• কুমিল্লা সিটি করপোরেশন
  • কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
  • আদর্শ সদর
  • বরুড়া
  • লাকসাম
  • দাউদকান্দি
  • আরও
    • চৌদ্দগ্রাম
    • সদর দক্ষিণ
    • নাঙ্গলকোট
    • বুড়িচং
    • ব্রাহ্মণপাড়া
    • মনোহরগঞ্জ
    • লালমাই
    • চান্দিনা
    • মুরাদনগর
    • দেবীদ্বার
    • হোমনা
    • মেঘনা
    • তিতাস
  • সর্বশেষ
  • রাজনীতি
  • বাংলাদেশ
  • অপরাধ
  • বিশ্ব
  • বাণিজ্য
  • মতামত
  • খেলা
  • বিনোদন
  • চাকরি
  • জীবনযাপন
  • ইপেপার
  • ইপেপার
facebooktwittertiktokpinterestyoutubelinkedininstagramgoogle
স্বত্ব: ©️ আমার শহর

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. গাজীউল হক ভূঁইয়া ( সোহাগ)।

নাহার প্লাজা, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা-৩৫০০

ই-মেইল: [email protected]

ফোন: 01716197760

> মতামত

আমের মুকুল ঝরা রোধে করণীয়

মোসলেহ উদ্দিন সেলিম
প্রকাশ : ২১ মার্চ ২০২৫, ২১: ৩৭
logo

আমের মুকুল ঝরা রোধে করণীয়

মোসলেহ উদ্দিন সেলিম

প্রকাশ : ২১ মার্চ ২০২৫, ২১: ৩৭
Photo

মার্চ শেষের দিকে সারাদেশেই মোটামুটি আমাদের মুকুল এসে গেছে। জাত ভেদে কিছু কিছু এলাকায় আম ইতিমধ্যে মটরদানা কিংবা মার্বেল আকারেও চলে গেছে।

সারাদেশেই আম গাছে মুকুল এসেছে। তবে বিভিন্ন কারণে সেসব মুকুল ঝরেও যায়। এতে ক্ষতি হয় আম চাষিদের। কারণ আমের মৌসুমে বিভিন্ন সমস্যা দেখা যায়। রোগ ও পোকা-মাকড়ের আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় আম বাগান। সঠিক সময়ে রোগ ও পোকা-মাকড় দমনে ব্যর্থ হলে ফলন মারাত্মকভাবে কমে যেতে পারে। তাই আমের মুকুল ঝরা রোধে কিছু করণীয় রয়েছে। আসুন জেনে নেই উপায়গুলো-

আমের মুকুল আসার পর করণীয়

ফুল আসার আগে: আম গাছে ফুল আসার ১৫ দিন আগে পর্যাপ্ত সেচ দিতে হবে। টিএসপি ও এমপি সার ২০০-২৫০ গ্রাম করে দিতে হবে দুই-তিন বছর বয়সের গাছে। চার-পাঁচ বছর বয়সের গাছে ৩০০-৩৫০ গ্রাম। ছয়-সাত বছর বয়সের গাছে ৪০০-৫০০ গ্রাম। আট-নয় বছর বয়সের গাছে ৫০০-৮০০ গ্রাম। ১০ বছরের ঊর্ধ্বে ৮৫০ থেকে ১২০০ গ্রাম প্রতি গাছে।

ফুল ফোটার সময় করণীয়

মেঘলা ও কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া থাকলে পুষ্পমঞ্জরিতে পাউডারি মিলডিউ ও অ্যানত্রাকনোজ রোগের আক্রমণ হতে পারে। এতে গাছের পাতা, কচি ডগা, মুকুল ও কচি আমে কালো দাগ পড়ে। প্রতিকার হচ্ছে- মুকুল আসার ১০ দিনের মধ্যে একবার প্রতি লিটার পানির সঙ্গে ১ মিলি কট/সাইপেরিন/রিপকর্ড/ সিমবুস ১০ ইসি এবং ০.৫ মিলিলিটার টিল্ট ২৫০ ইসি একসাথে মিশিয়ে মটরশুঁটি আকৃতির আম, পাতা, কাণ্ডে ভালোভাবে ভিজিয়ে স্প্রে করতে হবে।

আমের প্রাকৃতিক পরাগায়ণ- প্রাকৃতিক পরাগের জন্য আম বাগানে মৌমাছি পালন, চারদিকে ফুলের গাছ রোপণ এবং বাগানে বিভিন্ন জাতের আম গাছ লাগানো প্রয়োজন। আম গাছে মুকুল আসার সময় হপার পোকা কচি অংশের রস চুষে খায়। ফলে মুকুল শুকিয়ে বিবর্ণ হয়ে ঝরে পড়ে। এছাড়া রস চোষার সময় পোকা আঠালো পদার্থ নিঃসৃত করে। এতে ফুলে পরাগরেণু আটকে পরাগায়ণে বিঘ্ন ঘটে। এ পোকা দমনের জন্য রিপকর্ড/ সিমবুস/সাইপেরিন/কট/নাইট্রো ও টিল্ট আগের নিয়মে স্প্রে করতে হবে।

