ড. রাশেদা রওনক খান
মা দিবস নিয়ে আমার কখনোই কোনরকমের আদিখ্যেতা ছিলো না, মা বেঁচে থাকতেও না, এখনও না। আমার কাছে মনে হয়, মা তো মা'ই। মা মানে আমার নিশ্বাস, নিঃশ্বাস কি আর আলাদা করে অনুভব করার কিছু আছে? নিঃশ্বাস কি আর দিনক্ষণের হিসেবে নেয়া যায়? আমার মাকে আমি প্রতিটি নিঃশ্বাসের সাথে অনুভব করতাম যখন তিনি বেঁচে ছিলেন, এখন মৃত্যুর পর তাঁকে হয়তো চোখে দেখতে পাইনা, তাঁর আদর পাইনা, কিন্তু তিনি আছেন আমার সাথেই, আমার প্রতিটি কাজে। আমি এভাবেই বিষয়টি দেখি, তাই আমি যে কাজটাই করি, মা'কে খুশি করতেই করি। আর কেউ যখন মা'কে খুশি করতে নিজের কাজটা করবে, সেটায় মায়ের মমত্ব, মহানুভবতা, তাঁর আত্মত্যাগ, তাঁর গায়ের ঘ্রান থেকে শুরু করে দোয়া সব সেই কাজ মিলেমিশে একাকার হয়ে থাকে। ফলে, সেই কাজটি যেমন পবিত্র ও ভালো কিছু হয়, তেমনি মায়াময় ও বরকতময়ও হয়।
আমার মা ছিলেন আমাদের পরিবারের কেবল না তার পরিবার, আমার বাবার পরিবার এমনকি অনেক দূর সম্পর্কের আত্মীয়স্বজনের পরিবারের বেঁচে থাকার প্রাণশক্তি। বিপদে আপদে, সুখে দুঃখে সেইসব মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারার মতো এক অলৌকিক ইচ্ছাশক্তি নিয়ে জন্মেছিলেন। চেষ্টা করেছেন, আমাদেরকেও এভাবেই গড়ে তুলতে। পেরেছেন কিনা তা কেবল আমাদের আশে-পাশের মানুষজন, ছাত্র-ছাত্রীরা বলতে পারবে। সারাজীবন তিনি কেবল এই শিক্ষাই দিয়ে গেছেন, তোমাদের দ্বারা সমাজ উপকৃত হোক, এটাই আমার
চাওয়া। তিনি কোনোদিন বলেন নাই, বাড়ি করো, গাড়ি কেন, ভালো অংকের টাকা জমাও, এসব কিছুইনা। কেবল বলতেন, মানুষের দুঃসময়ে পাশে থেকো, মানুষের উপকার করো, তোমার চেয়ে দুর্বল যে তার পাশে দাঁড়াবে, সবলের পাশে দাঁড়ানোর মানুষের অভাব নেই।
আমার মা আরেকটি কথা প্রায়শই বলতেন, সন্তান জন্ম দিলেই মা হওয়া যায় না, মা হওয়া অনেক কঠিন এবং তা সাধনার বিষয়। ভাবতাম, এমন কি মায়ের করতে হয় যে সাধনা করতে হবে! কিন্তু এখন যতই দিন যায়, চারদিকে নানা অবিচার, কিশোর-গ্যাংয়ের দৌরাত্ম, ইয়াবা-গাঁজা সেবনের হার, অনিয়ম-উশৃখলতার চরম পর্যায় দেখে মনে হয়, তারা যদি সত্যিকার অর্থে পরিবারে একটি সুস্থ পরিবেশ পেতো, তাহলে হয়তো সমাজটা আমাদের এমন মূল্যবোধহীন-অনাচার-অবিচারের দিকে যেতো না। এখন বুঝতে পারি মা হিসেবে সন্তান লালন পালন আসলেই কতোটা কঠিন কাজ।
কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজে তাঁর শিক্ষকতার শুরু, প্রিন্সিপাল হিসেবে সেই কলেজেই তাঁর শেষ হয় এই কর্মময় জীবন, মাঝে কুমিল্লা ভিক্টেরিয়া সরকারি কলেজ, কুমিল্লা সরকারি কলেজেও শিক্ষকতা করেন, এতো বছরের শিক্ষকজীবনে দেশ বিদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে তাঁর ছাত্র-ছাত্রীরা। শিক্ষার্থীদের প্রতি মায়াময় এক তান কাজ করতো তাঁর ভেতরে, সেটা আমরা ছেলেমেয়েরা টের পেতাম খুব।
নিজের কর্মজীবনে তিনি বেশ পরিপাটি ভাবে সুতি শাড়ি পড়ে ক্লাসে যেতেন। শৈশবের দৈনন্দিন আনন্দময় স্মৃতিতে মায়ের যে অবয়ব আমার চোখে ভেসে উঠে, তা হলো, একজন মাঝারি গড়নের মায়াবী চেহারার অল্প একটু ফেস পাউডার আর আলতু করে লিপস্টিকের ছোয়া ঠোঁটে আয়রন করা সুতি শাড়ির একজন শান্ত-সৌম, ছিমছাম প্রফেসর বাসা থেকে বের হতেন, আবার দুপুর শেষে বিকালের শুরুটায় ফিরে আসতেন। তাঁর এই ফিরে আসার সময়টায় মুখে কোনোদিন বেদনা, দুঃখ, ক্লান্তির ছাপ দেখতাম না, এখন আমাদের যেমন দেখা যায়। তিনি মনে হতো, ক্লাসে যেভাবে সকালে পারিবারিক যাপিত জীবনের প্রশান্তি নিয়ে যেতেন, ফিরতেনও কর্মময় জীবনের একধরণের আত্মতৃপ্তি নিয়ে। বিষয়টার মর্ম একদিন বুঝলাম তাঁর একটি কথা থেকে। একদিন আমি বিশ্ববিদ্যালয় হতে ক্লাস শেষ করে বেশ ক্লান্ত আর কিছুটা বিরক্তি নিয়ে বাসায় ঢুকলাম, মা আমাকে প্রথম খেতে দিলেন। খাবার শেষ হবার পর ধীরে ধীরে বললেন, মন খারাপ কিছু নিয়ে? মন খারাপের কারণটা শুনে তিনি আমায় বললেন, সমাজে এমন অনেক মানুষ আছে, যাদের কাজই হচ্ছে, তোমাকে নানা ভাবে কষ্ট দেয়া। মনে রাখবে, বাইরের মানুষের জন্য কষ্ট পাবে না। তোমার ঘরের মানুষজন ও ছাত্র-ছাত্রী তোমাকে ও তোমার কাজ কে ভালোবাসে কিনা, সেটা দেখবে। তারা কিছু বললে সেটা নিয়ে ভাববে, আসলেই ভুল কিছু হলে নিজেকে শোধরানোর চেষ্টা করবে। কিন্তু এর বাইরে কে কি বললো, তাতে তুমি ভেঙে পড়লে তারা সফল হবে। খারাপ মানুষদের সফল করতে তোমার জন্ম হয়নি, তুমি নিজেও শিক্ষক হও নি। সেদিন থেকে বাইরের মানুষের নেগেটিভ কথা বা কাজ আমাকে একদমই ভাবায় না। মা'কে নিয়ে আরেকটি স্মৃতিচারণ করে শেষ করি লেখাটা।
