• কুমিল্লা সিটি করপোরেশন
  • কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
  • আদর্শ সদর
  • বরুড়া
  • লাকসাম
  • দাউদকান্দি
  • আরও
    • চৌদ্দগ্রাম
    • সদর দক্ষিণ
    • নাঙ্গলকোট
    • বুড়িচং
    • ব্রাহ্মণপাড়া
    • মনোহরগঞ্জ
    • লালমাই
    • চান্দিনা
    • মুরাদনগর
    • দেবীদ্বার
    • হোমনা
    • মেঘনা
    • তিতাস
  • সর্বশেষ
  • রাজনীতি
  • বাংলাদেশ
  • অপরাধ
  • বিশ্ব
  • বাণিজ্য
  • মতামত
  • খেলা
  • বিনোদন
  • চাকরি
  • জীবনযাপন
  • ইপেপার
  • ইপেপার
facebooktwittertiktokpinterestyoutubelinkedininstagramgoogle
স্বত্ব: ©️ আমার শহর

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. গাজীউল হক ভূঁইয়া ( সোহাগ)।

নাহার প্লাজা, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা-৩৫০০

ই-মেইল: [email protected]

ফোন: 01716197760

> শিক্ষা

সাক্ষাৎকারে কুমিল্লা কৃষি ও কারিগরি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আনিসুর রহমান আখন্দ

‘কৃষি কলেজ থেকে পড়াশোনা করে অনেক ছেলেমেয়ে সফলতা লাভ করেছে’

তৈয়বুর রহমান সোহেল
প্রকাশ : ২৬ মে ২০২৫, ১২: ০১
logo

‘কৃষি কলেজ থেকে পড়াশোনা করে অনেক ছেলেমেয়ে সফলতা লাভ করেছে’

তৈয়বুর রহমান সোহেল

প্রকাশ : ২৬ মে ২০২৫, ১২: ০১
Photo

কুমিল্লা কৃষি ও কারিগরি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ মোহাম্মদ আনিসুর রহমান আখন্দ। ১৯৫৬ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি তিনি এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা দলিল উদ্দিন আখন্দ ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা, মা রওশন আরা আখন্দ গৃহিণী। তাঁরা সাত ভাই-বোন। তিনি দুই মেয়ে সন্তানের জনক। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করার পর ভারত থেকে ফিশারিজের ওপর ডিপ্লোমা করেন তিনি। আনিসুর রহমান আখন্দ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। তিনি সুশাসনের জন্য নাগরিক কুমিল্লা মহানগরের সভাপতি, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী সদস্য, রোটারি ক্লাব অব ময়নামতির সেকেন্ড প্রেসিডেন্ট ও প্রবীণ হিতৈষী সংঘের সভাপতি। এছাড়া ফয়জুন্নেছা ফাউন্ডেশন ও নাটাবের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন। কুমিল্লায় ব্রয়লার মুরগির ব্যবসা সম্প্রসারণ, লেয়ার মুরগির ডিম ও স্থানীয় পর্যায়ে মাছের রেণু উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। তাঁর প্রতিষ্ঠিত কুমিল্লা কৃষি ও কারিগরি কলেজের অনেকেই সুপ্রতিষ্ঠিত। কেউ কেউ হয়েছেন বড় উদ্যোক্তা। তিনি তাঁর কর্মজীবন নিয়ে কথা বলেছেন দৈনিক আমার শহরের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেছেন পত্রিকার বার্তা সম্পাদক তৈয়বুর রহমান সোহেল।

আমার শহর: আপনার কর্মজীবনের শুরুর দিক সম্পর্কে যদি বলতেন...

