গাজীউল হক সোহাগ
কুমিল্লা নগরের উন্নয়নের জন্য তিন বছর আগে ১ হাজার ৫৩৮ কোটি ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত বড় প্রকল্পগুলোর দরপত্রই আহবান করা হয়নি। ছোট ছোট প্রকল্পগুলোর কাজও চলছে ধীরগতিতে। প্রকল্পের মেয়াদ গত বছরের ডিসেম্বর মাসে শেষ হয়ে যায়। পরে সেটি বাড়িয়ে আরও এক বছর বাড়ানো হয়। তিন বছরে এ পর্যন্ত মেগাপ্রকল্পের ৫১ শতাংশ কাজ হয়েছে বলে প্রকল্প পরিচালক মো. আবু সায়েম ভূঁইয়া দাবি করেছেন।
নগর ভবন সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ৭ ডিসেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের উন্নয়ন কাজের জন্য ১ হাজার ৫৩৮ কোটি ১০ লাখ টাকার প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। তিন বছর ওই প্রকল্পের মেয়াদ ছিল। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের সময়সীমা নির্ধারণ ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় এক বছর বাড়ানো হয়।
প্রকল্পগুলো হল -১৫ তলা নগর ভবন, দুতলার দুইটি সেবক কলোনি, সিটি করপোরেশনের আঞ্চলিক অফিসের উন্নয়ন, জলাবদ্ধতা দূরীকরণ, সানজট নিরসন, রাস্তাঘাট উন্নয়ন ও সৌন্দর্যবর্ধন, মুভির ঝিলের আদলে পুরাতন গোমতী নদী ও নগরের বিভিন্ন পুকুরের উন্নয়ন, সেতু তৈরি, নদী শাসন, ২০৩ কিলোমিটার নালা নির্মাণ, রাস্তাঘাটের আধুনিকায়ন ও আলোকসজ্জা আপন, ১৪৬ টি কবরস্থান উন্নয়ন, ৩০৫ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ, ১৩ কিলোমিটার ফুটপাত নির্মাণ, সাতটি আধুনিক পাবলিক টয়লেট নির্মাণ, একটি করে ট্রাক ও বাস টার্মিনাল নির্মাণ ১১ রয়েছে।
নগর ভবন সূত্রে জানা গেছে, ১৫ তলা নগর ভবন ও সেবক কলোনীর জন্য ২২০ কোটি টাকা, হাতির ঝিলের আদশে পুরাতন গোমতী নদী ও নগরের বিভিন্ন পুকুরের উন্নয়ন বাবদ ২১৪ কোটি টাকা ও ঢাকা-চট্টগ্লাম মহাসড়কের পাশে মোস্তফাপুর এলাকায় ৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণের জন্য বরাদ্দ রাখা হয় । এখন পর্যন্ত বড় তিনটি প্রকল্পের দরপত্র আহবান করা হয়নি। ছোট প্রকল্পের মধ্যে সাতটি আধুনিক পাবলিক টয়লেট নির্মাণ হয়নি। সড়কের উন্নয়ন কাজও পুরোপুরি হয়নি। এর মধ্যে নগরের অন্যতম প্রধান কান্দিরপাড়- ধর্মপুর সড়কের কাজও হয়নি। এই সড়ক দিয়ে ভোগান্তি নিয়ে নগরের পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ যাতায়াত করে থাকেন। তবে নগরের শাসনগাছা রেলওয়ে পদচারি সেতুর পূর্ব অংশ থেকে নূরপুর পর্যন্ত ৫ দশমিক ৬ কিলোমিটার সড়কের প্রশ্ন সম্প্রসারণ কাজ চলছে। এছাড়া কান্দিরপাড়- পুলিশ লাইন সড়ক সম্প্রসারণ কাজ শেষ হয়েছে। এ পর্যন্ত ১৫৩৮ কোটি টাকার মধ্যে ৮৯০ কোটি টাকা পাওয়া গেছে।
