নিজস্ব প্রতিবেদক
কুমিল্লা, ইয়াছিন, আবু ও টিপুর বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছেন নাঙ্গলকোটের বিএনপি নেতা মোবাশ্বের
যাত্রা বিরতি দিয়ে প্রস্রাব করার নাম হলো কুমিল্লা
নিজস্ব প্রতিবেদক
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য আমিন উর রশিদ ইয়াছিন, মহানগর বিএনপির সভাপতি উৎবাতুল বারী আবু ও সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপুর বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছেন নাঙ্গলকোটের বিএনপি নেতা মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া। একই সঙ্গে কুমিল্লাকে ‘প্রস্রাব’ করার জায়গা বলে মন্তব্য করেছেন। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় কুমিল্লার লালমাই উপজেলার ভুলইন উত্তর ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত এক দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়ার এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। তিনি নাঙ্গলকোট উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর কুমিল্লা-১০ আসন থেকে বিএনপির হয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করে পরাজিত হন।
এদিকে মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়ার এই বক্তব্য কে রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত বলে উল্লেখ করেছেন মহানগর বিএনপির সভাপতি উৎবাতুল বারী আবু ও সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপু।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া বলেছেন ‘আবু এবং টিপু এই কমিটি তাদের দুজনকে দেওয়ার পরে, আবু ভাই এটাকে ইংরেজিতে কইল রিয়েক্ট করছে। মানে এটা মানি নিতে পারে নাই। না মানি ধর্মসাগর পাড়ে আমার বিরুদ্ধে বক্তৃতা দিছে। ঠ্যাং ভাঙ্গিয়ালামু ,কাডিয়ালামু এগুলা বলেন। কিন্তু নিয়তি দেখেন যার কারণে আবু ভাই আমার বিরুদ্ধে বক্তৃতা দিছে টিপু ভাই কিন্তু আমার পক্ষে সেদিন প্রতিবাদ করে নাই। তার মানে উনাদের স্বার্থে উনারা এক, উনারা অভিন্ন। উনাদের শত্রু আমরা বহিরাগতরা। আমরা উনাদের কাছে কি জানেন তো! উনাদের সাথে আমাদের সম্পর্ক কি? ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে যাত্রা বিরতি দিয়ে প্রস্রাব করার নাম হলো কুমিল্লা। কুমিল্লা কোথায় জানেন তো? আর আমরা বহিরাগতরা কুমিল্লা দক্ষিণ জেলার অন্তর্গত বিভিন্ন থানা থেকে আমরা হয়েছি হেতাগর লোক সাপ্লাই দেওইন্না।’
