ইতোমধ্যে হাটবাজারগুলোতে কোরবানির গরু বিক্রি শুরু হয়েছে
নাঙ্গলকোট প্রতিনিধি
কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে নাঙ্গলকোটে ছোট-বড় গরু খামারিরা তাদের খামার থেকে গরু বিক্রির শেষ মূহুর্তের প্রস্তুতি সম্পন্ন করছেন। বিভিন্ন খামারগুলোতে বিভিন্ন প্রজাতির ছোট-বড় প্রায় ২০ হাজার হাজার গরু বিক্রির জন্য প্রস্তুত রয়েছে। খামারিদের পাশাপাশি কৃষকরাও তাদের লালন-পালনকৃত গরু বিক্রির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। খামারিরা গত ৫/৬মাস থেকে তাদের খামারে লালনকৃত গরু বিক্রির জন্য বিভিন্ন গরু বাজারে নিয়ে যাচ্ছেন। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিশেষ করে ফেনী, নোয়াখালী ও চাঁদপুর থেকে বিভিন্ন পাইকারেরা বড়-বড় গরু খামারগুলোতে গরু ক্রয়ের জন্য খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। খামারিদের চোখে-মুখে গরু বিক্রি থেকে প্রত্যাশিত আয় পাবার স্বপ্নে বিভোর থাকতে দেখা যায়। যদিও বিভিন্ন কোম্পনীর খাদ্য এবং ভ্যাকসিনের দামের তুলনায় গরু দাম কম হওয়ায় গরু খামারীরা খুব বেশি লাভের মুখ দেখবেন না বলে অনেক খামারী হতাশা প্রকাশ করেন।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর থেকে ঈদ উপলক্ষে গরুর চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ২৮হাজার। গরু মজুদ রয়েছে ২৭ হাজার ১শ ৭৪ টি। উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ইমরুল হাসান রাসেল আশা করছে, ঈদ বাজারে কেনাকাটার মাধ্যমে ঘাটতি পূরণ হয়ে যাবে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার সবচাইতে বড় গরুর ফার্ম রায়কোট দক্ষিণ ইউনিয়নের বাসন্ডায় নাফি গরু ফার্ম। এছাড়া একই গ্রামে আরজু মেম্বারে গরুর খামার, কালামের গরুর খামার রয়েছে। মক্রবপুর ইউনিয়নের তান্না এগ্রো ফার্ম, রায়কোট উত্তর ইউনিয়নের শাহাদাতের গরু ফার্ম, পৌরসভার বাতুপাড়ার হোসাইন ডেইরী ফার্ম, সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের সাতবাড়িয় এগ্রো ফার্মে দেশী-বিদেশী বিভিন্ন প্রজাতির বিক্রি উপযোগী কয়েক হাজার গরু রয়েছে। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ছোট-ছোট খামারে খামারীরা আরো কায়েক হাজার গরু লালন-পালন করে ঈদ বাজারের জন্য প্রস্তুত করেছেন। অন্যদিকে, উপজেলাব্যাপি কৃষক পর্যায়েও গরু বিক্রির জন্য গরু প্রস্তুত করা হয়েছে।
নাফি গরু ফার্মে ঘুরে দেখা যায়, শাহীওয়াল, দেশী বোল্ডার, হলস্টিন ও ফিজিসিয়ান জাতের প্রায় ৮০টি বড়-বড় গরু রয়েছে। নাফি গরু ফার্মের মালিক শাহজালাল বলেন, গত ৩৫বছর থেকে আমার ফার্মে গরু মোটাজাতকরণ করে আসছি। ফার্মে দেড় লক্ষ টাকা থেকে সাড়ে ৩লক্ষ টাকার পর্যন্ত গরু রয়েছে। তিনি গরুর খাদ্য হিসেবে নেফিয়ার জাতের ঘাস, এসি আই কোম্পানীর মিট মোর খাদ্য খাওয়াচ্ছেন। গরু মোটাতাজাকরণে হরমন জাতীয় স্টরেড কোন খাদ্য তিনি খাওয়ান না বলে জানান। তার ফার্মে তিন লোক নিয়মিত কাজ করছেন। তিনি খামার থেকে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা লাভের আশা করছেন। তিনি আরো জানান, ফেনী, নোয়াখালীর মাইজদি, ছাতারপাইয়া, চাঁদপুরের মেহের থেকে পাইকারেরা গরু ক্রয়ের জন্য যোগাযোগ করছেন। আমার গরু বিভিন্ন বাজারে নিতে হয় না। দাম কিছুটা ছাড় দিয়ে এলাকার লোকজন এবং পাইকেরেরা খামারে এসে গরু নিয়ে যায়।
