ভোগান্তিতে ১০ গ্রামের মানুষ
দেবীদ্বার প্রতিনিধি
কুমিল্লার দেবীদ্বারে ১০ গ্রামের মানুষকে সীমাহীন দুর্ভোগে ফেলে সড়কের কাজ না করে পালিয়েছেন ঠিকাদার। উপজেলার বড়শালঘর ইউনিয়নের ছোটশালঘর কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের বাসস্ট্যান্ড থেকে সৈয়দপুর বাজার পর্যন্ত পল্লী সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ প্রকল্পের আওতায় ১ হাজার ৫৭৬ মিটার সড়কের কাজের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়।
গত বছরের ৪ ডিসেম্বর ৮৪ লাখ ২৫ হাজার ৯৬৮ টাকা প্রাক্কলন ব্যয়ে কাজটি পায় ‘ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজ’। চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি কাজটি সম্পন্ন করার করার কথা থাকলেও ওই কাজ অসম্পূর্ণ রেখে ঠিকাদার কাজী মো. তসলিম পালিয়ে গেছেন। সড়কের প্রায় অর্ধেক ইট-সুরকি ফেললেও বাকি অর্ধেক সড়কের বক্স কেটে ঠিকাদার উধাও হয়ে যান।
স্থানীয়রা জানান, বড়শালঘর, ছোটশালঘর, ভবানীপুর, সৈয়দপুর, অনন্তপুর, পৈরাংকুল, প্রজাপতি, এগারগ্রাম, ইউছুফপুর, মহেশপুর গ্রামের হাজার হাজার মানুষের যাতায়াত ও যোগাযোগের অন্যতম বাহন এ সড়কটি। এ ছাড়াও বড়শালঘর এবিএম গোলাম মোস্তফা আদর্শ ডিগ্রি কলেজ, বড়শালঘর মফিজ উদ্দিন আহমেদ ইউএমই উচ্চ বিদ্যালয়, ইউছুফপুর উচ্চ বিদ্যালয়, সৈয়দপুর আলিয়া মাদ্রাসা ছাড়াও প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিন্ডারগার্টেন স্কুল, হাট-বাজারে যাতায়াতকারীরা চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন।
ছোটশালঘর গ্রামের ভুক্তভোগী আবুল কাসেম, নূরজাহান বেগম জানান, সড়কের প্রায় আধা কিলোমিটার বক্স গর্ত কেটে ৪ মাস ধরে ফেলে রাখায় ওই গর্তে জমে থাকা বৃষ্টির পানির কারণে সড়কটি দিয়ে চলাচলে স্কুলের বাচ্চা, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, পথচারী ও যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। অনেকের প্রয়োজনে কাদা-পানি মাড়িয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে হয়। তারা আরো জানান, পরিবহনযোগে নির্মাণ সামগ্রী আনতে না পারায়, এলাকার একটি মসজিদ ও কয়েকটি ভবন নির্মাণের কাজ পড়ে আছে।
স্থানীয়রা জানান, প্রথম ঠিকাদারকে উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ থেকে চাপ প্রয়োগ করলে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার কাজী মো. তছলিম কাজ করতে আসেন। স্থানীয় বিএনপির সমর্খক জহিরুল ইসলাম ও মোস্তফাসহ কয়েকজন তছলিম কাজী থেকে জোরপূর্বক কাজটি নিয়ে যায়। এরপর তারাও কাজ না করে পালিয়ে যায়।
এ ব্যপারে ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকার কাজী মো. তছলিম, পরবর্তীতে কাজের দায়িত্ব নেয়া বিএনপি সমর্থক জহিরুল ইসলাম ও মোস্তফার সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কারোর সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
এলজিইডির উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চন্দ্র সরকার জানান, ছোট শালঘর থেকে সৈয়দপুর বাজারের সড়কের কাজটি পায় ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী কাজী তছলিম। কাজটি সম্পন্ন করতে বিলম্ব হওয়ায় তাকে সতর্ক করলে সে কাজটি সম্পন্ন করতে যায়। এ সময় স্থানীয় বিএনপি নেতা জহির ও মোস্তফা কাজটি তাদের তত্ত্ব¡াবধানে করবে বলে তছলিম কাজীকে সরিয়ে দেয়। পরবর্তীতে জহির মোস্তফারাও কাজটি করেনি। পূর্বের কাজটি বাতিলের চিঠি দিয়েছি। জনদুর্ভোগ নিরসনে ওই সড়কের কাজ পুন:দরপত্র আহ্বানে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কাজ শেষ করতে হবে। তাতে সময় লাগবে ৬ মাস থেকে এক বছর। আপাতত বক্স কাটিংয়ের স্থানটি জরুরি ভিত্তিতে বালু দিয়ে পূরণ করে দেব। যাতে জনগণ চলাচল করতে পারে।