তিনি বলেন,‘আমাদের সাথে উনাদের প্রেম বুঝেন তো? আমরা লোক সাপ্লাই দিই, এই হলো উনাদের সাথে আমাদের সম্পর্ক। কিন্তু উনারাদের স্বার্থে উনারা কারো ভাই না। উনারা কারো আত্মীয় না। আবু তখন ধর্মসাগর পাড়ে মোবাশ্বের ভাইয়ের বিরুদ্ধে বক্তৃতা দিছে। আবুর এটাকে আমি সমর্থন করি। কারণ সে চায়নাই টিপুর লগে কমিটিতে আসতে। টিপুর এই এই দোষ আছে। কিন্তু টিপুতো -তহন যাই টোডা সিবি ধরইতো পারত, ওই বেডা কার বিরুদ্ধে বক্তৃতা দেস। উনি কিন্তু সেটা করে নাই। না করে এখন পর্যন্ত দুজনে সুখে শান্তিতে সংসার করে। তো কি হইছে আমার? আমার কি হইছে? কই আমরা যে একটা কেন্দ্রের ইফতার পার্টি করতেছি। এ রকম ১৫৫ টা তে যাওয়ার মতো, করার মতো আমাদের অবস্থান আছে। আপনাদের পুরো মহানগরের ২৭ নাম্বার ওয়ার্ডে ২৭ টা এরকম প্রোগ্রাম করতে পারবেন না। আমি ১৫৫ টা করতে পারব। ১৫৫ টা মনির ভাই করতে পারবে। ১৫৫ টার কাছাকাছি গফুর ভাইও করতে পারবে। আপনারাদের থেকে আমাদের পুঁজি খারাপ না। আমি কি কথা বুঝাইতে পারছি? আমি যদি আবুকে বাদ দিতাম তাহলে না আবু আমার বিরুদ্ধে যেত। কিন্তু উনারা পারে মাইনষেরে বাদ দিয়া লাইতো ,আমরা বাদ দেই না। আমরা যোগের রাজনীতি করি। কিন্তু এক মাঘে শীত যাবে না। ’
মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের উদ্দেশ্যে বলেন,‘ ইয়াছিন সাবের পরিণতি দেখেন নাই। আমারে ১৭ সালে দিছে পাকা সুপারি। কষ্ট হইছে সহ্য কইরালাইছি। কিন্তু উনার ২৫ সালে আসি বড় কান্ডল হান্দাইয়া গেছে। উনি অহন আর কান্ডল সহ্য করতে পারে নাই। উপদেষ্টা না স্থায়ী কমিটির সদস্য হইছে, প্রমোশন হইছে। কিন্তু উনি জেলা থেকে বঞ্চিত হয়েছে, অপমানিত হয়ে। আরেকজন টাকা দিয়ে কমিটি কিনছে। যে কমিটি টিকে নাই, আর আমরা এখনো আমাদের সম্মান নিয়ে আছি । আর আমার এত অধপতন হয় নাই যে, আমি ছোট ভাইয়ের পিছে দি এন্নে করি খাড়ায় থাকতাম। বকুলের কণির গুতা খাইতাম। এত দূর্দিন এখনো আমার আসে নাই। তারপরেও ২-৪ টা বেয়াদব, বেয়াদবি করছে। যদি কোনদিন আল্লাহ সুযোগ দেয় সেই বেয়াদবির দাঁতভাঙ্গা জবাব দিব। সর্বশেষ মনে আছে লোকমান ( স্থানীয় বিএনপি নেতা , মোবাশ্বেরের অনুসারি) আমি যখন কান্দিরপাড়ে উঠছি ,ছেগাই বসি রইছে চেয়ারে। এই ছেগাই এর মধ্যে রানের উপর রান রাখি সিরিয়ালামু। এজন্য আমি বেয়াদব ধরার মোনাফেক ধরার ফাঁদ বসাইছি। এই ফাঁদের মধ্যে দেখবেন অনেক বেয়াদব, অনেক মোনাফেক অনেক বেইমান, কিন্তু ধরা খাবে। সেদিনের অপেক্ষায় রইলাম।’
জানতে চাইলে মহানগর বিএনপির সভাপতি উৎবাতুল বারী আবু বলেন,‘এটা শিষ্টাচার বহির্ভূত বক্তব্য। উনার ( মোবাশ্বের) কথাবার্তায় আরও সংযত হওয়া উচিত। সুস্থ মানুষ এই ধরনের বক্তব্য দিতে পারে না।’
মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপু বলেন,‘ এই বক্তব্য যাঁরা শুনেছেন তাঁরা ভবিষ্যতে উনাকে ( মোবাশ্বের) কোন রাজনৈতিক নেতা মনে করবেন না। উনি পুরো কুমিল্লা কে হেয় করেছেন। কুমিল্লার মানুষকে হেয় করেছেন। ভবিষ্যতে যদি উনাকে কোন দায়িত্ব দেওয়া হয়, তাহলে মানুষ রাজনীতির প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করবে। তাঁর বক্তব্য অগ্রহণযোগ্য, নিন্দনীয় । এটি অসুস্থ মানুষের প্রলাপ ছাড়া আর কিছুই নয়।’