প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলছেন, মেগাপ্রকল্প অনুমোদনের পর প্রশাসনিক নথি চালাচালি করতে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি- মার্চ পর্যন্ত সময় লাগে। এরপর ২০২২ সালের ১৫ জুন সিটি করপোরেশন নির্বাচন হয়। ২০২৩ সালের ১৩ ডিসেম্বও তৎকালীন সিটি মেয়র আরফানুল হক রিফাত মারা যান। এরপর ভারপ্রাপ্ত মেয়র দায়িত্বে ছিলেন। ২০২৪ সালের ৯ মার্চ মেয়র পদে উপনির্বাচন হয়। পরবর্তীতে নতুন মেয়র তাহসীন বাহার দায়িত্ব নেন। তিনিও সাড়ে তিন মাসের মতো দায়িত্বে ছিলেন। পরে নির্বাহী আদেশে সারাদেশে সব সিটি করপোরেশনের মেয়র কে সরিয়ে দেওয়া হয়। এসব কারণেও প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতি পরিলক্ষিত হচ্ছে।
জানতে চাইলে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক মো. আবু সায়েম ভূঁঞা গতকাল সোমবার দুপুরে তাঁর দপ্তর আমার শহর পত্রিকাকে বলেন, এ পর্যন্ত মেগা প্রকল্পের ৫১ শতাংশ কাজ হয়েছে। প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বাড়িয়ে ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে। ইতিমধ্যে নগর ভবনের সামনের সড়ক, উনাইসার সড়ক, গোমতী নদীর সড়ক, আদালত সড়ক, কাটাবিল নূরপুর সড়কের উন্নয়ন হয়েছে। কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ছামছুল আলম বলেন, প্রকল্পের কাজ চলমান আছে। প্রকল্পের মেয়াদকালে দুই দফা নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচনের সময়ে কাজ বন্ধ থাকে। এছাড়া নানা কারণে যথাসময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ হয়নি। পরে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়। প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য টাকা জমা আছে।
কুমিল্লা নগরের উন্নয়নের জন্য তিন বছর আগে ১ হাজার ৫৩৮ কোটি ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত বড় প্রকল্পগুলোর দরপত্রই আহবান করা হয়নি। ছোট ছোট প্রকল্পগুলোর কাজও চলছে ধীরগতিতে। প্রকল্পের মেয়াদ গত বছরের ডিসেম্বর মাসে শেষ হয়ে যায়। পরে সেটি বাড়িয়ে আরও এক বছর বাড়ানো হয়। তিন বছরে এ পর্যন্ত মেগাপ্রকল্পের ৫১ শতাংশ কাজ হয়েছে বলে প্রকল্প পরিচালক মো. আবু সায়েম ভূঁইয়া দাবি করেছেন।
নগর ভবন সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ৭ ডিসেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের উন্নয়ন কাজের জন্য ১ হাজার ৫৩৮ কোটি ১০ লাখ টাকার প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। তিন বছর ওই প্রকল্পের মেয়াদ ছিল। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের সময়সীমা নির্ধারণ ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় এক বছর বাড়ানো হয়।
প্রকল্পগুলো হল -১৫ তলা নগর ভবন, দুতলার দুইটি সেবক কলোনি, সিটি করপোরেশনের আঞ্চলিক অফিসের উন্নয়ন, জলাবদ্ধতা দূরীকরণ, সানজট নিরসন, রাস্তাঘাট উন্নয়ন ও সৌন্দর্যবর্ধন, মুভির ঝিলের আদলে পুরাতন গোমতী নদী ও নগরের বিভিন্ন পুকুরের উন্নয়ন, সেতু তৈরি, নদী শাসন, ২০৩ কিলোমিটার নালা নির্মাণ, রাস্তাঘাটের আধুনিকায়ন ও আলোকসজ্জা আপন, ১৪৬ টি কবরস্থান উন্নয়ন, ৩০৫ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ, ১৩ কিলোমিটার ফুটপাত নির্মাণ, সাতটি আধুনিক পাবলিক টয়লেট নির্মাণ, একটি করে ট্রাক ও বাস টার্মিনাল নির্মাণ ১১ রয়েছে।
