সাক্ষাৎকার
অধ্যাপক ডা. মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ
গাজীউল হক সোহাগ
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ। ১৯৭৮-১৯৭৯ সালে তিনি বরিশাল শেরে-ই- বাংলা মেডিকেল মহাবিদ্যালয়ের ছাত্রসংসদের নির্বাচিত ভিপি (সহসভাপতি) ছিলেন। বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ) কুমিল্লা জেলা শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পেশাজীবী, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, স্বেচ্ছাসেবী নানা সংগঠনের সঙ্গে জড়িত তিনি। দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তাঁর সঙ্গে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় আমার শহর কার্যালয়ে কথা হয়। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আমার শহর সম্পাদক গাজীউল হক সোহাগ
আমার শহর: আপনি কি মনে করেন দ্রুত নির্বাচন হওয়া দরকার?
মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ: নির্বাচন নিয়ে দলগত মতামত নেওয়া দরকার। ঐক্যমত দরকার। এর বাইরে সাংবাদিক, এনজিও, ব্যবসায়ী, নানা ধরনের পেশাজীবী, শিক্ষক সমাজের সঙ্গে কথা বলতে হবে। এরপর নির্বাচনের দিনক্ষণ করা হোক। দেশে বর্তমানে নানা ধরনের অস্থিরতা চলছে। এই সময়ে জাতীয় ঐক্য ছাড়া নির্বাচন সম্ভব না।
আমার শহর: দেশের অস্থিরতা মোকাবেলায় কি করা দরকার?
মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ: সমগ্র ডিসিপ্লিনারি গ্রুপগুলোর মধ্যে একতা থাকা দরকার। রাষ্ট্রীয় নীতিকে এক নম্বরে প্রাধান্য দিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে অস্থিরতা ঠেকাতে হবে।
আমার শহর: নতুন নতুন রাজনৈতিক দল হচ্ছে, এগুলো দিয়ে রাষ্ট্রের গুণগত কোন পরিবর্তন হবে কিনা?
মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ: নতুন রাজনৈতিক দলগুলোর রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মান দেখতে হবে। হঠাৎ করে রাজনীতিতে ক্লিক করা যায় না। রাজনীতি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। এখানে সফল হতে হলে ধৈর্য ধরতে হবে। জনগণের চিন্তার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে হবে। এখনই ওদের নিয়ে কথা বলা ঠিক হবে না। তবে নতুন পুরাতন নিয়ে এগুতে হবে।
আমার শহর: প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ নিয়ে কয়েকদিন নানা ধরনের আলোচনা হয়। এখন অবশ্য থেমে গেছে। এটাকে কিভাবে দেখছেন?
মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ: প্রফেসর ড. ইউনূস সাহেবের পদত্যাগ ইস্যু নিয়ে অনেকে অনাধিকার চর্চা করেছেন। ওনার পদত্যাগের ইস্যুতে অনেক কর্মকর্তা ও কর্মচারী বেফাঁস মন্তব্য করেছেন। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা এ নিয়ে মন্তব্য করতে পারেন না। নির্বাচন নিয়েও তাঁরা কথা বলেছেন। তাঁদের কারও কারও সম্বোধনে প্রশ্ন জাগে। ভেতরে ভেতরে অনেকে খেলতে চান। খেলছেনও। এতে রাষ্ট্রের মঙ্গলের চেয়ে অমঙ্গলই বেশি মনে হচ্ছে। এককভাবে কেউ তাঁর পদত্যাগের অধিকার রাখেন না।
আমার শহর: আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হলে কি করতে হবে?
মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ: কর্মকর্তা. কর্মচারীদের রাজনীতিমুক্ত রেখে নির্বাচন দিতে হবে। ডিসি এসপি, ইউএনও ও ওসি রাজনীতি করলে নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে না। আগে এই জঞ্জাল দুর করতে হবে। এখনও দেখি, কোন কোন ব্যক্তির পক্ষে তাঁরা পক্ষপাতমূলক আচরণ করছেন। সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের এটা কোনভাবেই মানায় না।
আমার শহর: দেশের মানুষ কি ভালো আছেন?
মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ: রাজনৈতিক প্রেষণমুক্ত আছেন। তবে অর্থনৈতিকভাবে মুক্ত নয়। আইনশৃঙ্খলাবাহিনী ও স্বাধীন বিচার বিভাগ আরও শক্তিশালী হলে জনগণ শান্তি পেতো। কিন্তু গত কয়েকমাসে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও ঠেকবাজি বেড়েছে। এটা নিয়ে জনমনে ক্ষোভ আছে। ‘মব’ নিয়েও মানুষ আতংকে আছে। এগুলো রোধ করতে হবে।
আমার শহর: আপনাকে ধন্যবাদ।
মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ: আমার শহরের পাঠককেও ধন্যবাদ।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ। ১৯৭৮-১৯৭৯ সালে তিনি বরিশাল শেরে-ই- বাংলা মেডিকেল মহাবিদ্যালয়ের ছাত্রসংসদের নির্বাচিত ভিপি (সহসভাপতি) ছিলেন। বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ) কুমিল্লা জেলা শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পেশাজীবী, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, স্বেচ্ছাসেবী নানা সংগঠনের সঙ্গে জড়িত তিনি। দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তাঁর সঙ্গে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় আমার শহর কার্যালয়ে কথা হয়। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আমার শহর সম্পাদক গাজীউল হক সোহাগ
আমার শহর: আপনি কি মনে করেন দ্রুত নির্বাচন হওয়া দরকার?
মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ: নির্বাচন নিয়ে দলগত মতামত নেওয়া দরকার। ঐক্যমত দরকার। এর বাইরে সাংবাদিক, এনজিও, ব্যবসায়ী, নানা ধরনের পেশাজীবী, শিক্ষক সমাজের সঙ্গে কথা বলতে হবে। এরপর নির্বাচনের দিনক্ষণ করা হোক। দেশে বর্তমানে নানা ধরনের অস্থিরতা চলছে। এই সময়ে জাতীয় ঐক্য ছাড়া নির্বাচন সম্ভব না।
আমার শহর: দেশের অস্থিরতা মোকাবেলায় কি করা দরকার?
মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ: সমগ্র ডিসিপ্লিনারি গ্রুপগুলোর মধ্যে একতা থাকা দরকার। রাষ্ট্রীয় নীতিকে এক নম্বরে প্রাধান্য দিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে অস্থিরতা ঠেকাতে হবে।
আমার শহর: নতুন নতুন রাজনৈতিক দল হচ্ছে, এগুলো দিয়ে রাষ্ট্রের গুণগত কোন পরিবর্তন হবে কিনা?
মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ: নতুন রাজনৈতিক দলগুলোর রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মান দেখতে হবে। হঠাৎ করে রাজনীতিতে ক্লিক করা যায় না। রাজনীতি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। এখানে সফল হতে হলে ধৈর্য ধরতে হবে। জনগণের চিন্তার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে হবে। এখনই ওদের নিয়ে কথা বলা ঠিক হবে না। তবে নতুন পুরাতন নিয়ে এগুতে হবে।
আমার শহর: প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ নিয়ে কয়েকদিন নানা ধরনের আলোচনা হয়। এখন অবশ্য থেমে গেছে। এটাকে কিভাবে দেখছেন?
মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ: প্রফেসর ড. ইউনূস সাহেবের পদত্যাগ ইস্যু নিয়ে অনেকে অনাধিকার চর্চা করেছেন। ওনার পদত্যাগের ইস্যুতে অনেক কর্মকর্তা ও কর্মচারী বেফাঁস মন্তব্য করেছেন। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা এ নিয়ে মন্তব্য করতে পারেন না। নির্বাচন নিয়েও তাঁরা কথা বলেছেন। তাঁদের কারও কারও সম্বোধনে প্রশ্ন জাগে। ভেতরে ভেতরে অনেকে খেলতে চান। খেলছেনও। এতে রাষ্ট্রের মঙ্গলের চেয়ে অমঙ্গলই বেশি মনে হচ্ছে। এককভাবে কেউ তাঁর পদত্যাগের অধিকার রাখেন না।
আমার শহর: আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হলে কি করতে হবে?
মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ: কর্মকর্তা. কর্মচারীদের রাজনীতিমুক্ত রেখে নির্বাচন দিতে হবে। ডিসি এসপি, ইউএনও ও ওসি রাজনীতি করলে নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে না। আগে এই জঞ্জাল দুর করতে হবে। এখনও দেখি, কোন কোন ব্যক্তির পক্ষে তাঁরা পক্ষপাতমূলক আচরণ করছেন। সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের এটা কোনভাবেই মানায় না।
আমার শহর: দেশের মানুষ কি ভালো আছেন?
মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ: রাজনৈতিক প্রেষণমুক্ত আছেন। তবে অর্থনৈতিকভাবে মুক্ত নয়। আইনশৃঙ্খলাবাহিনী ও স্বাধীন বিচার বিভাগ আরও শক্তিশালী হলে জনগণ শান্তি পেতো। কিন্তু গত কয়েকমাসে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও ঠেকবাজি বেড়েছে। এটা নিয়ে জনমনে ক্ষোভ আছে। ‘মব’ নিয়েও মানুষ আতংকে আছে। এগুলো রোধ করতে হবে।
আমার শহর: আপনাকে ধন্যবাদ।
মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ: আমার শহরের পাঠককেও ধন্যবাদ।