আনিসুর রহমান আখন্দ: ১৯৮০ সালে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান প্রশিকা উন্নয়ন কেন্দ্রের মাধ্যমে আমার কর্মজীবন শুরু। সেখানে মানব উন্নয়নে চাকরি শুরু করি। একসময় তারা ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে কাজ শুরু করলে চাকরিটা ছেড়ে দিই। ১৯৮৬ সালে রোটারি ক্লাবের ইনল্যান্ড ফিশারিজে চাকরি শুরু করি। সে সময় চট্টগ্রাম ও আরিচা থেকে কুমিল্লায় মাছের রেণু আনা হতো। আমরা সরকার ও রোটারি ক্লাবের সহায়তায় স্থানীয়ভাবে কুমিল্লায় মাছের পোনা উৎপাদন শুরু করি। কয়েকমাস পর কুমিল্লায় মাছের পোনা উৎপাদনে বিপ্লব হয়ে যায়। এরপর নানামুখী সমস্যা দেখা দেয়। মাছ উৎপাদনে অনেক প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসলেও কিছু প্রতিষ্ঠান হরমোন পুশ করে আর্লি ম্যাচিউর পোনা বাজারে ছাড়ে। এতে মানদণ্ড নষ্ট হয়ে যায়। এদিকে তারাও ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম শুরু করে। মাঝে ১৯৯২ সালে মা মারা যান। ১৯৯৫ সালে ওই চাকরিটাও ছেড়ে দিই। এরপর খামার কীভাবে করে তার ওপর ট্রেনিং শুরু করি। ওইসময়ের প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সমরেন্দ্র মজুমদার আমাদের যথেষ্ট পরিমাণ সহায়তা করেন।

আমার শহর: কুমিল্লায় ব্রয়লার মুরগির ব্যবসা সম্প্রসারণে আপনার বিরাট ভূমিকার কথা জানা যায়। কীভাবে ব্যবসার সম্প্রসারণ করলেন?

আনিসুর রহমান আখন্দ: সে এক দারুণ কাহিনি। খামার ব্যবস্থাপনার ওপর ট্রেনিং করে সাহস করে আমরা কয়েকজন মিলে কুমিল্লায় ব্রয়লার মুরগির উৎপাদন শুরু করি। এই মুরগি তাড়াতাড়ি বড় হয়ে যায়। তাড়াতাড়ি বড় হওয়া নিয়ে সমাজে কুসংস্কার ছড়িয়ে পড়ে। মুরগি উৎপাদনের পর বিক্রি করা নিয়ে বিপাকে পড়তে হয়। ১৯৯৬ সালে কুমিল্লার তৎকালীন জেলা প্রশাসকের সহযোগিতায় প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে নিউমার্কেটের সামনে মুরগি বিক্রি শুরু করি। প্রচারণায় ১৮০টাকা খরচ হয়, মুরগি বিক্রি হয় ১৫৬ টাকার! তারপরও মুরগি উৎপাদন চালিয়ে নিই। ব্রয়লারের পাশাপাশি লেয়ার মুরগিও ছিল। বিয়ের পর স্ত্রীও লেয়ার মুরগি পালনে সহায়তা করে। ১০০টি মুরগি ছিল। দিনে ৫০-৬০টি ডিম পেতাম। প্রতিটি একটাকা দরে বিক্রি করতাম। ওইসময় টাকার অনেক মূল্য ছিল, তাই ডিম বিক্রি করে বেশ আনন্দ পেতাম। এর মাঝে মানুষের ভুল ভাঙতে থাকে। ব্রয়লার মুরগির খামার চারিদিকে বাড়তে থাকে। আবারও ভেজালের কারবার শুরু করে একটি গোষ্ঠী। শেষমেশ মুরগি উৎপাদনের ব্যবসাটাও ছেড়ে দিই।

আমার শহর: কৃষি কলেজ প্রতিষ্ঠার বিষয়টি কীভাবে মাথায় আসে?

আনিসুর রহমান আখন্দ: ২০০০ সালে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলাম। একপর্যায়ে কলেজ প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আলাপ ওঠে। আমি কিছুতেই সাধারণ কলেজ করার বিষয়ে রাজি ছিলাম না। শিমপুর কলেজের অধ্যক্ষ মনিরুল ইসলাম সরকার কৃষি কলেজ করার বিষয়ে পরামর্শ দেয়। এ ধারণাটি খুব পছন্দ হয়। তারপর ২০০১ সালে কলেজটি প্রতিষ্ঠা করি। এ সময় বিভিন্ন মানুষ আমাকে সাহায্য করেন। কেউ আবার ক্ষতি করারও চেষ্টা করেন। একবার অশোকতলা থেকে ক্যাম্পাস দিদারে স্থানান্তর করি, পরে আবার অশোকতলায় ফিরে আসি, সর্বশেষ ২০১৯ সালে কোটবাড়ি বিশ্বরোড সংলগ্ন ধনপুর এলাকায় স্থায়ী জায়গায় ক্যাম্পাসটি স্থানান্তরিত হয়।

আমার শহর: জীবনের কোন দিকটাকে সফলতা মনে করেন?