নগর ভবন সূত্রে জানা গেছে, ১৫ তলা নগর ভবন ও সেবক কলোনীর জন্য ২২০ কোটি টাকা, হাতির ঝিলের আদশে পুরাতন গোমতী নদী ও নগরের বিভিন্ন পুকুরের উন্নয়ন বাবদ ২১৪ কোটি টাকা ও ঢাকা-চট্টগ্লাম মহাসড়কের পাশে মোস্তফাপুর এলাকায় ৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণের জন্য বরাদ্দ রাখা হয় । এখন পর্যন্ত বড় তিনটি প্রকল্পের দরপত্র আহবান করা হয়নি। ছোট প্রকল্পের মধ্যে সাতটি আধুনিক পাবলিক টয়লেট নির্মাণ হয়নি। সড়কের উন্নয়ন কাজও পুরোপুরি হয়নি। এর মধ্যে নগরের অন্যতম প্রধান কান্দিরপাড়- ধর্মপুর সড়কের কাজও হয়নি। এই সড়ক দিয়ে ভোগান্তি নিয়ে নগরের পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ যাতায়াত করে থাকেন। তবে নগরের শাসনগাছা রেলওয়ে পদচারি সেতুর পূর্ব অংশ থেকে নূরপুর পর্যন্ত ৫ দশমিক ৬ কিলোমিটার সড়কের প্রশ্ন সম্প্রসারণ কাজ চলছে। এছাড়া কান্দিরপাড়- পুলিশ লাইন সড়ক সম্প্রসারণ কাজ শেষ হয়েছে। এ পর্যন্ত ১৫৩৮ কোটি টাকার মধ্যে ৮৯০ কোটি টাকা পাওয়া গেছে।
প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলছেন, মেগাপ্রকল্প অনুমোদনের পর প্রশাসনিক নথি চালাচালি করতে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি- মার্চ পর্যন্ত সময় লাগে। এরপর ২০২২ সালের ১৫ জুন সিটি করপোরেশন নির্বাচন হয়। ২০২৩ সালের ১৩ ডিসেম্বও তৎকালীন সিটি মেয়র আরফানুল হক রিফাত মারা যান। এরপর ভারপ্রাপ্ত মেয়র দায়িত্বে ছিলেন। ২০২৪ সালের ৯ মার্চ মেয়র পদে উপনির্বাচন হয়। পরবর্তীতে নতুন মেয়র তাহসীন বাহার দায়িত্ব নেন। তিনিও সাড়ে তিন মাসের মতো দায়িত্বে ছিলেন। পরে নির্বাহী আদেশে সারাদেশে সব সিটি করপোরেশনের মেয়র কে সরিয়ে দেওয়া হয়। এসব কারণেও প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতি পরিলক্ষিত হচ্ছে।
জানতে চাইলে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক মো. আবু সায়েম ভূঁঞা গতকাল সোমবার দুপুরে তাঁর দপ্তর আমার শহর পত্রিকাকে বলেন, এ পর্যন্ত মেগা প্রকল্পের ৫১ শতাংশ কাজ হয়েছে। প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বাড়িয়ে ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে। ইতিমধ্যে নগর ভবনের সামনের সড়ক, উনাইসার সড়ক, গোমতী নদীর সড়ক, আদালত সড়ক, কাটাবিল নূরপুর সড়কের উন্নয়ন হয়েছে। কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ছামছুল আলম বলেন, প্রকল্পের কাজ চলমান আছে। প্রকল্পের মেয়াদকালে দুই দফা নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচনের সময়ে কাজ বন্ধ থাকে। এছাড়া নানা কারণে যথাসময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ হয়নি। পরে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়। প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য টাকা জমা আছে।