় চলতি বছর বাঙ্গির বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে কৃষকের মুখে সুখের হাসি ফুটে উঠেছে।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায়, পোকার আক্রমণ না থাকায়, কৃষকরা বাঙ্গির ভালো ফলন পেয়েছেন। তাছাড়া পবিত্র রমজান মাসে হালকা গরমে বাঙ্গির চাহিদা থাকায় কৃষকরা এবার ভালো দামও পাচ্ছেন।
জানা যায়, দাউদকান্দি উপজেলার টামটা এবং ভেলানগর গ্রামে বংশ পরম্পরায় বাঙ্গির আবাদ হতো। অকাল বৃষ্টিতে বাঙ্গি চাষে ঝুঁকি থাকায়, টামটা গ্রামের চাষিরা বাঙ্গি চাষে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। ২০২১ সাল থেকে টামটা গ্রামের মাঠে বাঙ্গির পরিবর্তে টমেটোর আবাদ করছেন। এতে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন।
কিন্তু ঝুঁকির মধ্যেও ভেলানগর গ্রামের কৃষকরা পুর্বপুরুষদের দুইশত বছরের ঐতিহ্য, বংশ পরম্পরায়ের আবাদ এখনো ধরে রেখেছেন। প্রতি বছরই আবাদ করছেন বাঙ্গি।
ভেলানগর গ্রামের ২৮টি কৃষক পরিবার চলতি বছর বাঙ্গির আবাদ করছেন।
ভেলানগর গ্রামের ৬৫ বছর বয়সী কৃষক আবু তাহের মোল্লা বলেন, তাঁর বাবা সুরুজ মিয়া মোল্লা, দাদা মফিজ উদ্দিন মোল্লা, দাদার বাবা ওমেদ আলী মোল্লা এবং দাদার দাদা সর্দার আলী মোল্লা গ্রামের মাঠে বংশপরম্পরায় বাঙ্গির আবাদ করছেন। চলতি বছর তিনি নিজের ৪৫ শতক জমি এবং পোষাণী- বন্ধক অতিরিক্ত চার বিঘা জমিতে বাঙ্গিসহ বিভিন্ন ফসল আবাদ করেছেন। বছরের পর বছর তিনি এভাবেই কৃষি কাজ করছেন। একমাত্র কৃষি কাজের আয় থেকে তিন ছেলে ( মাসুম আলম মোল্লা, আনিছুর রহমান মোল্লা, আবদুল কাইয়ুম মোল্লা), এক মেয়ে রাবেয়া আক্তারকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করেছেন।
একই গ্রামের ১৮ বছর বয়সী তরুণ কৃষক নাঈম হোসেন মোল্লা বলে, তিনি চলতি বছর ৪৫ শতক জমিতে বাঙ্গির আবাদ করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ও দাম ভালো পেয়েছেন। চলতি বছর বাঙ্গির জমি পোকার আক্রমণে নষ্ট হয়নি। তাঁর বাবা আলী আজম মোল্লা (স্থানীয় একটি মসজিদের ঈমাম), দাদা মরহুম আরব আলী মোল্লা,দাদার বাবা মরহুম পাঞ্জত আলী মোল্লা বাঙ্গির চাষ আবাদ করেছেন। পারিবারিক অসচ্ছলতার কারণে লেখাপড়া ছেড়ে দিয়ে প্রতিবেশীদের দেখাদেখি তরুণ বয়সে কৃষি কাজ করছেন।
একই গ্রামের কৃষক আলী আর্শাদ মোল্লা বলেন, চলতি বছর তিনি বছর ৯০ শতক জমিতে বাঙ্গির আবাদ করেছেন। খরচ হয়েছে ১৫ হাজার টাকা। গত সোমবার খেত থেকে প্রথম বাঙ্গি সংগ্রহ করেছেন। খেত থেকে সংগৃহীত ১১৭টি বাঙ্গি খেতেই পাইকারি দামে ১৩ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন । অকাল বৃষ্টি না হলে এ খেত থেকে তিনি আরো কমপক্ষে ৬০ হাজার টাকার বাঙ্গি বিক্রি করতে পারবেন।
বাঙ্গি চাষি নুরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, বর্তমান বাজারে খেত থেকে পাইকারি দামে প্রতিটি বাঙ্গি ১০০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাঙ্গি ব্যবসায়ী পেন্নাই গ্রামের সাদেক মিয়া জানান, তিনি ২৭ বছর যাবত বাঙ্গির ব্যবসা করছেন। চলতি বছর রমজান থাকায় বাঙ্গির চাহিদা ও দাম বেশি। পাঁচ থেকে ছয় কেজি ওজনের প্রতিটি বাঙ্গি খেত থেকে ১০০ থেকে ১৫০ টাকায় ক্রয় করে, ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি করছেন। ছোট বাঙ্গি সর্বনিম্ন ৩০ টাকায় ক্রয় করে ৬০ টাকায় বিক্রি করছেন। তবে বাঙ্গি পরিবহন, দোকান ভাড়া, কর্মচারীর খরচ রয়েছে।
স্থানীয় পরিবেশ সংগঠক অধ্যাপক মতিন সৈকত বলেন, ভেলানগর গ্রামের মাঠের বাঙ্গি বিষমুক্ত এবং খেতে খুবই সুস্বাদু।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিগার সুলতানা জানান, এ বছর দাউদকান্দিতে ১০ হেক্টর জমিতে বাঙ্গির আবাদ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাঙ্গিতে পোকার আক্রমণ হয়নি। কৃষকরা সরকারি উন্নত জাতের বীজ বপন করায় এবং জৈব সার ব্যবহার করায়। বিষমুক্ত বাঙ্গি এবার তুলনামূলক বড় আকারের হয়েছে।
কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলায় চলতি বছর বাঙ্গির বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে কৃষকের মুখে সুখের হাসি ফুটে উঠেছে।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায়, পোকার আক্রমণ না থাকায়, কৃষকরা বাঙ্গির ভালো ফলন পেয়েছেন। তাছাড়া পবিত্র রমজান মাসে হালকা গরমে বাঙ্গির চাহিদা থাকায় কৃষকরা এবার ভালো দামও পাচ্ছেন।
জানা যায়, দাউদকান্দি উপজেলার টামটা এবং ভেলানগর গ্রামে বংশ পরম্পরায় বাঙ্গির আবাদ হতো। অকাল বৃষ্টিতে বাঙ্গি চাষে ঝুঁকি থাকায়, টামটা গ্রামের চাষিরা বাঙ্গি চাষে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। ২০২১ সাল থেকে টামটা গ্রামের মাঠে বাঙ্গির পরিবর্তে টমেটোর আবাদ করছেন। এতে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন।
কিন্তু ঝুঁকির মধ্যেও ভেলানগর গ্রামের কৃষকরা পুর্বপুরুষদের দুইশত বছরের ঐতিহ্য, বংশ পরম্পরায়ের আবাদ এখনো ধরে রেখেছেন। প্রতি বছরই আবাদ করছেন বাঙ্গি।
ভেলানগর গ্রামের ২৮টি কৃষক পরিবার চলতি বছর বাঙ্গির আবাদ করছেন।
ভেলানগর গ্রামের ৬৫ বছর বয়সী কৃষক আবু তাহের মোল্লা বলেন, তাঁর বাবা সুরুজ মিয়া মোল্লা, দাদা মফিজ উদ্দিন মোল্লা, দাদার বাবা ওমেদ আলী মোল্লা এবং দাদার দাদা সর্দার আলী মোল্লা গ্রামের মাঠে বংশপরম্পরায় বাঙ্গির আবাদ করছেন। চলতি বছর তিনি নিজের ৪৫ শতক জমি এবং পোষাণী- বন্ধক অতিরিক্ত চার বিঘা জমিতে বাঙ্গিসহ বিভিন্ন ফসল আবাদ করেছেন। বছরের পর বছর তিনি এভাবেই কৃষি কাজ করছেন। একমাত্র কৃষি কাজের আয় থেকে তিন ছেলে ( মাসুম আলম মোল্লা, আনিছুর রহমান মোল্লা, আবদুল কাইয়ুম মোল্লা), এক মেয়ে রাবেয়া আক্তারকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করেছেন।
একই গ্রামের ১৮ বছর বয়সী তরুণ কৃষক নাঈম হোসেন মোল্লা বলে, তিনি চলতি বছর ৪৫ শতক জমিতে বাঙ্গির আবাদ করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ও দাম ভালো পেয়েছেন। চলতি বছর বাঙ্গির জমি পোকার আক্রমণে নষ্ট হয়নি। তাঁর বাবা আলী আজম মোল্লা (স্থানীয় একটি মসজিদের ঈমাম), দাদা মরহুম আরব আলী মোল্লা,দাদার বাবা মরহুম পাঞ্জত আলী মোল্লা বাঙ্গির চাষ আবাদ করেছেন। পারিবারিক অসচ্ছলতার কারণে লেখাপড়া ছেড়ে দিয়ে প্রতিবেশীদের দেখাদেখি তরুণ বয়সে কৃষি কাজ করছেন।
একই গ্রামের কৃষক আলী আর্শাদ মোল্লা বলেন, চলতি বছর তিনি বছর ৯০ শতক জমিতে বাঙ্গির আবাদ করেছেন। খরচ হয়েছে ১৫ হাজার টাকা। গত সোমবার খেত থেকে প্রথম বাঙ্গি সংগ্রহ করেছেন। খেত থেকে সংগৃহীত ১১৭টি বাঙ্গি খেতেই পাইকারি দামে ১৩ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন । অকাল বৃষ্টি না হলে এ খেত থেকে তিনি আরো কমপক্ষে ৬০ হাজার টাকার বাঙ্গি বিক্রি করতে পারবেন।
বাঙ্গি চাষি নুরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, বর্তমান বাজারে খেত থেকে পাইকারি দামে প্রতিটি বাঙ্গি ১০০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাঙ্গি ব্যবসায়ী পেন্নাই গ্রামের সাদেক মিয়া জানান, তিনি ২৭ বছর যাবত বাঙ্গির ব্যবসা করছেন। চলতি বছর রমজান থাকায় বাঙ্গির চাহিদা ও দাম বেশি। পাঁচ থেকে ছয় কেজি ওজনের প্রতিটি বাঙ্গি খেত থেকে ১০০ থেকে ১৫০ টাকায় ক্রয় করে, ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি করছেন। ছোট বাঙ্গি সর্বনিম্ন ৩০ টাকায় ক্রয় করে ৬০ টাকায় বিক্রি করছেন। তবে বাঙ্গি পরিবহন, দোকান ভাড়া, কর্মচারীর খরচ রয়েছে।
স্থানীয় পরিবেশ সংগঠক অধ্যাপক মতিন সৈকত বলেন, ভেলানগর গ্রামের মাঠের বাঙ্গি বিষমুক্ত এবং খেতে খুবই সুস্বাদু।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিগার সুলতানা জানান, এ বছর দাউদকান্দিতে ১০ হেক্টর জমিতে বাঙ্গির আবাদ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাঙ্গিতে পোকার আক্রমণ হয়নি। কৃষকরা সরকারি উন্নত জাতের বীজ বপন করায় এবং জৈব সার ব্যবহার করায়। বিষমুক্ত বাঙ্গি এবার তুলনামূলক বড় আকারের হয়েছে।