আনিসুর রহমান আখন্দ: কৃষি কলেজ প্রতিষ্ঠা করাকেই আমি সবচেয়ে বড় সফলতা মনে করি। এটি বর্তমানে এমপিওভুক্ত কলেজ। কলেজের মাধ্যমে অনেকের কর্মসংস্থান হয়েছে। আবার কলেজ থেকে পড়াশোনা করে ব্যক্তিজীবনে অনেক ছেলেমেয়ে সফলতা লাভ করেছেন। এই কলেজের অনেক শিক্ষার্থী উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা। অনেকে শিক্ষক। কেউ বড় উদ্যোক্তা। অন্যান্য পেশাতেও তাদের অবাদ বিচরণ। মোটকথা এখানে পড়ে কেউ বেকার থাকছে না।

আমার শহর: কৃষি কলেজে পড়া নিয়ে মানুষের কী ধারণা?

আনিসুর রহমান আখন্দ: এটি সুখকর নয়। কৃষি কলেজে পড়াকে এখনো অধিকাংশ অভিভাবক সম্মানের চোখে দেখেন না। অনেককে টিটকারি করে বলতে শোনা যায়, পড়াশোনা করে খেতেখামারে কাজ করবে, এই পড়াশোনার দরকার কি। এ ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। যাঁরা এমন কথা বলেন, তাদেরকে বলব, কৃষি উদ্যোক্তাদের দিকে তাকান। তাঁদের সফলতা জানুন, তারপর কথা বলুন। আমাদের বুঝতে হবে, এসি রুমে বসে কাজ করাকেই সফলতা বলে না। পৃথিবী যতদিন থাকবে কৃষিও ততদিন থাকবে। বাঁচতে হলে এর বিকল্প নেই।

আমার শহর: আপনাকে ধন্যবাদ।

আনিসুর রহমান আখন্দ: আপনাকেও ধন্যবাদ। ধন্যবাদ দৈনিক আমার শহর পত্রিকার কলাকুশলী, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ীদের।

Thumbnail image

কুমিল্লা কৃষি ও কারিগরি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ মোহাম্মদ আনিসুর রহমান আখন্দ। ১৯৫৬ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি তিনি এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা দলিল উদ্দিন আখন্দ ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা, মা রওশন আরা আখন্দ গৃহিণী। তাঁরা সাত ভাই-বোন। তিনি দুই মেয়ে সন্তানের জনক। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করার পর ভারত থেকে ফিশারিজের ওপর ডিপ্লোমা করেন তিনি। আনিসুর রহমান আখন্দ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। তিনি সুশাসনের জন্য নাগরিক কুমিল্লা মহানগরের সভাপতি, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী সদস্য, রোটারি ক্লাব অব ময়নামতির সেকেন্ড প্রেসিডেন্ট ও প্রবীণ হিতৈষী সংঘের সভাপতি। এছাড়া ফয়জুন্নেছা ফাউন্ডেশন ও নাটাবের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন। কুমিল্লায় ব্রয়লার মুরগির ব্যবসা সম্প্রসারণ, লেয়ার মুরগির ডিম ও স্থানীয় পর্যায়ে মাছের রেণু উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। তাঁর প্রতিষ্ঠিত কুমিল্লা কৃষি ও কারিগরি কলেজের অনেকেই সুপ্রতিষ্ঠিত। কেউ কেউ হয়েছেন বড় উদ্যোক্তা। তিনি তাঁর কর্মজীবন নিয়ে কথা বলেছেন দৈনিক আমার শহরের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেছেন পত্রিকার বার্তা সম্পাদক তৈয়বুর রহমান সোহেল।

আমার শহর: আপনার কর্মজীবনের শুরুর দিক সম্পর্কে যদি বলতেন...

