নিজস্ব প্রতিবেদক
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন কবে হবে তার কোন রোডম্যাপ এখনও হয়নি। এরই মধ্যে আগামী নির্বাচনে কারা মেয়র পদে প্রার্থী হতে চান, তা নিয়ে বিবদমান পক্ষগুলোর অনুসারীদের মধ্যে চলছে নানা ধরনের আলোচনা। ইতিমধ্যে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মহানগর বিএনপির সভাপতি উৎবাতুল বারী আবু। আবুর প্রার্থিতা ঘোষণা বিএনপি ও বিএনপি ঘরানার রাজনীতিবিদদের মধ্যে নতুন করে আলোচনা আরও জমে উঠেছে।
বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী এবং নাগরিক সমাজের অন্তত ২০ জন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে আলোচনায় চারজনের নাম রয়েছে। তাঁরা হলেন কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সভাপতি উৎবাতুল বারী আবু, সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপু, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কু ও কুমিল্লা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি ও দুইবারের মেয়র প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার। এর মধ্যে সাক্কু ও কায়সার আজীবনের জন্য দল থেকে বহিষ্কৃত। তাঁরা দলের কোন পদপদবিতে নেই। তবে বহিষ্কৃত হয়েও তাঁরা দলের রাজনৈতিক নানা কর্মসূচিতে সরব আছেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সভাপতি উৎবাতুল বারী আবু ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রসংসদ নির্বাচনে ছাত্রদল থেকে বহিঃক্রীড়া সম্পাদক ছিলেন। তিনি কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি, সাংগঠনিক সম্পাদক, প্রচার সম্পাদক, সদস্য ও শহর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সদস্য ছিলেন। পরে তিনি কুমিল্লা মহানগর যুবদলের সভাপতি, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক, আহ্বায়ক ও বর্তমানে সভাপতি পদে আছেন। রাজনীতি করতে গিয়ে কারাবরণ করেছেন। গত ৪ আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবে তিনি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার আলেখারচর অংশে আন্দোলনে সরাসরি উপস্থিত থেকে নেতৃত্ব দেন। তাঁর বিরুদ্ধে অন্তত ৫৪ টি মামলা ছিল। এর মধ্যে বর্তমানে ৩১ টি চলমান। ১৯৯৬ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ২৬ বছরে আটবারে ২০ মাস কারাবরণ করেন। ২০১৩ সালের নভেম্বর মাসে বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তাঁর বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এনকাউন্টারে তাঁকে মারার জন্য একাধিকবার চেষ্টা করা হয় বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
জানতে চাইলে কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সভাপতি উৎবাতুল বারী আবু বলেন,‘ আমি তৃণমূল থেকে রাজনীতি করে আসছি। প্রত্যেকেরই একটা ইচ্ছে থাকে জনপ্রতিনিধি হওয়ার। দলের নেতাকর্মীরা চান, আমি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে নির্বাচন করি। আগামী সিটি নির্বাচনে দলের কাছে মেয়র পদে মনোনয়ন চাইব। নির্বাচন করার জন্য আমি প্রস্তুত আছি। কুমিল্লা নগরের ২৭ টি ওয়ার্ডে দলীয় নেতাকর্মীরা আমার পক্ষে একাট্টা।’
কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপু । তিনি শহর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক, জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক, মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। কুমিল্লা মহানগর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সচিব ছিলেন। করোনাকালীন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিবেকের মাধ্যমে অন্তত ৪৭৬ জনের মতো লাশ দাফন করেন। করোনায় অ্যাম্বুলেন্স সরবরাহ, বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ, খাবার পৌঁছানোর কাজ করেছেন। তিনি বিবেকের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। তাঁর বিরুদ্ধে ২৬ টির মতো মামলা ছিল। বর্তমানে ২২ টি মামলা আছে। দুইমাস তিনি কারাবরণ করেছেন। গত ১৯ জুলাই কুমিল্লা নগরের চর্থা এলাকার তাঁর বাসায় তাঁকে হত্যার জন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা গুলিবর্ষণ করেন। তাঁকে এনকাউন্টারে মারার জন্য রাজধানী থেকে ডিবি এসে তৎপরতা চালায়। তিনি তখন পালিয়ে বেঁচে যান।