মোসলেহ উদ্দিন সেলিম

উপ সহকারী কৃষি অফিসার

লালমাই, কুমিল্লা

ও সাংগঠনিক সম্পাদক

ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশন,বাংলাদেশ

কুমিল্লা জেলা

Thumbnail image

মার্চ শেষের দিকে সারাদেশেই মোটামুটি আমাদের মুকুল এসে গেছে। জাত ভেদে কিছু কিছু এলাকায় আম ইতিমধ্যে মটরদানা কিংবা মার্বেল আকারেও চলে গেছে।

সারাদেশেই আম গাছে মুকুল এসেছে। তবে বিভিন্ন কারণে সেসব মুকুল ঝরেও যায়। এতে ক্ষতি হয় আম চাষিদের। কারণ আমের মৌসুমে বিভিন্ন সমস্যা দেখা যায়। রোগ ও পোকা-মাকড়ের আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় আম বাগান। সঠিক সময়ে রোগ ও পোকা-মাকড় দমনে ব্যর্থ হলে ফলন মারাত্মকভাবে কমে যেতে পারে। তাই আমের মুকুল ঝরা রোধে কিছু করণীয় রয়েছে। আসুন জেনে নেই উপায়গুলো-

আমের মুকুল আসার পর করণীয়

ফুল আসার আগে: আম গাছে ফুল আসার ১৫ দিন আগে পর্যাপ্ত সেচ দিতে হবে। টিএসপি ও এমপি সার ২০০-২৫০ গ্রাম করে দিতে হবে দুই-তিন বছর বয়সের গাছে। চার-পাঁচ বছর বয়সের গাছে ৩০০-৩৫০ গ্রাম। ছয়-সাত বছর বয়সের গাছে ৪০০-৫০০ গ্রাম। আট-নয় বছর বয়সের গাছে ৫০০-৮০০ গ্রাম। ১০ বছরের ঊর্ধ্বে ৮৫০ থেকে ১২০০ গ্রাম প্রতি গাছে।

ফুল ফোটার সময় করণীয়

মেঘলা ও কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া থাকলে পুষ্পমঞ্জরিতে পাউডারি মিলডিউ ও অ্যানত্রাকনোজ রোগের আক্রমণ হতে পারে। এতে গাছের পাতা, কচি ডগা, মুকুল ও কচি আমে কালো দাগ পড়ে। প্রতিকার হচ্ছে- মুকুল আসার ১০ দিনের মধ্যে একবার প্রতি লিটার পানির সঙ্গে ১ মিলি কট/সাইপেরিন/রিপকর্ড/ সিমবুস ১০ ইসি এবং ০.৫ মিলিলিটার টিল্ট ২৫০ ইসি একসাথে মিশিয়ে মটরশুঁটি আকৃতির আম, পাতা, কাণ্ডে ভালোভাবে ভিজিয়ে স্প্রে করতে হবে।

আমের প্রাকৃতিক পরাগায়ণ- প্রাকৃতিক পরাগের জন্য আম বাগানে মৌমাছি পালন, চারদিকে ফুলের গাছ রোপণ এবং বাগানে বিভিন্ন জাতের আম গাছ লাগানো প্রয়োজন। আম গাছে মুকুল আসার সময় হপার পোকা কচি অংশের রস চুষে খায়। ফলে মুকুল শুকিয়ে বিবর্ণ হয়ে ঝরে পড়ে। এছাড়া রস চোষার সময় পোকা আঠালো পদার্থ নিঃসৃত করে। এতে ফুলে পরাগরেণু আটকে পরাগায়ণে বিঘ্ন ঘটে। এ পোকা দমনের জন্য রিপকর্ড/ সিমবুস/সাইপেরিন/কট/নাইট্রো ও টিল্ট আগের নিয়মে স্প্রে করতে হবে।

মোসলেহ উদ্দিন সেলিম

উপ সহকারী কৃষি অফিসার

লালমাই, কুমিল্লা

ও সাংগঠনিক সম্পাদক

ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশন,বাংলাদেশ

কুমিল্লা জেলা

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১

মেডিকেল শিক্ষার মানোন্নয়ন - করণীয়

২

কোন সরকারই পরিবেশ সংরক্ষণে কার্যকর ভূমিকা রাখেনি

৩

কুমিল্লায় পরিবেশ অধিদপ্তরের অফিস নেই

৪

লালমাই পাহাড়কে সবচেয়ে বেশি ধ্বংস করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

৫

গরুর বাজারের একাল-সেকাল

সম্পর্কিত

মেডিকেল শিক্ষার মানোন্নয়ন - করণীয়

মেডিকেল শিক্ষার মানোন্নয়ন - করণীয়

২০ ঘণ্টা আগে
কোন সরকারই পরিবেশ সংরক্ষণে কার্যকর ভূমিকা রাখেনি

কোন সরকারই পরিবেশ সংরক্ষণে কার্যকর ভূমিকা রাখেনি

২ দিন আগে
কুমিল্লায় পরিবেশ অধিদপ্তরের অফিস নেই

কুমিল্লায় পরিবেশ অধিদপ্তরের অফিস নেই

২ দিন আগে
লালমাই পাহাড়কে সবচেয়ে বেশি ধ্বংস করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

লালমাই পাহাড়কে সবচেয়ে বেশি ধ্বংস করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

২ দিন আগে