শিক্ষক রওনককে তিনি আরেকটি উপদেশ দিয়েছিলেন, যেটি আমি বেদবাক্যের মতো মানি। তাহলো, মানব জীবন মানেই তোমার সুখময় সময় আর আনন্দময় জীবনে অনেক দুঃখ-কষ্ট, বেদনা ও অসহায়ত্ব থাকবে। কিন্তু তুমি যখন ক্লাসে ঢুকবে, সব কিছু ক্লাস রুমের বাইরে রেখে যাবে। কেবল এমন একজন শিক্ষক রূপে ক্লাসে যাবে, যাকে শিক্ষার্থীরা সকলে আদর্শ একজন শিক্ষক হিসেবে দেখতে পায়, শিক্ষার্থীরা তোমার কাছ থেকে প্রাণশক্তি পায়। ক্লাসের পিছিয়ে পড়া, বিপদে পড়া, অসহায় কিংবা কম আত্মবিশ্বাসী এমন ছেলে-মেয়েদের পাশে দাঁড়াবে, দেখবে তারা তোমার কাছ থেকে একটু ভরসা পেলে কত দূর চলে যাবে, তুমি হয়তো কল্পনাও করতে পারবেনা। সেদিন থেকে আজও টের পাই, একজন আদর্শ মা কিংবা শিক্ষক, সর্বোপরি সমাজে একজন আদর্শ মানুষ হওয়া আসলেই কতোটা সাধনার বিষয়। এই সাধনায় যেনো জীবন কাটিয়ে দিতে পারি মা, উপর থেকে এই দোয়া করো। সাধনা করি তোমার স্বপ্নের মতো শিক্ষক হয়ে উঠতে , যেমনটি তুমি চাইতে সবসময়। তোমার এই স্বপ্নেই বাঁচি প্রতিদিন, প্রতিক্ষণ!
মা দিবসে আমার মা প্রফেসর জোহরা আনিসের জন্য তাঁর অগণিত শিক্ষার্থীদের ও সকল পাঠকের কাছে দোয়া প্রার্থী। মহান আল্লাহ তায়ালা তাঁর সকল ভালো কাজের প্রতিদানস্বরূপ আমার মা'কে কবরে শান্তিতে রাখুন, আমিন।
রাশেদা রওনক খান: সহযোগী অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
মা দিবস নিয়ে আমার কখনোই কোনরকমের আদিখ্যেতা ছিলো না, মা বেঁচে থাকতেও না, এখনও না। আমার কাছে মনে হয়, মা তো মা'ই। মা মানে আমার নিশ্বাস, নিঃশ্বাস কি আর আলাদা করে অনুভব করার কিছু আছে? নিঃশ্বাস কি আর দিনক্ষণের হিসেবে নেয়া যায়? আমার মাকে আমি প্রতিটি নিঃশ্বাসের সাথে অনুভব করতাম যখন তিনি বেঁচে ছিলেন, এখন মৃত্যুর পর তাঁকে হয়তো চোখে দেখতে পাইনা, তাঁর আদর পাইনা, কিন্তু তিনি আছেন আমার সাথেই, আমার প্রতিটি কাজে। আমি এভাবেই বিষয়টি দেখি, তাই আমি যে কাজটাই করি, মা'কে খুশি করতেই করি। আর কেউ যখন মা'কে খুশি করতে নিজের কাজটা করবে, সেটায় মায়ের মমত্ব, মহানুভবতা, তাঁর আত্মত্যাগ, তাঁর গায়ের ঘ্রান থেকে শুরু করে দোয়া সব সেই কাজ মিলেমিশে একাকার হয়ে থাকে। ফলে, সেই কাজটি যেমন পবিত্র ও ভালো কিছু হয়, তেমনি মায়াময় ও বরকতময়ও হয়।
আমার মা ছিলেন আমাদের পরিবারের কেবল না তার পরিবার, আমার বাবার পরিবার এমনকি অনেক দূর সম্পর্কের আত্মীয়স্বজনের পরিবারের বেঁচে থাকার প্রাণশক্তি। বিপদে আপদে, সুখে দুঃখে সেইসব মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারার মতো এক অলৌকিক ইচ্ছাশক্তি নিয়ে জন্মেছিলেন। চেষ্টা করেছেন, আমাদেরকেও এভাবেই গড়ে তুলতে। পেরেছেন কিনা তা কেবল আমাদের আশে-পাশের মানুষজন, ছাত্র-ছাত্রীরা বলতে পারবে। সারাজীবন তিনি কেবল এই শিক্ষাই দিয়ে গেছেন, তোমাদের দ্বারা সমাজ উপকৃত হোক, এটাই আমার