কুমিল্লা, ইয়াছিন, আবু ও টিপুর বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছেন নাঙ্গলকোটের বিএনপি নেতা মোবাশ্বের
যাত্রা বিরতি দিয়ে প্রস্রাব করার নাম হলো কুমিল্লা
নিজস্ব প্রতিবেদক
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য আমিন উর রশিদ ইয়াছিন, মহানগর বিএনপির সভাপতি উৎবাতুল বারী আবু ও সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপুর বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছেন নাঙ্গলকোটের বিএনপি নেতা মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া। একই সঙ্গে কুমিল্লাকে ‘প্রস্রাব’ করার জায়গা বলে মন্তব্য করেছেন। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় কুমিল্লার লালমাই উপজেলার ভুলইন উত্তর ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত এক দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়ার এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। তিনি নাঙ্গলকোট উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর কুমিল্লা-১০ আসন থেকে বিএনপির হয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করে পরাজিত হন।
এদিকে মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়ার এই বক্তব্য কে রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত বলে উল্লেখ করেছেন মহানগর বিএনপির সভাপতি উৎবাতুল বারী আবু ও সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপু।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া বলেছেন ‘আবু এবং টিপু এই কমিটি তাদের দুজনকে দেওয়ার পরে, আবু ভাই এটাকে ইংরেজিতে কইল রিয়েক্ট করছে। মানে এটা মানি নিতে পারে নাই। না মানি ধর্মসাগর পাড়ে আমার বিরুদ্ধে বক্তৃতা দিছে। ঠ্যাং ভাঙ্গিয়ালামু ,কাডিয়ালামু এগুলা বলেন। কিন্তু নিয়তি দেখেন যার কারণে আবু ভাই আমার বিরুদ্ধে বক্তৃতা দিছে টিপু ভাই কিন্তু আমার পক্ষে সেদিন প্রতিবাদ করে নাই। তার মানে উনাদের স্বার্থে উনারা এক, উনারা অভিন্ন। উনাদের শত্রু আমরা বহিরাগতরা। আমরা উনাদের কাছে কি জানেন তো! উনাদের সাথে আমাদের সম্পর্ক কি? ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে যাত্রা বিরতি দিয়ে প্রস্রাব করার নাম হলো কুমিল্লা। কুমিল্লা কোথায় জানেন তো? আর আমরা বহিরাগতরা কুমিল্লা দক্ষিণ জেলার অন্তর্গত বিভিন্ন থানা থেকে আমরা হয়েছি হেতাগর লোক সাপ্লাই দেওইন্না।’
