কুমিল্লায় বিশ্ব পরিবেশ দিবসের সভায় বক্তারা
নিজস্ব প্রতিবেদক
কোন সরকারই পরিবেশ সংরক্ষণে কার্যকর ভূমিকা রাখেনি। একে একে কুমিল্লার বিভিন্ন দিঘি ও পুকুর ভরাট হচ্ছে। লালমাই পাহাড় কাটা হচ্ছে। গোমতী নদীর মাটিও সাবাড় করা হচ্ছে। নগরের বিভিন্ন খালে প্লাস্টিক বর্জ্য ফেলে পানি প্রবাহ রুদ্ধ করা হচ্ছে। এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান গুলো কার্যকর কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না। পরিবেশ সংরক্ষণে সরকার যত্নশীল নয়। পরিবেশকে ঠিক রাখতে হলে সবার আগে রাষ্ট্রকে তৎপর থাকতে হবে। রাষ্ট্রীয়ভাবে পুকুর, জলাশয় ভরাট বন্ধ করতে হবে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লায় বিশ্ব পরিবেশ দিবসের আলোচনা সভায় বেশিরভাগ বক্তা ঘুরেফিরে এসব কথা বলেন। বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) আঞ্চলিক শাখার কুমিল্লার আয়োজনে নগরের কান্দিরপাড়ের নাহার প্লাজার আমার শহর অফিসে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন বাপা কুমিল্লার সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক শান্তিরঞ্জন ভৌমিক, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ড. আলী হোসেন চৌধুরী, বাপার সহসভাপতি বদরুল হুদা জেনু, অধ্যক্ষ মুহাম্মদ শফিকুর রহমান ও রোকেয়া বেগম শেফালী, যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ হুমায়ুন কবীর মাসউদ ও মাহমুদা আক্তার, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাজাদা এমরান, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অচিন্ত দাস টিটু, নির্বাহী সদস্য আবুল হাসানাত বাবুল, বাকীন রাব্বী, ডা. গোলাম শাহজাহান, পরিবেশবিদ মতিন সৈকত , সিনিয়র সাংবাদিক মোতাহের হোসেন মাহবুব ও আমার শহর সম্পাদক গাজীউল হক সোহাগ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাপা কুমিল্লার সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর মাসুম।
বদরুল হুদা জেনু বলেন, ‘পরিবেশ আইন কার্যকর করবে সরকার। সরকারকে এই ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা রাখতে হবে। একই সঙ্গে নাগরিকদেরকে সচেতন হতে হবে।’
পরিবেশবিদ মতিন সৈকত বলেন, ‘এবারের জুন মাসের ৩০ দিনই আমি পরিবেশ দিবস পালন করছি। প্রতিদিনই পরিবেশ রক্ষায় নানা ধরনের কাজ করছি। হয় গাছ লাগাই, নতুবা আগাছা পরিষ্কার করি। অথবা পরিবেশ বিষয়ক নানা ধরনের ক্যাম্পিং করি।’
অধ্যাপক শান্তিরঞ্জন ভৌমিক বলেন, ‘এক সময় কুমিল্লা শহরে অনেক পুকুর ছিল। সেই পুকুরের পানি দিয়ে রান্না হতো। গোসল হতো। পাড়ার ছেলেরা সাঁতার কাটতো। এখন পুকুরের চারপাশের লোকজন সেখানে ময়লা ফেলে। পরিবেশ নষ্ট করে। জনগণকে আগে সচেতন হতে হবে।’
বাপার সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘প্লাস্টিক বর্জ্য পরিবেশের জন্য খুবই ক্ষতিকর। যত্রতত্র প্লাস্টিক বর্জ্য ফেলা যাবে না। এটি জনস্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। পরিবেশ নিয়ে একটা আন্দোলন করি আমরা। এই আন্দোলনের সুফল ধীরে ধীরে আসছে। পরিবেশবাদিরা পরিবেশ বিধ্বংসী বহু কাজ আটকে দিয়েছে। বাজেটে পরিবেশ নিয়ে বরাদ্দ কম।’
উল্লেখ এ বছর ঈদ উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকায় আগামী ২৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবসের অনুষ্ঠান হবে। তবে পরিবেশ সংরক্ষণে তৎপর বিভিন্ন সংগঠন আজই দিবসটি পালন করছে। এ বছরের পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য হল ‘ প্লাস্টিক দূষণ আর নয়’।
