সাক্ষাৎকার
পরিবেশ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপপরিচালক মোসাব্বের হোসেন মুহাম্মদ রাজীব
গাজীউল হক সোহাগ
৩১তম বিসিএসে ননক্যাডারে পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক পদে যোগদান করেন মোসাব্বের হোসেন মুহাম্মদ রাজীব। এরপর তিনি ঢাকা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চাঁদপুর জেলায় কাজ করেন। কুমিল্লা জেলায় উপপরিচালক পদে ২০২২ সালের ১৩ ডিসেম্বর যোগদান করেন। কুমিল্লার পরিবেশ, প্রতিবেশ, কুমিল্লা নগরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা , গোমতী নদী, লালমাই পাহাড়, পুকুর, দিঘি, জলাশয় ও ডোবা ভরাটসহ নানা বিষয়ে আলাপচারিতা হয় গত মঙ্গলবার বিকেলে তাঁর দপ্তরে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আমার শহর সম্পাদক গাজীউল হক সোহাগ
আমার শহর: কুমিল্লা নগরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি কেমন?
উপপরিচালক: কুমিল্লা নগরে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অপ্রতুল। এখানে কোন সুয়ারেজ সিস্টেম নাই। ওয়াসা নাই। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে সিটি করপোরেশনকে আলাদা করে প্রকল্প নিতে হবে। পুরাতন গোমতী নদীতে ময়লা ফেলা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন ময়লা ফেলার জায়গা নেই। তাই তারা নদীতে ফেলছেন।
আমার শহর: পরিবেশ অধিদপ্তরের কাজটা কি?
উপপরিচালক: পরিবেশ দূষণের বিভিন্ন অভিযোগ দেখা। মামলা করা, জরিমানা করা। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা। শিল্প প্রতিষ্ঠানের ছাড়পত্র প্রদান করা। ৭৮ কাঠার বেশি জায়গা হলে, বহুতল ভবন করার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর ছাড়পত্র দেয়। এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রম পরিচালনা করা। মোবাইল কোর্ট করা, যদিও আমাদের নিজস্ব কোন ম্যাজিস্ট্রেট নেই। নদী, পুকুর, জলাশয়, দিঘি ও ডোবা ভরাট হলে দেখা। লালমাই পাহাড় কাটা হলে সেটা দেখা। ইটভাটার ক্ষতিকর বিষয় দেখা।
আমার শহর: কিন্তু কুমিল্লায় তো কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ জলাশয় ভরাট করে ১৪ তলা পর্যন্ত ভবন করেছে। ভরাট ঠেকাতে আপনারা তো কোন উদ্যোগ নেননি? জলাশয় ভরাটের কারণে গত কয়েকদিন আগে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নগর ভবনে পানি ঢুকেছে। এ বিষয়ে আপনার বক্তব্য কি?
উপপরিচালক: আমরা খবর পাওয়ার পর কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষকে নোটিশ করি। পরে সেটা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে গেছে। সেখানে এটা নিষ্পত্তি হবে। জলাবদ্ধতা নিরসন কাজ করবে সিটি করপোরেশন।
আমার শহর: বর্তমানে আপনার কোন কোন প্রতিষ্ঠানের ছাড়পত্র দেন?
উপপরিচালক: শিল্প প্রতিষ্ঠান, করাতকল, ইটভাটা ও রেস্তোরাঁ।
আমার শহর: আর কি কি কাজ করেন?
উপপরিচালক: বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ নিয়ে কাজ করছি। বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ সংশোধিত ২০১০ মোতাবেক কাজ করি।
আমার শহর: কুমিল্লা ইপিজেডের তরল বর্জ্য ব্যবস্থপনা নিয়ে কোন উদ্যোগ নিয়েছিলেন কি না?
উপপরিচালক: তরল বর্জ্য ও মানমাত্রা মাপার জন্য ছয়মাস আগে মনিটরিং স্টেশন বসানো হয়েছে। সেখানে প্যারামিটার খারাপ আসলে তার প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কুমিল্লা ইপিজেডে ইটিপি আছে। কুমিল্লার দক্ষিণ এলাকায় সিটি করপোরেশনের সুয়ারেজ বর্জ্য, সাবান পানি ও ময়লা যাচ্ছে।
আমার শহর: এ পর্যন্ত পরিবেশ অধিদপ্তর কয়টা মামলা করেছে?
উপপরিচালক: লালমাই পাহাড় কাটা নিয়ে ১১ টা, ইটভাটা নিয়ে ১৫ টা ও পুকুর ভরাট নিয়ে আটটা মামলা করেছে।
আমার শহর: লালমাই পাহাড় নিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের তৎপরতা কেমন?
উপপরিচালক: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সবচেয়ে বেশি লালমাই পাহাড়কে ধ্বংস করেছে। এজন্য তাদের আর্থিক জরিমানা দিতে হয়েছে। প্রথম ক্যাম্পাসের পর দ্বিতীয় ক্যাম্পাস করার সময়ও পাহাড় কাটা হয়েছে। যখনই আমরা পাহাড় কাটার খবর পেয়েছি, তখনই ব্যবস্থা নিয়েছি। এনফোর্সমেন্ট করেছি। যতটুকুন জেনেছি, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চারলেনেও লালমাই পাহাড়ের মাটি কোন কোন অংশে ব্যবহার করা হয়।
আমার শহর: কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজের কিছু টিলার মাটিও কাটা হয়েছে?
