আবদুল্লাহ আল মারুফ
এক্স-রে মেশিন আছে। লোকবলও আছে। তবুও এক্স-রে হয় না কুমিল্লা জেনারেল (সদর) হাসপাতালে। যেকারণে কুমিল্লার এই হাসপাতালের এক্স-রে মেশিন গুলো একরকম অকেজো হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। গত পাঁচমাস কুমিল্লার এই গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালে এক্স-রে না থাকায় সেবা বঞ্চিত হচ্ছে হাজার হাজার গ্রহীতা। এতে সেবার মান নিয়ে যেমন প্রশ্ন উঠছে; তেমনি হাসপাতালে কর্মরতরাও পড়ছেন নানান বিপাকে। রোগীরাও ভোগান্তির পাশাপাশি গুণতে হয় অতিরিক্ত অর্থ।
জানা গেছে, গত বছরের জুলাই মাসে কুমিল্লা সদর হাসপাতালে এক্স-রে সেবা চালু করা হয়। এসময় ৭০০ ফিল্ম এক্স-রে মেশিনের সাথে দেয়া হয়। সেই ৭০০ ফিল্ম দিয়ে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রাখে। ফিল্ম শেষ হলে আর এক্স-রে করার কোন উপায় থাকে না। যে কারণে জরুরী রোগী আসলেও সেবা দেয়ার কোন ব্যবস্থা নেই এই হাসপাতালে।
এদিকে সংশ্লিষ্ট আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, প্রতিদিন ১০০ বা তার বেশি রোগী এসে এক্স-রে না করাতে পেরে ফিরে যান। তবে বয়স নির্ধারণের জন্য সেবাগ্রহীতার কাছ থেকে ফিল্মের টাকা নিয়ে ফিল্ম কিনে আনা হয়।
এদিকে সেবাবঞ্চিত রোগীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সেবা না পেয়ে অনেকে দালালের খপ্পরে পড়ে খোয়াচ্ছেন অতিরিক্ত টাকা। এছাড়াও অনেকে সেবা নিতে না পেরে বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে সেবা নিচ্ছেন। তাছাড়া শিশু, দুর্ঘটনা, বৃদ্ধ ও দূর থেকে আসা রোগীরা এতে সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী।
জেনারেল (সদর) হাসপাতালের ফটকে সেবা নিতে আসা ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশিদল এলাকার বাসিন্দা আকরম আলী (৬৫) জানান, এক্স-রে নাই। তাই বাইরে সিরিয়াল দিয়ে এক্স-রে করিয়ে আনলাম। এখন ওই চিকিৎসক নেই। কাল আবার আসতে হবে। বাইরে টাকাও বেশি নিয়েছে। আর আমার সময়ও বেশি লেগেছি। এক্স-রে খুবই দরকারি জিনিস।
সরেজমিনে কুমিল্লা জেনারেল (সদর) হাসপাতালের এক্স-রে কক্ষতে গিয়ে দেখা যায় একটি কক্ষে বয়স নির্ধারণের এক্স-রে করা হয়। পাশের আরেকটি কক্ষে এক্স-রে মেশিন থাকলেও তা অকেজো পড়ে আছে। এক্স-রে কক্ষের দরজাটি পর্যন্ত নেই। এতে কর্দমাক্ত হয়ে গেছে এক্স-রে কক্ষ।
কুমিল্লা জেনারেল (সদর) হাসপাতালের আবাসিক সার্জন (আরএমও) ডা. মো আবদুল করিম খন্দকার বলেন, দীর্ঘদিন আমরা এক্সরে সেবা দিতে পারছি না এটা সত্য। তবে সম্প্রতি আমাদের টেন্ডার কার্যক্রম করেছি। এখন প্রক্রিয়াধীন আছে।
কুমিল্লা জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. রেজা মো. সারোয়ার আকবর বলেন, আমরা টেন্ডার কল করেছি। টেন্ডার হয়েছে। অনুমতিও পেয়েছি। শিগগিরই ফিল্ম কেনার ব্যবস্থা হবে এবং আমরা এক্সরে কার্যক্রম শুরু করবো। আশাকরি এক্সরে কার্যক্রম শুরু হলে রোগীদের এক্সরে সুবিধা পুরোদমে শুরু করা যাবে।