আনিসুর রহমান আখন্দ: ১৯৮০ সালে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান প্রশিকা উন্নয়ন কেন্দ্রের মাধ্যমে আমার কর্মজীবন শুরু। সেখানে মানব উন্নয়নে চাকরি শুরু করি। একসময় তারা ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে কাজ শুরু করলে চাকরিটা ছেড়ে দিই। ১৯৮৬ সালে রোটারি ক্লাবের ইনল্যান্ড ফিশারিজে চাকরি শুরু করি। সে সময় চট্টগ্রাম ও আরিচা থেকে কুমিল্লায় মাছের রেণু আনা হতো। আমরা সরকার ও রোটারি ক্লাবের সহায়তায় স্থানীয়ভাবে কুমিল্লায় মাছের পোনা উৎপাদন শুরু করি। কয়েকমাস পর কুমিল্লায় মাছের পোনা উৎপাদনে বিপ্লব হয়ে যায়। এরপর নানামুখী সমস্যা দেখা দেয়। মাছ উৎপাদনে অনেক প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসলেও কিছু প্রতিষ্ঠান হরমোন পুশ করে আর্লি ম্যাচিউর পোনা বাজারে ছাড়ে। এতে মানদণ্ড নষ্ট হয়ে যায়। এদিকে তারাও ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম শুরু করে। মাঝে ১৯৯২ সালে মা মারা যান। ১৯৯৫ সালে ওই চাকরিটাও ছেড়ে দিই। এরপর খামার কীভাবে করে তার ওপর ট্রেনিং শুরু করি। ওইসময়ের প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সমরেন্দ্র মজুমদার আমাদের যথেষ্ট পরিমাণ সহায়তা করেন।

আমার শহর: কুমিল্লায় ব্রয়লার মুরগির ব্যবসা সম্প্রসারণে আপনার বিরাট ভূমিকার কথা জানা যায়। কীভাবে ব্যবসার সম্প্রসারণ করলেন?

আনিসুর রহমান আখন্দ: সে এক দারুণ কাহিনি। খামার ব্যবস্থাপনার ওপর ট্রেনিং করে সাহস করে আমরা কয়েকজন মিলে কুমিল্লায় ব্রয়লার মুরগির উৎপাদন শুরু করি। এই মুরগি তাড়াতাড়ি বড় হয়ে যায়। তাড়াতাড়ি বড় হওয়া নিয়ে সমাজে কুসংস্কার ছড়িয়ে পড়ে। মুরগি উৎপাদনের পর বিক্রি করা নিয়ে বিপাকে পড়তে হয়। ১৯৯৬ সালে কুমিল্লার তৎকালীন জেলা প্রশাসকের সহযোগিতায় প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে নিউমার্কেটের সামনে মুরগি বিক্রি শুরু করি। প্রচারণায় ১৮০টাকা খরচ হয়, মুরগি বিক্রি হয় ১৫৬ টাকার! তারপরও মুরগি উৎপাদন চালিয়ে নিই। ব্রয়লারের পাশাপাশি লেয়ার মুরগিও ছিল। বিয়ের পর স্ত্রীও লেয়ার মুরগি পালনে সহায়তা করে। ১০০টি মুরগি ছিল। দিনে ৫০-৬০টি ডিম পেতাম। প্রতিটি একটাকা দরে বিক্রি করতাম। ওইসময় টাকার অনেক মূল্য ছিল, তাই ডিম বিক্রি করে বেশ আনন্দ পেতাম। এর মাঝে মানুষের ভুল ভাঙতে থাকে। ব্রয়লার মুরগির খামার চারিদিকে বাড়তে থাকে। আবারও ভেজালের কারবার শুরু করে একটি গোষ্ঠী। শেষমেশ মুরগি উৎপাদনের ব্যবসাটাও ছেড়ে দিই।

আমার শহর: কৃষি কলেজ প্রতিষ্ঠার বিষয়টি কীভাবে মাথায় আসে?

