গাজীউল হক সোহাগ
মা কথাটি ছোট্র অতি/ কিন্তু জেনো ভাই /ইহার চেয়ে নাম যে মধুর /তিন ভূবনে নেই/ সত্য ন্যায়ের ধর্ম থাকুক/ মাথার ‘পরে আজি/ অন্তরে মা থাকুক মম/ করুক স্নেহরাজি। কবি কাজী কাদের নেওয়াজের ‘ মা’ কবিতায় এভাবেই মাকে তুলে ধরা হয়েছে। সেই মায়ের অবদান, ত্যাগ ও ভালোবাসার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশের দিন আজ। বিশ্ব মা দিবস আজ। সমাজে মায়ের সম্মান প্রদর্শের জন্য দিবসটি পালন করা হয়।
মূলত একজন মা তাঁর সন্তানের চরিত্র ও ব্যক্তিত্ব গঠন করেন। সন্তানের বৃদ্ধি ও বিকাশে যত্ন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। মায়ের আত্নত্যাগকে তুলে ধরার জন্য এই দিবস। যদিও মাকে স্মরণে বরণে রাখেন সবাই।
কিভাবে মা দিবস এলো? -১৯১৪ সালে আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন মে মাসের দ্বিতীয় রোববারকে মা দিবস ও জাতীয় ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করেন। এরপর থেকে দেশে দেশে দিবসটি পালিত হচ্ছে। মে মাসের দ্বিতীয় রোববার ১০,১১ ও ১২ এর মধ্যে হয়ে থাকে।
ইন্টারনেট থেকে প্রাপ্ত তথ্য ঘেঁটে জানা গেছে, ১৬০০ শতকে মাতৃত্ব ও মাকে সম্মান জানানোর জন্য যুক্তরাজ্যে রোববার মাদারিং সানডে পালন করা হয়। ১৮৭০ সালে আমেরিকায় গৃহযুদ্ধ হয়। তখন জুলিয়া ওয়ার্ড শান্তির প্রত্যাশায় একটি ঘোষণাপত্র লেখেন। ওই যুদ্ধে বহু নর নারী মারা যান। পরবর্তীতে পরিবারহীন এতিম শিশুদের একত্রিত করেন সমাজকর্মী আনা রিভিজ জার্ভিস ও তাঁর মেয়ে আনা মেরি জার্ভিস। তাঁরা মা দিবস পালন শুরু করেন। আনা মেরি জার্ভিস ১৯০৫ সালে তাঁর মায়ের মৃত্যুর পর সরকারিভাবে দিবসটি পালনের জন্য ক্যাম্পেইন ( প্রচারণা) শুরু করেন। ১৯০৮ সালের ১০ মে আমেরিকার ভার্জিনিয়ার একটি চার্চে প্রথম মা দিবস পালন হয়। এতে ৪০৭ জন শিশু ও তাদের কারো কারো মায়েরা উপস্থিত ছিলেন। ১৯১২ সালে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে দিবস পালনের জন্য ব্যাপক প্রচারণা শুরু হয়। ১৯১৪ সাল থেকে দেশে দেশে এই দিবস পালন শুরু হয়। বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হচ্ছে। কবি লেখক শিল্পীরাও মাকে তুলে ধরেছেন তাঁদের সৃষ্টিশীল কাজ দিয়ে।
এতে মায়েদের সফলতা, প্রতিকূলতার সঙ্গে যুদ্ধ করে টিকে থাকা, সন্তানদের পড়াশোনা করে এগিয়ে নেওয়ার নানা ধরণের গল্প আছে। একেকটি গল্পের মধ্যে লুকিয়ে আছে বেদনা, কষ্টের কথা। দিনশেষে সন্তানের সাফল্য দেখে মায়ের হাসিতে আলোকিত হয় দেশ।
আমার শহর পত্রিকা আজ কীর্তিমান কিছু মায়ের গল্প তুলে এনেছে। সেখানে মায়েদের সংগ্রামী জীবনের নানা ধরনের গল্প আছে। কিছু মা অন্যের সন্তানকে উৎসাহ দিতেন। বঞ্চিত মানুষের সন্তানকে পড়াতেন। কিছু মা নিজের সন্তানকে কঠোর অনুশাসনে বড় করেছেন। কিছু মা স্বামীর মৃত্যুর পর সন্তানকে তিলে তিলে মানুষ করেছেন।
জানতে চাইলে বিশিষ্ট নারীনেত্রী দিলনাশি মোহসেন বলেন, একজন মা-ই একটি পরিবারের বড় ছায়া। চেইঞ্জমেকার। মায়ের ছায়ায় মায়ায় আমরা বেঁচে আছি। দিবস করে মাকে সম্মান জানানো হয় না। মাকে সবসময়ই আমরা সম্মান করি।
