কুমিল্লার লালমাইয়ে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে জাহাঙ্গীর হোসেন (৫০) এবং ধর্ষণের ঘটনায় সালিশ বৈঠক করার অভিযোগে এনামুল হোসেন বাচ্চু নামে আওয়ামী লীগের এক নেতাকে আটক করা হয়েছে।

গতকাল শনিবার বিকেলে লালমাই থানা পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। জাহাঙ্গীর হোসেন উপজেলার পেরুল উত্তর ইউনিয়নের উৎসবপদুয়া গ্রামের প্রয়াত আলী হোসেনের ছেলে। তিনি পেশায় সিএনজি অটোরিকশার চালক। এনামুল হোসেন বাচ্চু উপজেলার পেরুল উত্তর ইউনিয়নের পাড়া দৌলতপুর গ্রামের প্রয়াত আবদুল ওয়াদুদের ছেলে। তিনি পেরুল উত্তর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও পাড়াদৌলতপুর গ্রামের সর্দার।

ধর্ষিতার মা বলেন, আমার মেয়েটা প্রতিবন্ধী। গত বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে জাহাঙ্গীর গ্রামের গার্ড বাড়ির একটি বাগানে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। মেয়ে ঘরে এসে আমাকে জানালে গ্রামের সর্দার-মাতব্বরদের বিষয়টি জানাই।

তিনি আরো বলেন, শুক্রবার উৎসবপদুয়ার সর্দার জয়নাল আবেদীন ও পাড়া দৌলতপুরের সর্দার এনামুল হোসেন বাচ্চু গ্রামের চা দোকানে মাতব্বরদের নিয়ে জাহাঙ্গীরকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন এবং কান ধরে উঠবস করান। সালিশে রায় কার্যকরের ৫শ টাকা তাৎক্ষণিক জয়নাল সর্দারের কাছে জমা দেওয়া হয়।

লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার ও ধর্ষণের ঘটনায় সালিশ বৈঠক করায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রাম সর্দার এনামুল হোসেন বাচ্চুকেও আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।