এছাড়া নাঙ্গলকোট পৌরসভার বাতুপাড়া হোসাইন ডেইরী ফার্মের মালিক ইমরুল কায়েস বলেন, আমার খামার ফার্মে দেশী-বিদেশী ষাঁড়, এবং বকনা জাতের মোট ১৫টি গরু রয়েছে। প্রতিটি গরুর দাম ১লক্ষ টাকা থেকে ২লক্ষ টাকা পর্যন্ত রয়েছে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, বিভিন্ন কোম্পানীর খাদ্যের দামের সাথে গরুর দামের মিল নেই। খাদ্যের দাম অনেক বেশি হওয়ায় সে তুলনায় গরুর দাম কম হওয়ায় খুব বেশি লাভবান হওয়া যাচ্ছে না।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ইমরুল হাসান রাসেল বলেন, নাঙ্গলকোটে রেজিষ্ট্রেশনভুক্ত খামার রয়েছে ২৬টি। কোরবানির জন্য উপজেলায় গরু চাহিদা রয়েছে প্রায় ২৮ হাজার। গরু রয়েছে ২৭হাজার ১শ ৭৪। সে হিসেবে ঘাটতি রয়েছে ৮শ ২৫টি। নিয়মিত স্থায়ী গরু বাজার ৬ থেকে ৭টি। এছাড়া সাপ্তাহিক অস্থায়ী বাজারগুলোতে কেনাকাটা হওয়ার কারণে গরু সংকট কেটে যাবে। কোরবানির হাটবাজারগুলোতে ভেটিনারী সেবা দেওয়ার জন্য ৩টি ভেটিনারী মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। মৌসুমী কসাইদের ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে। বর্জ্য ব্যবস্থপনা বিষয়েও তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। খামারীদের সাথে সার্বিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। যাতে ঈদের আগে গরুকে বেশি পরিমাণ খাদ্য প্রদান করে অসুস্থ না করে।
কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে নাঙ্গলকোটে ছোট-বড় গরু খামারিরা তাদের খামার থেকে গরু বিক্রির শেষ মূহুর্তের প্রস্তুতি সম্পন্ন করছেন। বিভিন্ন খামারগুলোতে বিভিন্ন প্রজাতির ছোট-বড় প্রায় ২০ হাজার হাজার গরু বিক্রির জন্য প্রস্তুত রয়েছে। খামারিদের পাশাপাশি কৃষকরাও তাদের লালন-পালনকৃত গরু বিক্রির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। খামারিরা গত ৫/৬মাস থেকে তাদের খামারে লালনকৃত গরু বিক্রির জন্য বিভিন্ন গরু বাজারে নিয়ে যাচ্ছেন। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিশেষ করে ফেনী, নোয়াখালী ও চাঁদপুর থেকে বিভিন্ন পাইকারেরা বড়-বড় গরু খামারগুলোতে গরু ক্রয়ের জন্য খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। খামারিদের চোখে-মুখে গরু বিক্রি থেকে প্রত্যাশিত আয় পাবার স্বপ্নে বিভোর থাকতে দেখা যায়। যদিও বিভিন্ন কোম্পনীর খাদ্য এবং ভ্যাকসিনের দামের তুলনায় গরু দাম কম হওয়ায় গরু খামারীরা খুব বেশি লাভের মুখ দেখবেন না বলে অনেক খামারী হতাশা প্রকাশ করেন।