চাওয়া। তিনি কোনোদিন বলেন নাই, বাড়ি করো, গাড়ি কেন, ভালো অংকের টাকা জমাও, এসব কিছুইনা। কেবল বলতেন, মানুষের দুঃসময়ে পাশে থেকো, মানুষের উপকার করো, তোমার চেয়ে দুর্বল যে তার পাশে দাঁড়াবে, সবলের পাশে দাঁড়ানোর মানুষের অভাব নেই।
আমার মা আরেকটি কথা প্রায়শই বলতেন, সন্তান জন্ম দিলেই মা হওয়া যায় না, মা হওয়া অনেক কঠিন এবং তা সাধনার বিষয়। ভাবতাম, এমন কি মায়ের করতে হয় যে সাধনা করতে হবে! কিন্তু এখন যতই দিন যায়, চারদিকে নানা অবিচার, কিশোর-গ্যাংয়ের দৌরাত্ম, ইয়াবা-গাঁজা সেবনের হার, অনিয়ম-উশৃখলতার চরম পর্যায় দেখে মনে হয়, তারা যদি সত্যিকার অর্থে পরিবারে একটি সুস্থ পরিবেশ পেতো, তাহলে হয়তো সমাজটা আমাদের এমন মূল্যবোধহীন-অনাচার-অবিচারের দিকে যেতো না। এখন বুঝতে পারি মা হিসেবে সন্তান লালন পালন আসলেই কতোটা কঠিন কাজ।
কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজে তাঁর শিক্ষকতার শুরু, প্রিন্সিপাল হিসেবে সেই কলেজেই তাঁর শেষ হয় এই কর্মময় জীবন, মাঝে কুমিল্লা ভিক্টেরিয়া সরকারি কলেজ, কুমিল্লা সরকারি কলেজেও শিক্ষকতা করেন, এতো বছরের শিক্ষকজীবনে দেশ বিদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে তাঁর ছাত্র-ছাত্রীরা। শিক্ষার্থীদের প্রতি মায়াময় এক তান কাজ করতো তাঁর ভেতরে, সেটা আমরা ছেলেমেয়েরা টের পেতাম খুব।
নিজের কর্মজীবনে তিনি বেশ পরিপাটি ভাবে সুতি শাড়ি পড়ে ক্লাসে যেতেন। শৈশবের দৈনন্দিন আনন্দময় স্মৃতিতে মায়ের যে অবয়ব আমার চোখে ভেসে উঠে, তা হলো, একজন মাঝারি গড়নের মায়াবী চেহারার অল্প একটু ফেস পাউডার আর আলতু করে লিপস্টিকের ছোয়া ঠোঁটে আয়রন করা সুতি শাড়ির একজন শান্ত-সৌম, ছিমছাম প্রফেসর বাসা থেকে বের হতেন, আবার দুপুর শেষে বিকালের শুরুটায় ফিরে আসতেন। তাঁর এই ফিরে আসার সময়টায় মুখে কোনোদিন বেদনা, দুঃখ, ক্লান্তির ছাপ দেখতাম না, এখন আমাদের যেমন দেখা যায়। তিনি মনে হতো, ক্লাসে যেভাবে সকালে পারিবারিক যাপিত জীবনের প্রশান্তি নিয়ে যেতেন, ফিরতেনও কর্মময় জীবনের একধরণের আত্মতৃপ্তি