উপপরিচালক: তখন আমি এখানে দায়িত্বে ছিলাম না। কেউ অভিযোগও করেনি।
আমার শহর: আপনাকে ধন্যবাদ।
উপপরিচালক: আপনাকেও ধন্যবাদ।
৩১তম বিসিএসে ননক্যাডারে পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক পদে যোগদান করেন মোসাব্বের হোসেন মুহাম্মদ রাজীব। এরপর তিনি ঢাকা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চাঁদপুর জেলায় কাজ করেন। কুমিল্লা জেলায় উপপরিচালক পদে ২০২২ সালের ১৩ ডিসেম্বর যোগদান করেন। কুমিল্লার পরিবেশ, প্রতিবেশ, কুমিল্লা নগরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা , গোমতী নদী, লালমাই পাহাড়, পুকুর, দিঘি, জলাশয় ও ডোবা ভরাটসহ নানা বিষয়ে আলাপচারিতা হয় গত মঙ্গলবার বিকেলে তাঁর দপ্তরে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আমার শহর সম্পাদক গাজীউল হক সোহাগ
আমার শহর: কুমিল্লা নগরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি কেমন?
উপপরিচালক: কুমিল্লা নগরে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অপ্রতুল। এখানে কোন সুয়ারেজ সিস্টেম নাই। ওয়াসা নাই। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে সিটি করপোরেশনকে আলাদা করে প্রকল্প নিতে হবে। পুরাতন গোমতী নদীতে ময়লা ফেলা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন ময়লা ফেলার জায়গা নেই। তাই তারা নদীতে ফেলছেন।
আমার শহর: পরিবেশ অধিদপ্তরের কাজটা কি?
উপপরিচালক: পরিবেশ দূষণের বিভিন্ন অভিযোগ দেখা। মামলা করা, জরিমানা করা। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা। শিল্প প্রতিষ্ঠানের ছাড়পত্র প্রদান করা। ৭৮ কাঠার বেশি জায়গা হলে, বহুতল ভবন করার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর ছাড়পত্র দেয়। এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রম পরিচালনা করা। মোবাইল কোর্ট করা, যদিও আমাদের নিজস্ব কোন ম্যাজিস্ট্রেট নেই। নদী, পুকুর, জলাশয়, দিঘি ও ডোবা ভরাট হলে দেখা। লালমাই পাহাড় কাটা হলে সেটা দেখা। ইটভাটার ক্ষতিকর বিষয় দেখা।
আমার শহর: কিন্তু কুমিল্লায় তো কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ জলাশয় ভরাট করে ১৪ তলা পর্যন্ত ভবন করেছে। ভরাট ঠেকাতে আপনারা তো কোন উদ্যোগ নেননি? জলাশয় ভরাটের কারণে গত কয়েকদিন আগে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নগর ভবনে পানি ঢুকেছে। এ বিষয়ে আপনার বক্তব্য কি?
উপপরিচালক: আমরা খবর পাওয়ার পর কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষকে নোটিশ করি। পরে সেটা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে গেছে। সেখানে এটা নিষ্পত্তি হবে। জলাবদ্ধতা নিরসন কাজ করবে সিটি করপোরেশন।
আমার শহর: বর্তমানে আপনার কোন কোন প্রতিষ্ঠানের ছাড়পত্র দেন?
উপপরিচালক: শিল্প প্রতিষ্ঠান, করাতকল, ইটভাটা ও রেস্তোরাঁ।
আমার শহর: আর কি কি কাজ করেন?
উপপরিচালক: বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ নিয়ে কাজ করছি। বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ সংশোধিত ২০১০ মোতাবেক কাজ করি।
আমার শহর: কুমিল্লা ইপিজেডের তরল বর্জ্য ব্যবস্থপনা নিয়ে কোন উদ্যোগ নিয়েছিলেন কি না?
উপপরিচালক: তরল বর্জ্য ও মানমাত্রা মাপার জন্য ছয়মাস আগে মনিটরিং স্টেশন বসানো হয়েছে। সেখানে প্যারামিটার খারাপ আসলে তার প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কুমিল্লা ইপিজেডে ইটিপি আছে। কুমিল্লার দক্ষিণ এলাকায় সিটি করপোরেশনের সুয়ারেজ বর্জ্য, সাবান পানি ও ময়লা যাচ্ছে।
আমার শহর: এ পর্যন্ত পরিবেশ অধিদপ্তর কয়টা মামলা করেছে?
উপপরিচালক: লালমাই পাহাড় কাটা নিয়ে ১১ টা, ইটভাটা নিয়ে ১৫ টা ও পুকুর ভরাট নিয়ে আটটা মামলা করেছে।
আমার শহর: লালমাই পাহাড় নিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের তৎপরতা কেমন?
উপপরিচালক: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সবচেয়ে বেশি লালমাই পাহাড়কে ধ্বংস করেছে। এজন্য তাদের আর্থিক জরিমানা দিতে হয়েছে। প্রথম ক্যাম্পাসের পর দ্বিতীয় ক্যাম্পাস করার সময়ও পাহাড় কাটা হয়েছে। যখনই আমরা পাহাড় কাটার খবর পেয়েছি, তখনই ব্যবস্থা নিয়েছি। এনফোর্সমেন্ট করেছি। যতটুকুন জেনেছি, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চারলেনেও লালমাই পাহাড়ের মাটি কোন কোন অংশে ব্যবহার করা হয়।
আমার শহর: কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজের কিছু টিলার মাটিও কাটা হয়েছে?
উপপরিচালক: তখন আমি এখানে দায়িত্বে ছিলাম না। কেউ অভিযোগও করেনি।
আমার শহর: আপনাকে ধন্যবাদ।
উপপরিচালক: আপনাকেও ধন্যবাদ।