কুমিল্লার দেবীদ্বারে ১০ গ্রামের মানুষকে সীমাহীন দুর্ভোগে ফেলে সড়কের কাজ না করে পালিয়েছেন ঠিকাদার। উপজেলার বড়শালঘর ইউনিয়নের ছোটশালঘর কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের বাসস্ট্যান্ড থেকে সৈয়দপুর বাজার পর্যন্ত পল্লী সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ প্রকল্পের আওতায় ১ হাজার ৫৭৬ মিটার সড়কের কাজের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়।
গত বছরের ৪ ডিসেম্বর ৮৪ লাখ ২৫ হাজার ৯৬৮ টাকা প্রাক্কলন ব্যয়ে কাজটি পায় ‘ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজ’। চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি কাজটি সম্পন্ন করার করার কথা থাকলেও ওই কাজ অসম্পূর্ণ রেখে ঠিকাদার কাজী মো. তসলিম পালিয়ে গেছেন। সড়কের প্রায় অর্ধেক ইট-সুরকি ফেললেও বাকি অর্ধেক সড়কের বক্স কেটে ঠিকাদার উধাও হয়ে যান।
স্থানীয়রা জানান, বড়শালঘর, ছোটশালঘর, ভবানীপুর, সৈয়দপুর, অনন্তপুর, পৈরাংকুল, প্রজাপতি, এগারগ্রাম, ইউছুফপুর, মহেশপুর গ্রামের হাজার হাজার মানুষের যাতায়াত ও যোগাযোগের অন্যতম বাহন এ সড়কটি। এ ছাড়াও বড়শালঘর এবিএম গোলাম মোস্তফা আদর্শ ডিগ্রি কলেজ, বড়শালঘর মফিজ উদ্দিন আহমেদ ইউএমই উচ্চ বিদ্যালয়, ইউছুফপুর উচ্চ বিদ্যালয়, সৈয়দপুর আলিয়া মাদ্রাসা ছাড়াও প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিন্ডারগার্টেন স্কুল, হাট-বাজারে যাতায়াতকারীরা চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন।
ছোটশালঘর গ্রামের ভুক্তভোগী আবুল কাসেম, নূরজাহান বেগম জানান, সড়কের প্রায় আধা কিলোমিটার বক্স গর্ত কেটে ৪ মাস ধরে ফেলে রাখায় ওই গর্তে জমে থাকা বৃষ্টির পানির কারণে সড়কটি দিয়ে চলাচলে স্কুলের বাচ্চা, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, পথচারী ও যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। অনেকের প্রয়োজনে কাদা-পানি মাড়িয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে হয়। তারা আরো জানান, পরিবহনযোগে নির্মাণ সামগ্রী আনতে না পারায়, এলাকার একটি মসজিদ ও কয়েকটি ভবন নির্মাণের কাজ পড়ে আছে।
স্থানীয়রা জানান, প্রথম ঠিকাদারকে উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ থেকে চাপ প্রয়োগ করলে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার কাজী মো. তছলিম কাজ করতে আসেন। স্থানীয় বিএনপির সমর্খক জহিরুল ইসলাম ও মোস্তফাসহ কয়েকজন তছলিম কাজী থেকে জোরপূর্বক কাজটি নিয়ে যায়। এরপর তারাও কাজ না করে পালিয়ে যায়।
এ ব্যপারে ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকার কাজী মো. তছলিম, পরবর্তীতে কাজের দায়িত্ব নেয়া বিএনপি সমর্থক জহিরুল ইসলাম ও মোস্তফার সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কারোর সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
এলজিইডির উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চন্দ্র সরকার জানান, ছোট শালঘর থেকে সৈয়দপুর বাজারের সড়কের কাজটি পায় ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী কাজী তছলিম। কাজটি সম্পন্ন করতে বিলম্ব হওয়ায় তাকে সতর্ক করলে সে কাজটি সম্পন্ন করতে যায়। এ সময় স্থানীয় বিএনপি নেতা জহির ও মোস্তফা কাজটি তাদের তত্ত্ব¡াবধানে করবে বলে তছলিম কাজীকে সরিয়ে দেয়। পরবর্তীতে জহির মোস্তফারাও কাজটি করেনি। পূর্বের কাজটি বাতিলের চিঠি দিয়েছি। জনদুর্ভোগ নিরসনে ওই সড়কের কাজ পুন:দরপত্র আহ্বানে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কাজ শেষ করতে হবে। তাতে সময় লাগবে ৬ মাস থেকে এক বছর। আপাতত বক্স কাটিংয়ের স্থানটি জরুরি ভিত্তিতে বালু দিয়ে পূরণ করে দেব। যাতে জনগণ চলাচল করতে পারে।