নিয়ে। বিষয়টার মর্ম একদিন বুঝলাম তাঁর একটি কথা থেকে। একদিন আমি বিশ্ববিদ্যালয় হতে ক্লাস শেষ করে বেশ ক্লান্ত আর কিছুটা বিরক্তি নিয়ে বাসায় ঢুকলাম, মা আমাকে প্রথম খেতে দিলেন। খাবার শেষ হবার পর ধীরে ধীরে বললেন, মন খারাপ কিছু নিয়ে? মন খারাপের কারণটা শুনে তিনি আমায় বললেন, সমাজে এমন অনেক মানুষ আছে, যাদের কাজই হচ্ছে, তোমাকে নানা ভাবে কষ্ট দেয়া। মনে রাখবে, বাইরের মানুষের জন্য কষ্ট পাবে না। তোমার ঘরের মানুষজন ও ছাত্র-ছাত্রী তোমাকে ও তোমার কাজ কে ভালোবাসে কিনা, সেটা দেখবে। তারা কিছু বললে সেটা নিয়ে ভাববে, আসলেই ভুল কিছু হলে নিজেকে শোধরানোর চেষ্টা করবে। কিন্তু এর বাইরে কে কি বললো, তাতে তুমি ভেঙে পড়লে তারা সফল হবে। খারাপ মানুষদের সফল করতে তোমার জন্ম হয়নি, তুমি নিজেও শিক্ষক হও নি। সেদিন থেকে বাইরের মানুষের নেগেটিভ কথা বা কাজ আমাকে একদমই ভাবায় না। মা'কে নিয়ে আরেকটি স্মৃতিচারণ করে শেষ করি লেখাটা।
শিক্ষক রওনককে তিনি আরেকটি উপদেশ দিয়েছিলেন, যেটি আমি বেদবাক্যের মতো মানি। তাহলো, মানব জীবন মানেই তোমার সুখময় সময় আর আনন্দময় জীবনে অনেক দুঃখ-কষ্ট, বেদনা ও অসহায়ত্ব থাকবে। কিন্তু তুমি যখন ক্লাসে ঢুকবে, সব কিছু ক্লাস রুমের বাইরে রেখে যাবে। কেবল এমন একজন শিক্ষক রূপে ক্লাসে যাবে, যাকে শিক্ষার্থীরা সকলে আদর্শ একজন শিক্ষক হিসেবে দেখতে পায়, শিক্ষার্থীরা তোমার কাছ থেকে প্রাণশক্তি পায়। ক্লাসের পিছিয়ে পড়া, বিপদে পড়া, অসহায় কিংবা কম আত্মবিশ্বাসী এমন ছেলে-মেয়েদের পাশে দাঁড়াবে, দেখবে তারা তোমার কাছ থেকে একটু ভরসা পেলে কত দূর চলে যাবে, তুমি হয়তো কল্পনাও করতে পারবেনা। সেদিন থেকে আজও টের পাই, একজন আদর্শ মা কিংবা শিক্ষক, সর্বোপরি সমাজে একজন আদর্শ মানুষ হওয়া আসলেই কতোটা সাধনার বিষয়। এই সাধনায় যেনো জীবন কাটিয়ে দিতে পারি মা, উপর থেকে এই দোয়া করো। সাধনা করি তোমার স্বপ্নের মতো শিক্ষক হয়ে উঠতে , যেমনটি তুমি চাইতে সবসময়। তোমার এই স্বপ্নেই বাঁচি প্রতিদিন, প্রতিক্ষণ!
মা দিবসে আমার মা প্রফেসর জোহরা আনিসের জন্য তাঁর অগণিত শিক্ষার্থীদের ও সকল পাঠকের কাছে দোয়া প্রার্থী। মহান আল্লাহ তায়ালা তাঁর সকল ভালো কাজের প্রতিদানস্বরূপ আমার মা'কে কবরে শান্তিতে রাখুন, আমিন।
রাশেদা রওনক খান: সহযোগী অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়