তিনি বলেন,‘আমাদের সাথে উনাদের প্রেম বুঝেন তো? আমরা লোক সাপ্লাই দিই, এই হলো উনাদের সাথে আমাদের সম্পর্ক। কিন্তু উনারাদের স্বার্থে উনারা কারো ভাই না। উনারা কারো আত্মীয় না। আবু তখন ধর্মসাগর পাড়ে মোবাশ্বের ভাইয়ের বিরুদ্ধে বক্তৃতা দিছে। আবুর এটাকে আমি সমর্থন করি। কারণ সে চায়নাই টিপুর লগে কমিটিতে আসতে। টিপুর এই এই দোষ আছে। কিন্তু টিপুতো -তহন যাই টোডা সিবি ধরইতো পারত, ওই বেডা কার বিরুদ্ধে বক্তৃতা দেস। উনি কিন্তু সেটা করে নাই। না করে এখন পর্যন্ত দুজনে সুখে শান্তিতে সংসার করে। তো কি হইছে আমার? আমার কি হইছে? কই আমরা যে একটা কেন্দ্রের ইফতার পার্টি করতেছি। এ রকম ১৫৫ টা তে যাওয়ার মতো, করার মতো আমাদের অবস্থান আছে। আপনাদের পুরো মহানগরের ২৭ নাম্বার ওয়ার্ডে ২৭ টা এরকম প্রোগ্রাম করতে পারবেন না। আমি ১৫৫ টা করতে পারব। ১৫৫ টা মনির ভাই করতে পারবে। ১৫৫ টার কাছাকাছি গফুর ভাইও করতে পারবে। আপনারাদের থেকে আমাদের পুঁজি খারাপ না। আমি কি কথা বুঝাইতে পারছি? আমি যদি আবুকে বাদ দিতাম তাহলে না আবু আমার বিরুদ্ধে যেত। কিন্তু উনারা পারে মাইনষেরে বাদ দিয়া লাইতো ,আমরা বাদ দেই না। আমরা যোগের রাজনীতি করি। কিন্তু এক মাঘে শীত যাবে না। ’
মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের উদ্দেশ্যে বলেন,‘ ইয়াছিন সাবের পরিণতি দেখেন নাই। আমারে ১৭ সালে দিছে পাকা সুপারি। কষ্ট হইছে সহ্য কইরালাইছি। কিন্তু উনার ২৫ সালে আসি বড় কান্ডল হান্দাইয়া গেছে। উনি অহন আর কান্ডল সহ্য করতে পারে নাই। উপদেষ্টা না স্থায়ী কমিটির সদস্য হইছে, প্রমোশন হইছে। কিন্তু উনি জেলা থেকে বঞ্চিত হয়েছে, অপমানিত হয়ে। আরেকজন টাকা দিয়ে কমিটি কিনছে। যে কমিটি টিকে নাই, আর আমরা এখনো আমাদের সম্মান নিয়ে আছি । আর আমার এত অধপতন হয় নাই যে, আমি ছোট ভাইয়ের পিছে দি এন্নে করি খাড়ায় থাকতাম। বকুলের কণির গুতা খাইতাম। এত দূর্দিন এখনো আমার আসে নাই। তারপরেও ২-৪ টা বেয়াদব, বেয়াদবি করছে। যদি কোনদিন আল্লাহ সুযোগ দেয় সেই বেয়াদবির দাঁতভাঙ্গা জবাব দিব। সর্বশেষ মনে আছে লোকমান ( স্থানীয় বিএনপি নেতা , মোবাশ্বেরের অনুসারি) আমি যখন কান্দিরপাড়ে উঠছি ,ছেগাই বসি রইছে চেয়ারে। এই ছেগাই এর মধ্যে রানের উপর রান রাখি সিরিয়ালামু। এজন্য আমি বেয়াদব ধরার মোনাফেক ধরার ফাঁদ বসাইছি। এই ফাঁদের মধ্যে দেখবেন অনেক বেয়াদব, অনেক মোনাফেক অনেক বেইমান, কিন্তু ধরা খাবে। সেদিনের অপেক্ষায় রইলাম।’
জানতে চাইলে মহানগর বিএনপির সভাপতি উৎবাতুল বারী আবু বলেন,‘এটা শিষ্টাচার বহির্ভূত বক্তব্য। উনার ( মোবাশ্বের) কথাবার্তায় আরও সংযত হওয়া উচিত। সুস্থ মানুষ এই ধরনের বক্তব্য দিতে পারে না।’
মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপু বলেন,‘ এই বক্তব্য যাঁরা শুনেছেন তাঁরা ভবিষ্যতে উনাকে ( মোবাশ্বের) কোন রাজনৈতিক নেতা মনে করবেন না। উনি পুরো কুমিল্লা কে হেয় করেছেন। কুমিল্লার মানুষকে হেয় করেছেন। ভবিষ্যতে যদি উনাকে কোন দায়িত্ব দেওয়া হয়, তাহলে মানুষ রাজনীতির প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করবে। তাঁর বক্তব্য অগ্রহণযোগ্য, নিন্দনীয় । এটি অসুস্থ মানুষের প্রলাপ ছাড়া আর কিছুই নয়।’