এক্স-রে মেশিন আছে। লোকবলও আছে। তবুও এক্স-রে হয় না কুমিল্লা জেনারেল (সদর) হাসপাতালে। যেকারণে কুমিল্লার এই হাসপাতালের এক্স-রে মেশিন গুলো একরকম অকেজো হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। গত পাঁচমাস কুমিল্লার এই গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালে এক্স-রে না থাকায় সেবা বঞ্চিত হচ্ছে হাজার হাজার গ্রহীতা। এতে সেবার মান নিয়ে যেমন প্রশ্ন উঠছে; তেমনি হাসপাতালে কর্মরতরাও পড়ছেন নানান বিপাকে। রোগীরাও ভোগান্তির পাশাপাশি গুণতে হয় অতিরিক্ত অর্থ।
জানা গেছে, গত বছরের জুলাই মাসে কুমিল্লা সদর হাসপাতালে এক্স-রে সেবা চালু করা হয়। এসময় ৭০০ ফিল্ম এক্স-রে মেশিনের সাথে দেয়া হয়। সেই ৭০০ ফিল্ম দিয়ে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রাখে। ফিল্ম শেষ হলে আর এক্স-রে করার কোন উপায় থাকে না। যে কারণে জরুরী রোগী আসলেও সেবা দেয়ার কোন ব্যবস্থা নেই এই হাসপাতালে।
এদিকে সংশ্লিষ্ট আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, প্রতিদিন ১০০ বা তার বেশি রোগী এসে এক্স-রে না করাতে পেরে ফিরে যান। তবে বয়স নির্ধারণের জন্য সেবাগ্রহীতার কাছ থেকে ফিল্মের টাকা নিয়ে ফিল্ম কিনে আনা হয়।
এদিকে সেবাবঞ্চিত রোগীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সেবা না পেয়ে অনেকে দালালের খপ্পরে পড়ে খোয়াচ্ছেন অতিরিক্ত টাকা। এছাড়াও অনেকে সেবা নিতে না পেরে বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে সেবা নিচ্ছেন। তাছাড়া শিশু, দুর্ঘটনা, বৃদ্ধ ও দূর থেকে আসা রোগীরা এতে সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী।
জেনারেল (সদর) হাসপাতালের ফটকে সেবা নিতে আসা ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশিদল এলাকার বাসিন্দা আকরম আলী (৬৫) জানান, এক্স-রে নাই। তাই বাইরে সিরিয়াল দিয়ে এক্স-রে করিয়ে আনলাম। এখন ওই চিকিৎসক নেই। কাল আবার আসতে হবে। বাইরে টাকাও বেশি নিয়েছে। আর আমার সময়ও বেশি লেগেছি। এক্স-রে খুবই দরকারি জিনিস।
সরেজমিনে কুমিল্লা জেনারেল (সদর) হাসপাতালের এক্স-রে কক্ষতে গিয়ে দেখা যায় একটি কক্ষে বয়স নির্ধারণের এক্স-রে করা হয়। পাশের আরেকটি কক্ষে এক্স-রে মেশিন থাকলেও তা অকেজো পড়ে আছে। এক্স-রে কক্ষের দরজাটি পর্যন্ত নেই। এতে কর্দমাক্ত হয়ে গেছে এক্স-রে কক্ষ।
কুমিল্লা জেনারেল (সদর) হাসপাতালের আবাসিক সার্জন (আরএমও) ডা. মো আবদুল করিম খন্দকার বলেন, দীর্ঘদিন আমরা এক্সরে সেবা দিতে পারছি না এটা সত্য। তবে সম্প্রতি আমাদের টেন্ডার কার্যক্রম করেছি। এখন প্রক্রিয়াধীন আছে।
কুমিল্লা জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. রেজা মো. সারোয়ার আকবর বলেন, আমরা টেন্ডার কল করেছি। টেন্ডার হয়েছে। অনুমতিও পেয়েছি। শিগগিরই ফিল্ম কেনার ব্যবস্থা হবে এবং আমরা এক্সরে কার্যক্রম শুরু করবো। আশাকরি এক্সরে কার্যক্রম শুরু হলে রোগীদের এক্সরে সুবিধা পুরোদমে শুরু করা যাবে।