আবদুল্লাহ আল মারুফ
বৈশাখের গরম চারদিকে। দেশজুড়ে তীব্র দাবদাহে হাঁসফাঁস অবস্থা। কুমিল্লার তাপমাত্র টানা দুদিনই ৪০ ছুঁইছুঁই। তীব্র গরমে দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের রেললাইনগুলোতে তাপমাত্রা গিয়ে ঠেকছে ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তারও বেশি। এতে রেললাইন বেঁকে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তাই কুমিল্লাসহ দক্ষিণ অঞ্চলের রেল চলাচলে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে রেলের ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষ। বিষয়টি জানিয়েছেন রেলওয়ে কুমিল্লার ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী (পথ) লিয়াকত আলী মজুমদার।
তিনি বলেন, সারাদেশে তীব্র দাবদাহ চলছে। কুমিল্লাসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে শনিবার (১০ মে) রেলের তাপমাত্র ৫০ ছাড়িয়েছে। বিকেল চারটা ১৫ মিনিটেও আমরা মেপে দেখেছি তা ৪৯ ডিগ্রি আছে। বুঝাই যাচ্ছে দুপুরে কি অবস্থা ছিল। তাই কিছু এলাকার রেললাইন বেঁকে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। যেকারণে কুমিল্লার লাকসাম জংশন থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত ১৩০ কিলোমিটার, আখাউড়া থেকে সিলেট পর্যন্ত ২০০ কিলোমিটার ও আখাউড়া থেকে ঢাকা পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার এলাকায় রেল চলাচলে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়, বেলা ১২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এসব এলাকায় ৪০ কিলোমিটার গতিতে রেল চলাচল করতে হবে। দাবদাহ থাকা অবস্থায় শুধু এই নির্দেশনা চলবে।
তবে কুমিল্লা থেকে আখাউড়া অংশে তেমন দুর্ঘটনার শঙ্কা নেই জানিয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, এই এলাকার রেললাইন অন্য এলাকার তুলনায় মোটা। তাই এই এলাকা নিরাপদ বলা যায়।
রেলওয়ে সূত্র বলছে, পৃথিবীর উপরিভাগে যত তাপমাত্রা থাকে, রেললাইনে তার চেয়ে ১০ বা ১২ ডিগ্রি বেশি তাপমাত্রা তৈরি হয়। রেলের মাঠপর্যায়ের কর্মীদের কাছে রেললাইনের তাপমাত্রা মাপার যন্ত্র রয়েছে। তারা মেপে তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পেলেই গতি কমানোর নির্দেশনা আসে। এই তাপমাত্রায় নতুন লাইন বেঁকে যেতে পারে। লোহার পাত জোড়া দিয়ে দিয়ে সমান্তরাল রেললাইন বসানো হয়। জোড়াগুলোর জায়গাতে সামান্য ফাঁকা রাখা হয়। যাতে তাপে লোহার সম্প্রসারণ হলে দুর্ঘটনা এড়ানো যায়। কিন্তু অত্যধিক তাপে সম্প্রসারণ বেশি হয়ে গেলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বেড়ে যায়।
সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১৭ মার্চ দুপুর পৌনে ২টার দিকে তীব্র গরমে কুমিল্লায় রেললাইন বেঁকে গিয়ে ময়মনসিংহ অভিমুখী বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের ৮টি বগি লাইনচ্যুত হয়। নাঙ্গলকোটের হাসানপুর রেলস্টেশন সংলগ্ন তেজের বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হন। লাইনচ্যুত হওয়ার পর বগিগুলো ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের উভয় লাইনে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে যেকারণে চট্টগ্রামের সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
বৈশাখের গরম চারদিকে। দেশজুড়ে তীব্র দাবদাহে হাঁসফাঁস অবস্থা। কুমিল্লার তাপমাত্র টানা দুদিনই ৪০ ছুঁইছুঁই। তীব্র গরমে দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের রেললাইনগুলোতে তাপমাত্রা গিয়ে ঠেকছে ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তারও বেশি। এতে রেললাইন বেঁকে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তাই কুমিল্লাসহ দক্ষিণ অঞ্চলের রেল চলাচলে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে রেলের ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষ। বিষয়টি জানিয়েছেন রেলওয়ে কুমিল্লার ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী (পথ) লিয়াকত আলী মজুমদার।
তিনি বলেন, সারাদেশে তীব্র দাবদাহ চলছে। কুমিল্লাসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে শনিবার (১০ মে) রেলের তাপমাত্র ৫০ ছাড়িয়েছে। বিকেল চারটা ১৫ মিনিটেও আমরা মেপে দেখেছি তা ৪৯ ডিগ্রি আছে। বুঝাই যাচ্ছে দুপুরে কি অবস্থা ছিল। তাই কিছু এলাকার রেললাইন বেঁকে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। যেকারণে কুমিল্লার লাকসাম জংশন থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত ১৩০ কিলোমিটার, আখাউড়া থেকে সিলেট পর্যন্ত ২০০ কিলোমিটার ও আখাউড়া থেকে ঢাকা পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার এলাকায় রেল চলাচলে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়, বেলা ১২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এসব এলাকায় ৪০ কিলোমিটার গতিতে রেল চলাচল করতে হবে। দাবদাহ থাকা অবস্থায় শুধু এই নির্দেশনা চলবে।
তবে কুমিল্লা থেকে আখাউড়া অংশে তেমন দুর্ঘটনার শঙ্কা নেই জানিয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, এই এলাকার রেললাইন অন্য এলাকার তুলনায় মোটা। তাই এই এলাকা নিরাপদ বলা যায়।
রেলওয়ে সূত্র বলছে, পৃথিবীর উপরিভাগে যত তাপমাত্রা থাকে, রেললাইনে তার চেয়ে ১০ বা ১২ ডিগ্রি বেশি তাপমাত্রা তৈরি হয়। রেলের মাঠপর্যায়ের কর্মীদের কাছে রেললাইনের তাপমাত্রা মাপার যন্ত্র রয়েছে। তারা মেপে তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পেলেই গতি কমানোর নির্দেশনা আসে। এই তাপমাত্রায় নতুন লাইন বেঁকে যেতে পারে। লোহার পাত জোড়া দিয়ে দিয়ে সমান্তরাল রেললাইন বসানো হয়। জোড়াগুলোর জায়গাতে সামান্য ফাঁকা রাখা হয়। যাতে তাপে লোহার সম্প্রসারণ হলে দুর্ঘটনা এড়ানো যায়। কিন্তু অত্যধিক তাপে সম্প্রসারণ বেশি হয়ে গেলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বেড়ে যায়।
সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১৭ মার্চ দুপুর পৌনে ২টার দিকে তীব্র গরমে কুমিল্লায় রেললাইন বেঁকে গিয়ে ময়মনসিংহ অভিমুখী বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের ৮টি বগি লাইনচ্যুত হয়। নাঙ্গলকোটের হাসানপুর রেলস্টেশন সংলগ্ন তেজের বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হন। লাইনচ্যুত হওয়ার পর বগিগুলো ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের উভয় লাইনে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে যেকারণে চট্টগ্রামের সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।