জানতে চাইলে ইউসুফ মোল্লা টিপু বলেন,‘ নির্বাচন যখন হবে তখন দল, শুভানুধ্যায়ী, শুভাকাঙ্ক্ষী, সকল শ্রেণিপেশার মানুষ, সুশীল সমাজ, ভোটার, সাধারণ লোকজন সকলের পরামর্শ ক্রমে প্রার্থিতার সিদ্ধান্ত নেব। ’
এদিকে মো. মনিরুল হক সাক্কু ও নিজাম উদ্দিন কায়সার ২০২২ ও ২০২৪ সালে দুই দফা মেয়র পদে নির্বাচন করেছেন। তাঁরাও মেয়র পদে নগরবাসীর আলোচনায় আছেন। সাক্কু ২০০৫, ২০১২ ও ২০১৭ সালে মেয়র পদে নির্বাচিত হন। পরের দুইবার ২০২২ ও ২০২৪ সালে পরাজিত হন।
জানতে চাইলে মো. মনিরুল হক সাক্কু বলেন,‘ আগে যেই নির্বাচন ( জাতীয় সংসদ ও সিটি নির্বাচন) হবে, আমি সেই নির্বাচনেই প্রার্থী হব। কুমিল্লা নগরবাসী আমাকে মেয়র পদে চায়। এটা সাধারণ মানুষের মুখে মুখে। অতীতে নগরবাসীর খেদমত করেছি। আমার দরজা নগরবাসীর জন্য খোলা ছিল। তাঁরা আমার কাছে গিয়ে তাঁদের মনের কথা বলতে পেরেছিলেন।’
আপনার অনুজ রাজনৈতিক নেতারাও মেয়র পদে নির্বাচন করতে চান, তাঁদের নামও আলোচনায় আছে এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,‘ ওরা রাজনীতি করে। ওদের নির্বাচন করার অধিকার আছে। করতেই পারে। ’
নিজাম উদ্দিন কায়সার বলেন,‘ দল এবং কুমিল্লার জনগণ যে সিদ্ধান্ত নেবে আমি সেটা মাথা পেতে নেব। আমি আগেও দুইবার নির্বাচন করেছি।’
তবে স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিএনপি সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে একক প্রার্থী দেবে। এখানে কে প্রার্থী হবেন তা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানই নির্ধারণ করবেন। দলের বাইরে গিয়ে কুমিল্লা পৌরসভা ও সিটিতে বিএনপির কেউ চেয়ারম্যান ও মেয়র হতে পারেননি।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন কবে হবে তার কোন রোডম্যাপ এখনও হয়নি। এরই মধ্যে আগামী নির্বাচনে কারা মেয়র পদে প্রার্থী হতে চান, তা নিয়ে বিবদমান পক্ষগুলোর অনুসারীদের মধ্যে চলছে নানা ধরনের আলোচনা। ইতিমধ্যে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মহানগর বিএনপির সভাপতি উৎবাতুল বারী আবু। আবুর প্রার্থিতা ঘোষণা বিএনপি ও বিএনপি ঘরানার রাজনীতিবিদদের মধ্যে নতুন করে আলোচনা আরও জমে উঠেছে।
বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী এবং নাগরিক সমাজের অন্তত ২০ জন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে আলোচনায় চারজনের নাম রয়েছে। তাঁরা হলেন কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সভাপতি উৎবাতুল বারী আবু, সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপু, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কু ও কুমিল্লা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি ও দুইবারের মেয়র প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার। এর মধ্যে সাক্কু ও কায়সার আজীবনের জন্য দল থেকে বহিষ্কৃত। তাঁরা দলের কোন পদপদবিতে নেই। তবে বহিষ্কৃত হয়েও তাঁরা দলের রাজনৈতিক নানা কর্মসূচিতে সরব আছেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সভাপতি উৎবাতুল বারী আবু ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রসংসদ নির্বাচনে ছাত্রদল থেকে বহিঃক্রীড়া সম্পাদক ছিলেন। তিনি কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি, সাংগঠনিক সম্পাদক, প্রচার সম্পাদক, সদস্য ও শহর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সদস্য ছিলেন। পরে তিনি কুমিল্লা মহানগর যুবদলের সভাপতি, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক, আহ্বায়ক ও বর্তমানে সভাপতি পদে আছেন। রাজনীতি করতে গিয়ে কারাবরণ করেছেন। গত ৪ আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবে তিনি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার আলেখারচর অংশে আন্দোলনে সরাসরি উপস্থিত থেকে নেতৃত্ব দেন। তাঁর বিরুদ্ধে অন্তত ৫৪ টি মামলা ছিল। এর মধ্যে বর্তমানে ৩১ টি চলমান। ১৯৯৬ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ২৬ বছরে আটবারে ২০ মাস কারাবরণ করেন। ২০১৩ সালের নভেম্বর মাসে বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তাঁর বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এনকাউন্টারে তাঁকে মারার জন্য একাধিকবার চেষ্টা করা হয় বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
জানতে চাইলে কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সভাপতি উৎবাতুল বারী আবু বলেন,‘ আমি তৃণমূল থেকে রাজনীতি করে আসছি। প্রত্যেকেরই একটা ইচ্ছে থাকে জনপ্রতিনিধি হওয়ার। দলের নেতাকর্মীরা চান, আমি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে নির্বাচন করি। আগামী সিটি নির্বাচনে দলের কাছে মেয়র পদে মনোনয়ন চাইব। নির্বাচন করার জন্য আমি প্রস্তুত আছি। কুমিল্লা নগরের ২৭ টি ওয়ার্ডে দলীয় নেতাকর্মীরা আমার পক্ষে একাট্টা।’
কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপু । তিনি শহর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক, জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক, মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। কুমিল্লা মহানগর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সচিব ছিলেন। করোনাকালীন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিবেকের মাধ্যমে অন্তত ৪৭৬ জনের মতো লাশ দাফন করেন। করোনায় অ্যাম্বুলেন্স সরবরাহ, বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ, খাবার পৌঁছানোর কাজ করেছেন। তিনি বিবেকের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। তাঁর বিরুদ্ধে ২৬ টির মতো মামলা ছিল। বর্তমানে ২২ টি মামলা আছে। দুইমাস তিনি কারাবরণ করেছেন। গত ১৯ জুলাই কুমিল্লা নগরের চর্থা এলাকার তাঁর বাসায় তাঁকে হত্যার জন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা গুলিবর্ষণ করেন। তাঁকে এনকাউন্টারে মারার জন্য রাজধানী থেকে ডিবি এসে তৎপরতা চালায়। তিনি তখন পালিয়ে বেঁচে যান।
জানতে চাইলে ইউসুফ মোল্লা টিপু বলেন,‘ নির্বাচন যখন হবে তখন দল, শুভানুধ্যায়ী, শুভাকাঙ্ক্ষী, সকল শ্রেণিপেশার মানুষ, সুশীল সমাজ, ভোটার, সাধারণ লোকজন সকলের পরামর্শ ক্রমে প্রার্থিতার সিদ্ধান্ত নেব। ’
এদিকে মো. মনিরুল হক সাক্কু ও নিজাম উদ্দিন কায়সার ২০২২ ও ২০২৪ সালে দুই দফা মেয়র পদে নির্বাচন করেছেন। তাঁরাও মেয়র পদে নগরবাসীর আলোচনায় আছেন। সাক্কু ২০০৫, ২০১২ ও ২০১৭ সালে মেয়র পদে নির্বাচিত হন। পরের দুইবার ২০২২ ও ২০২৪ সালে পরাজিত হন।
জানতে চাইলে মো. মনিরুল হক সাক্কু বলেন,‘ আগে যেই নির্বাচন ( জাতীয় সংসদ ও সিটি নির্বাচন) হবে, আমি সেই নির্বাচনেই প্রার্থী হব। কুমিল্লা নগরবাসী আমাকে মেয়র পদে চায়। এটা সাধারণ মানুষের মুখে মুখে। অতীতে নগরবাসীর খেদমত করেছি। আমার দরজা নগরবাসীর জন্য খোলা ছিল। তাঁরা আমার কাছে গিয়ে তাঁদের মনের কথা বলতে পেরেছিলেন।’
আপনার অনুজ রাজনৈতিক নেতারাও মেয়র পদে নির্বাচন করতে চান, তাঁদের নামও আলোচনায় আছে এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,‘ ওরা রাজনীতি করে। ওদের নির্বাচন করার অধিকার আছে। করতেই পারে। ’
নিজাম উদ্দিন কায়সার বলেন,‘ দল এবং কুমিল্লার জনগণ যে সিদ্ধান্ত নেবে আমি সেটা মাথা পেতে নেব। আমি আগেও দুইবার নির্বাচন করেছি।’
তবে স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিএনপি সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে একক প্রার্থী দেবে। এখানে কে প্রার্থী হবেন তা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানই নির্ধারণ করবেন। দলের বাইরে গিয়ে কুমিল্লা পৌরসভা ও সিটিতে বিএনপির কেউ চেয়ারম্যান ও মেয়র হতে পারেননি।