আনিসুর রহমান আখন্দ: ২০০০ সালে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলাম। একপর্যায়ে কলেজ প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আলাপ ওঠে। আমি কিছুতেই সাধারণ কলেজ করার বিষয়ে রাজি ছিলাম না। শিমপুর কলেজের অধ্যক্ষ মনিরুল ইসলাম সরকার কৃষি কলেজ করার বিষয়ে পরামর্শ দেয়। এ ধারণাটি খুব পছন্দ হয়। তারপর ২০০১ সালে কলেজটি প্রতিষ্ঠা করি। এ সময় বিভিন্ন মানুষ আমাকে সাহায্য করেন। কেউ আবার ক্ষতি করারও চেষ্টা করেন। একবার অশোকতলা থেকে ক্যাম্পাস দিদারে স্থানান্তর করি, পরে আবার অশোকতলায় ফিরে আসি, সর্বশেষ ২০১৯ সালে কোটবাড়ি বিশ্বরোড সংলগ্ন ধনপুর এলাকায় স্থায়ী জায়গায় ক্যাম্পাসটি স্থানান্তরিত হয়।

আমার শহর: জীবনের কোন দিকটাকে সফলতা মনে করেন?

আনিসুর রহমান আখন্দ: কৃষি কলেজ প্রতিষ্ঠা করাকেই আমি সবচেয়ে বড় সফলতা মনে করি। এটি বর্তমানে এমপিওভুক্ত কলেজ। কলেজের মাধ্যমে অনেকের কর্মসংস্থান হয়েছে। আবার কলেজ থেকে পড়াশোনা করে ব্যক্তিজীবনে অনেক ছেলেমেয়ে সফলতা লাভ করেছেন। এই কলেজের অনেক শিক্ষার্থী উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা। অনেকে শিক্ষক। কেউ বড় উদ্যোক্তা। অন্যান্য পেশাতেও তাদের অবাদ বিচরণ। মোটকথা এখানে পড়ে কেউ বেকার থাকছে না।

আমার শহর: কৃষি কলেজে পড়া নিয়ে মানুষের কী ধারণা?

আনিসুর রহমান আখন্দ: এটি সুখকর নয়। কৃষি কলেজে পড়াকে এখনো অধিকাংশ অভিভাবক সম্মানের চোখে দেখেন না। অনেককে টিটকারি করে বলতে শোনা যায়, পড়াশোনা করে খেতেখামারে কাজ করবে, এই পড়াশোনার দরকার কি। এ ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। যাঁরা এমন কথা বলেন, তাদেরকে বলব, কৃষি উদ্যোক্তাদের দিকে তাকান। তাঁদের সফলতা জানুন, তারপর কথা বলুন। আমাদের বুঝতে হবে, এসি রুমে বসে কাজ করাকেই সফলতা বলে না। পৃথিবী যতদিন থাকবে কৃষিও ততদিন থাকবে। বাঁচতে হলে এর বিকল্প নেই।

আমার শহর: আপনাকে ধন্যবাদ।

আনিসুর রহমান আখন্দ: আপনাকেও ধন্যবাদ। ধন্যবাদ দৈনিক আমার শহর পত্রিকার কলাকুশলী, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ীদের।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় বিএনসিসি ক্যাডেটদের ব্যান্ড প্রশিক্ষণ কোর্সে সনদ অর্জন

২

ঈদুল আজহার দিন মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবির

৩

'মিডিয়ায় অপপ্রচারে'কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে মানসিক হেনস্তা করার অভিযোগ

৪

নিয়মিত ২৫ হাজার শিক্ষার্থী ফরম পূরণ করেনি

৫

পানিতে বসে ভর্তি পরীক্ষা দিল শিক্ষার্থীরা

সম্পর্কিত

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় বিএনসিসি ক্যাডেটদের ব্যান্ড প্রশিক্ষণ কোর্সে সনদ অর্জন

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় বিএনসিসি ক্যাডেটদের ব্যান্ড প্রশিক্ষণ কোর্সে সনদ অর্জন

৩ দিন আগে
ঈদুল আজহার দিন মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবির

ঈদুল আজহার দিন মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবির

৪ দিন আগে
'মিডিয়ায় অপপ্রচারে'কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে মানসিক হেনস্তা করার অভিযোগ

'মিডিয়ায় অপপ্রচারে'কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে মানসিক হেনস্তা করার অভিযোগ

৪ দিন আগে
নিয়মিত ২৫ হাজার শিক্ষার্থী  ফরম পূরণ করেনি

নিয়মিত ২৫ হাজার শিক্ষার্থী ফরম পূরণ করেনি

৪ দিন আগে