কোন সরকারই পরিবেশ সংরক্ষণে কার্যকর ভূমিকা রাখেনি। একে একে কুমিল্লার বিভিন্ন দিঘি ও পুকুর ভরাট হচ্ছে। লালমাই পাহাড় কাটা হচ্ছে। গোমতী নদীর মাটিও সাবাড় করা হচ্ছে। নগরের বিভিন্ন খালে প্লাস্টিক বর্জ্য ফেলে পানি প্রবাহ রুদ্ধ করা হচ্ছে। এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান গুলো কার্যকর কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না। পরিবেশ সংরক্ষণে সরকার যত্নশীল নয়। পরিবেশকে ঠিক রাখতে হলে সবার আগে রাষ্ট্রকে তৎপর থাকতে হবে। রাষ্ট্রীয়ভাবে পুকুর, জলাশয় ভরাট বন্ধ করতে হবে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লায় বিশ্ব পরিবেশ দিবসের আলোচনা সভায় বেশিরভাগ বক্তা ঘুরেফিরে এসব কথা বলেন। বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) আঞ্চলিক শাখার কুমিল্লার আয়োজনে নগরের কান্দিরপাড়ের নাহার প্লাজার আমার শহর অফিসে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন বাপা কুমিল্লার সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক শান্তিরঞ্জন ভৌমিক, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ড. আলী হোসেন চৌধুরী, বাপার সহসভাপতি বদরুল হুদা জেনু, অধ্যক্ষ মুহাম্মদ শফিকুর রহমান ও রোকেয়া বেগম শেফালী, যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ হুমায়ুন কবীর মাসউদ ও মাহমুদা আক্তার, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাজাদা এমরান, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অচিন্ত দাস টিটু, নির্বাহী সদস্য আবুল হাসানাত বাবুল, বাকীন রাব্বী, ডা. গোলাম শাহজাহান, পরিবেশবিদ মতিন সৈকত , সিনিয়র সাংবাদিক মোতাহের হোসেন মাহবুব ও আমার শহর সম্পাদক গাজীউল হক সোহাগ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাপা কুমিল্লার সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর মাসুম।
বদরুল হুদা জেনু বলেন, ‘পরিবেশ আইন কার্যকর করবে সরকার। সরকারকে এই ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা রাখতে হবে। একই সঙ্গে নাগরিকদেরকে সচেতন হতে হবে।’
পরিবেশবিদ মতিন সৈকত বলেন, ‘এবারের জুন মাসের ৩০ দিনই আমি পরিবেশ দিবস পালন করছি। প্রতিদিনই পরিবেশ রক্ষায় নানা ধরনের কাজ করছি। হয় গাছ লাগাই, নতুবা আগাছা পরিষ্কার করি। অথবা পরিবেশ বিষয়ক নানা ধরনের ক্যাম্পিং করি।’
অধ্যাপক শান্তিরঞ্জন ভৌমিক বলেন, ‘এক সময় কুমিল্লা শহরে অনেক পুকুর ছিল। সেই পুকুরের পানি দিয়ে রান্না হতো। গোসল হতো। পাড়ার ছেলেরা সাঁতার কাটতো। এখন পুকুরের চারপাশের লোকজন সেখানে ময়লা ফেলে। পরিবেশ নষ্ট করে। জনগণকে আগে সচেতন হতে হবে।’
বাপার সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘প্লাস্টিক বর্জ্য পরিবেশের জন্য খুবই ক্ষতিকর। যত্রতত্র প্লাস্টিক বর্জ্য ফেলা যাবে না। এটি জনস্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। পরিবেশ নিয়ে একটা আন্দোলন করি আমরা। এই আন্দোলনের সুফল ধীরে ধীরে আসছে। পরিবেশবাদিরা পরিবেশ বিধ্বংসী বহু কাজ আটকে দিয়েছে। বাজেটে পরিবেশ নিয়ে বরাদ্দ কম।’
উল্লেখ এ বছর ঈদ উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকায় আগামী ২৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবসের অনুষ্ঠান হবে। তবে পরিবেশ সংরক্ষণে তৎপর বিভিন্ন সংগঠন আজই দিবসটি পালন করছে। এ বছরের পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য হল ‘ প্লাস্টিক দূষণ আর নয়’।