মা কথাটি ছোট্র অতি/ কিন্তু জেনো ভাই /ইহার চেয়ে নাম যে মধুর /তিন ভূবনে নেই/ সত্য ন্যায়ের ধর্ম থাকুক/ মাথার ‘পরে আজি/ অন্তরে মা থাকুক মম/ করুক স্নেহরাজি। কবি কাজী কাদের নেওয়াজের ‘ মা’ কবিতায় এভাবেই মাকে তুলে ধরা হয়েছে। সেই মায়ের অবদান, ত্যাগ ও ভালোবাসার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশের দিন আজ। বিশ্ব মা দিবস আজ। সমাজে মায়ের সম্মান প্রদর্শের জন্য দিবসটি পালন করা হয়।
মূলত একজন মা তাঁর সন্তানের চরিত্র ও ব্যক্তিত্ব গঠন করেন। সন্তানের বৃদ্ধি ও বিকাশে যত্ন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। মায়ের আত্নত্যাগকে তুলে ধরার জন্য এই দিবস। যদিও মাকে স্মরণে বরণে রাখেন সবাই।
কিভাবে মা দিবস এলো? -১৯১৪ সালে আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন মে মাসের দ্বিতীয় রোববারকে মা দিবস ও জাতীয় ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করেন। এরপর থেকে দেশে দেশে দিবসটি পালিত হচ্ছে। মে মাসের দ্বিতীয় রোববার ১০,১১ ও ১২ এর মধ্যে হয়ে থাকে।
ইন্টারনেট থেকে প্রাপ্ত তথ্য ঘেঁটে জানা গেছে, ১৬০০ শতকে মাতৃত্ব ও মাকে সম্মান জানানোর জন্য যুক্তরাজ্যে রোববার মাদারিং সানডে পালন করা হয়। ১৮৭০ সালে আমেরিকায় গৃহযুদ্ধ হয়। তখন জুলিয়া ওয়ার্ড শান্তির প্রত্যাশায় একটি ঘোষণাপত্র লেখেন। ওই যুদ্ধে বহু নর নারী মারা যান। পরবর্তীতে পরিবারহীন এতিম শিশুদের একত্রিত করেন সমাজকর্মী আনা রিভিজ জার্ভিস ও তাঁর মেয়ে আনা মেরি জার্ভিস। তাঁরা মা দিবস পালন শুরু করেন। আনা মেরি জার্ভিস ১৯০৫ সালে তাঁর মায়ের মৃত্যুর পর সরকারিভাবে দিবসটি পালনের জন্য ক্যাম্পেইন ( প্রচারণা) শুরু করেন। ১৯০৮ সালের ১০ মে আমেরিকার ভার্জিনিয়ার একটি চার্চে প্রথম মা দিবস পালন হয়। এতে ৪০৭ জন শিশু ও তাদের কারো কারো মায়েরা উপস্থিত ছিলেন। ১৯১২ সালে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে দিবস পালনের জন্য ব্যাপক প্রচারণা শুরু হয়। ১৯১৪ সাল থেকে দেশে দেশে এই দিবস পালন শুরু হয়। বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হচ্ছে। কবি লেখক শিল্পীরাও মাকে তুলে ধরেছেন তাঁদের সৃষ্টিশীল কাজ দিয়ে।
এতে মায়েদের সফলতা, প্রতিকূলতার সঙ্গে যুদ্ধ করে টিকে থাকা, সন্তানদের পড়াশোনা করে এগিয়ে নেওয়ার নানা ধরণের গল্প আছে। একেকটি গল্পের মধ্যে লুকিয়ে আছে বেদনা, কষ্টের কথা। দিনশেষে সন্তানের সাফল্য দেখে মায়ের হাসিতে আলোকিত হয় দেশ।
আমার শহর পত্রিকা আজ কীর্তিমান কিছু মায়ের গল্প তুলে এনেছে। সেখানে মায়েদের সংগ্রামী জীবনের নানা ধরনের গল্প আছে। কিছু মা অন্যের সন্তানকে উৎসাহ দিতেন। বঞ্চিত মানুষের সন্তানকে পড়াতেন। কিছু মা নিজের সন্তানকে কঠোর অনুশাসনে বড় করেছেন। কিছু মা স্বামীর মৃত্যুর পর সন্তানকে তিলে তিলে মানুষ করেছেন।
জানতে চাইলে বিশিষ্ট নারীনেত্রী দিলনাশি মোহসেন বলেন, একজন মা-ই একটি পরিবারের বড় ছায়া। চেইঞ্জমেকার। মায়ের ছায়ায় মায়ায় আমরা বেঁচে আছি। দিবস করে মাকে সম্মান জানানো হয় না। মাকে সবসময়ই আমরা সম্মান করি।