চাল ও লবণ পানিতে মুড়ি হয়
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রায় তিন দশক ধরে জনপ্রিয় বিসিকের বিসমিল্লাহ মুড়ি। ইফতারি ও অতিথি আপ্যায়নে এই মুড়ির কদর আছে। এক সময় প্রাণ কোম্পানী বিসমিল্লাহ থেকে মুড়ি কিনতো। এরপর প্যাকেটজাত করে বিক্রি করতো। ফলে বিসমিল্লাহর মুড়ি সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে এই মিল তিন ধরনের মুড়ি তৈরি করে। আগে করতো সাত ধরনের মুড়ি। কুমিল্লা অঞ্চলের মানুষের কাছে মুড়ি মানেই বিসমিল্লাহ। এখানে পাইকারি ও খুচরা দুইভাবেই মেলে মুড়ি। দিনাজপুরের চাল থেকে কুমিল্লার মুড়ি হয়। এটি বিএসটিআইয়ের নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান।
কুমিল্লা বিসিক শিল্পনগরীর দক্ষিণ অংশে বিসমিল্লাহ চিড়া ও মুড়ি মিল। ভেজালমুক্ত মুড়ি উৎপাদক প্রতিষ্ঠানটি। ১৯৯৬ সালে এই মিল প্রথমে আদা. ময়দা ও সেমাই উৎপাদন করে। এরপর চিড়া তৈরি শুরু করে। তাদের তৈরি স্টার চিড়া এখনও নগরবাসীর কাছে এক বিশেষ নাম। পরবর্তীতে ১৫ বছর আগে চিড়া উৎপাদন বন্ধ রেখে মুড়ি ভাজা শুরু করে। মেশিনে ভাজা এই মুড়িতে কোন ধরণের অস্বাস্থ্যকর কোন উপাদান নেই। এখানে সাত ধরনের মুড়ি ভাজা হয়। এগুলো হল স্বর্ণা মুড়ি, আছিয়া মুড়ি, দিনাজপুরী মুড়ি, গিগজ মুড়ি, টাপী , চাউল মুড়ি ও বিএইচ মুড়ি। স্বর্ণা মুড়ি প্রতি কেজি খুচরা দাম ৭৫ টাকা , পাইকারি ৭০ টাকা। আছিয়া মুড়ি খুচরা ৮০ ও পাইকারি ৭৭, এবং ১ নং আছিয়া মুড়ি খুচরা ১০০ টাকা ও পাইকারি ৯০ টাকা।
জানতে চাইলে বিসমিল্লাহ চিড়া ও মুড়ি মিলের স্বত্বাধিকারী মো. মাহবুবুল আলম ভূঁঞা মাহফুজ বলেন, বিসিকে নিজের প্লটে মুড়ি ভাজি। এক সময় মুড়ি ভাজার ফুসরত পেতাম না। এখন বিভিন্ন এলাকায় মুড়ি ভাজা হচ্ছে। ফলে আমাদের বিক্রি আগের থেকে কমেছে। এখন দৈনিক আড়াই টন মানে ২৫০০ কেজি মুড়ি বিক্রি করি। এখন আর আগের মতো ক্রেতা নেই। দিনাজপুর থেকে মুড়ির চাল কিনে আনি। বিআর ১১ নং মুড়ির চাল ও ব্রাদার্স সুপার রাইস দিয়ে মুড়ি ভাজা হয়। এখন আর আগের মতো মুড়ি বাজতে চাল ভেজাতে হয় না। চাল সেইভাবেই বস্তায় থাকে। আমরা আমাদের মেশিনে প্রথমে চাল রাখি। এরপর বিভিন্ন ধাপ অতিক্রম করে সেটি মুড়িতে পরিণত হয়। কুমিল্লা জেলায় বর্তমানে ৩০ টি মুড়ির মিল আছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে মিলে গিয়ে দেখা গেছে, মাহফুজ ও তাঁর মেজো ছেলে বসে আছেন মিলের অভ্যর্থনা কক্ষে। পশ্চিম পাশের জানালার ফাঁক দিয়ে খুচরা ও পাইকারি ক্রেতারা টাকা দিচ্ছেন। আর উত্তর পাশ থেকে বস্তা ভর্তি মুড়ি বের হচ্ছে। মিলের একেকটি কক্ষে চাল ও মুড়ির বস্তা।
বিসিকের ফরিদ গ্রুপের পরিচালক দেলোয়ার হোসেন মানিক বলেন, বরুড়া মুড়ির জন্য বিখ্যাত। বরুড়ার বাসিন্দা মাহফুজ ভাই বিসিকে মেলা বছর ধরে মুড়ি ভাজছেন। তাঁর মিলের মুড়ির সুনাম আছে।
মাহফুজ আরও বলেন, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের বিল বেশি আসে। ওই কারণে অনেক সময় খরচ কুলিয়ে উঠছে না। জেলার বিভিন্ন স্থানে মুড়ির মিল বেড়েছে। ওই কারণে মানুষ বিসিকে কম আসেন। অনেকে বাড়ি বাড়ি মুড়ি ভাজে।
