নিজস্ব প্রতিবেদক
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ২০০৮ সালে কুমিল্লা-১০ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া বলেছেন, 'আমি কোন জেলার সমালোচনা করিনি। কুমিল্লা আমার প্রাণের জেলা। কুমিল্লা আমার শহর। আমার পুরো বক্তব্য না শুনে বলা করেছি। আমি বলেছি, ঢাকা ও চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী স্থানে কুমিল্লা। দীর্ঘ ভ্রমণের পর যাত্রাবিরতিতে কুমিল্লায় মানুষ নানা প্রয়োজনে নামে। কেউ নামাজ পড়তে, খেতে ও প্রস্রাব করতে। আমার বক্তব্য বিকৃত করে উপস্থাপন করা হয়েছে। তবে বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে দেওয়া আমার কথা থেকে আমি
এক চুলও নড়ব না।' গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় আমার শহর পত্রিকাকে তিনি এসব কথা বলে। সম্প্রতি কুমিল্লার লালমাই উপজেলার হাজতখোলা এলাকায় এক ইফতার মাহফিলে মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া বক্তব্য দেন।
এতে তিনি বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য মনিরুল হক চৌধুরী ও আমিন উর রশিদ ইয়াছিন, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক সাবেক সংসদ সদস্য জাকারিয়া তাহের সুমন, কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সভাপতি উত্ৰাতুল বারী আবু ও সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপুর বিরুদ্ধে বিষোদগার করে বক্তব্য দেন। তাঁর ওই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এরপর বিএনপির নেতারা মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়ার বক্তব্যকে সুস্থ মানুষের বক্তব্য না বলে মন্তব্য করেন। তাঁরা মোবাশ্বেরের বক্তব্যকে রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত বলে মন্তব্য করেছেন।
এদিকে এবারের ঈদুল ফিতরের ছুটিতে পুরো জেলায় মোবাশ্বেরের বক্তব্য নিয়ে ব্যাপক আলোচনা, সমালোচনা হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও মোবাশ্বের ছিলেন নানা ধরণের আলোচনায়।
এ অবস্থায় আমার শহর পত্রিকার পক্ষ থেকে গতকাল সন্ধ্যায় মোবাশ্বেরের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। এতে মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া বলেন, আলোচনা সমালোচনা নিয়েই মানুষের জীবন। আমি কুমিল্লাকে নিয়ে কিছু বলিনি। শুধু ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছি। আমি সেইদিন সংক্ষুদ্ধ হয়ে বক্তব্য দিয়েছি। ওদের দ্বারা অপমানিত হয়ে বক্তব্য দিয়েছি। এক টিপপার ( মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপু) কারণে আমার সাম্রাজ্য শেষ। আৰু আঁর বিরুদ্ধে ধর্মসাগরপাড়ে বক্তৃতা দিছে। ২০১৭ সালে ইয়াছিন ( আমিন উর রশিদ) ও সাজু ( মো. মনিরুল হক) কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হওয়ার কথা ছিল। আমি কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি ও মোস্তাক মিয়া সাধারণ সম্পাদক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ইয়াছিনের বিরোধিতার কারণে কমিটি আনতে পারিনি। তখন আমার দলের ওপরের লেভেলে ভালো যোগাযোগ ছিল। হাজতখোলার ইফতার মাহফিলে বিএনপি নেতাদের নিয়ে আমি টক ঝাল মিষ্টি বক্তব্য দিছি। নেতাদের নিয়ে যা বলেছি, তা সত্য।'
আপনার এমন বক্তব্যের পর কোন নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে কিনা। এই প্রশ্নের জবাবে মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া বলেন, ঈদের আগের দিন রাতে মনির ভাইয়ের ( মনিরুল হক চৌধুরী) বাসায় গেছি। দুইবার তাঁর পায়ে ধরি সালাম করেছি। ২০১৮ সালে মনির চৌধুরীকে আমার আসনে দলীয় দেওয়ায় আমি তাঁর বিরুদ্ধে কথা বলি। অবশ্য তখন আমি জেলে ছিলাম। মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া বলেন, আমি যা বলেছি দলের স্বার্থে বলেছি। আমি বিএনপি, জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কোন কথা বলিনি।
আগামী নির্বাচনে আপনার দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আজ পর্যন্ত ( গতকাল শুক্রবার) আমার মনোনয়ন আছে। কাল ( আজ শনিবার) আছে কিনা জানি না। কিভাবে নিশ্চিত হলেন আপনার মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আমি ১৭ বছর দলের জন্য ত্যাগের রাজনীতি করেছি। জেল খেটেছি। তাই বলছি। তবে দল যাঁকে দলীয় মনোনয়ন দেয় আমি তাঁর পক্ষে।"
সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল গফুর ভূঁইয়াকে যে রয়েল বেঙ্গল টাইগার বলেছেন, কেন এই প্রশ্নের জবাবে বলেন, উনি আমার বড় ভাই। যখন এমপি ছিলেন রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মতোই চলেছেন। চালাইছেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ২০০৮ সালে কুমিল্লা-১০ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া বলেছেন, 'আমি কোন জেলার সমালোচনা করিনি। কুমিল্লা আমার প্রাণের জেলা। কুমিল্লা আমার শহর। আমার পুরো বক্তব্য না শুনে বলা করেছি। আমি বলেছি, ঢাকা ও চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী স্থানে কুমিল্লা। দীর্ঘ ভ্রমণের পর যাত্রাবিরতিতে কুমিল্লায় মানুষ নানা প্রয়োজনে নামে। কেউ নামাজ পড়তে, খেতে ও প্রস্রাব করতে। আমার বক্তব্য বিকৃত করে উপস্থাপন করা হয়েছে। তবে বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে দেওয়া আমার কথা থেকে আমি
এক চুলও নড়ব না।' গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় আমার শহর পত্রিকাকে তিনি এসব কথা বলে। সম্প্রতি কুমিল্লার লালমাই উপজেলার হাজতখোলা এলাকায় এক ইফতার মাহফিলে মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া বক্তব্য দেন।
এতে তিনি বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য মনিরুল হক চৌধুরী ও আমিন উর রশিদ ইয়াছিন, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক সাবেক সংসদ সদস্য জাকারিয়া তাহের সুমন, কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সভাপতি উত্ৰাতুল বারী আবু ও সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপুর বিরুদ্ধে বিষোদগার করে বক্তব্য দেন। তাঁর ওই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এরপর বিএনপির নেতারা মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়ার বক্তব্যকে সুস্থ মানুষের বক্তব্য না বলে মন্তব্য করেন। তাঁরা মোবাশ্বেরের বক্তব্যকে রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত বলে মন্তব্য করেছেন।
এদিকে এবারের ঈদুল ফিতরের ছুটিতে পুরো জেলায় মোবাশ্বেরের বক্তব্য নিয়ে ব্যাপক আলোচনা, সমালোচনা হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও মোবাশ্বের ছিলেন নানা ধরণের আলোচনায়।
এ অবস্থায় আমার শহর পত্রিকার পক্ষ থেকে গতকাল সন্ধ্যায় মোবাশ্বেরের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। এতে মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া বলেন, আলোচনা সমালোচনা নিয়েই মানুষের জীবন। আমি কুমিল্লাকে নিয়ে কিছু বলিনি। শুধু ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছি। আমি সেইদিন সংক্ষুদ্ধ হয়ে বক্তব্য দিয়েছি। ওদের দ্বারা অপমানিত হয়ে বক্তব্য দিয়েছি। এক টিপপার ( মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপু) কারণে আমার সাম্রাজ্য শেষ। আৰু আঁর বিরুদ্ধে ধর্মসাগরপাড়ে বক্তৃতা দিছে। ২০১৭ সালে ইয়াছিন ( আমিন উর রশিদ) ও সাজু ( মো. মনিরুল হক) কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হওয়ার কথা ছিল। আমি কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি ও মোস্তাক মিয়া সাধারণ সম্পাদক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ইয়াছিনের বিরোধিতার কারণে কমিটি আনতে পারিনি। তখন আমার দলের ওপরের লেভেলে ভালো যোগাযোগ ছিল। হাজতখোলার ইফতার মাহফিলে বিএনপি নেতাদের নিয়ে আমি টক ঝাল মিষ্টি বক্তব্য দিছি। নেতাদের নিয়ে যা বলেছি, তা সত্য।'
আপনার এমন বক্তব্যের পর কোন নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে কিনা। এই প্রশ্নের জবাবে মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া বলেন, ঈদের আগের দিন রাতে মনির ভাইয়ের ( মনিরুল হক চৌধুরী) বাসায় গেছি। দুইবার তাঁর পায়ে ধরি সালাম করেছি। ২০১৮ সালে মনির চৌধুরীকে আমার আসনে দলীয় দেওয়ায় আমি তাঁর বিরুদ্ধে কথা বলি। অবশ্য তখন আমি জেলে ছিলাম। মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া বলেন, আমি যা বলেছি দলের স্বার্থে বলেছি। আমি বিএনপি, জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কোন কথা বলিনি।
আগামী নির্বাচনে আপনার দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আজ পর্যন্ত ( গতকাল শুক্রবার) আমার মনোনয়ন আছে। কাল ( আজ শনিবার) আছে কিনা জানি না। কিভাবে নিশ্চিত হলেন আপনার মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আমি ১৭ বছর দলের জন্য ত্যাগের রাজনীতি করেছি। জেল খেটেছি। তাই বলছি। তবে দল যাঁকে দলীয় মনোনয়ন দেয় আমি তাঁর পক্ষে।"
সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল গফুর ভূঁইয়াকে যে রয়েল বেঙ্গল টাইগার বলেছেন, কেন এই প্রশ্নের জবাবে বলেন, উনি আমার বড় ভাই। যখন এমপি ছিলেন রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মতোই চলেছেন। চালাইছেন।