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর থেকে ঈদ উপলক্ষে গরুর চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ২৮হাজার। গরু মজুদ রয়েছে ২৭ হাজার ১শ ৭৪ টি। উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ইমরুল হাসান রাসেল আশা করছে, ঈদ বাজারে কেনাকাটার মাধ্যমে ঘাটতি পূরণ হয়ে যাবে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার সবচাইতে বড় গরুর ফার্ম রায়কোট দক্ষিণ ইউনিয়নের বাসন্ডায় নাফি গরু ফার্ম। এছাড়া একই গ্রামে আরজু মেম্বারে গরুর খামার, কালামের গরুর খামার রয়েছে। মক্রবপুর ইউনিয়নের তান্না এগ্রো ফার্ম, রায়কোট উত্তর ইউনিয়নের শাহাদাতের গরু ফার্ম, পৌরসভার বাতুপাড়ার হোসাইন ডেইরী ফার্ম, সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের সাতবাড়িয় এগ্রো ফার্মে দেশী-বিদেশী বিভিন্ন প্রজাতির বিক্রি উপযোগী কয়েক হাজার গরু রয়েছে। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ছোট-ছোট খামারে খামারীরা আরো কায়েক হাজার গরু লালন-পালন করে ঈদ বাজারের জন্য প্রস্তুত করেছেন। অন্যদিকে, উপজেলাব্যাপি কৃষক পর্যায়েও গরু বিক্রির জন্য গরু প্রস্তুত করা হয়েছে।
নাফি গরু ফার্মে ঘুরে দেখা যায়, শাহীওয়াল, দেশী বোল্ডার, হলস্টিন ও ফিজিসিয়ান জাতের প্রায় ৮০টি বড়-বড় গরু রয়েছে। নাফি গরু ফার্মের মালিক শাহজালাল বলেন, গত ৩৫বছর থেকে আমার ফার্মে গরু মোটাজাতকরণ করে আসছি। ফার্মে দেড় লক্ষ টাকা থেকে সাড়ে ৩লক্ষ টাকার পর্যন্ত গরু রয়েছে। তিনি গরুর খাদ্য হিসেবে নেফিয়ার জাতের ঘাস, এসি আই কোম্পানীর মিট মোর খাদ্য খাওয়াচ্ছেন। গরু মোটাতাজাকরণে হরমন জাতীয় স্টরেড কোন খাদ্য তিনি খাওয়ান না বলে জানান। তার ফার্মে তিন লোক নিয়মিত কাজ করছেন। তিনি খামার থেকে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা লাভের আশা করছেন। তিনি আরো জানান, ফেনী, নোয়াখালীর মাইজদি, ছাতারপাইয়া, চাঁদপুরের মেহের থেকে পাইকারেরা গরু ক্রয়ের জন্য যোগাযোগ করছেন। আমার গরু বিভিন্ন বাজারে নিতে হয় না। দাম কিছুটা ছাড় দিয়ে এলাকার লোকজন এবং পাইকেরেরা খামারে এসে গরু নিয়ে যায়।
এছাড়া নাঙ্গলকোট পৌরসভার বাতুপাড়া হোসাইন ডেইরী ফার্মের মালিক ইমরুল কায়েস বলেন, আমার খামার ফার্মে দেশী-বিদেশী ষাঁড়, এবং বকনা জাতের মোট ১৫টি গরু রয়েছে। প্রতিটি গরুর দাম ১লক্ষ টাকা থেকে ২লক্ষ টাকা পর্যন্ত রয়েছে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, বিভিন্ন কোম্পানীর খাদ্যের দামের সাথে গরুর দামের মিল নেই। খাদ্যের দাম অনেক বেশি হওয়ায় সে তুলনায় গরুর দাম কম হওয়ায় খুব বেশি লাভবান হওয়া যাচ্ছে না।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ইমরুল হাসান রাসেল বলেন, নাঙ্গলকোটে রেজিষ্ট্রেশনভুক্ত খামার রয়েছে ২৬টি। কোরবানির জন্য উপজেলায় গরু চাহিদা রয়েছে প্রায় ২৮ হাজার। গরু রয়েছে ২৭হাজার ১শ ৭৪। সে হিসেবে ঘাটতি রয়েছে ৮শ ২৫টি। নিয়মিত স্থায়ী গরু বাজার ৬ থেকে ৭টি। এছাড়া সাপ্তাহিক অস্থায়ী বাজারগুলোতে কেনাকাটা হওয়ার কারণে গরু সংকট কেটে যাবে। কোরবানির হাটবাজারগুলোতে ভেটিনারী সেবা দেওয়ার জন্য ৩টি ভেটিনারী মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। মৌসুমী কসাইদের ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে। বর্জ্য ব্যবস্থপনা বিষয়েও তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। খামারীদের সাথে সার্বিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। যাতে ঈদের আগে গরুকে বেশি পরিমাণ খাদ্য প্রদান করে অসুস্থ না করে।