প্রায় তিন দশক ধরে জনপ্রিয় বিসিকের বিসমিল্লাহ মুড়ি। ইফতারি ও অতিথি আপ্যায়নে এই মুড়ির কদর আছে। এক সময় প্রাণ কোম্পানী বিসমিল্লাহ থেকে মুড়ি কিনতো। এরপর প্যাকেটজাত করে বিক্রি করতো। ফলে বিসমিল্লাহর মুড়ি সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে এই মিল তিন ধরনের মুড়ি তৈরি করে। আগে করতো সাত ধরনের মুড়ি। কুমিল্লা অঞ্চলের মানুষের কাছে মুড়ি মানেই বিসমিল্লাহ। এখানে পাইকারি ও খুচরা দুইভাবেই মেলে মুড়ি। দিনাজপুরের চাল থেকে কুমিল্লার মুড়ি হয়। এটি বিএসটিআইয়ের নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান।
কুমিল্লা বিসিক শিল্পনগরীর দক্ষিণ অংশে বিসমিল্লাহ চিড়া ও মুড়ি মিল। ভেজালমুক্ত মুড়ি উৎপাদক প্রতিষ্ঠানটি। ১৯৯৬ সালে এই মিল প্রথমে আদা. ময়দা ও সেমাই উৎপাদন করে। এরপর চিড়া তৈরি শুরু করে। তাদের তৈরি স্টার চিড়া এখনও নগরবাসীর কাছে এক বিশেষ নাম। পরবর্তীতে ১৫ বছর আগে চিড়া উৎপাদন বন্ধ রেখে মুড়ি ভাজা শুরু করে। মেশিনে ভাজা এই মুড়িতে কোন ধরণের অস্বাস্থ্যকর কোন উপাদান নেই। এখানে সাত ধরনের মুড়ি ভাজা হয়। এগুলো হল স্বর্ণা মুড়ি, আছিয়া মুড়ি, দিনাজপুরী মুড়ি, গিগজ মুড়ি, টাপী , চাউল মুড়ি ও বিএইচ মুড়ি। স্বর্ণা মুড়ি প্রতি কেজি খুচরা দাম ৭৫ টাকা , পাইকারি ৭০ টাকা। আছিয়া মুড়ি খুচরা ৮০ ও পাইকারি ৭৭, এবং ১ নং আছিয়া মুড়ি খুচরা ১০০ টাকা ও পাইকারি ৯০ টাকা।
জানতে চাইলে বিসমিল্লাহ চিড়া ও মুড়ি মিলের স্বত্বাধিকারী মো. মাহবুবুল আলম ভূঁঞা মাহফুজ বলেন, বিসিকে নিজের প্লটে মুড়ি ভাজি। এক সময় মুড়ি ভাজার ফুসরত পেতাম না। এখন বিভিন্ন এলাকায় মুড়ি ভাজা হচ্ছে। ফলে আমাদের বিক্রি আগের থেকে কমেছে। এখন দৈনিক আড়াই টন মানে ২৫০০ কেজি মুড়ি বিক্রি করি। এখন আর আগের মতো ক্রেতা নেই। দিনাজপুর থেকে মুড়ির চাল কিনে আনি। বিআর ১১ নং মুড়ির চাল ও ব্রাদার্স সুপার রাইস দিয়ে মুড়ি ভাজা হয়। এখন আর আগের মতো মুড়ি বাজতে চাল ভেজাতে হয় না। চাল সেইভাবেই বস্তায় থাকে। আমরা আমাদের মেশিনে প্রথমে চাল রাখি। এরপর বিভিন্ন ধাপ অতিক্রম করে সেটি মুড়িতে পরিণত হয়। কুমিল্লা জেলায় বর্তমানে ৩০ টি মুড়ির মিল আছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে মিলে গিয়ে দেখা গেছে, মাহফুজ ও তাঁর মেজো ছেলে বসে আছেন মিলের অভ্যর্থনা কক্ষে। পশ্চিম পাশের জানালার ফাঁক দিয়ে খুচরা ও পাইকারি ক্রেতারা টাকা দিচ্ছেন। আর উত্তর পাশ থেকে বস্তা ভর্তি মুড়ি বের হচ্ছে। মিলের একেকটি কক্ষে চাল ও মুড়ির বস্তা।
বিসিকের ফরিদ গ্রুপের পরিচালক দেলোয়ার হোসেন মানিক বলেন, বরুড়া মুড়ির জন্য বিখ্যাত। বরুড়ার বাসিন্দা মাহফুজ ভাই বিসিকে মেলা বছর ধরে মুড়ি ভাজছেন। তাঁর মিলের মুড়ির সুনাম আছে।
মাহফুজ আরও বলেন, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের বিল বেশি আসে। ওই কারণে অনেক সময় খরচ কুলিয়ে উঠছে না। জেলার বিভিন্ন স্থানে মুড়ির মিল বেড়েছে। ওই কারণে মানুষ বিসিকে কম আসেন। অনেকে বাড়ি বাড়ি মুড়ি ভাজে।