জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মবার্ষিকীর জাতীয় অনুষ্ঠান কুমিল্লা শহরেই হচ্ছে। জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ওই অনুষ্ঠান হবে। আগে অনুষ্ঠানটি নার্গিস নজরুলের স্মৃতিবিজড়িত মুরাদনগর উপজেলার দৌলতপুরে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। বৈরি আবহাওয়া, অনুষ্ঠান করার পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধার অভাব ও আমন্ত্রিত অতিথিদের কথা বিবেচনা করে দৌলতপুরের স্থান পরিবর্তন করা হয়।

কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পংকজ বড়ুয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

২৫ মে উদ্বোধনী দিন বেলা দুইটা ৩০ মিনিটে চেতনায় নজরুল মুর‌্যালে পুস্পস্তবক অর্পণ, এরপর পুস্তক প্রদর্শনী পরিদর্শন। বিকেল তিনটায় জেলা শিল্পকলা মিলনায়তনে তিন দিনব্যাপী উৎসবের উদ্বোধন করবেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী। অনুষ্ঠান চলবে ২৭ মে পর্যন্ত। দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠান হবে মুরাদনগরের দৌলতপুরে। উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠান কুমিল্লা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে।

এবারের নজরুল জন্মবার্ষিকীর প্রতিপাদ্য হল‘ দুহাজার চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান: কাজী নজরুলের উত্তারাধিকার’। অনুষ্ঠানে স্মারক বক্তা থাকবেন অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান। উদ্বোধনী পর্বে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ৩০ মিনিটের

সাংস্কৃতিক পর্বে অংশ নেবে। এ বছর ৬০০ স্মরণিক্ ও ২০ হাজার পোস্টার সাঁটানো হবে।

এছাড়া জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতিবিজড়িত ময়মনসিংহের ত্রিশাল, মানিকগঞ্জের তেওতা, চুয়াডাঙার কার্পাসডাঙা ও চট্রগ্রামে স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে নজরুল মেলা, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। দেশের সব জেলাতেই নজরুল জন্মজয়ন্তী পালিত হবে।

মুরাদনগরের দৌলতপুর কবির স্মৃতি বিজড়িত জায়গা। এখানে কবি তাঁর বন্ধু আলী আকবর খাঁর সঙ্গে বেড়াতে আসেন। এরপর আলী আকবর খাঁর বোনের মেয়ে সৈয়দা নার্গিস আশার খানের সঙ্গে প্রেম ও বিয়ে করেন। নার্গিসকে নিয়ে তিনি কবিতা লেখেন। দৌলতপুরের খা বাড়ির পুকুরে সাঁতার কাটেন। এখানেও অনুষ্ঠান হবে।